অপেক্ষার কালো মেঘে ঢেকেছে
শুভ্রতার সবকটা আকাশ ।
ভালবাসার রংধনুতে কেটে গেছে
সাত রঙা সাতটি বছর।
একটিবারও হতে পারিনি তোমার ভ্যালেন্টাইন।
এই হতে না পারার ব্যর্থতা ছিল অনিন্দ্য সুন্দর
সারল্যে পবিত্রতার খোলা বাতিঘর।
হয়তো অপেক্ষায় আক্ষেপে পুড়ে,
অশ্রু আড়াল করে কেঁদেছি !
অথচ এখন জানি এ যুগের ভ্যালেন্টাইন পাপ ও পঙ্কিলতার পাথর পথ ।
ছুঁয়ে দেয়া হাতের স্পর্শে ,চোখের চাওয়ার এক পলক কাব্যে
লুকিয়ে থাকে পরম সুখে অনূদিত জাহান্নাম।

শুনেছি রোমান লুপারক্যালিয়াস থেকে ভ্যালেন্টাইন
জীবন দিয়েছে তবু ভেঙেছে নিষিদ্ধ আইন। ,
জেনেছি কিউপিডের কামবাসনায় ,
রক্তাক্ত তীরের ফলায় হৃদয়ের ক্ষত
তবু প্রশ্ন আমার, আর কত?
আর কত পাপের বোঝা তুলে নেব কাঁধে না জেনে সত্যিটা।
ভ্যালেন্টাইন ইরোটিকার প্রতিশব্দে ঘূর্ণায়মান এক শব্দ শিখা,
নিষিদ্ধ মেলামেশার পাপাচারে তাগুতের কালিমা লিখা।

কোরআনের অমিয় বাণীর মুগ্ধ করা গানে,
ভালবাসা হোক আল্লাহর শানে ।
হাদীসের শব্দমালায় নবীজীর পয়গাম
ভালবাসা হোক রাসুলের লেখা চিঠির খাম।
বাবার মুখে চেয়ে একটিবার,অনুভবে যেন মায়া নিয়ে আসি।
চিৎকার করে যেন বলতে পারি মাকে “মাগো তোমায় ভালবাসি”।
তাগুতের জোয়ারে না ভাসিয়ে গা,
ঈমানিয়াতের পোশাকে ঢাকি ক্বলবের জমিটা।