একদিন মা বললো ডেকে
'আমার সাথে চল,
কাজি বাড়ির ছোট্ট মেয়ে
কেমন লাগে বল?
চেহারাটা মিষ্টি ভারী
পড়ালেখায় বেশ,
মাথায় যেমন বুদ্ধি, তেমন
দীঘল কালো কেশ।
বয়স কত পার হয়েছে
আছে কি তা জানা?
এবার ঘরে বৌ আনব
শুনব না আর মানা।'
আমি মদন, বেকার ছেলে
মনে মনে ভাবি,
কাজির কন্যা ঘরে পেলে
করব নানান দাবী।
বাড়ি দেবে, গাড়ি দেবে
আরো দেবে টাকা,
সেই টাকাতেই ঘুরবে আমার
ভাগ্য গাড়ির চাকা।
অগত্যা মা'র কাছে গিয়ে
লজ্জা পেয়ে কাশি,
আমি রাজি, চলো আজি
কন্যা দেখে আসি।
আমি মা আর ঘটক মিলে
সন্ধ্যা বেলার পর,
কাজি বাড়ি পৌছে দেখি
লোকে ভরা ঘর।
বসার ঘরে, বসার পরে
দই মিষ্টি ছানা,
একে একে আসতে থাকে
হরেক রকম খানা।
খানা দানার পর্ব শেষে
মুরব্বিরা বলে,
এবার তবে বিয়ের আলাপ
শুরু করা চলে।
মেয়ের বাবা বলেন হেসে
'আমরা সবাই ধন্য,
এমন ছেলেই খুঁজতে ছিলাম
আমার মেয়ের জন্য।'
এবার আমার বলার পালা
তাই এগিয়ে গিয়ে,
বললাম আমি, কথা আছে
কিছু বিষয় নিয়ে।
সোফা, টেবিল, আলমারি আর
একটা ছোট বাড়ি,
চলাচলের জন্য দিবেন
চার চাকার এক গাড়ি।
সামান্য এই জিনিষ কটা
বিয়ের দিনে পেলে,
জামাই বেশে পাবেন পাশে
আমার মতো ছেলে।
শুনে আমার শ্বশুর বলেন
এসে আমার কাছে,
যৌতুকের সেই দিন বাবা
এখন কি আর আছে?
আমি বলি, যৌতুক না
এটা উপহার,
সব বাবারাই দিয়ে থাকে
করতে মেয়ে পার।
কিন্তু আমার শ্বশুর কি আর
আমার কথা শোনে?
ফিসফিসিয়ে বলল কি সব
তার মোবাইল ফোনে।
একটু পরে পুলিশ এলো
ধরল ঘাড়টা চেপে,
পুলিশ দেখার পরেই আমার
বুকটা গেলে কেঁপে।
পাছার উপর লাথি মেরে
দারোগা স্যার বলেন,
অনেক চিটিং বাজি হলো
এবার থানায় চলেন।
আমি থানায়, মা'ও আছে
সঙ্গে ঘটক সাব,
দারোগা স্যার বলে গেছেন
হবে না এর মাফ।
রিমান্ড হবে, ধোলাই হবে
জেল হবে তারপর,
যৌতুক চাওয়ার বুঝবে মজা
কাজীর হবু বর।
যৌতুকটা খারাপ, এবার
বুঝতে ঠিকই পারছি,
কান ধরলাম এই অভ্যাস
এখন থেকেই ছাড়ছি।
০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪