তোমরা যখন কলম হাতে কবি হও, তখন আমাদের কষ্ট দেখে কলমের বুক ফেটে রক্ত ঝরে, চোখ ফেটে ঝরে সূক্ষ্ম অশ্রুকণা। তোমাদের কলম-কাগজের সুতীব্র ঘর্ষণে উম খুজে ফেরে আমাদের শীতার্ত হৃদয়! অথচ এই দেখ, তোমাদের ফেলে যাওয়া নবান্ন উৎসবের উচ্ছিষ্ট খুঁটে খেতে খেতে আমরা অপেক্ষা করি আরেকটি বিবর্ণ শীতের। তাই ভেবে রেখেছি, আমিই কবি হবো এইবার! লিখতে জানিনা, তাতে কি! পৃথিবীর সব সুখী মানুষের প্রতি এক অবস্তুগত ঘৃণার অক্ষরে ভরে তুলব কবিতার প্রতিটি চরণ, তোমরা কখনো ফুল ছুঁয়ে দেখো না অথচ সারাক্ষণ হয়ে থাকো সুরভিত! তোমরা কখনো চাঁদ ছুঁয়ে দেখো না অথচ জোসনা ছড়াও অবিরাম! অথচ, এই দেখ, কী সৌভাগ্য আমার! সম্ভবত আমি টোকাই বলেই তোমাদের এই মহানগরে, ধূলিধূসর কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের আকাশ ভেদ করে পূর্ণিমার চাঁদটাকে দেখার সৌভাগ্য আমার এখনো হয়! বিছানা বালিশহীন ফুটপাতের এই শূণ্য শয্যায় শুয়ে থাকা কত নিদ্রাহীন রাত্রিতে, শীতকে আমি অনুভব করেছি আমার নগ্ন হাটুর ঠকঠকানিতে শুষ্ক চামড়ার খসখসানিতে আর ফেটে যাওয়া ঠোঁটের শিরায় শিরায়। সুতরাং,শীতের কাব্য আমার চেয়ে ভাল আর কে লিখতে পারবে!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ আক্তারুজ্জামান
তোমাদের ফেলে যাওয়া নবান্ন উৎসবের
উচ্ছিষ্ট খুঁটে খেতে খেতে
আমরা অপেক্ষা করি
আরেকটি বিবর্ণ শীতের- বাকহীন করার মত সুতীক্ষ্ণ শব্দমালা| অসাধারণ,........ প্রিয়তে রাখার মত কবিতাই একটা|
এম এম এস শাহরিয়ার
ফুটপাতের এই শূণ্য শয্যায় শুয়ে থাকা
কত নিদ্রাহীন রাত্রিতে,
শীতকে আমি অনুভব করেছি
আমার নগ্ন হাটুর ঠকঠকানিতে
শুষ্ক চামড়ার খসখসানিতে
আর ফেটে যাওয়া ঠোঁটের শিরায় শিরায়।
সুতরাং,শীতের কাব্য
আমার চেয়ে ভাল আর কে লিখতে পারবে!
--------------------- চমত্কার প্রতিবাদ এনেছেন আপনার কবিতায় .ধন্যবাদ বন্ধু .
খন্দকার নাহিদ হোসেন
কবির প্রথম কবিতা দিয়ে কবির ক্ষমতা বোঝা যায় নি। তবে এ কবিতায় কবি তা দেখাতে পেরেছে। আর বলতেই হচ্ছে পরিণত একটা লেখা। কবিতা পছন্দে ও কবির জন্য সেরাটা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।