অভীমানি

বর্ষা (আগষ্ট ২০১১)

Muhammad Fazlul Amin Shohag
  • ২০
  • 0
  • ৬৪
বড় অদ্ভুত ছেলেটা, মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, জট বাধা লাল চুল দেখেই বোঝা যায় বহুদিন পানির সংসর্্পশে আসেনি। সেই ভার্সিটির প্রথম দিন থেকেই দেখে আসছি সাদা রঙ্গের একটা পাঞ্জাবি পরে আসতে। লাল দুটি চোখ দেখে মনে হয় বহুদিন রাতে ঘুম হয়নি। কারও সাথে কথা বলতে দেখিনি কখনও। তারপরও প্রতিদিন কলেজে আসে। অনুসন্ধিৎসু চোখ নিয়ে কি যেন খুজে ফেরে। বরাবরের মত আজও সে ক্লাসে আসে। স্যার কি যেন মনে করে আজ ওকে দাড় করায়, এই ছেলে তোমার সমস্যা কি? চেহারার এই অবস্থা কেন? স্যারের প্রশ্নে ও উঠে দাড়ালো। ওর চোখে কি যেন একটা খেলা করল। কোন জবাব না দিয়ে ধীর ভাবে স্যারের সামনে গিয়ে দাড়ালো। ক্লাসের সবাই অবাক হয়ে সেই দৃশ্য দেখতেছে। ছেলেটা সকলকে উদেশ্য করে বললো -
সুহাকে প্রথম যখন আমি দেখি তখন প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। আমরা দু জনই বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে দাড়িয়ে ছিলাম রাস্তায়। প্রথম দেখাতেই ভাললাগা আর বালবাসায় মন ব্যকুল হয়ে উঠেছিল। মনে হয়েছিল যেন বহুদিন আগে বোনা বীজ সদ্য চারা গজিয়ে বের হল। ও আমার চোখে অপলক তাকিয়ে রইল আর আমি তার চোখে। তারপর এভাবে বহুদূর পথ চলা। আমার হাতে হাত রেখে কথা দিয়েছিল এক সাথে থাকার। আমিও...। পহেলা বৈশাখে অনেকটা জোর করে নিয়ে গেল মার্কেটে। আমাকে কিনে দিল একটা সাদা পাঞ্জাবী আর ও কিনল একটা বৈশাখের শাড়ি। বলল কালকে আমাকে নতুন সাজে দেখবে। পরদিন মনে উৎসবের আমেজ নিয়ে সকালবেলা হাজির হলাম রমনার বটমূলে। সেই দিন ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। হটাৎ সুহার ফোন, এই দাড়াও আমি আর বিশ মিনিটের মধ্যে আসছি। সেই বিশ মিনিট আমার জীবনে এখনও শেষ হয়নি। রোড এঙ্েিডন্টে তার লাশটা যখন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে, তখনও আমি তার অপেক্ষায়। বৃষ্টির বেগ বেড়ে চলছে আর আমি অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছি। সুহাকে যত বার ফোন দিচ্ছি ততই বিরক্ত হচ্ছি কারন মোবাইল ফোন বন্ধ। ঘন্টা খানেক পরে সুহাদের বাড়ির পাশের আমার বন্ধু ফোন দিয়ে জানালো সুহা রোড এঙ্েিডন্ট করেছে। এখন হাসপাতালে আছে। ছুটে গেলাম আমি, গিয়ে দেখি চুপটি করে অপেক্ষা করছে পাগলিটা। আমি কানের কাছে গিয়ে বলি এই লক্ষি আমি কি আরো অপেক্ষায় থাকব? বলতে বলতে ছেলেটার চোখের পানিতে পাঞ্জাবী ভিজে যায়। তারপর থেকে সবসময় এই পাঞ্জাবীটা পরে থাকি যেখানে যাই এটাই পরে যাই। যদি হঠাৎ করে ওর সাথে কখনো দেখা হয় আর তখন যদি এই পাঞ্জাবীটা পরনে না দেখে তাহলে তো ও রাগ করবে। ও আবার একটু অভিমানি। অল্প কথার কষ্টের গল্প শুনে স্যার এবং সকলের চোখের কোনে আবেগের জল। তার পর ছেলেটা নিরবে বের হয়ে গেল ক্লাস থেকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য গল্পটা ভালই লাগলো, তবে স্যারের সামনে দাড়িয়ে সুহার গল্প করাটা একটু আরোপিত মনে হয়েছে।
sakil ভাল পড়লাম ।
মিজানুর রহমান রানা প্রথম দেখাতেই ভাললাগা আর বালবাসায় মন ব্যকুল হয়ে উঠেছিল। মনে হয়েছিল যেন বহুদিন আগে বোনা বীজ সদ্য চারা গজিয়ে বের হল।
মোঃ আক্তারুজ্জামান বড় আবেগ মাখা গল্প| বিশেষ করে টিন এজ লাভার যারা তারা তো তোমার গল্প পড়ে কেদেই ফেলবে, কোনো সন্দেহ নেই| তুমি খুব পরিশ্রমী মানুষ তোমার পরিশ্রমের মুল্য তুমি একদিন পাবে বলে বিশ্বাস রাখি| আরও চোখ কান খোলা রাখতে হবে যাতে কোনো রকম অসঙ্গতি চোখে না পড়ে; প্রথম লাইনে আছে- সেই ভার্সিটির প্রথম দিন থেকেই.... আবার দ্বিতীয় লাইনে আছে- তারপরও প্রতিদিন কলেজে.......| শুভেচ্ছা রইলো|
Rajib Ferdous ভালই লাগলো। আফটার অল গল্পতো তাই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। রোড এক্সিডেন্টে নায়ক বা নায়িকা মারা গিয়ে গল্প নাটকীয়তায় মোড় নেয়া খুবই কমন একটি বিষয় হয়ে গেছে। এখন এই কমন বিষয়টি পাঠকের মনে স্থান করে নিতে পারে একমাত্র লেখনির শক্তির গুনে। সেই দিকে মনোযোগ দিবেন আশা করি।
Akther Hossain (আকাশ) মর্মান্তিক কাহিনী, তবে আরো একটু বিস্তারিত হলে ভালো হত !
Muhammad Fazlul Amin Shohag সকলকে অকেক ধন্যবাদ।আপনাদের মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
M.A.HALIM ভালো। শুভ কামনা রইলো।

০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪