কথার ক্ষুধা

ক্ষুধা (সেপ্টেম্বর ২০১১)

ইয়াসির আরাফাত
  • ৫৪
  • 0
  • ৮২
সালটি ১৯৮৪ ২রা অক্টোবর ।
পণ্ডিট বাড়ি ঘিরে ঝি ঝি পোকারা যেন আনন্দে গাইছে গান ।মাঝে মাঝে হাল্কা শীত ও হাওয়া জোনাকিদের সাথে নিয়ে উঁকি মেরে যায় নবজাতকের ঘরে ।প্রকৃতির আনন্দ দেখে অনুমান করা যায় পণ্ডিট বাড়িতে জন্ম নেয়া নবজাতক যার নাম ‘কথা ’ কে ঘিরে আনন্দের জন্যই হয়ত সকলে ক্ষুধার্ত ছিল। কথা কে পেয়ে তাদের ক্ষুধা নিবারন না হয়ে বেড়েই যেতে থাকল কথাকে নিয়ে সপ্নের ক্ষুধা ।যত সুখ যত ভালবাসায় বড় হতে থাকল কথা জমিদার বাড়ির ছেলেরা ততটা ভালবাসা পায় বলে আমার মনে হয়না ।
সময়ের ব্যবধানে কথা বড় হয় ।স্কুলে যেতে শিখে ,গ্রামের কিছু ছেলেদের সাথে বন্ধুত হয় তার । কথা অনুভব করে দিনে দিনে সে যত বড় হচ্ছে তার প্রতি সবার ভালবাসা কমে যাচ্ছে ।কারনে অকারনে তাকে বকাবকি ও প্রহার শুরু করেছে তার মা-বাবা ।তার কোমল অঙ্গে লাঠির আঘাত গুলো ফেটে রক্ত বের হতে পারেনা প্রচণ্ড ব্যাথা ও কষ্টে রক্ত কণিকারা হুংকার ছাড়ে ক্ষুধার্ত বাঘের মত ।মায়ের উপর প্রচণ্ড রাগ হয় তার কিন্তু, রাগ করে থাকতে পারেনা ।ঘুমের ঘোরে বলে - মেরনা আমি আর যাবনা গান্ধিলার হলুদ পাপড়ি আর সর্ষের মত কাল কাল বীজ নিয়ে খেলতে ।কাদা মাটি নিয়ে খেলা আর করবনা,ঘুড়ি উড়াবনা লাল ঘুরিটির পিছে আর ছুটবনা ইত্যাদি ইত্যাদি ।
কথার মায়ের সাথে আমি আলোচনা করে বোঝাতে চেষ্টা করেছি কথার সাথে আপনার এমন আচরণ করা ঠিক না তাকে যে কোন সময় বকা বকি করা প্রহার করা তার পায়ে শিকল বেঁধে রাখা বস্তাতে ভরে ডাস্টবিনে ফেলে আসার ভয় দেখানো সাধু ভাষা বলতে বলতে চলিত ভাষার বা আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার করার জন্য তার গলা চেপে ধরেন জিভ কেটে নিতে চান ভয় দেখিয়ে সারাদিন পড়ার টেবিলে বসিয়ে রাখেন এ গুল ঠিক না ।ইস্কুল শেষে একটু বাসাই ফিরতে দেরি করেছে বলে তাকে শিকল দিয়ে কি ভাবে বেঁধে রাখেন ?২য় শ্রেনী তে ৩য় স্থান অধিকার করেছে বলে তাকে সারাদিন এক ফোটা পানি পান করতে দেননি রোদে দাঁড় করে রেখেছেন তবে যে ছেলেটি সর্বশেষ স্থান অধিকার করেছে তার মা কি আজ তাকে মেরে ফেলবে ?
আপনি কি কথার চোখ দেখেছেন যে চোখে আজ বিশ্ব জয়ের সপ্ন থাকার কথা সে চোখে ভয় ব্যথা বাসা বেধেছে ? তার এখন বেড়ে উঠার সময় সে তো মুক্ত বিহঙ্গের মত উড়ে বেড়াবে আজানাকে জানতে চাইবে ।সে প্রশ্ন করবে এটা কি ওটা কি পাশের বস্তিতে সবাই ঝগড়া করে কেন ?কাক ও তো পাখি তবে কা কা করে বেসুর গান গায় কেন ?এখন তার বেড়ে উঠার সময় অজানাকে জানার ক্ষুধা তো তার থাকবেই ।
আপনি আপনার পাশের বস্তিতে গিয়ে দেখুন কথার চেয়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা তাদের মা কে কিভাবে গালি দেয় ?স্কুলে যেতে বলার জন্য কত ছেলে মাথা ফাটায় তাদের মায়ের ,তবু তাদের মা তাদের ছুঁড়ে ফেলেনা বুকে টেনে নেই সন্তানকে যত বেশী ভালবাসে ভালবাসার ক্ষুধা বাড়তেই থাকে কমেনা ।ভলবাসার ক্ষুধা তৃষ্ণা কি আপনি বোঝেন কি ?
কথার মা মাজেদা বেগম খুব ধীরে ধীরে বলল আমি যা করি তার ভালর জন্য করি ।আমি কারো সাথে কথাকে মিসতে দেইনা কারন ও সব নষ্ট ছেলেদের সাথে মিসলে কথা নষ্ট হয়ে যাবে ।এবার আপনি যেতে পারেন ।
কথার বাবার সাথে আমি আলোচনা করে বুঝেছি তিনি শান্তি প্রিয় মানুষ কলহ ভাল লাগেনা তার তবু সংসারে মাঝে মাঝে কলহতে জড়িয়ে পড়েন তিনি ।জীবনে অনেক সংগ্রাম করে আজ জনতা ব্যাংক এ গার্ডের কাজ করতে করতে ক্লান্ত তিনি ।ব্যাংকের সম্পদ রক্ষা করতে করতে তিনি তার সুখ শান্তি রক্ষা করার কথা ভুলেই গেছেন ।তার ধারণা আমার নিজের সম্পদ যদি হারায় কাঁদব আমি আর ব্যাংক এর যদি হারায় তবে কাঁদবো সবাই . তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন মানুষের ক্ষুধা কত প্রকার কি কি ? আমি চুপ হয়ে থাকলাম তিনি আবার প্রশ্ন করেন লোভ ও টাকা এ দুটি না থাকলে পৃথিবীটা আরও সুন্দর হত কি নাকি আরও কৃতিম ক্ষুধার জন্ম হত ? তিনি আবার বলেন ক্ষুধার মৃত্যু দিবস কবে হবে ?
তার প্রশ্ন গুল শুনে আমার চোখে জল এসে যায় তবু বলি ক্ষুধার মৃত্যু দিবস কামনা করেন কেন ?
তিনি বলেন ক্ষুধার্ত মানুষের কান্নার রোল প্রতি ধ্বনিত হয় , ক্ষুধার জন্য মৃত্যুর সাথে জীবন বাজি ধরতে হয় প্রতিনিয়ত ,তা ছাড়া এই উন্নয়নশীল দেশে অনেক অপ্রয়জনিও সরকারী ছুটি আছে ক্ষুধার মৃত্যু হলে ক্ষুধার মৃত্যু দিবস নামে একটি সরকারী ছুটি বাড়বে গর্ব করে বলতে পারব বিশ্বের সর্বাধিক ছুটির দেশ সর্বাধিক ক্ষুধার্ত মানুষের দেশ ,ছয়টি ঋতুর মায়ায় ভরা পৃথিবীর রানী আমার এ দেশ ।
আমি বিদায় নেই কথার বাবার কাছ থেকে কথাকে নিয়ে আমি খুব ভেবেছি বারবার মনে হয়েছে কথা কোন মানুষ না মানুষ রূপে জন্মনেয়া এক পৃথিবীর মাঝে পৃথিবী ।এই উত্তপ্ত পৃথিবী একদিনে যেমন এত সুন্দর হয়নি ধীরে ধীরে সুন্দর থেকে সুন্দর তর হচ্ছে ।কথা ও তেমন পরিবর্তিত হচ্ছে তার আলো ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তার পরিবারে ।আরও কয়েক বছর পড়ে হয়ত তার আলোইআলো কিত হবে তার পরিবার এই দেশ এই পৃথিবী ।কেউ কেউ কি তখন লজ্জার কাফনে মুখ ঢাকবে ?

সালটি ২০০১ ২রা অক্টোবর
আজ কথার জন্মদিন ।কেউ মনে রাখেনি সকলে অসিমের হাতছানিতে প্রানপনে ছুটাছুটি করছে আজানা কোন এক মোহে ।কথার বাবার ডে নাইট ডিউটি ,মাজেদা বেগম তার বন্ধুর বোনের বিয়ের জন্য গলার হার বাকিতে কিনে সেই পরিবারের সবার জন্য দামি দামি পোশাক কিনে একটি সার্ট ফ্রী চেয়েছিল কথার জন্য দোকানদার সুন্দর একটি সার্ট ফ্রী দেয় । কথা ভেবে বসে জন্মদিনের উপহার তাই সে আনন্দে আত্মহারা হয় জন্মদিনের কথা তার মা মনে রেখেছে ভেবে ।কিন্তু তার হাসিমাখা মুখটা মলিন হয়ে যায় এই শার্ট টি জন্মদিনের জন্য নয় শুনে কেওকারাডাং ভেঙ্গে পড়ছে যেন তার বুকে ,পায়ের নিচ থেকে মাটি যেন সরে যাচ্ছে লজ্জায় ।ক্ষুধার্ত পেটে পানি ছাড়া কিছুই যেতে চাইনা ,চোখের কনে পানি জমে যায় ,মনে নানান প্রশ্ন জাগে কিন্তু উত্তর খুঁজে পাইনা কথা । এরই মধ্যে কথার পুরনো প্রাইভেট মাস্টার আসে কথার মা খুশি হয়ে কথাকে ৫০০ টাকা দিয়ে বলে দুই ঘণ্টা বাইরে থেকে ঘুরে আস আর এ টাকা খরচ কর ?
টাকার বিষয়টা নতুন নয় বুলবুল ,বিপ্লব,বাপি স্যার মুনির ,সাহিন অনেকে আসলেই এক দুই ঘণ্টা খেলার সুযোগ সাথে ৫ টাকা দিয়ে শুরু হয়ে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আজ ৫০০ টাকায় পোঁছল ।
আজ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ঋন হয়েছে মাজেদা বেগমের ।
পরিবারের আঁধার দেখে সে কয়েক টি প্রায়ভেট পড়ানো শুরু করেছে ...

সালটি ২০১১ ২রা অক্টোবর ।
আজ কথার জন্মদিন গত বছর গুলোর মত এই দিনটি কথাকে আর কাঁদায় না ।এখন সে বোঝে একটি উন্নয়নশীল দেশের মানুষের এ সব ফালতু বিষয় নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করা মস্তিষ্কের উপর চাপ সৃষ্টি করার মানে হয় না ।সে এখন বড় হয়েছে সৌদি আরবে রড মিস্তিরির কাজে এসে ইংরেজি বলার পড়ার দক্ষতা ও কম্পিউটার জানার জন্যে আজ সচিব এর কাজ করে ।
প্রায় ১০ বছর আগে মৃত কবিতার আত্নাগুলকে সে খুঁজে ফেরে অন্ধকারে, চাঁদের আলোয়, সবুজে সবুজে ।শুধু তাই নয় ফেলে আসা দিনের কোন কথায় সে ভুলতে পারেনি ?এক সময় একটি ভাল চাকরির জন্য বা অধিক টাকা পাওয়া যায় এমন একটি ভাল কাজ খুঁজেতে গিয়ে কত না অপমান হয়েছিল সে এক সেনাপ্রধানের থাপ্পড় খেয়েও সেনাবাহিনীতে চাকুরী হয়নি তার ।শুধু সনদ পত্র ছিলনা বলে ।

আজো কথা ঘুমের ঘোরে বলে – তোমরা দেখ বাংলাদেশের মানুষ দেখ আমি এসএসসি পাস না করলেও এইচএসসি পাশের ছাত্রদের মত জ্ঞান আছে ?আমি বই পড়ি নানান রকম বই পড়ি আমি পাস করার জন্য পড়িনা আমি জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়ি ।বই পড়ার প্রচন্ড ক্ষুধা আমার আমাকে বই দাও আমি বই খাব ?

আজো ভুলেনি সে ভাল কাজের আশায় রাজধানীর বুকে পা দিতেই এক ঠগ তাকে চাকুরি দিবে থাকার ব্যাবস্থা করে দিবে বলে সুযোগ মত তার ব্যাগ ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় । সে ছেলেটিকে আজ ক্ষমা করে দিয়েছে কারন কথা জানে পেটের ক্ষুধা ও সয়তানের উপাসকদের দ্বারা সব সম্ভব ।
ফু্টপাতের একটি চা এর দোকানে কয়েক গ্লাস পানিপান করে কাজ চাইতে দোকানদার বলে ‘মানুষ খুন ,হিরোইন ,গাঞ্জা বিক্রির কাজ করতে রাজি আছে কি না কথা রাজি হয়নি ।
আবার অন্তবিহীন পথে তার হাটা শুরু হল সে জানেনা মৃত্যুর আগে তার এ পথ চলার শেষ হবে কি না অনেক ক্লান্ত হয়ে একটা টেন্ট এ শুয়ে পড়ল কিন্তু কে যেন তার কান ধরে টান মেরে নিচে ফেলে গালি দিতে দিতে বলে মানুষের বসার জাইগা নেয় আর তুমি শুয়ে আছ তুমি কে ? শেখ হাসিনার নাকি খালেদা জিয়ার সন্তান ? ইডিয়ট কোথাকার ইত্যাদি ।

অনেক রাত হয়েছে ক্ষুধার্ত কথা একটা ডাস্টবিনে দেখছে এক পাগল কিছু খাবার সংগ্রহ করছে লাইকর এ্যমোনিয়ার মত কটু গন্ধ সেই ডাস্টবিনে ।সেখান থেকে কিছু খাবার এনে পাগলটি তাকে দিচ্ছে কথা নিতে চাইনা পাগলটি বলে গন্ধ এত খাবারের গন্ধ যে খাবার মানুষ খায় ।খাবারের ব্যাপারে ছাগলের চেয়ে মানুষ বোকা বুঝেছ ? এক ঘরে একটি মানুষের লাশ ও এক ঘরে কিছু মরা পিঁপড়ে রাখ ১ সপ্তাহ পরে দেখ কোনটির গন্ধ বেশী ?লাশ লাশ লাশ বলতে বলতে পাগলটি চলে গেল কথা দাঁড়িয়েই থাকল আনমনে গাড়ির আসা যাওয়া দেখতে দেখতে কি যেন ভাবছে ।বেশ কিছু ছোট ছোট ছেলে মেয়ে ডাস্টবিনের খাবার সংগ্রহ করতে এসে এক টুকরো মাংস নিয়ে ঝগড়া শুরু করে দিল কুকুর গুলোর ও খাবারের চাঁদার সিগন্যাল ঘেউ ঘেউ মানে আমার চাঁদা না দিয়ে পালাচ্ছিস কেন তোরা ?


অবশেষে কাজ জুটেছিল তার কাক ও কুকুরের এ শহরে মানুষ বড্ড বেমানান হলেও এই পরিবেশে কথা দারুন মানিয়ে ছিল । বস্তির ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে বড়দের ও পড়া লেখায় প্রতি আগ্রহী করত সে ।বলতঃ আপনাদেরকে সনদ পত্র পেতেই হবে এটা বড় কথা না আপনাদের শিখতে হবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে ।কেউ আপনাদের ইংরেজিতে গালি দিলে আপনি তার সাথে ইংরেজিতে কথা বলুন আপনি পারবেন ? অশিক্ষার ক্ষুধায় কেন আপনি ধুঁকে ধুঁকে মরবেন ।শিক্ষার আলো জ্বালতে হবে এই আলোই আলকিত করতে হবে এই দেশটা কে ?এদেশের একটি টোকায় ও যেন শিক্ষিত হয় ।সাড়া বিশ্ব যেন চেয়ে চেয়ে দেখে বাংলাদেশে শিক্ষার জলোচ্ছ্বাস ।


২০০৭ ২৫শে জানুয়ারী বাংলাদেশ থেকে সৌদি এসে যেন অন্য গ্রহে এসেছে কথা দুর্নীতি চলে এখানে ও।শতকরা ৬০ জন শ্রমিকের সাথে অন্যায় করা হয় তবে বাংলাদেশী হলে শতকরা ৯০ জন। একটু বেশী কর্মক্ষেত্র থেকে খাতা কলমে , আবাসন সুবিধায়, ট্রান্সপোর্টসশন ,খাদ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক অবিচার করা হয় বাংলাদেশীদের সাথে ।শত কষ্টের প্রবাসী জীবনে একটিই সুখের কথা ভেবে সবাই বলে ভাল আছি খুব ভাল আছি তা হল নিজের পরিবারের সকলের সুখ ,রেমিটেন্সের টাকায় দেশ উন্নতির পথে যাবে এর চেয়ে বড় সুখ কি হতে পারে ?

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে এসএমএস পাঠিয়েছে কথার স্ত্রী ক্ষুধা অনেক বানান ভুল দেখে কথার একটু হাসি পায় ,প্রায় বিভিন্ন দিবসে ক্ষুধার এসএমএস পেয়ে অবাক হয় কথা ।বাবা –মায়ের চেয়ে স্ত্রী কখনো বেশি ভালবাসতে পারে না তাই কথা ক্ষুধার এসব নিছক অভিনয় ছাড়া ভাবতে কিছু ভাবতে পারেনা ।
সালটি ২০২৫ ২রা অক্টোবর ।
আজ খুব সুন্দর করে সেজেছে ক্ষুধা, কয়েকটি রজনী গন্ধা,রঙ্গন ,ঘাস ফুল দিয়ে বানানো একটি তোড়া হাতে নিয়ে রাত ১২ এক বাজতেই কথাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে শুভ জন্মদিন জানায় তার পর বলে চল ছাদে গিয়ে বসি ।কথার ঘুমের ঘোর কাটতে কিছুটা সময় নেয় তার পর তোড়া দেখে ক্ষুধাকে বলে এত বড় গোলাপ আমিত আগে দেখিনি গোলাপ টা কি সুন্দর করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ?

ছাদে বসে বসে কথা তার জীবনের সব গল্প শোনায় ক্ষুধাকে খুধাও তার জীবনের সুখ দুখের গল্প শোনায় কথাকে সেই পুরনো গল্প বাড়বার দুজন দুজনকে শোনায় তবু মন্দ লাগেনা ।কোটি কোটি টাকা আয় করে কথা আজ নিঃস্ব সব টাকা পরিবারকে দিয়ে ও পরিবার থেকে বড় পাওয়া তুই একটি টাকা ও দিসনি জীবন সংগ্রাম করে করে ক্লান্ত কথা কোন প্রতিবাদ করেনি শুধু হিসেব মেলাতে চেষ্টা করেছে আর কত অর্থের ক্ষুধা রয়েছে তার পরিবারের ?
আজ বেশ ভাল আছে কথা, কখনো বর্ষা ,কখনো বসন্ত ,চাঁদনি রাত ,রাজনিতি ,ভালবাসা ইত্যাদি বিষয়ে দুজনে কবিতা লেখে দুজন দুজনের কবিতা পড়ে দুজন দুজনের প্রশংসা করে হাসাহাসি করে ।লুডু খেলতে খেলতে দুজনে ঝগড়া করে আবার মিল হয়ে যায় ।
দেশের যে অবস্থা দুষিত বাতাস,বারুদের গন্ধ,মিছিল মিটিং করার বিনিময়ে এক কাপ চা বা পুলিশের লাথি গুতা খেয়েই ক্ষুধা নিবারন করতে হবে এসব নিয়ে মটেও চিন্তা করেনা কথা আর ক্ষুধা তাদের ধারণা তারাও তো ক্ষুধার্ত মৃত্যুর খাদ্য ।
ক্ষুধা বলে আচ্ছা তুমি তো অনেক বিদেশী অর্থ এই দেশকে দিয়েছ এদেশের সরকার যদি তোমাকে বলে কি উপহার চাও তুমি ?তুমি কি চায়বে ?
কথা সহজেই বলে আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকুরী চাইব ।
ক্ষুধা হাসতে হাসতে বলে এই বুড় বয়সে তুমি সেনাবাহিনীর চাকুরী করবে ?
দুজনে হাসতে থাকে লাফিং গ্যাস গ্রহনের মত হাসি তিন যুগের ও বেশী সময়ের দুঃখ গুল আজ লাফিং গ্যাস হয়েছে ।সুখের অসুখে দুজনে আজ অসুস্থ তাদের এই হাসিটা মনে হয় পার্বতীর হাসিকে হার মানাবে তাদের হাসির শব্দে হাজার হাজার পায়রা্ ফুল ছুঁড়ে ফেলে শকুনের দৃষ্টি বাঁচাতে ।
পাশাপাশি দুটি কবরে তাদের শোয়ান হল হয়তবা কথা মাটিকে অনুরধ করবে ক্ষুধাকে কষ্ট কমদিতে ক্ষুধাও মাটিকে অনুরধ করে বলবেঃ ওকে তো সবাই কুড়ে কুড়ে খেয়েছে তুমি আর খেওনা কিন্তু ক্ষুধার্ত মাটি কি শুনবে তাদের কথা ?
আচ্ছা কবরেও কি এক মুঠো ভাতের জন্য ডাস্টবিনের দিকে চেয়ে থাকতে হবে সেখানেও কি কাক ডাকবে কা কা কা আমাকে খেতে দাও আমি ক্ষুধার্ত আমি খাব ? সেখানেও কি একজন আরেক জনের সম্পদ লুট পাটের নেশায় মত্ত হবে ?ক্ষুধার্ত জলোচ্ছ্বাস কি সুন্দর বনের বাঘের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ? সভ্যতার উপর সভ্যতার ঢালা কবর এই কবরের উপরে্র একটি ক্ষুধা নিবারন বৃক্ষের জন্ম হয়না কেন ? হয়না কেন ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ইয়াসির আরাফাত সময়ের হাতে আমরা বন্ধী ।সকলের মন্তব্য মন দিয়ে পড়েছি ।কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ । গর্ব তে দিঘ লাইন বর্জন করেছি । আমার লেখার সেরা মন্তব্য কারি ৬ জন বিষণ্ণ সুমন বিন আরফান. প্রজাপতি মন Shahnaj Akter সৌরভ শুভ (কৌশিক ) nilanjona nil আপনাদের জন্য একটি বিশেষ ধন্যবাদ । গর্বতে আমি কথা বলি ও সুপ্ত গর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল সবাইকে ।
ইয়াসির আরাফাত আমি গল্প লিখতে পারিনা । কিভাবে ভাল গল্প লিখতে হয় জানা নেই আমার । আপনারা যে আমাকে গ্রহন করেছেন তাই আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ ।
তুহিন অত্যন্ত ভালো লেখক আপনি. চমত্কার লিখেছেন.
খোরশেদুল আলম ভিন্নতায় লেখা গল্প ভালো লাগলো।
নিলাঞ্জনা নীল নিজের জন্মদিনের তারিখ নিয়েই গল্প লিখে ফেললেন! ভালো লাগলো..........
ভালো লাগেনি ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১
ইয়াসির আরাফাত মিজানুর রহমান রানা আপনাকে o ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
ভালো লাগেনি ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১
মিজানুর রহমান রানা আবারও ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
ভালো লাগেনি ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১
ইয়াসির আরাফাত F.I. JEWEL o আনিসুর রহমান মানিক আপনাদের অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১
আনিসুর রহমান মানিক ভালো লাগলো /
ভালো লাগেনি ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১
এফ, আই , জুয়েল # বৈষম্য আর গড়মিলের মিশেলে ভাবনার গভীর স্তর হতে বেদনার বিকাশে সুন্দর গল্প ।।
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১

০৪ আগষ্ট - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী