মেঘের পর মেঘ,আসে আর যায়। বেলা অবেলায়,মেঘের কোলে সূর্য লুকায়। জীবনের ল্যাম্পপোস্টে এক কাঠি নিয়ন, জ্বলে রোজ মাঝরাতে । স্বপ্নের কাঠ পেন্সিলে সাঝাই সময়ের চৌহদ্দি আপন ক্যানভাসে একান্তে।
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে অস্থির অচেনা ঢেউ । নিজে তার কিছুটা রাখি বাকীটা হয়তো কেউ। সংগোপনে সয়ে যাই সুখের দহন, বৃষ্টি ভেজা বর্ষায় টিনের চালের শব্দের মতো। সয়ে যাই নিঠুর সময়ের ব্যাধির পীড়ন , হাড় কাপুনে শীত কিংবা প্রখর রোদের যাতনা যতো।
গতিময় জীবনে স্বার্থ আর অর্থের টানাপোড়েন। নিরিক্ষার দোলাচালে এইতো নিয়তির লেনদেন। প্রিয়জন যদি কারো যায় হারিয়ে , অবেলায় খুব আড়ালে । তৃপ্তির ঢেকুর উঠে ধৈর্যের শেষ সীমানায়, আনমনে হাত বাড়ালে।
ঝড় আসে ঝড় থামে। ধৈর্যের বাঁধ,যেন না ভাঙে। ধৈর্য ধরে তোমার দিকেই যেন পারি , হাত বাড়াতে,। তোমায় প্রভু পাই যেন সাথে। নিয়েছো তোমার যাকে, নিজের কাছে টেনে। কোন অজুহাতে নয়,সত্যিই তাকে নিয়েছি মেনে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সালাহ উদ্দিন শুভ
আমরা ধৈর্য্য ধরি না, ভুলে যাই যেন সব এক মুহুর্তে। অথচ সবসময় আমাদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। অনেক সুন্দরভাবে উপাস্থপন করেছেন আপনি। কবিতাটি অনেক ভাল লাগল। শুভ কামনা রইল।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
আসলে জীবনের ল্যাম্পপোস্টে এক কাঠি নিয়ন,
জ্বলে রোজ মাঝরাতে... সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে মনে পড়ে জীবনের লেনা-দেনা হিসেব, অভিমান, বিষাদ, কান্না আরও কত কি! প্রতিটা কষ্ট যেন প্রতিটা নদীর বাঁকে বাঁকে অস্থির অচেনা ঢেউ এর মত, আবার প্রতিটা ঢেউ যেন বৃষ্টি ভেজা বর্ষায় টিনের চালের শব্দের মতো। তবুও সয়ে যায়, তবুও নীরবতা সহ্য করি। সেখানেও যদি কোন প্রিয়জন হারিয়ে যায়, তাহলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে ধৈর্যের শেষ সীমানায়। অতঃপর সৃষ্টিকর্তার কাছে হাত তুলি, ঝড় আসুক ঝড় থামুক... তবুও ধৈর্যের বাঁধ,যেন ভেঙ্গে না যায়। যত কিছুই হোক না কেন, তোমাকেই পাই যেন সাথে। নিয়েছো তোমার যাকে, নিজের কাছে টেনে।
কোন অজুহাতে নয়,সত্যিই তাকে নিয়েছি মেনে। সত্যি একটি অসাধারণ লেখা ভাই। আমি বিমুগ্ধ হলাম।। বরাবরের মতই শুভ কামনা রইল।।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
মানুষের জীবনে ঝড় আসবেই।ঝড় ঝঞ্জা পেরিয়ে তবেই সফল হতে হয় তাদের।কখনো অসুখ বিসুখ ঝড় হয়ে আসে,কখনো আর্থিক অসচ্ছলতা, কখনো দুর্ঘটনা মানুষের জীবনে ঝড় তুলে সবকিছু তছনছ করে দিয়ে যায়।মানুষ সংগ্রাম করে আল্লাহর অশেষ রহমতে আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।অসুখ বিসুখ,আর্থিক অসচ্ছলতা কিংবা দুর্ঘটনা নামক ঝড়ে ধৈর্য ধারণ করা খুব জরুরী। কারণ কোরআন কারীমে আল্লাহ বলেছেন নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
আর প্রিয়জন কেউ দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলে মানুষ সবচেয়ে বড় ঝড়ের কবলে পড়ে।তখন হা হুতাশ না করে, কপাল চাপড়ে হাউমাউ করে না কেঁদে ধৈর্যের সাথে বলতে হবে ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন।তাহলেই কেবল মহান আল্লাহ সবচেয়ে বেশি খুশি হন।
২৪ জানুয়ারী - ২০১২
গল্প/কবিতা:
৩৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।