পাখি সব করে রব

রহস্যময়ী নারী (জুলাই ২০১৬)

রীতা রায় মিঠু
  • ৬৪
সেদিন খুব ভোরের দিকে, জানালা গলে আসা ঊষার দ্যুতি
পাতলা কাঁথায় জড়ানো ভারী দেহে মাখামাখি করছিলো।
কোমল দ্যুতি মাখা শরীরটাকে নিয়ে
ঘুমপরীরা আরেকবার খেলায় মেতে উঠেছিল।

ঠিক তখন, চারদিক ছিল স্নিগ্ধ কোমল
বাম কানে আছড়ে পরেছিল
কা কা কা কা, কাকেদের কর্কশ কোলাহল!

মা বলতেন কা কা কা কা রবে, অমঙ্গলের বার্তা রবে,
হুস হুস বলে তাড়াতে হবে, নইলে পরে পস্তাতে হবে।

আরে দূর! মা ছিলেন অ্যানালগ, কুসংস্কারের ভজঘট
সময় এখন ডিজিটাল, কুসংস্কার আর কতকাল!
কাকের কাজ কা কা করা, দিবস শুরু্র ঘোষণা সারা
দিবস শুরুর ঘোষণায় অমঙ্গল নিয়ে ভাবে যারা
ডিজিটালের ক্যালেন্ডারে ঠাঁই পাবে না তারা।

আধো ঘু্ম জড়ানো চোখে, স্বপ্ন ওড়ে এঁকে বেঁকে
ঘুমে অলস শরীরটাকে এপাশ থেকে ওপাশটাতে
ঘুরিয়ে নিলেই হয়ে যায়, জানালার ঠিক বিপরীতে।
কা কা কা কা কোলাহল হতে থাকে ধীর,
ক্রমশঃ ধীর, ধীর আরও ধীর

স্নায়ুর ঘরে গুনগুনিয়ে ঝিম ধরানো সুরে
ছোট্ট তনু পড়ছে ছড়া, দুলছে ধীরে ধীরে

“পাখি সব করে রব রাতি পোহাইলো, কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিলো”
“পাখি সব করে রব রাতি পোহাইলো, কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিলো”


কাঁথার প্রান্ত টেনে মুড়ে দেয়া মাথা, ঢেকে দেয়া কান
আর শোনা যায় না কা কা কা,
তনুর রাতি পোহাইলো গান।।

কোথায় কী হলো, আকাশ ভেঙ্গে বাজ পড়ল
ঊষার আকাশ ঘোর কালো,
কা কা কা কা হলো জোরালো।

ঝড়ের গতিতে কেউ কি এলো, ঘুম জড়ানো অলস দেহে
ঝাঁকুনি দিয়ে গেলো,
“তনু আর নেই, তনু আর নেই”।
ক্ষত বিক্ষত এক দেহ আছে, জলপাইপাড়ার ঝোপের কাছে,
কামড়ে খাওয়া দেহ দেখে ভুল করোনা যেন
এলোমেলো নিথর হয়ে পড়ে আছে তনু।

তনুকে প্রথম দেখলো কি সেই শতেক কাকের ঝাঁক,
জলপাইপাড়ার ঝোপের কোণে রয়েছে যে বাঁক
বাঁকের ফাঁকে বেরিয়েছিল তনুর কোমল হাত
ফর্সা কোমল হাতখানিতে ওরা বসিয়েছিল দাঁত।


“তনুকে কেউ মেরে ফেলেছে, তনুকে কেউ মেরে ফেলেছে”,

দ্যুতিমাখা ঊষার কোমল সকালে
কাকেদের কর্কশ কোলাহলে
পৃথিবী জেগে উঠেছিল
আকাশ কেঁদেছিল, বাতাস কেঁদেছিল
চারদিকে অমঙ্গল বার্তা পাঠিয়েছিল।

ঘুমকাতুরে অলস দেহে, চলে যাওয়া শীতে্র উষ্ণ মোহে
ভারী শরীরে আলসেমী ভর করেছিল,
হুস হুস হুস আর বলা হলো না
অমঙ্গল বার্তা নিয়ে তাই
কাকগুলো ফিরে গেলোনা।
জানিয়েই দিলো, তনু বেঁচে নেই।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ আজিজ দারুন অনুভুতি ,ভাল্লাগছে ।পাঠক উপচে পড়েছে ।
গোবিন্দ বীন দ্যুতিমাখা ঊষার কোমল সকালে কাকেদের কর্কশ কোলাহলে পৃথিবী জেগে উঠেছিল আকাশ কেঁদেছিল, বাতাস কেঁদেছিল চারদিকে অমঙ্গল বার্তা পাঠিয়েছিল। ভাল লাগল,আমার কবিতা পড়ার আমন্ত্রন রইল।ভোট রেখে গেলাম।

১৯ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৬৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪