“ডাক দিয়ে যায় শৈশব বারে বারে আমায়

শৈশব (সেপ্টেম্বর ২০১৩)

জাকিয়া জেসমিন যূথী
  • ১৫
  • ৩৫
আজ বাসায় অনেক অতিথি অভ্যাগতদের আনাগোনা চলছে। সেই সকালে ঘুম হতে ওঠার পর হতে একটুও লেখার সুযোগ পাচ্ছি না। ওয়ার্ড ফাইলের ডকুমেন্ট পাতা আমার জন্য অপেক্ষা করছে। ল্যাপটপের দিকে উঁকি দিয়ে বার বার লুকোচুরি খেলে যাচ্ছি, ‘এই আসছি’ বলে আবার নতুন কারো আগমনে আবার সরে যেতে হচ্ছে দূরে। রিডিং রুম হতে লিভিং রুমে।
সারাদিনের পরে এখন আমি একা। নিজের ঘরে এবং একান্ত সময়টুকু পুরোটাই আমার। বেশ রাত হয়ে গেছে। প্রতিটি রাতের মত আজ বোধহয় আর নিমগ্ন লেখা হয়ে উঠবেনা। খুব ক্লান্ত এখন। সারাদিনে নানান রকম মেহমানের সাথে টুকটাক এই সেই করে কয়েক দফা খাওয়া হয়ে গেছে। এখন গ্যাস জমে পেটে ব্যাথা হচ্ছে। আজকাল তরুণ বয়সের মত খাবারের অনিয়ম আর সহ্য হয় না। বয়সের সাথে সাথে ভোজনবিলাসী ভাবটাও পালটে যাচ্ছে।
আগামী বইমেলায় শুভাগত প্রকাশনী থেকে আমার একটা লেখা বের করতে চেয়েছেন প্রকাশক সাঈফ আবরার। লেখাটি হবে জীবনীগ্রন্থের মত। তবে তার আগে ত্রৈমাসিক হিসেবে ভাগ করে নিয়ে প্রকাশক সাঈফ আবরারের সম্পাদনায়ই লিটল ম্যাগ ‘পৃষ্ঠা’য় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। স্কুলে প্রবেশের আগের মুহুর্তটুকু পর্যন্ত ছিলো প্রথম পর্ব। এখন দ্বিতীয় অধ্যায় চলছে। শৈশব। আর এই অধ্যায় লিখতে গিয়ে থৈ হারিয়ে ফেলছি বার বার। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় আমার শৈশব। কোথা থেকে শুরু করবো কোথায় এর শেষ নিজেরই হিসেবে বাঁধা নেই। জীবনের এই অন্যতম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত সময় ও সংক্ষিপ্ত শব্দগুচ্ছের ফ্রেমে বন্দী করা চাট্টিখানি কথা নয়। একটা লিটল ম্যাগের এক কোণায় এর স্থান সংকুলান হবার কথা নয় বরং একটি আস্ত লিটল ম্যাগাজিনই প্রয়োজন সম্পূর্ণ শৈশবের বর্ণনা তুলে ধরতে। তাছাড়া শৈশব নামের অত বড় ব্যাগ হতে জমা করা গল্পকাহিনীগুলো হতে আগের ও পরেরটা বেছে বেছে বের করাটাও আরেক সমস্যা। কোন একটি কাহিনী মনে করে লিখে ফেলার পরে অন্য একটা মজার কাহিনী মনে পড়লে তখন পুনরায় নতুন করে শুরু করতে হয়। আজ সপ্তাহখানিক ধরে এডিটিং এর অকাজেই সময় কেটে যাচ্ছে। গুছানো লেখা হয়ে উঠছেনা মোটেই।
ইদানিং ভাবছি বর্তমানের এই ইলেক্ট্রনিক্স যুগেও ল্যাপটপ দিয়েও আমার কাজ হচ্ছে না। বরং এখন যদি আমার একটা মাইন্ড টাইপিং যন্ত্র থাকতো তাহলেই সবচেয়ে বেশি ভাল হতো। কেননা আমি যখন লেখার কাজ নিয়ে বসছি তখন আমার মাথায় লাইন আসছেনা। যখন আমি বিশ্রাম নিচ্ছি বা অন্য কাজে সময় দিচ্ছি তখন মাথার ভেতরে পুরনো স্মৃতিগুলো লাইনের পরে লাইন সাজিয়ে চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মত পরিবেশিত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, আমার মগজে সেগুলো জমা থাকলেও কী-বোর্ডে হাত ছোঁয়ানোর সময় একটা শব্দও মাথা থেকে টুপ করে ঝরে পরেনা। ঝাঁকি দিলেও নামে না। স্মৃতির খাতা হাতড়ে হাতড়ে বেশ রাত হয়ে যায়। এই নতুন লেখাটি ধরে লেখার নেশায় আজকাল ঘুম কমে যাচ্ছে। এমনটা নিয়মিত হয়ে গেলো তো খুব মুশকিল! বয়স বাড়ছে। ঘুম তো কমবেই। কিন্তু অভ্যাস বড় খারাপ জিনিস!
মাঝে মাঝেই আনমনা বসে থাকলে সামনে থেকে খুব হালকা পর্দা সরে যায়। সাদাকালো ফিল্মের মত। একের পরে এক দৃশ্য চোখে পরে।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর কিশোর উপন্যাস দিপু নাম্বার ওয়ান এর কাহিনীর সাথে মিলে যায় আমার জীবন কাহিনী অনেকটাই। শুধু সেখানে দিপু ছিলো ছেলে। আর আমার কাহিনীর মূল ভূমিকায় আমি একটি মেয়ে। বাবার এনজিও চাকরীর সুবাদে আমার স্কুল লাইফটা কোথাও বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেনি। কোথাও গিয়ে বন্ধুতার বন্ধন গাঢ় হতে না হতেই বাবা বদলী হয়ে নতুন কোথাও পারি জমাতেন। আমারও নতুন করে আবার নতুন জায়গায় নতুন স্কুলে ভর্তি হতে হতো। তাই আমার জীবনে স্কুলের সংখ্যা অসংখ্য।
প্রায়ই মনে পরে একটা কলোনী। বেশ দূরে দূরে একটা দুটা ইটের বিল্ডিং। মাঝের জায়গাটা ঘাসে ছাওয়া। অথবা ফুলের বাগান। কোথাও সবজির জাংলা। পায়ে চলা সরু মাটির পথ। তার আশেপাশে অনেকটা জায়গা খোলা। সবুজ ঘাসের কার্পেট বিছানো। সেখানে বিকেল বেলায় নানা বয়সী ছেলে মেয়ের দল দূরে দূরে ছত্রখান হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একটা ছেলে হাতের তালুতে বল তুলে নিয়ে দৌঁড়াচ্ছে। সামনে লম্বা ঢ্যাঙা একটা মেয়ে। মেয়েটিও দৌঁড়াচ্ছে। প্রাণ হাতে করে। এখুনি হয়তো তার গায়ে ঢুশ করে বলটা লাগিয়ে দেবে পেছনে ধেয়ে আসা ছেলেটা। খেলাটার নাম বোম বাষ্টিং।
আরেকটি ঘটনা খুব মনে পরে। একটি ছেলে আর দুটি মেয়ে। ছেলেটার মাথায় ঝাঁকড়া কোঁকড়া চুল। একটি মেয়ে একটু স্বাস্থ্যবান মোটামুটি উচ্চতার। নাম শিলু। আমার বান্ধবী। আর অন্যজন হালকা পাতলা লম্বা। নাম মুনিরা। মুনিরা সুমাইয়া। আজকের আমি। ডাক্তার এঞ্জিনিয়ার বা ভার্সিটির প্রফেসর হিসেবে যে পেশা গড়ে নিতে পারেনি। নামের আগে একটা অলিখিত লেখক শব্দই পেশা হিসেবে জুড়ে গিয়েছে। কোঁকড়া ঝাঁকড়া চুলের ছেলেটার নাম ছিলো শুভ্র। যদিও নামের সাথে গায়ের রঙে মোটেই মিল ছিলো না। বরং তার উলটো। কৃষ্ণ বর্ণের শুভ্র নামের সেই ছেলে মাটিতে উবু হয়ে গর্তের উপরে বসানো ছোট কাঠিটাকে হাতে ধরে রাখা লম্বা একটি কাঠি দিয়ে বারি লাগিয়ে আরেকটি আঘাতে ছুঁড়ে ফেলে দিল দূরে। তারপরে হাতের লাঠিটি দিয়ে ছোট লাঠিটি যেখানে পরেছে সেই দূরত্বটা মাপতে লাগলো। ডাংগুটি খেলার সেই দৃশ্যটা এখনো মনের পাতায় তাজা হয়ে রয়েছে। আমার জীবন পাতার সুদূর অতীতে ফেলে আসা একটি চ্যাপটার। একটি সাদাকালো ভিডিও। যেন ভিসিডি প্লেয়ারে ঢুকিয়ে প্লে বাটনে চাপ দিলেই সেটি পুনরায় চালু হয়ে যাবে নতুন করে।
চোখের সামনে থেকে দৃশ্যগুলো আবার সরে যেতে থাকে। রঙও পাল্টাতে থাকে। আমি যেন জেগে নেই। ঘুমের ভেতরে একের পরে এক দৃশ্য পাল্টাতে থাকা সিনেমা দেখে চলেছি এভাবে আমার নিঃশব্দ সময়ে বার বার স্মৃতির ডালায় ভর দিয়ে শৈশব ফিরে ফিরে আসে।
এক বিকেলের একটা ঘটনা খুব মনে পরে। তিরানব্বই চুরান্নব্বই সালের দিকে হবে। কলোনীর ভেতরে গার্ড এর ছাওনীতে দুটি ষোল সতেরো বছর বয়সী ছেলে। হাই স্কুলের ছাত্র। স্কুলে ওদেরকে মেয়েদের পিছনের লেগে থাকা বখাটে দুষ্টু ছেলে বলেই সবাই জানতাম। আমি তখন মাত্র প্রাইমারীর গন্ডি ছাড়িয়েছি। একটু একটু করে ছেলে মেয়ের সম্পর্ক, প্রেম ভালোবাসা বিষয়ে ধারণা পেতে শুরু করেছি। কলোনীতে আমাদের বাসা থেকে ঐ ছাওনীটা চোখে পরতো। হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার ছোট ভাইটা যে মাত্র স্কুলে ভর্তি হয়েছে ওই দুষ্টু ছেলের মধ্যে যার নাম আরিফ তার কোলে বসে আছে। আর আরিফ আমার ভাইয়ের হাতে ফুল গুঁজে দিচ্ছে। দেখে তো আমার কিশোরী মন ভেবেই নিয়েছে ওই লম্বু আমার ভাইকে ফুল দেয়ার মানেই হলো সে আমাকে প্রপোজ করতে চাইছে। আমি তো ভীষণ ক্ষেপে গেলাম। ঐ লম্বু আবার কয়েক বছর ফেল করে করে আদু ভাই হয়ে আমাদের নিউ ব্যাচের সাথে ক্লাস সিক্সেই ছিলো। পরদিন সকালে স্কুলে গিয়েই লম্বুকে খুব গম্ভীর স্বরে বলে দিলাম, “আপনি আমার ভাইকে কেন ফুল দিয়েছেন? এই ধরুন আপনার ফুল। আর কোনদিন যেন এরকম কিছু না দেখি!” বলে ফুল ফিরিয়ে দিয়ে সে কি বাহাদুরী আমার। নিজেকে ফিল্মের নায়িকাদের মত মনে হতে লাগলো। তারপরে স্কুলের গন্ডি ছাড়িয়ে ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বছর পেরিয়ে এসেও সেই পুরনো কথা মনে পড়লে খুব হাসি পায়। তখন আমি খুব আমির খানের ভক্ত ছিলাম। আর আমাদের ক্লাসের ঐ আরিফের চুলের স্টাইল ছিলো আমির খানের মত মাঝখানে সিঁথী করা। ফিল্মের নায়ক-নায়িকার মত খুব একটা দান মেরেছি ভেবেছিলাম। এর পরে তো আরিফ আমাকে বোন টোন ডেকে অস্থির। আমিও ঠান্ডা মেরে গেলাম। যাহ বাবা! কি ভাবলাম, কি হলো!
ছেলেবেলায় কত অদ্ভূত আর মজার ভাবনা থাকে। আজ এত বছর পরে জীবন সায়াহ্নে এসেও স্মৃতির পর্দায় মাঝেমাঝেই ফ্ল্যাশব্যাক হয়ে জীবনের অনেক অনেক ঘটনার ভিড়ে সবচেয়ে বেশি ডাক দিয়ে যায় আমার শৈশব। খুব টানে আমাকে। আর মনে হতে থাকে যেন পেছন ফিরে তাকালেই ফিরে আসবে সেই সময়টা। সেই ছোট্টবেলা ফিরে পেতে চায় এই মন বার বার।
সেদিনও সন্ধ্যায় জেমী সিমীর বাসায় গিয়েছিলাম আমার দুই নাতনীকে সাথে নিয়ে। আমার চাচাতো বোন জেমীর মেজ মেয়ে আনিকা আমার নাতনীদের সমবয়সী। ঈদের পর পর বেড়াতে যাওয়া হয়েছিলো বলে ছেলেবেলার ঈদের স্মৃতি ফিরে এসেছিলো সেই আড্ডাতেও। আমরা তখন সবাই নর্থ বেঙ্গলে থাকতাম। জেমীরা বগুড়ায়। আমরা রংপুরে। আর বড় কাকার বাড়ি ছিলো সিরাজগঞ্জে। ঈদে প্রত্যেকবার আমরা জেমীরা ঈদ করতে যেতাম বড় কাকার বাড়িতে। ছেলেবেলার ঈদগুলো বেশিরভাগ সময়ে শীতে হতো। ঐ কনকনে ঠান্ডা ভোরে কাকা সব বাচ্চাগুলোকে কল পারে নিয়ে গিয়ে উদোম শরীরে ঠান্ডা জলে চোখে মুখে সাবান ঘষে গোসল করিয়ে ছাড়তেন। চোখে সাবান চলে যেতো উনি সেটা তোয়াক্কাই করতেন না। আর মনে পরে হাতে পায়ের নখ কেটে দিতে গিয়ে খুব দাবিয়ে কাটতেন। আর খুব জ্বলতো।
ঈদের নামাজ শেষ করে কাকারা আর ছেলেরা সবাই ঘরে ফিরতো। আর সবাই মিলে ঈদের সালামী শেষ করতাম সারাদিন আইসক্রিম খেয়ে। কি দিন ছিলো সেগুলো।
নাটোরে একটা বাসায় ভাড়া থাকতাম। বাড়িওয়ালার বড় বড় আমের গাছ ছিলো। একবার খুব ঝড় হয়। কালবৈশাখী ঝড়ের রাতে ছোট ভাই শিফাতকে নিয়ে আম কুঁড়িয়েছিলাম।
ছেলেবেলায় খুব ডানপিটে ছিলাম। গাছে চড়ে কত যে পেয়ারা চুরি করেছি তার ইয়ত্তা নেই। সকাল বেলার পড়াশুনা শেষ করে দুপুরের ভাত খাওয়ার আগে আমাকে আর খুঁজে পাওয়া যেতো না। কখনো বাসার আশেপাশে খেজুরের বাগানে গিয়ে আধাকাঁচা খেঁজুর পেরে এনেছি। সেগুলো আবার লবন পানিতে ভিজিয়ে রাখলে পেকে মিষ্টি হতো। আবার কখনো বাসা থেকে বেশ দূরে লিচুর বাগান ছিলো। লিচু ধরে নাই গাছে। কিন্তু গাছগুলো বেঁটে বলে বিছানা পেতে মোগলীর মত গাছে উঠে বসে থেকেছি।
বাবার চাকরীর কারণে বেশিরভাগ সময়ে মফস্বল শহরে থাকা হয়েছে। সেইসব গ্রাম্য জায়গায় ছেলে মেয়ে একসাথে খেলেছি। মিশেছি। কখনো মনে ভয় জাগেনি। ছেলেদের সাথে মিশতে বা খেলতে গিয়ে ছেলে বলে আলাদা কোন অনুভূতি হয়নি। কত ছেলেদের সাথে ডাংগুটি খেলেছি। পাড়ার গ্রাম্য ছেলেদের সাথে সাইকেল চালানোর প্র্যাকটিস করেছি। অথচ, এখন দিন কত পালটে গেছে। ছোট ছোট দুধের শিশুদেরও জানের নিরাপত্তা নেই। দুধের শিশুদের শরীরে নারীত্বের কি চিহ্ন থাকে যাতে পশুত্বের দৃষ্টিতে দেখতে হবে! ও আল্লাহ!
রাত যত গভীর হয় ভাবনা তত বিস্তৃত আর মসৃণ হয়। লেখার টেবিল ছেড়ে আজ ল্যাপটপটা নিয়ে বিছানায় সরে এসেছি। আজ আবেগের যেন বন্যা নেমেছে। সমস্ত শৈশব সমস্ত জীবনের সমস্ত স্মৃতি যেন আজ মেলে ধরে আছে আমার মনের আয়নায়। মাইন্ড ভিডিও সেটটা আমার এই মুহুর্তেই দরকার। খুব দরকার ছিলো। সব কথা আজ এই ক্লান্ত মুহুর্তে শব্দগুচ্ছে বেঁধে ফেলা অসম্ভব। সকাল হলে আর সব মনেই থাকবে না।
কোন্ ঘটনাটা আগের আর কোন্ ঘটনাটা পরের সেই সঠিক হিসেব এখন আর মনে পরে না। কিন্তু এমনও আছে কোন কোন স্মৃতি বার বার আসে। আবার কোন কোনটা এক দু’বার উঁকি দিয়েই হারিয়ে যায়। হারিয়ে গেছে আরো অনেক আগেই। এখন আর জানা নেই। ফিরে আসে না পুনর্বার।
‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে
অজানা হাজার কত কাজের ভিড়ে
ছোট্ট বেলার শত রঙ করা মুখ
সুর তোলে আজো এই মনকে ঘিরে...’
জীবন কি অদ্ভূত! সোনালী আগামীর স্বপ্ন যেমন মনের গভীরে ডুবে থাকে তেমনি ফেলে আসা অতীতের দিনগুলোও তার সাদাকালো অথবা রঙিন আভা মাঝেমাঝেই রঙ বুলিয়ে যায় বর্তমানের মুহুর্তগুলোকে। কখনো একান্ত একাকী ক্ষণে। আবার কখনো কখনো কোন আড্ডায় হৈ হট্টগোলে মন ফিরে যায় পুরনো দিনে।
ইট কাঠ পাথরে মোড়া দামী শহরে প্রাণ আমার ওষ্ঠাগত। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উন্নত শিক্ষা ও উন্নত জীবনযাপনের আশায় অনেকের মত আমরাও এক সময় ঢাকা শহরে পারী জমিয়ে আজ পর্যন্ত স্মৃতির খেসারত দিচ্ছি। ফেলে আসা সেই দিনগুলো বারে বারে সময়ে অসময়ে জাগা অথবা নিদ্রায় ডাক দিয়ে যায়।
সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। রাত এখন তিনটা। গভীর ঘুম নামছে সমস্ত অবয়ব জুড়ে। আরো কত কত অধ্যায় দৃশ্যের পরে দৃশ্য সাজিয়ে নামছে মনের আয়নায়। কী-বোর্ড হতে হাত সরিয়ে চোখের পাতা বুজে আমি বালিশে ঢলে পরতে পরতে স্বপ্ন ও স্মৃতির মাঝখানে ডুবে যেতে থাকি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আমির ইশতিয়াক দারুন হয়েছে।
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
হিমেল চৌধুরী সুন্দর গল্প। ভালো লাগলো অনেক।
ভালো লাগেনি ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
মিলন বনিক গল্পের আদলে জুঁইফুলের জীবনের কিছুটা অংশ পেয়ে গেলাম....ভালোই লাগলো....একটা সময় আসবে মাইন্ড টাইপিং যন্ত্র দিয়ে কাজ করতে হবে...ধন্যবাদ....
ভালো লাগেনি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
মোঃ আক্তারুজ্জামান স্মৃতিকথা- খুব সুন্দর সাবলীল এবং স্বচ্ছন্দ গতিতে লেখা। খুব ভাল লাগল।
সূর্য গাথুনী আর বুনন কিন্তু বলে না মাত্র কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় লিখা। তার মানে তোমার মাঝে একটা পরিণত ভাব জায়গা করে নিয়েছে। যুথী এখন এগিয়ে যাবার সময়। আর হ্যা "আমি যখন লেখার কাজ নিয়ে বসছি তখন আমার মাথায় লাইন আসছেনা। যখন আমি বিশ্রাম নিচ্ছি বা অন্য কাজে সময় দিচ্ছি তখন মাথার ভেতরে পুরনো স্মৃতিগুলো লাইনের পরে লাইন সাজিয়ে চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মত পরিবেশিত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, আমার মগজে সেগুলো জমা থাকলেও কী-বোর্ডে হাত ছোঁয়ানোর সময় একটা শব্দও মাথা থেকে টুপ করে ঝরে পরেনা। ঝাঁকি দিলেও নামে না।" যারাই লেখালেখি করে তারা মাত্রই এ ব্যাপারটা ভালো করেই জানে হা হা হা। আহা যদি থাকতো একটা মাইন্ড টাইপার...
ভালো লাগেনি ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ...ইট কাঠ পাথরে মোড়া দামী শহরে প্রাণ আমার(আমাদের) ওষ্ঠাগত...কিন্তু গ্রামেও কি আগের সেই ছাচ্ছন্দ এখন আছে? খুব ভাল লিখেছেন, ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
মোঃ সাইফুল্লাহ খুবই সুন্দর। আমার মা গলব্লাডারে ক্যান্সারে আক্রান্ত। আল্লাহর কাছে আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন ও আমার মায়ের শাররিক অসুস্থতার বিষটি মানবিক দিক দিয়ে বিচার করে যে যতটুকু পারেন আর্থিক সাহায্য করবেন । সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : মোঃ সায়ফুল্লাহ ,সঞ্চয়ী হিসাব নং -১০১৭৪০৪, সোনালী ব্যাংক,মাগুরা শাখা মাগুরা।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
মনকে শক্ত রাখুন ভাইয়া। আল্লাহপাক রব্বুল আলামীন অসুখ বিসুখ দিয়ে মানুষের ধৈর্য্য পরীক্ষা করেন। রোগ শোক তিনিই দিয়েছেন, তিনিই সুস্থ করে তুলবেন আপনার প্রাণপ্রিয় মা'কে। আমরা সকলেই সেই দোয়াই করি।
ভালো লাগেনি ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
মোঃ আরিফুর রহমান খুব ভালো লাগলো
ভালো লাগেনি ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
এশরার লতিফ খুব ভালো লাগলো বাবার চাকুরীসুত্রে স্থানিক বৈচিত্র্যময় আর দারুন সব ঘটনায় ভরা ছোটবেলার গল্প.
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
অনেক ধন্যবাদ, লতিফ। শত ব্যস্ততায়ও লেখা পড়তে আসার আগ্রহটাই অনেক বড় পাওনা।
ভালো লাগেনি ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

১৭ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪