লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

ভালোবাসা... শব্দটা শুনলে আমাদের মাথায় কোন ছবিগুলো ভেসে ওঠে? ঠিক কোন ধরণের দৃশ্য, স্মৃতি কিংবা ফ্যান্টাসি আমরা শব্দটার সাথে কল্পনা করি? সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা? মায়া-মমতা, দায়িত্ব, বিশ্বাস আর শ্রদ্ধার ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র ভালোবাসা? মহান স্রষ্টার জন্য ভালোবাসা? ঐ মানুষটার জন্য ভালোবাসা যার কথা কবরে আমাকে জিজ্ঞেস করা হবে? যিনি আমাদেরকে দেখেননি কিন্তু আমাদের জন্য রক্ত ঝরিয়েছেন, অশ্রু ঝরিয়েছেন,আর রাব্বি হাবলি উম্মাতি বলে দোয়া করেছেন,আমাদের প্রিয় নবীজী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম? নাকি ভেসে উঠে চিরাচরিত ভালবাসার মোমেন্টাম,হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে দূর অজানায় হারিয়ে যাওয়া । ছেলে-মেয়েদের প্রেম-ভালবাসা ,হাত ধরা, সারারাত গল্প করা,এই সীমিত ভালবাসার আশ্বাসে শয়নে স্বপনে,আহ্লাদে আহ্বানে পরম সুখের স্বাদ পাওয়া? আর এ সীমিত “ভালোবাসা”-কেই আমরা অনেকে জীবনের মহান ও পবিত্র লক্ষ্যগুলোর একটি বানিয়ে নিয়েছি। কৈশোর ও যৌবনে পদার্পনের সময় এ “ভালোবাসা” পাবার আকাঙ্ক্ষা আমাদের অনেকের জীবনে মূল কম্পাস হিসাবে কাজ করে । ভালবাসার এই একটি রুপ খুবই কুৎসিত, কদাকার হয়। সেটি হলো কিউপিডের (কাম দেবতা) কাম প্রবণতা, লুপারক্যালিয়াসের(একটি উৎসব যেখানে লটারিতে ছেলেরা মেয়েদের বাছাই করে নিত আর ঐ বাছাইকৃত মেয়েদের সাথে যৌন মিলন করতো) যৌনতা যৌনতা খেলা। আমাদের দেশের পরিভাষায় বললে যুবক যুবতীদের বিয়ে পূর্ব অবাধ মেলামেশা, উন্মত্ত যৌনাচার। ভালবাসা পবিত্র আর স্বর্গীয় মনে হলেও এ যুগের ভ্যালেন্টাইন পাপ ও পঙ্কিলতায় পরিপূর্ণ।আর পাপের পরিণাম জাহান্নাম।অথচ ভালবাসা হতে পারে কোরআনের অমিয় বাণীর মুগ্ধ করা গানে,রাসুলের হাদীসের পয়গামে,মায়ের প্রতি ভালবাসায়,বাবার প্রতি স্নেহ মায়ায়,দেশের প্রতি মমত্ববোধে। ভ্যালেন্টাইন এ যুগের তাগুত।এই তাগুত থেকে আল্লাহপাক আমাদের নিরাপদ রাখুন। আল্লাহপাক কোরআনে কারীমে ঘোষণা করেছেন, আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসুল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে ,তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক। (সুরা নাহল)

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।