এক আত্মভোলা দার্শনিক অনেকেরই মত স্ত্রীর জন্মদিন মনে রাখেন না। সঠিক বলতে গেলে, মনে রাখতে পারেন না। তবে তার মানে এই নয়, যে তিনি তার স্ত্রীকে ভালোবাসেন না, বা কেয়ার করেন না। প্রকৃতপক্ষে, তিনি তার স্ত্রীকে খুবই ভালোবাসেন, খুবই আদর করেন। বিশেষ করে জন্মদিন মনে না রাখলেও, সব সময় তিনি তার স্ত্রীর জন্য দামী দামী উপহার সামগ্রী কিনে আনেন। কোন কোন সময় কাকতালীয় ভাবে জন্মদিনের সাথে মিলেও যায়। তবু সঙ্গত কারণেই স্ত্রীর আফসোস থেকেই যায়। দার্শনিক সব সময় বোঝাবার চেষ্টা করেন, এটা তারই ব্যর্থতা, তারই মনের খেয়ালী পনা। তারপরও স্ত্রীর মনের দুঃখ মনেই গুমরে মরে। একদিন দার্শনিকের মেয়ে মার জন্মদিনে মাকে গয়নার দোকানে নিয়ে তার পছন্দমত একটি হিরের আংটি কিনে দেয়। বাড়ীতে এসে দার্শনিকের স্ত্রী কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে স্বামীকে বলেন, আজ আমার জন্মদিন। তোমার মনে নেই। দেখ, আমার মেয়ে আমাকে এই আংটি কিনে দিয়েছে।‘ দার্শনিক স্ত্রীকে বললেন, দেখো, পৃথিবীতে এমন কিছু মুষ্টিমেয় মানুষ আছে, যারা না জন্মিয়েও পৃথিবীতে বিরাজ করে, নিজের জীবনকে বিকশিত করে, অন্যের জীবনকে ভালোবাসায় রাঙ্গিয়ে দেয়। পৃথিবীতে না জন্মিয়েও তারা ক্ষনজন্মা। আর তুমি হলে তাদের মধ্যে অন্যতম। তোমার কোন জন্মদিন নেই, আবার প্রতিদিনই তোমার জন্মদিন। স্ত্রী দার্শনিক স্বামীকে বললেন, যাও এতো সুন্দর কথার জন্য তোমাকে আজ মাফ করে দিলাম’।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।