১.রিমির প্রেম প্রসতাব:
        এস এস সি পরীক্ষা শেষ । অনেক দিনের ছুটি । বেড়াতে গেলাম নানা বাড়ী । নানাবাড়ীর পাশেই ছিল একখালা বাড়ী । নানাবাড়ীতে সমবয়সী কেউ না থাকায় সময়টা কাটতো খালাবড়ীতে । খালাতো বোন রিমি পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী । অফুরনত্ম প্রাণ শক্তি,বয়স অনুযায়ী উচ্চতা ছিল বেশি , শাররীক গঠন ছিল উচ্চতার সাথে মানানসই,আর এ বয়সেই রূপ ছিল দুর্দানত্ম । বুদ্বিদীপ্ত চোখ , চেহারায় ছিল সরলতা । শুনে ছিলাম অনেকই প্রেম নিবেদন করে ওর কটুবাক্য আর পাদুকা প্রদর্শন নীরবে হজম করেছে । 
                 সারাদিন এত ছুটোছুটি , গাছে ওঠা , খালাকে কাজে সাহায্য করা ,স্কুল - প্রাই্রেভট ,তারওপর মুখে সবসময় কথার খই ফোটে । এত প্রাণ শক্তি ও কোথায় পায় ভেবে পাইনা । আমার সমবয়সী খালাতো ভাই থাকলেও ও সবসময় আমাকে নিয়ে থাকত ।ওর স্কুলে যাওয়া ,ওর বান্ববী- সহপাঠীদের সাথে পরিচয় করে দেয়া,নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে মাছ ধরা ,তারপর খালার বকুনি খাওয়া । গাছে উঠে ফল পেড়ে খাওয়ানো । ওর গায়ের ওড়না খুলে মাছ ধরা শিখিয়ে ছিল । গাছে ওঠা শিখিয়ে ছিল । যখন কোন কাজ শিখাতো না পাড়লে সেকি চোখ রাঙ্গানী আর বলত , তুমি একটা হাদারাম , কিছুই বুঝনা । আমাকে তুমি সম্বোধন করা এবং ভাইয়া না বলার জন্য রিমিকে অনেকবার গাল মন্দ শুনতে হয়েছে । 
                আমি ওর পক্ষ নিয়ে বলতাম , থাকনা , রিমি তুমি বলে ডাক শুনতে ভালই লাগে । 
                রিমি বলত , ও তো আমার বন্দু ,আর বন্দুকে তুমি করে বলতে হয় । 
                খালা রেগে গিয়ে বলত ,ফাজলামোর আর জায়গা পাওনা , পুচকি কাঠাল,ও তোর চেয়ে কত বড় জানিস ?
                রিমির এক কথা ,বন্দু হওয়ার জন্য বয়স লাগেনা , মন লাগে ।
                অনেকদিন হল ,পরদিন সকালে চলে আসব নিজের বাসায় । রিমি ঘুরতে নিয়ে গেল নদীর পাড়ে ,সাথে ওর বান্দবী সাবিনা । আমি এরপর আবার কবে আসব কিংবা আসবনা কিনা ? ওদের ভূলে যাব কিনা ? ওদের সাথে যোগাযোগ রাখব কিনা ? ইত্যাদি  আরো অনেক , আমার কাছে যা মনে হয়েছিল মাথামুন্ডহীন বাক্যলাপ ,তেমনি অনেক কথা । 
                হঠাৎ রিমি বলল , তোমরা কথা বল আমি একটু কাজ সেরে আসি ।
               এরপর শুরু হল সাবিনার অপ্রয়োজনীয়  কথার মালা । আমি অনেক সময় ধরে শুনছি ,ধৈর্যচুত্যি ঘটেছে অনেক আগেই , রিমিা আসছেনা।সাবিনা ছোট মেয়ে মনে কস্ট পাবে তাই বাধ্য ছেলের মত শুনেই যাচ্ছি ।কিন' কত আর পারা যায় শেষে বসা থেকে উঠে দাড়ালাম বললাম ,রিমির আসতে দেরি হবে তার চেয়ে চল আমরা যাই ,আমকে আবার ব্যাগ গুছাতে হবে ।
                সাবিনা বলল , ভাইয়া জরুরী কথাই বলা হলনা ,একটু দাড়ান ।
                এরপর অনেক সময় অমতা-আমতা , ইতি-উতি করে সাবিনা বলল, ভাইয়া রিমি আপনাকে ভালবাসে , ও আপনাকে ছাড়া কাউকে কোনদিন বিয়ে করবেনা । বলেই সাবিনা ভো দৌড় ।
                আমি হাবার মত দাড়িয়ে রইলাম । বলে গেলকি পুচকে মেয়েটা ! 
                খালার বাসায় এলাম , সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম । কিন' রিমিকে কোথায়ও পেলামনা । সাবাই খুজলো কিন' ওকে পেলোনা । চলে এলাম নানার বাসায় । রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি ,রিমি তাহলে এভাবেই আমার সাথে ফাজলামো করল ? ভাবছি আর হাসছি , পুচকে মেয়েটা শুধু সুন্দরী আর গুনবতী নয় , বুদ্বিমতীও ।
                নানা-নানু , মামা-মামীর  কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রিকসায় উঠলাম বাস স্টেশন যাওয়ার জন্য ।রাসত্মার মোড়ে ঘুরতেই দেখি রিমি আর সাবিনা দাড়ানো , রিকসা থামালাম ।বললাম , কিরে কাল কোথায় ছিলি দেখা হলনা ?
                 কোন কথা না বলে ওকে উপহার দেয়া পানির নিচের পৃথিবী বইটি ফিরিয়ে দিয়ে বলল , দরকার নাই ।
                 আমি হেসে বললাম , এটা তো তোকে গিফট করেছি । আমার কথা না শুনে ওরা দ্রুত পায়ে চলে গেল ।
                এই ঘটনার ১৫ / ২০ দিন পরে , জরুরী একটা কাগজ খুজে না পেয়ে সমসত্ম বই- খাতার ভিতর খুজছিলাম হঠাৎ পানির নিচের পৃথিবী বইটি ভিতর একটা চিঠি দেখে হাতে নিলাম । খুলে পড়লাম , রিমির লেখা । ২৮০০ শব্দের লেখা চিঠি পড়ে হাসলাম অনেকসময় । ৫ম শ্রেণী পড়-য়া একটি মেয়ের চিঠির ভাষা ,গঠনশৈলি , আবেগ প্রকাশের চমৎকারিত্ব দেখে আমি মুগ্ধ , অভিভূত , বিশ্মিত । একেই বলে ইচরে পাকা মেয়ে ।এত বড় চিঠি পাঠকদের পড়তে গিয়ে ধৈর্যচুত্যি ঘটতে পারে ।তাই সমান্য আংশ তুলে ধরলাম । সম্ভোধনহীন চিঠিতে রিমির লেখা প্রথম চারটি লাইন এখানে দিলাম ।
                                         আসলেই তুমি একটা হাবা । কিছু বুজনা , আমি তোমাকে ভালবাসি , তোমাকে ছাড়া বাচবোনা , তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়েও করবনা । এটা সত্যি সত্যি সত্যি,তিন সত্যি আমার মনের কথা ।
               ২.রিমির বিয়ে
               এরপর রিমিদের বাড়ী গিয়েছি ২/১ বার, তবে রিমি আগের মত খুব একটা কাছে আসতনা ,মিশতনা ,কথা বলতনা । ভাবতাম বড় হয়েছে, লজ্জা পাচ্ছে হয়ত । রিমির বিয়ে হয়েছে ,এক সনত্মানের জননী । স্বামী বেসরকারী কলেজের ইংরেজী প্রভাসক । দেখতে সুদর্শন ,নম্র-ভদ্র । যতটুকু দেখেছি এবং যা শুনেছি ,ওরা সুখী দম্পতি । বর,শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের প্রিয় পাত্রী রিমি । ওর বিয়ের আবার মধ্যসত্মাকারী আমার আম্মা । রিমির বিয়ের প্রাথমিক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল আমাদের বাসাতেই , মেয়ে দেখা ,অকদ পর্ব ।
                  রিমির বিয়ের একদিন আগে গিয়েছিলাম ওদের বাড়ীতে । পরলাম মহা বিপদে , রিমির এককথা ওর বাসর ঘর আমাকে একা সাজাতে হবে ,আমি নাকি ভাল সাজাতে জানি । ছোট বড় সবাই মিলে ধরল রিমির কথা রাখার জন্য। বাসত্মব হল কখনো  কোন বাসর ঘরে ঢুকে দেখেনি সেটা দেখতে কেমন হয় , সাজানো তো দুরের কথা । আম্মা এগুলো ভাল পারে । তাকে গিয়ে ধরলাম সাহায্য করার জন্য । শুনে রিমি জেদ ধরে বসল এসব হবেনা ,আমাকে একা করতে হবে । কি আর করা আম্মা ও ছোট খালার পরামর্শ নিয়ে একা একা শুরু করলাম । 
                 নিজের থেকেই তাজা ফুল ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনলাম । একা একা কাজ করছি একগ্লাস পানি খাবার জন্য কাউকে ও খুজে পাচ্ছিনা । কাজ যখন শেষ তখন রাত ৩টা । রাতের খাবার তখনও খাওয়া হয়নি । রাগে সমসত্ম শরীর জ্বলছিল । রিমিকে মনে মনে আচ্ছা ঝাড়া ঝাড়লাম । হাতের কাছে পেলে একটা কষে চড় দিতাম । ছোট বেলার  সেই পাকামো আজও করছে আমার সাথে । 
                 সবাই খাবার জন্য বলল কিন' ক্লানত্ম শরীরে শুধু  চোখে ঘুম । এমন সময় ছোট খালা এল একটি তালা নিয়ে ,বলল বাসর রুমে তালাটি মেরে আসার জন্য । কাউকে দিয়ে করানোর জন্য বলতেই ছোটখালা রেগে আগুন । কি আর করা, অগ্যতা নিজেই সম্পন্ন করলাম । 
                  শুধু বললাম ,ফাজিলটা কোথায় ? মেরে ওর দাত ফেলে দেব । 
                  সবাই একথা শুনে হাসিতে ফেটে পড়ে । ওদের বাড়ীতে আসার পর একবারও রিমিকে দেখিনি ।
                  বললাম,আরে বাবা এটা এমন কি হাসির কথা হল । একেই বলে কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাস ।
                  ওকে নিয়ে বরের গাড়ী চলে যাবার পর আমি বাসায় চলে আসি । রাগ করে নয় জরুরী কাজের প্রয়োজনে ।
                  রিমির  বিয়ের পর  ওর সাথে অনেকবার দেখা হয়েছে । আমাদের বাসার সকল অনুষ্ঠানে ছিল ওর মধ্যমনি উপসি'তি , কিন' ও আমার সাথে কথা বলেনা । কথা বলানোর অনেক চেস্টা আমি এবং অনেকে করেছে । কিন' এখনও আমার সাথে কথা বলেনা। সামনে থাকবে ,সবার সাথে কথা বলবে ,খুব একটা আমার দিকে তাকাবেনা । আমার সাথে কথা বলার প্রসঙ্গ গুলো সুকেীশলে এড়িয়ে যাবে ।
                  ৩.আমার বিয়ে
                     আমাকে বিয়ে করানো জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছে । রিমি ছাড়া এসব হবে না । হলোও তাই । রিমি যাকে পছন্দ করল তাকেই বউ  করে আনার জন্য পারিবারিক ভাবে সিদ্বানত্ম হল । বাদরটা কি মেয়ে আমার সাথে বেধেদিল আল্লাহ জানে । দিন তারিখ ঠিক করে আকদ পর্ব হল । 
                  গায়ে হলুদের দিন সবাই ব্যাসত্ম । কিন' রিমি ব্যাসত্ম গায়ে হলুদের স্টেজ সাজানো , উপকরন সংগ্রহ নিয়ে। ভিডিও ক্যামেরা প্রসত্মত , সবাই সামনে দাড়ানো ,আমি বিব্রত এবং লজ্জায় মাথা নিচু করে আছি । রিমি ওর তিন বচরের মেয়েটাকে আমার পাশে বসালো । মেয়েটাকে সাজিয়েছে সময় নিয়ে দেখে বোজা যায় । ছোট্্র মেয়ে পড়নে হলুদ শাড়ী , মাথায় গাদা ফুলের মালা  তারওপর মায়ের মতই সুন্দরী। ঠিক পুতুলের মত লাগছিল ।
                  মেয়েকে বলল,সিমি মামার হাত ধরে চুপচাপ বসে থাকবে ।
                  ওর বরকে বলল, টিসু হাতে নিয়ে বস, চোখে যেন না যায়।
                  হলুদ পর্ব শেষ হলে রিমি একাই নিজ হাতে সাবান দিয়ে পানি ঢেলে আমাকে ,ওর মেয়ে সিমিকে গোসল করাল ।শরীর মুছে দিয়ে কাপড় পাল্টে দিল । 
                  বউ তুলে আনার জন্য দিন তারিখ ঠিক হল । রিমির সিদ্বানত্ম ও উপসি'তি ছাড়া কেনা-কাটা এমনকি কোন কিছুই হচ্ছেনা । বাসর ঘর সাজাবে রিমি একা তার অর্থায়নে । বউ তুলে আনা হল । রিমির বর ,মেয়ে সিমি ,ছোট বোন বাসর ঘরে নিয়ে গেল আমাকে।  রিমি আর বউ বসা খাটের উপড়। বউয়ের বড় করে ঘোমটা টানা ।
                   রিমি ওর মেয়েকে বলল,সিমি ,মামাকে নিয়ে উঠে বস । আশ্চর্য মেয়েটি পাকা মহিলার মত আমাকে হাত ধরে টেনে বউয়ের পাশে বসাল এবং নিজে পাশে বসাল ।   
                   সবাই চলে গেলে দরজা বন্দ করে বউয়ের পাশে বসলাম । এই প্রথম খেয়াল করলাম বিছানার ওপর হলুদ গাদা ফুলের ভরাট বৃত্ত তারমাঝে লাল গোলাপের দ্বিখন্ডিত হার্ট আকা ।রিমির ফাজলামো আর গেলনা ভেবে হেসে দিলাম । বউ ঘোমটা খুলে তাকাল । বিয়ে হওয়ার ছয় মাস পর আজ প্রথম বউকে দেখলাম । রিমির পছন্দ আছে ।
                  বউই প্রথম মুখ খুলল , রিমি মেয়াটা খুবই ভাল ,অনেক ভাল, ওর মেয়ে সিমি ও । আমার রিমি-সিমির মত একটা মেয়ে চাই।
                  বলেই লজ্জায় মুখ ঢাকল । আমি আর না হেসে পারলামনা । নিশ্চয়ই এটা রিমি বাদরটার শেখানো কথা ।                
                ৪.এখন ইচ্ছে 
                  রিমির বিয়ের সময় , আমার বিয়ের সময় রিমির অনেক বুব্দিমতী,সুশীল,গ্রহণযোগ্য কার্যকলাপ শুধু আমাকে নয়  আমাদের সমসত্ম পরিবার এমনকি আমার বউকে বুজিয়ে দিয়েছে রিমি আমাকে কতটা ভালবাসে ।
                রিমি এখন আমার বউয়ের সবচেয়ে প্রিয় বদ্ধু। প্রতিদিন ৪/৫ বার মোবাইলে কথা বলা , একদিন পর পর দেখা করা ,একত্রে মার্কেট করা ,বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়া ,একজন কোথায়ও না গেলে অন্যজনের না যাওয়া । আমার ও আমার সনত্মানের শাররীক অবস'ার খোজ নেয়া ,অসুস' হলে কি করব সে বিষয়ে বউকে ধারণা দেয়া , সুস' না হওয়া পর্যনত্ম ওর উদবিগ্ন থাকা । প্রতি ঈদ এবং পহেলা বৈশাখে নতুন পোষাক কিনে দেয়া এবং বউয়ের মাধ্যমে তা পড়তে বাধ্য করা এখন রিমির রুটিন কাজ । সেভ না করলে , চুল না কাটালে কেন তা করিনি তার জবাবদিহি করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা করতে বাধ্য করা হত বউয়ের মাধ্যমে। কোন পোষাকে ভাল না লাগলে তা দ্রুত পরিবর্তন করা আর কখনো না পরার অঙ্গীকার করতে হয় । পরিবারের প্রতি আমার বউয়ের দায়িত্ববোধ , সকলের ভালবাসার মধ্যমনি হয়ে থাকার আবদান একমাত্র রিমির ।
                   মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে বউকে জিজ্ঞেস করি,রিমি তোমাকে কিছু বলেছে কিনা ? কিন' নিজ থেকে নিবৃত হই । কারণ রিমি সম্পর্কে যতটুকু ধারণা আমার হয়েছে ও বলার মত মেয়ে নয় । আর আমার বউও বোকা নয় ,সে হয়তবা বুঝতে পেরেছে ।
                   ওদের এই সম্পর্ক এখন সবার কাছে ঈর্ষনীয় । আমার কাছে খুবই ভাললাগে । কিন' নীরবে আমার হৃদয়ে যে দহন আর রক্তক্ষরন রিমি করে যাচ্ছে তা আমি ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারেনা , বুঝতে দেইওনা । ৫ম শ্রেণী পড়-য়া তখনকার রিমির কতইবা হবে বয়স , ১২বছরের বেশি হওয়ার কথা নয় । ওর সেদিনের ভালবাসার আহবান আমার কাছে ইচরে পাকা মেয়ের ফাজলামো মনে হয়েছিল । কিন' সময়ের পথ পেড়িয়ে রিমির নীরব প্রতিঘাত, সর্বত্র সরব উপসি'তি ,সম্মুখে আমাকে অবজ্ঞা বুজিয়ে দিয়েছে ,এখনও দিচ্ছে রিমির ভালবাসা কতটা সত্যি ছিল । এখনও আমাকে ও কতটা ভালবাসে । এখনও আমার বউয়ের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ভালবাসা ,শুভকামনা দিয়ে যাচ্ছে । 
                   মাঝে মাঝে রিমিকে বলতে ইচ্ছে করে ,সেদিন বুঝতে পারিনি বলে সারা জীবন এমনি করে কি দহন দিয়ে যাবে? কিন' কি করব রিমি যে আমার সাথে কথা বলেনা । সেদিন রিমির কচি মনে যে ভালবাসার আনুরাগ আমার জন্য জন্ম হয়েছিল তা ধরে রেখেছে আজও। কমেনি বরং বেড়েছে ওর রূপ আর গুনের মতই। থাকনা এটুকু , হচ্ছে হোক আমার যন্ত্রনা ,এটুকু তো আমার প্রাপ্যই ছিল ।
                  রিমি তুই সুখে থাক,সুখের অনাবিল অঝোর ধারা তোর হৃদয়কে প্লাবিত করুক,চারিপাশ ঘিরে থাক । রিমি আর আমার বউয়ের এই বাধনও অটুট থাকুক চিরকাল  ।