এই পিচ্চি, অনেক হইছে, অহন উঠ ।
তেতুলের বিচির মত দাঁতগুলো খিচিয়ে লাল বর্ণের চোখ বিস্ফারিত করে পাঁচ/ছ’বছরের একটা মাসুম বাচ্চাকে যখন লোকটা এরকম ভাষায় কথা বলছিলেন তখন আমার স্বভাবসূলভ দৃষ্টি নিবন্ধিত হল। হাটার গতি মন্থর হল। অন দ্য স্পট ব্রেক কষলাম । লোকটার চেহারা দেখে আর ভাষার বিশ্রি ব্যবহার শুনে এটা নিশ্চিৎ হলাম যে, সে আমাদের কম্যুনিটির কেউ নয়।
চিরকালের স্বভাব । অপ্রিয়, অশোভন কিছু ঘটতে দেখলে মগজটা রেসপন্ড করেই বসে। স্থান, কাল পাত্র বিবেচনার ধার ধারে না। তো বিষয়টা তেমনই অনুকুল গ্রাহ্য হওয়ায় বরাবরের মত তথাকথিত অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হলাম ।
এক্সকিউজ মি, ভাই , আপনি বাচ্চাটাকে এভাবে ধমকে কথা বললেন কেন ? সে কি আপনার কিছু হয় ?
-না, না, আমার কিছু হয় না। দেখছেন না, সেই ভোর বেলা থেকে উনারা ফুল তুলছেন । দেবীর জন্য ফুল তোলার আর যায়গা পেলনা । এখানে এসে মরেছে। এমনভাবে আমার সাথে চিবিয়ে চিবিয়ে কথাগুলো বললেন, মনে হল যেন আমি উনার আজন্ম পরিচিত বন্ধু ।
ও, আচ্ছা । আর একারণে আপনার এত গা জ্বালা ! বুঝতে পেরেছি। তা জনাব, আপনি কি আজ ফজরের নামায জামাতে পড়েছেন ?
এভাবে আমি তার কথার জবাব দেব, সেটা উনি আশা করেন নি। তাই একটু ভড়কে গেলেন । তাৎক্ষনিকভাবেই নিজের অবস্থানকে মজবুত রাখার জন্য তার কথা বলার ধরন এবং চেহারা পরিবর্তন করে ফেললেন । আমাকে কাউন্টার দেবার জন্য মেজাজ অন্য রকম করে ফেললেন।
-এর সাথে আবার নামায নিয়ে টানাটানি করছেন কেন ?
না, মানে, আপনি বলছিলেন বাচ্চটা দেবীর জন্য ফুল তুলতে আর মরার যায়গা পেল না, তাই ভাবছিলাম, আপনি আপনার কাজটা ঠিকমত করেছেন তো ?
-দেখুন, আপনি কিন্তু অনধিকার চর্চা করছেন ।
তাতো একটু করতেই হচ্ছে। ভেবেছিলাম, অল্পতেই শেষ হবে, কিন্তু আপনি যেভাবে টানছেন, তাতেতো মনে হচ্ছে --- । আচ্ছা, বেশ ! আপনি বলছিলেন, উনারা ? মানে ? আমিতো দেখতে পাচ্ছি ছোট্ট একটা বাচ্চা, এর মধ্যে উনারা দেখলেন কৈ ?
অদূরে দাঁড়ানো সিঁদুর পরিহিতা একজন তরুনীর দিকে তিনি ভ্রু কুচকে লোলুপ দৃষ্টিতে ঘন ঘন তাকাচ্ছেন আর বড় বড় করে চোখ পাকাচ্ছেন। সেটা খেয়াল করেই বুঝতে পারলাম উনার আসল উদ্দেশ্য কি ? আমি তাকে আর কোন সুযোগ না দিয়ে আবার প্রশ্নবানের মুখে ফেললাম ।
হু , বুঝতে পেরেছি। আর তুলছে কোথায় ? ও তো ঝরে যাওয়া ফুল কুড়াচ্ছে । তো ? আপনার কি তাতে ?
-আমার কি মানে ? দেখছেন না, গাছের গোড়ায় নতুন মাটি দেয়া হয়েছে, মাটি সরে যাচ্ছে না ?
ও, আচ্ছা, এই সাত/আট কেজি ওজনের মাসুম বাচ্চার পায়ের চাপে কথিত নতুন মাটি সরে যাচ্ছে, তাই বুঝি আপনার এত দরদ ?
-আপনি নাক গলাচ্ছেন কেন ?
আমার সাথে একটা নাক আছে, তাই । আচ্ছা, সে কথা না হয় পরেই বলি। এখন জনাব ফুল গাছ প্রেমিক ভাই, আপনার বাসা নম্বর আর রোড নম্বরটা বলবেন প্লীজ, আর কত টাকা চাঁদা দিয়েছেন, তাও যে একটু জানা দরকার।
-তার মানে ? আপনি কিন্তু অযাচিত বাড়াবাড়ি করছেন ।
বাড়াবাড়ির আর দেখলেন কী- জনাব ? আপনি যে আচরণ এই বাচ্চাটার সাথে করেছেন তাতে বাচ্চটা বেশ ভয় পেয়েছে । সেই সাথে ওর মায়ের মনে যে ধারণার জন্ম আপনি দিয়ে দিয়েছেন, তাতে বাড়াবাড়ির একটা শেষ তো আপনাকে করতেই হবে । সেই সাথে এই পার্কের পেছনে আপনার অবদানের খাতাটা মেলানোও যে জরুরী হয়ে পড়েছে। তা ভাই, বলুন বাসার নম্বরটা কত?
লোকটার চেহারা আবার চেইঞ্জ। ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
বচসা যখন চলছিল, তখন এই বিব্রত মা তার সন্তানকে নিয়ে পার্ক ছেড়ে যেতে উদ্ধত হলে আমি বাচ্চাটার হাত ধরে বললাম,
-মা, আপনি ওকে নিয়ে একটু দাঁড়ান, কিছু মনে করবেন না। এ কি আপনার মেয়ে ?
হ্যা, আংক্ল ।
-প্লীজ , একটুখানি দাঁড়ান । আমি ওর সাথে আমি একটু কথা বলব।
নিন, ভাই বাচ্চাটাকে সরি বলুন । উনারা চলে যাক, তার পরে আপনার বিচার হবে । সহজে আপনাকে ছাড়া যাবে না।
থাক না, আংক্ল । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আমরা যাই ।
-আচ্ছা, ঠিক আছে, এখুনি যাবেন । একটু দাঁড়ান ।
লোকটা ইতস্তত বোধ করছেন। দ্রুত পালাতে চাইছেন আমার হাত থেকে।
ভাই, আমার বাসা কসাইবাড়ি।
সে আমি জানি ।
-মানে ? আপনি আমাকে চেনেন ? আপনি কি পুলিশের লোক ? কেন ? পুলিশকে খুব ভয় বুঝি ? ভয় নেই, আমি পুলিশের লোক নই।
তাকিয়ে দেখলাম, মুহুর্তের মধ্যে লোকটা ভয়ে আরো ফ্যাকাশে হয়ে গেল ।
আমরা যতদূর জানি, আমাদের কম্যুনিটির বাইরের কোন সদস্যের কাছ থেকে তো আমরা চাঁদা নেই না। এখন আপনি বলেন, কত টাকা চাঁদা দিয়েছেন ? কাকে দিয়েছেন ?
-না, মানে আমার ভাতিজা ।
কত নম্বর ?
-১৮ নম্বর রোড, ৬ নম্বর বাসা ।
উনার নিজের ফ্ল্যাট, না ভাড়া থাকেন ? কি নাম ?
-হ্যা, নিজের । নাম বদর আলী।
কি করেন ?
এয়াপোর্টে চাকরী করেন।
কি পোষ্টে চাকরী করেন ?
-টি, ডি ।
টি ডি ? মানে ? টি ডি নামে তো কোন পোষ্ট নাই এ ডিপার্টমেন্টে । আচ্ছা সে যাহোক, উনাদের দেরী হয়ে যাচ্ছে, ক্ষমা চেয়ে নিন, বাচ্চাটার কাছে।
-একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না ?
বাড়াবাড়ি কিন্তু আপনি করছেন । আপনি জানেন ? আপনার এই আচরণ এই বাচ্চার মা কী ভাবে গ্রহণ করেছেন ? এর পরিণামে কি হতে পারে, তার সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা আছে ? আপনার মত মানুষের জন্য আজ অন্য ধর্মের মানুষরা মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে । তারা মনে করে মুসলমান মানে হল ধর্ম ব্যাবসায়ী, ধর্মীয় টেরোরিষ্ট, মৌলবাদী ইত্যাদি । বলুন ? সরি বলুন ?
-সরি মা । আমার ভুল হয়ে গেছে । আসি, ভাইজান ।
আসুন, তবে আপনার বিচার এখনো শেষ হয়নি।
-বাদ দিন না, সরি বলেছি তো ।
আচ্ছা, আপনি এখন আসুন ।
আর মা , বাচ্চাটাকে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রাখলাম। কষ্ট পাচ্ছে। আপনিও এখন আসতে পারেন। আর হ্যা, একটা কথা। আপনার বাসা কোথায় ? অগে তো কখনো দেখিনি আপনাকে ?
-আমি আসলে বেড়াতে এসেছি আমার মাসীমার বাড়িতে। ১৫ নম্বর রোড, ১৩ নম্বর বাড়ি ।
মানে ? অভিনেতা গোপীনাথ বসুর বাড়িতে ? উনি আপনার ----?
-মেসোমশাই ।
আচ্ছা। এই লোকটার জন্য আমিও আপনার কাছে বলছি, সরি । এদের মত লোকরাই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এখন আপনি খুশী তো ?
-আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আংক্ল । আমি আপনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ । আমার মেয়েটা লোকটার ধমকে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আপনার সহযোগীতায় ও এখন খুব খুশী। আর আমিও অনেক কিছু শিখলাম । আমার অনেক কিছু জানা ছিল না । আজ আমি অনেক কিছু জানলাম । আর আপনি যেহেতু মেশোকে চেনেন, আসুন একদিন সময় করে । খুব খুশী হব ।
আচ্ছা , ঠিক আছে ।
গোপীনাথ বসুও সন্ধায় ক্লাবে এসছেন। অদূরে চুপ করে বসে আছেন। এদিক ওদিক তাকিয়ে যেন কাউকে খুঁজছেন। চশমাটা আলতোভাবে একটা ধাক্কা মেরে নাকের ওপরের দিকে ঠেলে দিয়ে পত্রিকার ভেতরে ডুব দিলেন। তিনি আমাকে চেনেন না। আমি মাঝে মাঝে টিভিতে তার সাক্ষাৎকার দেখেছি। বেশ বয়োঃবৃদ্ধ । চ্যানেল আই এর সাথে তার এক সাক্ষাৎকারে জেনেছিলাম, উনার বাসা আমাদের এলাকাতেই ।
১৮ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাসার টি ডি সাহেবকে খবর দেয়া হল। তিনি প্রথমে আসতে চাননি, পরে অবশ্য তাকে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। একই সাথে তার চাচাকেও আনা হল। এসেই তিনি চটে গেলেন, খুব। তার কড়া মেজাজ দেখে-শুনে ভদ্রগোছের মানুষজন একটু হোচট খেলেন। এসব কম্যুনিটিতে যারা বাস করেন, তাদের মধ্যে যারা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় চলেন তাদের এরকম মেজাজ মর্জির বেশ কদর। অনেকেই তাদের আলাদাভাবে সমীহ করে চলেন। কিছু ভদ্রলোক আছেন, যারা এসব নব্য এলিটদের এড়িয়ে চলেন। অতি-ভদ্রলোকদের এরকম নিরবতাই অনেক উচ্ছিষ্টদের নব্য এলিট বনে যেতে সহায়তা করেছে। সংগত কারণে সেরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ভদ্রজনেরা এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না। নিজ নিজ কাজে মন দিয়েছেন। সুযোগ পেয়ে ভাতিজার চোটপাট আরো বেড়ে গেল। এরকম মুহুর্তে ক্লাবের সভাপতি সাহেব আসলেন। গোপীনাথ বসু এসে চুপচাপ তার কাছে বসলেন। সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে টি ডি সাহেবের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং তাকে চুপ করে বসতে বললেন।
টিডি সাহেব খুব চটে আছেন। তার চাচাকে অপমান করার জন্য তিনি প্রথমে আমার বিচার চাইলেন। এতে তার চাচা একটু বিব্রত হয়ে ভাতিজার মুখ বন্ধ করে ধরে বলছেন, এটা মিটে গেছে, থাক না। এটা নিয়ে আর কোন কথা নয়। এতে ভাতিজার তেজ আরো খানিক বেড়ে গেল।
গোপীনাথ বাবু তার পকেটে হাত দিয়ে একটা কাগজ বের করে সভাপতির সামনে দিতে যেয়ে হৈ চৈ এর কারণে একটু অপেক্ষা করলেন।
বিচার যেখান থেকে শুরু হল সেখানে গোপী বাবু তার লিখিত নালিশ পেশ করার আর ফুরসৎ পেলেন না। সেদিন পার্কে যা ঘটেছিল তার একটা ধারাবাহিক বিবরণ আমি সভাপতিকে জানালাম। গোপী বাবু বিস্তারিত শুনে অবাক হয়ে গেলেন । কাগজটা আবার তার পকেটেই রেখে দিলেন । বাঁকা চোখে একপলক চেয়ে দেখলেন আমাকে।
ঘটনার বৃত্তান্ত আলোচিত হল। ভাতিজা নিয়মিত চাঁদা দেন। এটা ঠিক আছে। কম্যুনিটিতে আছেন, তাই দিতেই হয়। কিন্তু ভাতিজার জোরে চাচার অযাচিত কর্মকান্ডের জন্য ভরা মজলিশে তাদেরকে আবারো ক্ষমা চাইতে হল। তবে তার টিডি পদটা নিয়ে তাকে বার বার বলা হল, এটা কি পদ ? কিছুতেই তিনি তা বলতে চাচ্ছেন না। একই কম্যুনিটিতে আমরা থাকি। বিষয়টা অন্ধকারে থাকাতো ঠিক হবে না। তার হম্বি-তম্বি আর বাড়াবড়ি দেখে সন্দেহটা আমাদের আরো গাঢ় হল। সে দ্রুতই সভা ত্যাগ করতে চাইছে। বলছেন,
ক্ষমাতো চাওয়াই হল। তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে এটা কি বাড়া বাড়ি হয়ে যাচ্ছে না ?
তার কথা যুক্তি সংগত। সভা তাই বিবেচনা করে একটু বিনয়ের সাথেই তাকে তার এ পদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হল। কিন্তু এতে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পারিষদবর্গ আরো কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হল। এক পর্যায়ে তিনি সভাপতিকে দেখে নেবেন বলে হুমকি প্রদর্শন করলেন। তার চাচা সভাপতি সাহেবের পা জড়িয়ে ধরে বলছেন। আমি ওর হয়ে ক্ষমা চাচ্ছি, ওকে ছেড়ে দিন।
আমার ভাইপো আছে গোয়েন্দা বিভাগে । বাথরুমে যেয়ে ফোন করলাম। কিছু ফোর্স নিয়ে তাকে এখানে আসার জন্য বললাম।
বাথরুম থেকে এসে দেখি তার চোট-পাট তুংগে। সভাপতিকে মারতে উদ্ধত। আমাকে কাছে পেয়ে উনি আমার জামার কলার ধরে বসলেন। আর যায় কোথা ? সাথে সাথে আমরা কয়েকজন মিলে তাকে বেঁধে ফেললাম । এমন সময় পুলিশ এসে ধরে ফেলল তাকে।
ইন্টারোগেশন সেলে অনেক টর্চারিং এর পর উনার টি ডি পদের মানেটা জানা গেল। ’টি’ তে ট্রলি, ’ডি’ তে ড্রাইভার । বাহ ! উনার পদের ব্যাপারে বেশ সাধুতার পরিচয় দিয়েছেন বলতেই হবে। কিন্তু এই সাধুতার আড়ালে তার মূল পরিচয় লুকিয়ে আছে। তিনি এবং তার চাচা হলেন আšতর্জাতিক হেরোইন পাচারকারী সদস্যদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশী এজেন্ট ।
গোপী বাবু এসেছিলেন বৃহত্তর পরিসরে নালিশ ঠুকতে। এতক্ষণ ধরে তার অব্যক্ত নালিশের এর উপর যে গবেষণালব্ধ বিচার হয়ে গেল তা দেখে হয়তো কিছুটা অবাকই হয়েছেন। অবশ্য উনারা অতটা আবেগপ্রবন নন। অবাক হবার ভাষাটা উনারা আমদের মত করে প্রকাশ করেন না। আমাদের দেশে গোপী বাবুরা ঠিক আমাদের উপর ভরসা করে চুপ করে থাকেন না। বিভিন্ন সময় নানা ছুঁতোয় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে বড় বড় কম্যুনিটিতে নালিশ করেন । প্রয়োজন হলে তারা আšতর্জাতিক পরিমন্ডলেও নালিশ করতে এতটুকু ভুল করেন না। কিন্তু এখানে এসে সেরকম কোন সুযোগ না পেয়ে আমার দিকে একটু ভ্রু-কুঞ্চিত করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে নিরবেই চলে গেলেন। হয়তো এরকম একটা মোক্ষম নালিশ ঠুকতে না পারার মনোকষ্ট উনার রয়েই গেল।
আমিও একপলক উনার দিকে তাকালাম।
পুরো বিচার কাজটা ভিডিও করে রাখা হয়েছে। বলা তো যায় না, যদি কোন প্রয়োজন হয়ে পড়ে।