আমি কার, কে বা আমার

আমি (নভেম্বর ২০১৩)

জাকিয়া জেসমিন যূথী
  • ৩৪
  • ১৫
  • ৭৮
সাত দিন পর আমার বিয়ে!

সে এক অস্ট্রেলিয়ান গরু আসবে বাংলাদেশী গাভী বরণ করতে! তা ভালো। বেশ ভালো! তবু তো আসছে! গরু হোক আর যাই হোক। আসছে যে এটাই বড় কথা!

তেত্রিশ নম্বর বসন্তটা আর একা একা কাটবে না! ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, একলা চলো রে’ লাইনের গানগুলো আর শুকনো মুখে গাইতে হবে না! কি বলেন?

তা সেই ঐতিহাসিক ঘটনাটা মাত্র সাত দিন পরে। অথচ, পাত্র এখনো দেশে আসে নাই। বিয়ের দুই দিন আগে আসবে। কি আজব! এমন কথা কি শুনেছেন কখনো? তাও ভালো যে টেলিফোনে বিয়ে নয়! কাহিনীটা... সে আর কি বলবো? হাসবো কাঁদবো না স্বাভাবিক থাকবো তাও বুঝছি না! জীবনটা দেখছি সত্যি সিনেমা! দেশী বিয়ের হাটে একেক দিনে একেক গ্রাহকের সামনে সেজেগুজে পণ্য হয়ে দাঁড়াতে দাঁড়াতে আমি যখন ক্লান্ত শ্রান্ত তখন এলো এই খবরটা! আমি জাস্ট তখন ফেইড আপ! আর কত বলেন তো? এরা আমাকে কোরবানীর হাটের গরু বানিয়ে ছাড়ছে একে্বারে। এই খবরটা যখন এলো, রেগে মেগে বললাম, “উফ, তোমরা আমাকে এইবার একটু বাঁচাও তো! তোমাদের পায়ে পরি! বারে বারে সং সাজতে মোটেই ভাল্লাগে না!”

মা বলে উঠলো, “এমন করে না মা আমার! এভাবে কেন্দে কেঁটে লাভ কি? তোর জন্যে যে আছে সে তো আসবেই একদিন। তাই বলে কি বসে থাকা যায়? তোরও তো একটা পছন্দ আছে! মতামত আছে! শুধু কি ওরাই দেখে? তুই দেখিস না?”

কথা সত্য! আমার নিজেরও তো মতামত আছে! না দেখেই কি বিয়ে করা যায়? মা কিছুক্ষণ বসে থেকে সরে যায়।

আর আমি এইবার জেদ ধরে বসে থাকি। “নাহ! এর পরে আর কোন পাত্র দেখবো না! বিয়ে হলে এমনেই হবে!”

জিত হলো আমার সেই গোঁ ধরারই। যা দেখার সব গার্ডিয়ানরাই দেখে নিলো। সব কথা পাকা। কি আশ্চর্য্য! ছাদনাতলার মানুষ দুটো কেউ কাউকে দেখে নাই! এখন ভাবছি, “হেরে গেলাম না তো! কেমন গরু, কি জাত, লম্বা না বেঁটে কিছুই তো জানা হলো না! না জানি বাসর ঘরে হাম্বা না মহিষ কি থাকবে শেষে হবে কেলেংকারী!”

এত যে ছেলে দেখলাম জানেন সবগুলোই না এত্ত আগ্রহ নিয়ে আসতো মনে হতো ঐবারই খেলা ফাইনাল! কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনটাই এগুতো না! আজব ব্যাপার! আর সব সময় একসাথে তিন চার সম্বন্ধ আসতো! আজব লাগে! আসবি আয় একটা প্রস্তাবই আয়। ভালো করে ভেবে চিন্তে ডিসিশন নেই। আসে তো আসে এক সাথে কয়েক জন। শুধু ফ্যামিলি ক্যান আমি নিজেও শিক্ষিত মেয়ে! কনফিউজ হয়ে যেতাম কে আমার জন্য বেশি ভালো হবে! পরে দেখা যেতো কেউ নাই, ফাঁকা মাঠে আমি একলাই বসে আছি!

সেই তিন চারের গিট্টু এখনো ছাড়ে নাই! তবে এইবার একটা গিট্টু কিভাবে যেন ঠিকই খুলে আমার পেছনে লেগে গ্যাছে! এটাই আশ্চর্য্য! জীবনের এতগুলো বছর কেটে গেছে তিনের গিট্টু থেকে তো আমি কখনো বেরোতে পারিনি! এইবারই কিভাবে ব্যতিক্রমী কিছু ঘটতে যাচ্ছে? কি জানি এই বছরের শেষ সংখ্যাটা তিন সেজন্যেই বোধহয় কপালে কেউ জুটলো! তবু ভয় করে! শুধু তো তিন না! আনলাকি থারটিন! এখনো তো বিয়ের সাত দিন! এই সাতটা দিনের মধ্যে আবার কোন কিছু গুবলেট হয়ে যাবে কিনা কে জানে!

এত বছরের জীবনে কেউ যে চোখে টানেনি মন কাড়েনি তাও নয়! কিন্তু, ঐ যে প্রবলেম তো ঐ একটাই! দ্বিধান্বিত যে আমি বড়! নিজে নিজে পছন্দ করে আবার ঠকে যাবো না তো! তাই তো কেউ এক পা এগুলে আমি পিছাই দু’পা! নইলে এক পাগলা’কে ঠিকই জড়িয়ে নেয়া যেত আরো আগেই। দেখতে শুনতে বংশ পরিচয়ে মন্দ ছিলো না! সমস্যাটা একটাই-বাপের হোটেলে খায়! অমন ছেলের সাথে বিয়ে বসতে ভরসা পাই না যে! কেমন বাধো বাধো লাগে! কামাই রোজগার নাই! তার উপর একটু মাথার ব্যারাম আছে! ঠিক মাথার না! মনের! ছেলেটা বড্ড ইমোশোনাল! মাঝেমাঝেই আপন বাপ মায়ের উপরে গাল ফুলান দিয়ে বসে থাকে। তখন আমি সহ বহু ব্যবহৃত ন্যাকড়ার মত মনের এক কোণায় পরে থাকি, ছোঁয়ার কথা একটুও ওর মনে থাকেনা। আমাকে মনে পরে যায় তার সপ্তাহখানিক পর । ধুলো পরা বুকশেলফের প্রিয় কোন বই হাতে নেয়ার মত করে কয়েকদিন পরে সে খোঁজ করে আমার। তার ব্যারাম ঐটাই। এতটা গাল ফুলানী হলে কেমনে চলবে? উচিত কথা কি তাকে বলা যাবে না? পুরুষ মানুষ তো! তাকে তো আমার গার্ডিয়ান হতে হবে, তাই না?

পাঁচ ছয় বার এইরকম টাসকি খাওয়ার পরে মাস দুয়েক আগে আমিই ওকে ইউজড টিস্যুর মত ওয়েস্ট বাস্কেটে ফেলে দিয়ে নতুন টিস্যুর খোঁজে বেরিয়ে পরলাম। আর তখনই ঘটলো ঘটনাটা!
ঘটনাটা না বলে বলা ভালো এক সাথে তিনটা ঘটনার জন্ম হলো। একটু আগে পিছে এই আর কি। কোত্থেকে এক বেণী পাগলের উদ্ভব হলো। সকাল সন্ধ্যায় বাহারী রূপে তার জন্যে খালি বেণী বাঁধো, খোপা বাঁধো! সামনে পিছনে হেলে দুলে দাঁড়িয়ে বসে এক বেণী দু’বেণী হাজার রুপে তার আমাকে দেখতে হবে! আর কত শত তার প্রেমালাপ! সকালে পেপার পড়তে বসে চায়ের কাপে চুমুকের সাথে সাথে চাই বেণীর আদর। দুপুরে অলস ঘুমে চাই বেণীর পরশ। ঘুমোতে যাওয়ার সময় বেণীর ফাঁসে চায় বউকে। রিকশায় চায় পাশাপাশি দু’বেনীর ছোঁয়াছুঁয়ি। খোপা ছুঁয়ে চায় সুবাস নিতে। চাঁদনী রাতে খোলা চুল ছড়িয়ে তার পাশে বসে আধো আলোতে প্রেমালাপ চলতে হবে...এই সেই কত বাহানা! কত প্রেম!! ব্যাটার বেণী প্রেমে পরে আমার চুলের যত্নের বাহার দেখে ‘বেণীমাধবের খবর কি?’ বলে রোজ রোজ ক্ষেপাতে থাকলো আমার বান্ধবীরা।

সুতপা তো একটা কবিতাও লিখে ফেললো—

‘বেণীমাধব,
সময়ের হিসেবে কেশ-এর বয়স কি কম,
হাঁটু ছোঁয়া কেশ এখন
হারাতে বসেছে তার শ্রী, যৌবন সবই;

বহুদিন যত্নহীন তেলহীন
লম্বা কেশ ঝরে ঝরে সরু সরু
হতে হতে এখন রূপ নিয়েছে কৃশকায়
তালুর জমিনে গড়ের মাঠ!

বেণীমাধব,
কেশবতী কণ্যার কেশপ্রেম
পুনরায় জাগরিত হয়েছে,
বহুদিন পরে উঠেছে কেশে তেল
চকচকে ফুটছে এর রূপের খোলতাই!

বহুদিন পরে তেলে চকচক,
কেশের যত্ন হয়েছে শুরু,
আপাদমস্তক, দিবারাত্র;

বেণীমাধব,
নিজেই যে পরেছে আজ নিজের স্বরুপ প্রেমে,
তুমি তো সেই যে এনেছো শ্রদ্ধা,
এনেছো বাঁচানোর সাধ,
কেশের ইতিহাস তাই হলো শুরু নতুন করে।

বহু নর-নারী হয়েছিলো বশীভূত,
মজেছিলো এই কেশবতীর এলো কেশে
ভবিষ্যতের গল্পে বাড়ুক জনপ্রিয়তা, পুনরায়!’...

এত প্রেম! হায় প্রেম! বান্ধবীদের দুষ্টুমী আর বেণীমাধবের আহ্লাদীপনায় আমি যখন রাজী হবো হবো করছি তখন ব্যাটা সম্বন্ধটা নাকচ করে দিলো! আস্ত শয়তান একটা! বিয়ে করবে না ছাই! কত কিছিমের যে টাউট দিয়ে দুনিয়াটা ভরে গেছে!

তারপরে শুনেন!

গল্পের এক নায়কের তো প্রস্থান হলো। এলেন আরেক নায়ক! তবে, নতুন কেউ না! সেই ইউজড টিস্যু!

ফোনটা এলো গত সপ্তাহে! আসন্ন বিয়ের সুখী সুখী প্রহর কাটছে আমার তখন দেখি ফোন! নাম্বারটা তো মুখস্ত! তাই রিসিভ করবো কি করবো না ভেবে ধরেই ফেললাম। অবশ্য ফোন যে আসবে আমি জানতাম! বুঝতে পেরেছিলাম! টুইটারে আমার বাইরে চলে যাওয়ার স্ট্যাটাসটা ওর চোখে পরলে ও অবশ্যই শান্তিতে থাকতে পারবে না! আমি জানি! ওর মা-বাপ আমাকে ছেলের বউ না করুন ও তো আমাকে ভুলে থাকতে পারবে না কোনদিন! সে আমি জানি! আমি জানি ওর ভীষণ কষ্ট হবে! কিন্তু আমিই বা কি করবো! ছেলে তো নিজে কিছুই কইতে পারে না! ব্যক্তিত্বহীন বলদ একটা! আমার দুঃখও হয়। রাগও! রাগটা হয় নিজের ওপর! অন্যেরে গালি দেই? নিজে কি? নিজেও আরেক বলদ! নইলে এরকম মেনীমুখো আমার কপালে কেন!

ফোন করেই বললো, “কি রে আমাকে সাথে না নিয়েই তুই কোথায় যাচ্ছিস?”
কোত্থেকে যে অত খুশী এলো কে জানে! গদগদ কণ্ঠেই জবাব দিলাম, “যে নিয়ে যাচ্ছে তার সাথেই।”
পালটা প্রশ্ন আবারো, “আমারে নিবি না?”
আমারও জবাব রেডি, “আরে কি আজব! আমি কি এখন আমার উনাকে বলবো, ‘এইই আমাররর নাআআআ এইখানেএএ এক-জঅন আছে!” কেমন নির্বিকার তাচ্ছিল্যের সুরে ওকে বললাম যেন আমি কোনদিনই এই পাগলটাকে ভালোবাসিনি! ফিনিশিং লাইন না টেনেই ফোনটা যখন কেটে গেলো তখন যেন বুকের কোথাও একটু একটু করে চামড়া উঠে যাওয়ার চিনচিন ব্যথা শুরু হলো।

পাগল তো পাগলই। যাকে বলে রিয়েল পাগল! আমাকে টুইটারে আনফলো করার সাথে সাথে সত্যি সত্যি ভয় পেলাম। নিজের জন্য না মোটেই। আমার পাগলটার জন্য! হাজার হোক পাগল তো! আবার কিছু করে বসবে না তো! তাই ফোন দেই। ফোন দিয়ে এতদিন পরে কি বলবো? অপেক্ষায় দিন গুনছি বিদেশীর। আবার ফোন দিচ্ছি পুরানটারে! নিজেকে কেমন নিরামিষ লাগতে থাকে! পাষাণী! তবু দেই। ও’র মায়ের নম্বরে! কি আর বলবো? গাধার বাচ্চার একটা নিজস্ব ফোনও নাই! বুড়া দামড়া একটা লোক যদি পার্কে জগিং করতে গিয়ে সাত হাজার চারশত টাকা দামের নোকিয়া ফাইভ ওয়ান থ্রি জিরো মিউজিক এক্সপ্রেস মোবাইল সেটটা হারিয়ে ফেলে তাহলে কেমন লাগে? সেই রাগেতেই তো যোগাযোগটা বন্ধ করেছিলাম!

এই পাগল নিয়ে যে আমি কই যাই? মায়েরে কিছু কইতে পারে না! আবার গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে ঠিক হয়ে গেলে কান্দে! পুরুষ মানুষ না আর কিছু আল্লা জানে!

যা হোক, ফোনে আমি একবার চেষ্টা করার পরে নেটওয়ার্ক ট্রাবল দিলো। পরে দেখি তার বদরাগী মা’টাই আমাকে ফোন দিয়েছে! নিজে থেকে! ও মাই গড! শেষ পর্যন্ত বদলে গেছেন মহিলা? জানেন, আগে যখন আমার পরান কানতো ছেলের সাথে কথাই বলতে দিতে চাইতো না! আর এখন? নিজেই যেঁচে ফোন দিয়েছে! বাব্বাহ! বুঝি না মহিলাটারে! অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাবো বলে পোলার মায়ে কি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো নাকি আসলেই কষ্ট পেয়ে আমারে ফোন দিলো, কন তো?

ওনার পাগলের জন্য একটা পাগলী খুঁজে পায়নি তাই বোধহয় এখন আমাকেই দরকার? কি জানি! আমিই বা এখন কি করবো? ও যদি কিছু করতো তাহলেই না কাহিনীটা জমতো! ভালোও লাগতো আমার, তাই না?

ওর মায়ের সাথে ফোনে কথা বলতে গিয়ে কানে ভেসে আসে,
“ও অদিতি, গেছোস কিনা ভুইলা আমারে!
আমি অখন রিকশা চালাই ডাহা শহরে!”

পাগলটার জন্য বুকের মধ্যে দুখের বলক উঠে। অনেক দিন পরে। মোচড় দিয়ে ওঠে বুকের আনাচে কানাচে। সমস্ত আনন্দকে ম্লান করে দিয়ে সমস্ত অবয়বে দুঃখ ছড়িয়ে পরে কানায় কানায় যখন ফোনে মায়ের কণ্ঠ সরে গিয়ে ওর কন্ঠ বেজে ওঠে, “অদিতি, আমাকে তুই সত্যি ভুলে গেলি? একটুও খোঁজ নিস না আমার!”
তখনো আমার বিয়েটা ঠিক হয়নি। সম্বন্ধটা তখনো পাকা কথায় যায়নি। তাই বলতেই হলো সত্যি কথাটা, “ভুলে গেলে কি তোকে ফোন করতাম আমি কখনো বলতো?” তারপরে একটু অভিমানে কণ্ঠে বাষ্প উঠে যায়। বলতে থাকি, “তোর খবর কিভাবে নেবো? কেউ তো আমাকে তোর লাইন দিতে চায় না!” একটু পরেই বদলে যায় কণ্ঠের হঠাত উঠে আসা কান্নাটা! পুরনো আবেগ হারাতে থাকে! কাকে যে পেলে সুখী হবো বুঝতে পারি না! যাকে আজীবন ভালোবেসে চেয়েছিলাম আমি সে কি ঐ অস্ট্রেলিয়ান কাউ নাকি পেছনের বলদটা? ভেবে পাইনা! দ্বিধান্বিত আবেগে আরো আপ্লুত হয়ে যাই যখন পাগলটার কন্ঠে শুনতে থাকি, “আমার অদিতি আমারই আছে! অদিতি, বল তুই এখনো আমারই আছিস!”

“যখন তখন পাকা কথা হয়ে যাবে রে! তুই পারলে ব্যবস্থা কর যেন আমি তোরই থাকতে পারি!” বলে উঠি ছোট্ট অথচ চ্যালেঞ্জিং বাক্যে।

“আচ্ছা, আমিই সব ঠিক করবো” বলে পাগলটা সেই যে ফোনটা ছাড়লো কই এখনো তো খবর নাই! তাহলে আমার দোষ কোথায়, বলেন তো?

আমি যে আসলে কার সে আমি নিজেই জানি না! এক দিকে পাগলের মত ভালোবাসি একটা ভীষণ ইমোশনাল পাগলাটে মানুষকে যার কাছে আমার মনটাই আসল জানতাম। যে আমাকে বিয়ের হাটে পণ্য করে আপাদমস্তক চুলচেরা বিচার করে কিনে নেয়নি। মানুষটা শুধু একটু আত্মভোলা! মাঝেমাঝে নিজের ভেতর ডুব দেয়। আমার সবকিছুতেই ওর ভীষণ মুগ্ধতা! সবাই যদিও বলে “এরকম আলাভোলা লোক প্রেমেই যা মানায়। সংসার করতে গেলে বুঝবা ঠ্যালা!” তবে, আমি তো জানি, আমি এই পাগলটাকেই চেয়েছিলাম। কিন্তু, একই সাথে এটাও সত্যি ওর বাবা-মায়ের অমতে তো আমি ওদের বাড়িতে পা রাখবো না! তাই চিরচেনা মেঠো পথ ছেড়ে পা বাড়িয়েছি অচেনা বিদেশ বিভূঁইয়ে! নেমেছি নিজের ভাগ্য অন্বেষণে!

কেঁদে কেটে হা হুতাশ করে নাকি কোন লাভ হয় না! আল্লাহ যার সাথে যার জুড়ি ঠিক করে রেখেছেন সেখানেই খাপে খাপে বসে যাবে সবকিছু! এ কথা অনেকবার বলতো আমার পাগলটা! তাই এই শেষ সময়ে এসেও আমি বসে থাকি ঠায় নিজেকেই গিনিপিগ বানিয়ে-“কোন প্রেমে জিতবো আমি? বিয়ের আগের নাকি পরের প্রেমে? দেখা যাক জীবন আমাকে কোথায় নিয়ে যায় ! কে যে আছে ভাগ্য রেখায় জীবন পথের সাথী হতে!”

আর আছে সাত দিন! মাত্র সাত দিন পরে- আমার বিয়ে!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জায়েদ রশীদ বেশ লাগল। গল্পের ধারাবর্ণনা অত্যন্ত সাবলীল। আর রসিয়ে রসিয়ে বলায় জমেছেও বেশ।
অনেক ধন্যবাদ, জায়েদ ভাই। শেষ সময়ে এসেও যে আপনাকে পাঠকরূপে পেলাম।
মনিরা ইয়াসমিন অনেক পুরানো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। যা আমাদের সমাজে আজো বিদ্ধমান। খুব ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ, আপু।
মিলন বনিক পুরুষ মানুষ না আর কিছু আল্লা জানে!..মানুষের ভেতরের আমিকে অনেক গভীরে গিয়ে অপূর্ব নান্দনিক শৈলীতে গল্প গেথেছেন....খুব ভালো লাগলো....শুভ কামনা...
খুব ভালো লাগলো আপনার কথামালা, মিলন বনিক। শুভকামনা সবসময়।
শেখ একেএম জাকারিয়া পুরো গল্পটাই পড়লাম.............এ নিয়ে দুবার পড়া হল। গল্পটা পড়ে কিছু কিছু জায়গায় যে হাসি পায় নি , তা আমি বলবো না। তবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই এরকম যে, আমাদের লেখক দের বাধ্য হতে হয় এভাবে লেখতে। আমরা যখন এরকম কঠিন চিত্র কল্পনা করি,,,সত্যি মর্মাহত হয় ‍হৃদয়।কিন্তু জীবন তো কারও জন্য থেমে থাকে না.... সমাজ সংসার বড় জটিল একটা জায়গা ,এখানে চাইলেই হাতের মুঠোয় চলে আসেনা সবকিছু ....। তবে গল্পটা পড়ে বেশ ভাললাগল........
অশেষ ধন্যবাদ, শেখ একেএম জাকারিয়া ভাইয়া। এরকম বিশ্লেষনী মন্তব্য পেলে ভালোই লাগে।
মনতোষ চন্দ্র দাশ কেমন নির্বিকার তাচ্ছিল্যের সুরে ওকে বললাম যেন আমি কোনদিনই এই পাগলটাকে ভালোবাসিনি! গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইল।
শুভেচ্ছা আপনাকেও, আমার গল্পটি পড়ার জন্যে। ভালো থাকবেন।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম আপনার গল্পটা পড়ে হাসতে হাসতে আমার পেটে খিল ধরে গেছে । যদি আমি মেয়ে হতাম হয়তো এভাবে গাভী হবার কষ্ট সমভাবে পেতাম , কিন্তু আমাদেরকে যে এভাবে গরু বানিয়ে দিলেন- সেটা ভেবেই হাসি চাপতে পারলাম । দারুন বাস্তবতা । তবে এ যুগে এখনও যদি আমরা গরু -গাভীর পর্যায়ে পড়ে থাকি, তাহলে সত্যিউ সেটা বড় দু:খজনক ।
এ যুগের নবীন যারা তাদের সাথে কেউ এইরকম গরু-গাভী মার্কা পজিশনে দাঁড়া করাতে পারবে না। এরা নিজেদের দাবী নিজেদের মত করেই সমাধান করে নেবে। নেবেই। এদের সাথে এইসব জোর জবরদস্তি চলবে না। কিন্তু, গল্পের নায়িকার যা বয়সে তাতে সে কিছুটা হলেও সমস্যা বেষ্টিত চিন্তাধারার মানুষের সাথেই রয়েছে বলেই সে চিন্তা চেতনায় উন্নত ধারার হয়ে থাকলেও সেই প্রাচীর ভেঙ্গে বের হওয়া তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এই আর কি!!
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর , মনোরম ও গতিশীল একটি লেখা । বেশ ঝরঝরে আর চিন্তাকে তোলপার করা দারুন একটা গল্প । তবে আরব্য রজনীর মত--- ৭ দিন আর শেষ হবে না হয়তো---!! ধন্যবাদ ।।
বাহ! "আরব্য রজনীর মত...৭দিন আর শেষ হবে না হয়তো..." বেশ বলেছেন। গল্পটি আপনার কাছে প্রাণবন্ত মনে হওয়ায় আমি লেখক হিসেবে ধন্য হোলাম। অশেষ ধন্যবাদ।।
শঙ্খচূড় ইমাম জুঁই আপু, গল্পটি ভালো লাগলো।
ইমাম ভাইয়া, মন্তব্যটিও ভালো লাগলো।
Lutful Bari Panna ভাল লাগল জুই..
এত ছোট করে? তার মানে মন কি মন ভরে নাই, লুতফুল বারি পান্না ভাইয়া?

১৭ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪