কেউ কিছু বুঝে না

ভয় (এপ্রিল ২০১৫)

জালাল উদ্দিন মুহম্মদ
  • ১৯
  • ৫৫
মাতৃজঠরে ছিলে। সে এক প্রাক স্বর্গ। সে স্মৃতি কি মনে তোমার আছে?
কিছুই মনে নেই? মা খেলে খাওয়া হতো। মা ঘুমালে ঘুমানো হতো।
হেসেখেলে কেটেছে সময়। ভয় কাকে বলে জানতে না। অতঃপর
ভূমিষ্ঠ হয়েই আচমকা ভয়ে সুতীব্র চিৎকারে কেঁদে উঠলে!
কেনো এতো ভয়? কি দেখেছিলে সেদিন? কেনো আজ অবধি সে কথা চাপা রাখলে তুমি?
প্রথমে ভেবেছিলাম, যেদিন কথা বলতে শিখবে, সেদিন এর কারণ জানতে পারব;
বললে না। অনন্তর যুক্তি শিখলে, তর্ক শিখলে, শিখলে কথা আড়াল করতে।
কথায় গিঁট দেয়া শিখলে, গাঁটছাড়া বাঁধতে শিখলে, শিখলে সত্যি-মিথ্যে আলাদা করতে
সত্যের স্বরূপ দেখেও মিথ্যের সংগে আপোষ করতে শিখলে নির্দ্বিধায়,
অথচ কোনো ভয় পেলে না। কোথাও কোনো ভয় নেই। শংকা নেই।

অতঃপর একদিন তুমি ঝি’কে মেরে বৌকে শিখাতে শিখলে
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে শিখলে, শিখলে কৈয়ের তেলে কৈ ভাঁজতে
পান থেকে চুন খসাতে শিখলে, শিখলে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভাঙতে
ল্যাঙ মারতে শিখলে, শিখলে গাছে তুলে মই কাঁড়তে
পরের তরকারিতে নুন দিতে শিখলে, শিখলে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভাঙতে
পাকা ধানে মই দিতে শিখলে, শিখলে দূর্বলের রক্তে স্নান করতে
মানব ঢালে কামান দাগতে শিখলে, শিখলে পরের ধনে পোদ্দারি
তেলা মাথায় তেল দিতে শিখলে, শিখলে গরীবের ইজ্জতে ফুটবল খেলতে
অতঃপর শিখলে কেমন করে ভাইয়ের মাংস খেতে হয়;
কোনো ভয় পেলে না কখনো !

এমনি করে চর দখল, বাক্স বদল ,মাছের মায়ের পুত্রশোক
গরু মেরে জুতা দান – কী শিখনি তুমি? অথচ
ভয় তোমাকে ছুঁতে পারেনি কখনো !

চিরদিন সমান যায় না। একদিন তীর ছুঁড়লে এক অচেনা পাখিরে।
তীর বুমেরাং হলো। তুমি ভয়ে চিৎকার করলে। কেউ শুনলে না।
কবরের পাশে দাঁড়ানো একজনকে চিৎকার করে বললে,
হে পথিক, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আমি চিৎকার করেছিলাম কেনো, তুমি জানো কি?
বড়দের পাপের একটা উৎকট গন্ধ এসে টোকা দেয় নাকে –আর আমি
ভয়ে আৎকে উঠি, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করি- বাঁচাও, বাঁচাও-
কেউ কিছু বুঝে না, একই শব্দের ভিন্নার্থক প্রয়োগ হয় বার বার …
পথিক হাঁটে স্রোতের টানে। সে কিছুই শোনে না। কিছুই শুনতে পায় না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক কবিতার সুন্দর ভাবনাটা আর ভাবের উপমাগুলো কবিতায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে....খুব ভালো লাগলো......
সেলিনা ইসলাম একজন নবজাতক শিশু ভুমিস্ট হবার সাথে সাথে যে কান্না করে তার কারণ অনুসন্ধানে খুব কঠিন সত্য সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন! যা নিয়ে সত্যিই কেউ ভাবে না...বা ভাবতে চায় না। অনবদ্য থিম ও কবিতার উপাস্থাপনা। শুভকামনা রইল...।
মাইদুল আলম সিদ্দিকী ব্যভিচারীর তেত্রিশ রূপের একটি স্পষ্ট... অসাধারণ লিখেছেন!
নাসরিন চৌধুরী আপনার লেখাটুকু বেশ ভাল হয়েছে -নীচে এসে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে হল। কিন্তু বর্ননা'র আধিক্য বেশি মনে হয়েছে তবে সেটা একটু খেয়াল করলেই ঠিক হয়ে যাবে। শুভ কামনা--ভোট রইল।
মনজুরুল ইসলাম শুরুটা অসাস্ধারণ.পরিপক্ক ভাবনা.শেষটাও শুরুর মত.তবে মাঝখান্বে বাহুল্য. প্রাপ্তি এবং সীমাহীন ভালবাসা রইলো.
ruma hamid কবিতায় অনেক বক্তব্য উঠে এসেছে । শুভকামনা ।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।
এস আহমেদ লিটন খুব সুন্দর। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।
ONIRUDDHO BULBUL দারুণ একটা বোধ তুলে ধরেছেন কবি -Ð "ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আমি চিৎকার করেছিলাম কেনো, তুমি জানো কি? বড়দের পাপের একটা উৎকট গন্ধ এসে টোকা দেয় নাকে" এ সংখ্যায় পঠিত কবিতার মধ্যে আমার কাছে সেরা কবিতা বলেই মনে হয়েছে। অনেক ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানবেন প্রিয়কবি।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।
এফ, আই , জুয়েল # দারুন ! অনেক সুন্দর একটি লেখা ।।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।
দীপঙ্কর বেরা ভালো প্রকাশ । আমি অপেক্ষায় ।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।

১৬ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ১৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪