সুপাত্র

দেশপ্রেম (ডিসেম্বর ২০১১)

এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
  • ২৬
  • 0
  • ৩১
এত বেশী ভেংগে পড়লে কি চলে ? এটা এখন একেবারেই ভুলে যাও। মনে কর, কিছুই হয়নি ।
- না, না, আমি আর বিশ্বাস করতে পারছি না। এত আয়োজন করে মানুষ মিথ্যাচার করতে পারে ? কী ভয়ংকর ব্যাপার ! না, না, আমি মেয়ে বিয়ে দেব না। এ সমাজে কোন পাত্রই সুপাত্র নয়। এদেশে সুপাত্র নেই ! কী বিভৎস !
আসলে তুমি ভয়ানক ভুলের রাজত্বে বাস করছ। আর সবচেয়ে বড় কথা ওদের চমক দেখে তুমি মেয়ের পাশে ওকে জামাই হিসেবে একেবারে ফাইনালে উত্তীর্ণ করে দিয়েছিলে। তার মানে পরীক্ষক হিসেবে তুমি অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছ। তোমারতো এরকম হতাশ না হয়ে বরং লজ্জা পাওয়া উচিত। দেখ, সমাজে এসব জঞ্জাল চিরদিন ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। তার মানে তো এ নয় যে, একটা হোচট খেয়েছ বলে রাস্তা চলাই বন্ধ করে দিতে হবে ? কুল ---কুল-- । লিভ ইট । টেক ইট ইজি । মনে কর এরকম একটা স্বপ্ন তুমি কোনদিনই দেখনাই ।
-হ্যা, তুমি ঠিকই বলেছ। আসলে আমি বড় বোকা। বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে আছি ।
এইতো বুঝতে পেরেছ । রিল্যাক্স ! রিল্যাক্স ! তুমি এখন আর এসব নিয়ে কোন কথা বলনা। এখন থেকে তুমি এ নিয়ে আর কারো সাথে কোন কিছু বলবে না। সব আমার ওপর ছেড়ে দাও ।
-আচ্ছা, তুমি কেমন করে এরকম চাপ সহ্য কর ?
চাপ কোথায় ?
- বা, রে । কত বড় একটা ভুল হতে যাচ্ছিল। আমাদের মেয়েকে আমরা বলতে গেলে একটা অন্ধ কুপে ফেলে দিতে যাচ্ছিলাম। ভাবতে তোমার গা শিহরে ওঠে নি ?
মোটেই না। কারণ আমি তো জানি, আমাকে কি করতে হবে। দেখ, ঠিক সময় ঠিক কাজটাই আমি করেছি। এখন এসব কথা থাক না। তুমি খুব ক্লান্ত। তোমার প্রচুর বিশ্রাম প্রয়োজন । আর কোন কথা নয় ।
-না, এসব নিয়ে আর কোন টেনশন আমি করছি না। আমি আর তোমার কথার বাইরে কোন কাজই করব না। তুমি আমার পাশে থাকলে আমার আর কোন ভয় নেই । আচ্ছা, তুমি এসব ধরতে পারলে কি ভাবে ?
এসব না হয় পরে তোমাকে বলব । এখন ঘুমাও ।
-বলনা । তোমার কথাগুলো শুনতে শুনতে আমি ঘুমিয়ে যাব। আমার ভাল লাগবে। প্লীজ তুমি বল।
বর্তমান বিশ্বে এদের ধরে ফেলা খুউব সহজ। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার কাজটাকে একটু ত্বরান্বিত করেছে মাত্র। তবে আমি মূলত সেই দেড় হাজার বছর আগের থিওরি কাজে লাগিয়েছি।
-তার মানে ? দেড় হাজার বছর আগের থিওরি ? সে আবার কী ?
ও তুমি বুঝবে না।
-আমার না হয় বুদ্ধি কম। তাই বলে এভাবে আন্ডার এষ্টিমেট করা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না তোমার। বলই না, তোমার থিওরিটা ।
বলব ?
-বল ।
না , থাক। শুনলে বলবে এসব তো আমরা জানি । এ আবার নতুন কি ?
-উহ! যতসব আদিখ্যেতা । বললে বল, না হলে থাক ।
আচ্ছা, তবে তাই হোক। এখন থাক এসব । আমি তোমার মাথায় হাতটা বুলিয়ে দেই। তুমি ঘুমাও। তুমি নিজেই দেখবে সব কেমন পানির মত স্বচ্ছ হয়ে গেছে ।
কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়ে গেল মিসেস রহমত ।
-------------
অষ্ট্রেলিয়া থেকে কম্পিউটার সাইন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে মিঃ তানভীর হালে ঢাকা এসে একটা ব্যবসার হাল ধরেছেন। রাতারাতি ফেপে ফুলে একেবারে লাল । পি,জি টেকনোলজি এর এমডি। ব্যাস, এতেই ? এত দ্রুত এধরনের বড় সাফল্য ? ছেলের চেহারা , সুরত মাশ্-আল্লাহ । একেবারে আগুনের গোলা । এক কথায় অসাধারণ সুপুরুষ। লাখে একটা মেলে না। গুলশানে ছয় তলা বাড়ি। লিমোজিন গাড়ি । আর তাতেই রহমত সাহেবের স্ত্রী আর তার বোন একেবারে দিশে হারা । এ পাত্র হাত ছাড়া হতে দেয়া যায় না।
অতি সম্প্রতি ব্যবসায় সফল ভায়রা ভাইয়ের খুব চোট পাট। রহমত সাহেবের স্ত্রী সেই চোট পাটের দাপটে ভুলেই বসে আছে যে তার স্বামী সামান্য একজন সরকারী চাকুরে থেকে সদ্য রিটায়ার করে একটা নির্জীব জড় পদার্থে রূপান্তরিত হয়েছেন । মেয়েটা বি বি এ থার্ড ইয়াওে পড়ছে। রহমত সাহেব চাইছেন অন্তত লেখাপড়াটা শেষ হোক। কিন্তু মেয়ের মা সহ অন্যরা চাইছেন, সময়টা বড় ফ্যাক্টর। গ্ল্যামার খুব ক্ষণস্থায়ী হয়। এটা থাকতে থাকতেই সুপাত্রস্থ করতে হবে। লেখাপড়া বিয়ের পরেও চলতে পারে।
হ্যা, সেরকম ভাল পাত্র এবং অনুকুল পরিবেশ পেলে মন্দ হয় না। তাই তিনি তাদের পাত্র সন্ধানের ব্যাপারটায় কোন আপত্তি করেন নি। কিন্তু ভায়রা ভাইয়ের অতি চোট পাটের দাপটে এই পাত্রটা সম্বন্ধে শুরু থেকেই একটা কৌতুহল তার ছিল। তাই যথারীতি তিনি অন্য পন্থ্য়া ছেলের অন্য রকম জীবণ বৃত্তান্ত সংগ্রহ করলেন ।
তিনি কতগুলো ক্লু কাজে লাগিয়েছিলেন। প্রথমটা তার ভিজিটিং কার্ড । নিজের ব্যবসা ফার্ম । নাম পি, জি টেকনোলজি, এন সি টাওয়ার, গুলশান, ঢাকা। পাত্র তাকে চেনে না । এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ। একদিন বিকেলে ঘুরতে ঘুরতে কার্ডটা নিয়ে গেলন। অখ্যাত একটা ভবন। টাওয়ার বটে। তবে নির্মনাধীন। ১৭ তলার পাঁচতলা কেবল হয়েছে। ভেতরটা কেমন ঘুটঘুটে। ঠিকানা ঠিকই আছে। ভেতরে কোন লোক নেই। দরজা তালা বন্ধ। একজন রোবটোর মত দারোয়ান দাঁড়িয়ে আছে। তাকে জিজ্ঞেস করলেন,
তানভীর সাহেবের অফিস কোনটা ?
-হ্যা, এটা। তবে তিনি এখানে চাকরী করেন। অফিসের মালিক ওসমান সাহেব।
কিসের অফিস এটা ?
-এক্সপোর্ট - ইমপোর্ট এর অফিস।
কেউ নেই বুঝি , অফিসে ?
-না, এখন কেউ নেই। রাত দশটার পরে আসবেন। আপনার কি দরকার, বলে যেতে পারেন, তানভীর স্যার আসলে বলব ।
আচ্ছা, ঠিক আছে। আমি মোবাইলে কথা বলে নেব। তোমাকে কিছু বলতে হবে না। আর কিছু না বলে তিনি বেরিয়ে পড়লেন।
বাসায় এসে কারো সাথে এটা শেয়ার করলেন না। তার এক বন্ধু ছেলের সাথে অষ্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তার মেইলে একটা মেসেজ পাঠালেন।
এ্যাডেলাইড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তানভীর নামে কোন ছেলে গত মার্চ মাসে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেরিয়েছে কি না। সে কোথায়, কার কাছে থাকতো, সে খবরটাও তার কাছে জানতে চাইলেন ।
অনেক খোজ খবর করে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এরকম কোন ছাত্রের নাম খুঁজে পাওয়া গেল না। ইমিগ্রেশন, গত কয়েক বছরের স্কলারশীপের তালিকা প্রভৃতি যত রকম সোর্স আছে সব তন্ন তন্ন করে দেখা হয়েছে।
না। এ নামে কোন বাংলাদেশী দূরে থাক। কোন অস্তিত্বই পাওয়া গেল না।
এই সব মেসেজগুলো তার খুব দাপটের ভায়রা ভাইকে ফরোয়ার্ড করে একটা ফুট নোট লিখে দিয়েছে রহমত সাহেবঃ
যদি পুরুষ মানুষ হও। তবে এটা দেখে একেবারে চুপ করে থাকবে। একান্তই যদি কোন কৌতুহল থাকে তবে আমার সাথে সাক্ষাত করে জেনে নিও। ওভার ফোনেও নয়। এটি ডিলেট করে আমাকে জানাও যে তুমি ডিলেট করেছ। আর যা জানলে এর একটা বিন্দু, বিসর্গ কারো সাথে শেয়ার করবে না। যদি কর, তাহলে পুরুষের খাতা থেকে তোমার নামটা কেটে হিজরার ঘরে নাম লিখিয়ে তবে তা কর ।
কিছুক্ষণ পরে উত্তর এল ।
সরি। দুলাভাই । ভেরী ভেরী সরি। আর হ্যা, এটি ডিলেট করা হল। তবে আমি কালই আপনার সাথে দেখা করব ।
প্রত্যুত্তর- মেনি থ্যাংক্স ।
অনেক খোঁজ খবর করেও আব্দুল কুদ্দুস নামে সাবেক কোন জেলা প্রশাসকের নাম পাওয়া গেল না। তাহলে কে এই কুদ্দস সাহেব ?
ওয়াকওয়েতে রহমত সাহেবের দেখা হয়ে গেল বন্ধু নাজিমউদ্দিনের সাথে ।
-তোমাদের সেকশনে এই ঠিকানার বাড়িটা সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুল কুদ্দুস এর ?
না তো । এটাতো জালাল সাহেব নামে এক ভদ্রলোক এর বাড়ি। বেচারা বিদেশে থাকে। তবে তার এক আত্মীয় এবাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকছে বহুদিন ধরে। সে ফ্ল্যাটের দেখাশোনা করে, ভাড়া সংগ্রহ করে । কেন বলত ?
-এখানে তানভীর নামে একটা ছেলে থাকে। তার কিছু ব্যক্তিগত ইনফর্মেশন আমার খুব দরকার।
কোন সম্বন্ধ টম্বন্ধ ?
-না, সেরকম কিছু নয় । তবে সে যেহেতু নিজেকে ডিসি সাহেবের ছেলে হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে, তাই তার সম্পর্কে জানাতো জরুরী হয়ে পড়েছে, নয় কি ? তার সম্পর্কে শুধু আমার কেন, একই সেকশনের বাসিন্দা হিসেবে এটাতো তোমাদের জানাটাও জরুরী । কি বল ?
হ্যা, তুমি ঠিকই বলেছ । ছেলেটার নাম তানভীর ? নাহ্ । চিনতে পারছি না। তবে ওদের বয়সী কেউ চেনে জানে কি না, আমি তোমাকে জেনে দেব ।
-ইনটেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টে তোমার যেন কে আছে ?
ভাই পো । কেন ?
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেখছি তোমারও গেছে। আরে ভায়া, এত ব্যাখ্যা করা লাগে ? কেন, তা তুমি বুঝতে পারছ না ?
ওহ ! হো -- । তাইতো। আসলে তুমিতো বরাবরই একটু সুদূর প্রসারী চিন্তা করতে। তোমার সে অভ্যাসটা রয়ে গেছে। আমি ভাই বর্তমান নিয়ে বেশী ভাবি, তাই সহসা এসব মাথায় ক্যাচ করে না। অবশ্যই তার হেল্প আমাদের দরকার। তুমি ঠিকই বলেছ ।
-বেশী সময় ক্ষেপন কর না।
ব্যাপার কি ? তোমার সাথে তারা কোন ঝামেলা করেছে ?
- তুমি আমার প্রাণের বন্ধু । কাজটা দ্রুত শেষ কর। তোমাকে সব বলব।
কোন চিন্তা করনা। আমি আজই ভাইপোকে বলছি। মোবাইলটা সাথে নেই। এখুনি আলাপটা সেরে নিতাম।
-না, না, মোবাইলে নয়। মোবাইল আমার কাছে আছে। এসব বিষয় মোবাইলে না বলে সরাসরি তার বাসায় গিয়ে একান্ত গোপনে তার সাথে কথা বলে করবে। তোমার যেভাবে স্মৃতিভ্রম ঘটেছে, তাতে তো মনে হচ্ছে তুমি এসব আবার তোমার পরিবারের সবার সাথে শেয়ার করবে।
মানছি বন্ধু, বুদ্ধি আমার একটু কম । তাই বলে এত বোকা হইনি । তুমি নিশ্চিন্তে থাকতে পার। কাজটা গোপনেই হয়ে যাবে ।
-ঠিক তাই যেন হয়, বন্ধু । তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ।
রাত বারটা ।
-এতরাতে নিজামের ফোন ! হ্যা, বলছি বন্ধু ।
এন সি টাওয়ার থেকে এই মাত্র ডকুমেন্টস সহ গ্রেফতার হয়েছে তোমার কাংক্ষিত তানভীর ।
-আরে বাপরে ! এত দ্রুত ? কিভাবে সম্ভব হল ?
ছুটির দিন পেয়ে সোজা গেলাম ওর বাসায়। ভাইপোকে নামটা বলার সাথে সাথে ও আমাকে বলল, চাচা, এর নাম আপনি জানলেন কিভাবে? এতো আমাদের লিষ্টেড ক্রিমিনাল। আজই আমরা ধরতে যাচ্ছি ওকে । বেশীরভাগ সময়ই বিদেশে থাকে বলে ওকে ধরা খুব মুশকিল হচ্ছিল।
আমি ওকে বললাম, ঠিক আছে, তেমার অপারেশন শেষ কর, তার পরে তোমাকে সব বলব । এবার বলত বন্ধু, তোমার কি ক্ষতি করেছে ও ?
-আচ্ছা, ইন্টারোগেশন সেলে আমাকে রাখতে বল তোমার ভাইপোকে । সব জানতে পারবে।
হ্যা, আমি এখুনি বলছি।
ইন্টারোগেশন সেল থেকে বেরিয়ে এল লোম হর্ষক সব ঘটনা ।
কোন এক জেলাপ্রশাসক অফিসের ভিপি তহশিলদার ছিল এই আব্দুল কুদ্দুস। তার এক বোন থাকে সৌদি আরবে। সেখানে মেট সার্ভেন্টের কাজ করে। আর তার স্বামী গাড়ি চালায়। বহু বছর ধরে তারা সেখানে আছে। প্রথম দিকে প্রচুর যাকাতের টাকা পেত। মূলত সে আমলেই এ আলীশান বাড়ি।
বাড়িটা দেখাশোনা করা। ভাড়ার টাকা আদায় সহ মেনটেন্সের জন্য ভাইকে তার পরিবার সহ একটা ফ্ল্যাট দিয়েছে। কুদ্দুসের ছেলে তানভীর একটা কম্পিউটার এর শোরুমে কাজ করে। ছেলেটা লেখাপড়া বিশেষ করেনি। তার চেহারা খুব সুন্দর। আর এই চেহারাটাও তার একটা বিশেষ পুঁজি। কম্পিউটারে কিছু কিছু এ্যাপ্লিকেশন ভাল শিখেছে। সেটাকে পুঁজি করেই সে অন্ধকার জগতে এক ব্যবসা ফেদেছে। নাম দিয়েছে পি, জি টেকনোলজি। পি, জি এর অর্থ কি ? জানতে চাইলে প্রথমে সে কিছুই বলতে চায়নি। পরে গরম পানির বোতলের পিটুনিতে বেরিয়ে আসে সব তথ্য। বিভিন্ন মেসেস পার্লার আছে তার নেতৃত্বে । মেয়েদের দিয়ে এধরনের কাজ করায় সে। অভিজাত ধনীর দুলালীরা এসব পার্লারে আসেন শরীরটাকে মেসেজ করাতে। সেখানে আছে গোপন ভিডিও ডিজিটাল ক্যামেরা। এসব কারসাজীতে তানভীর খুব পাকা । এদেশে মূলত এই একধরনের ব্যবসা। পাশাপাশি ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিলের সম্রাজ্য তো আছেই । এরকম মাল্টিনেশন ব্যবসা করে সে লিমোজিন গাড়ি হাকিয়ে চলেন ডার্ক সাইটে। ভদ্র সমাজে তার পরিচয় ----- । উহ! কি বিভৎস !
রহমত সাহেব ছেলেটার দিকে পলকহীন তাকিয়ে দেখছে। এত সুন্দর একটা সুপুরুষ! আল্লাহ সুবহানাতা’য়ালাহু মেহেরবানী করে যদি তাকে হায়াতে তৈয়্যিবা আর এত বড় নেয়ামত ”সুস্থ্যতা” দান না করতেন, তাহলে জামাইটার এই পরিণতিতে এখন মেয়ে আর মায়ের কি অবস্থাটা হত, সেটা ভাবতে তার শরীরটা মৃদু কাঁপছে । গরম পানিতে চোখটা ঝাপসা হয়ে গেল।
চোখটা মুছে শুকরিয়া আদায় করে নিলেন তাঁর দরবারে ।
গরম পানির বোতলের পিটুনি খেয়ে থেতলে ওর শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল কালো দাগ হয়ে গেছে। থর থর করে কাঁপছে।
অনেক পিটুনির পর বলল, পি অর্থ পর্নো। জি অর্থ ---গ্র্যা-------- । অ-রে বাবারে ---- আর মাইরেন না, আমারে মাইরা ফালান স্যার ------ ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম রোদের ছোয়া, আপনাকে ধন্যবাদ। আসলে এখানে যখন নতুন এলাম, তখন ঠিক বিষয় ভিত্তির উপর চোখ পড়েনি। আপনাদের লেখা পড়ে বেশ ভাল লাগল । আবেগে আপ্লুত ছিলাম। নিজের কিছু বৃথাজর্ন ছিল, তেলাপোকায় খাচ্ছিল, সেগুলো চালিয়ে দিলাম। পরে যখন সম্বিত ফিরে পেলাম, নিজেকে সত্যিই বড় বোকা বোকা লাগছিল । তবে আমার গল্প এবং কবিতা কোনটিই যেহেতু বিষয়ভিত্তিক নয় সেহেতু মডরেটরদের উচিত ছিল এটি প্রকাশ না করা । আমাকে একটা ম্যাসেজ দিলেই হত যে এটি বিষয়ভিত্তিক নয় বিধায় প্রচার করা গেলনা।অবশ্য তার পরো এটি প্রচার করে উনারা আমাকে যে সম্মান এবং উদারতার পরিচয় দিয়েছেন, সেজন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ ।
রোদের ছায়া সমসাময়িক বাস্তবতার সুন্দর গল্প /, নিজের সাবধানতার জন্য পড়া উচিত সবার / কিন্তু বিষয় ভিত্তিক কি?
প্রজাপতি মন অনেক ভালো লাগলো। তবে দেশপ্রেম পেলাম না।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম জীবন থেকে নেয়া গল্প । আমাকে যারা ভালবেসে বিভিন্ন মতামত/উপদেশ সহ মন্তব্য করেছেন তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ ।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম আশা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । দোয়া করবেন যেন জীবনের শেষ দিন পযর্ন্ত কলমটাকে সাথে রাখতে পারি ।
আশা সময়োপযোগী চমৎকার একটি গল্প পড়লাম। খুব ভালো লাগল। নিযমিত যেন আপনার গল্প পাই।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম হাসান ফেরদৌস, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস প্রযুক্তি যেমন আমাদের সুবিধা দিয়েছে তেমনি কিছু পশু এই প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে তার অপব্যবহার করে অসুবিধা সৃষ্টি করছে। ভাল লাগল লেখাটি, বাস্তবতা উঠে এসেছে।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম nilanjona নিল, আপনার দেয়া আখ্যা সাদরে গ্রহণ করে ধন্য হলাম । তবে কেবল আখ্যা দিলেই চলবে না, এসব ব্যাপারে সাবধান হওয়া খুব জরুরী। এ ব্যাপারে নিজেরা সহ আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব সবাইকে সচেতন করে তোলা আমাদের/আপনাদের সবার দায়িত্ব । আপনার জন্য শুভ কামণা ।
নিলাঞ্জনা নীল বেশ মজা পেলাম পড়ে এই সমস্ত সুপাত্র(?) দের কুপাত্র আখ্যা দিলাম..

২৯ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪