যত দূরে যাই

কষ্ট (জুন ২০১১)

Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon)
  • ২৬
  • 0
  • ৭৭
মেঘের সাথে আমি আকাশে ভেসে বেড়াই-
রঙ্গিন সুতো দিয়ে আমি যখন ঘুড়ি উড়াই-
আপনার মনে আমি একাকী যে গান গাই,
সুর তাল ছন্দের মাঝে নিজেকে খুঁজিয়া পাই-
আমার মাঝেই আমি আছি যত দূরে যাই।
তুমি বিহনে কিছুই লাগেনা যখন ভালো,
নিঃসীম দূরপানে যখন দেখতে পাই আলো-
আমার মনের গহীনে যে সুধা তুমি জ্বালো-
তার মাঝেই আমি অজান্তে নিজেকে হারাই,
এইতো আমার মাঝে আমি যত দূরে যাই।
সন্ধ্যার শেষ আলোর রঙ আকাশে মিশে যায়,
নীল আর লালে মিশে একাকার হয়ে রয়-
হৃদয়ের মাঝে যে স্বপ্নের রঙধনু রঙ ছড়ায়,
সেই স্বপ্নে বিভোর হয়ে আমি নিজেকে হারাই-
খুঁজে নাও আমায়, এইতো আমি! যত দূরে যাই।
নদীর স্রোত যেমন সদা বয়ে চলে ধাবমান-
তারার আলো যেমন থাকে সর্বদা অম্লান,
বাতাস যেমন নিজ গতিতে থাকে প্রবহমান-
খুশির তোড়ে আমি যখন নিজেই দিক হারাই,
নিজেকে বলি, এইতো আমি, যত দূরে যাই।
ঝড়ের হাওয়ার গাছের পাতায় ওঠে মর্মর ধ্বনি,
আপনার মনে একাকী আমি কান পেতে শুনি-
তোমার প্রতীক্ষায় নীরবে আমি যে দিন গুনি।
কল্পনার আবেশে কখন যে নিজেকে হারাই-
দেখে নাও আমাকে, এইতো আমি, যত দূরে যাই।
বর্ষার মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সব হয়ে যায় আঁধার,
এর মাঝেও আমি স্বপ্ন দেখি আলো আশার-
জানি না হবে কিনা পূরণ সে স্বপ্ন ঘর বাঁধার,
আমার মনের গভীরে আমি যাকে লুকাই-
তাকেই দেখতে চাই আমি, যত দূরে যাই।
গাছের ছায়ায় ক্লান্ত কৃষক করে একটু বিশ্রাম,
অবসন্ন পথিক সেথা খোঁজে সামান্য আরাম-
অনবরত এই ছুটে চলার নেই কোন বিরাম,
সকলের মাঝে শুধু তোমাকেই খুঁজে বেড়াই-
নিরবিচ্ছিন্ন আমি খুঁজে চলেছি যত দূরে যাই।
আঁধার যখন প্রকৃতিতে আসে ঘনিয়ে,
নীরবতা যখন এসে কথা যায় শুনিয়ে-
মনের গহীনে একাকীত্ব ওঠে গুনগুনিয়ে,
চোখ বুজে তখন শুধু তোমাকেই দেখতে পাই,
আমাকে দেখ, এইতো আমি, যত দূরে যাই।
আমি জানি ক্রমশ আমার ফুরিয়ে আসছে সময়,
বলা না বলা কত কথাই যে অগোচরে বাকী রয়-
কালচক্রে জীবন প্রদীপের আলোর হবে ক্ষয়,
জীবন সায়াহ্নেও আমি তোমাকেই দেখতে চাই-
আমার পাশেই থেকো তুমি, আমি যত দূরে যাই।
রাতের পরে আলোর পসরা নিয়ে আসে ভোর,
এখনও কি তুমি বন্ধ করে রেখেছ মনের দোর?
আমি তো তোমার কল্পনাতেই হয়ে আছি বিভোর।
শতবার ডেকেও যদি একবার তোমার সাড়া পাই-
তোমার দুয়ারে দাঁড়ায়ে আমি, যত দূরে যাই।
যদি তুমি আমাকে ভালো নাই বা বাসো-
যদি বা আর কখনও তুমি কাছে না আসো,
ক্ষণিকের তরে একটু দাও তোমার স্পর্শ-
আমার শেষ সময়ে এইটুকু অন্তত চাই,
শুধু তোমার একটু ছোঁয়া, যত দূরে যাই।
মাঝে মাঝে আমি ভাবি দিগন্তের শেষ কোথায়,
আকাশ যেথা মিশে মাটির সাথে, সেথায়?
নাকি যেথা আমি দেখতে পাই তোমায়?
এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমার জানা নাই,
আমি শুধু তোমাকেই জানি, যত দূরে যাই।
পাখির কলকাকলিতে যখন গোধূলি নামে,
নদীর উত্তাল স্রোত যেথা সমুদ্রে গিয়ে থামে-
পথ হারায়ে যখন আমি তাকাই ডানে বামে,
তখন যেন তোমার কাছেই পথের দিশা পাই-
তুমি ধর আমার হাত, আমি যত দূরে যাই।
শ্রাবণে বর্ষা যখন আনে একটু শান্তির পরশ,
অনুরাগের আবেশে আমার চেতনা হয় অবশ,
তোমার কথা ভেবেই কেটে যেত রাত্রি দিবস!
তোমার চিন্তা মনে করে আমি যে সুখ পাই-
বঞ্চিত করোনা আমায়, আমি যত দূরে যাই।
মাঝ রাতে হঠাৎ যদি দেখি ঘুম ভেঙ্গে যায়,
দুঃস্বপ্নগুলো যখন মনটাকেই চূর্ণ করে দেয়,
হত বিহ্বল হয়ে যখন ভাবি এখন কি উপায়-
তখন মনের ভিতর থেকেই আমি সান্ত্বনা পাই,
তুমি যে আছো পাশে, আমি যত দূরে যাই।
বোঝা আর না বোঝার মাঝে আছে বিস্তর ব্যবধান,
অনেক ভেবেও বের করতে পারলাম না সমাধান-
বিপদের কথা ভেবেও হতে পারি না সাবধান,
তুমি পাশে থাকলে কিছুতেই ভয় নাহি পাই-
আমায় ছেড়ে যেও না তুমি, আমি যত দূরে যাই।
অচেনা ঘাটের খেয়া জানে না কই তার গন্তব্য,
অসহায় মাঝি বুঝতেও পারে না কি ছিল কর্তব্য!
অনেক কিছুই জীবনে ঘটে যা নয় মোটেও ধর্তব্য।
তোমার সাহস পেলে আমি সব বাঁধা উতরে যাই-
আমায় সাহস দিও তুমি, আমি যত দূরে যাই।
জানি একাকীই বাকী পথ চলতে হবে আমায়,
অনর্থক আর ডেকে কষ্ট দিতে চাই না তোমায়,
আমার যে খুব দ্রুত ফুরিয়ে আসছে সময়-
শেষ মূহুর্তেও যে আমি তোমাকে দেখতে চাই,
তুমি থাকবে তো পাশে? আমি যত দূরে যাই!
সামান্য সময় যদি তুমি আড়াল হও চোখের,
আমার মনকে গ্রাস করে চিন্তা সবই দুঃখের,
স্বস্তি পাই যখন কোন কথা শুনি তোমার মুখের!
শেষ বেলায় যেন আমি তোমার কথা শুনতে পাই-
এই অনুরোধটা রেখ, আমি যত দূরে যাই।
আমার কথাগুলো জানি না থাকবে কিনা স্মরণে,
যদি থাকে তবে যে আমি সুখী হব মরণে-
প্রতি মূহুর্তে আমি যে মরে বাঁচি হৃদয় ক্ষরণে!
তোমার স্মৃতির পাতায় কি একটু মিলবে ঠাঁই?
বেশী না, এইটুকুই চাই, আমি যত দূরে যাই।
মেঘে মেঘে যে অনেক বেড়ে গেল বেলা,
এরই মাঝে জীবন করে নিলো কত নিষ্ঠুর খেলা,
অসহায় আমি মাঝ সমুদ্রে ভাসাই ভেলা!
বহুদূরে গিয়েও আমি কূলের দেখা নাহি পাই-
কেউ ডাক দিলো না আমায়, আমি যত দূরে যাই।
রাতের আকাশে কখনও যদি দেখো সন্ধ্যাতারা,
জানি না তখন আমার কথা মনে করবে কারা,
আমার কোলাহলে হয়ত বিরক্ত হত যারা!
সকলের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই,
মরতে দিও না আমায়, আমি যত দূরে যাই।
রাতের আঁধার যখন আসবে ভোর হয়ে,
তখন আমি থাকবোনা তোমাদের মাঝে রয়ে!
স্মৃতির পাতা থেকেও আমার কথা যাবে ক্ষয়ে-
তখন যদি আমি আর কারো দেখা না পাই,
তুমি একবার খোঁজ নিও, যত দূরে যাই।
আমার শৈশবের খেলার সাথী ছিল যারা,
জানি না আজ কোথায় হারিয়ে গেছে তারা-
ভালো লাগে পুরানো দিনের কথা মনে করা।
শৈশবের সেই দিনগুলো আবার ফিরে চাই-
তুমি যদি পার ফিরায়ে এনো, যত দূরে যাই।
বহুবার চেষ্টা করেও যে কথা হয়নি বলা,
তোমার মনের দরজাটা যে আমি পাইনি খোলা,
উঁকি দিয়েও নাগাল পেলাম না মনের জানালা!
মন চায় আমার একবার তোমায় ডেকে শোনাই,
আমি তোমাকে ভালবাসি, আমি যত দূরে যাই।
হয়ত তুমি বুঝতে পারোনি আমার ভালবাসা,
বুঝতে পারোনি তোমাকে নিয়ে আমার কত আশা!
ভেবেছিলাম তোমাকে নিয়ে বাঁধবো সুখের বাসা!
আমার বাসনার মাঝে আমি নিজেকেই হারাই-
আমাকে ছেড়ে যেও না, আমি যত দূরে যাই।
যখন আমি বোধ করতাম সীমাহীন শূন্যতা-
তোমার দেখা পেলেই আমি যে পেতাম পূর্ণতা।
তোমাকে একটু দেখার জন্য তৃষিত অন্তরাত্মা!
তোমার পানেই তো আমি ফিরে ফিরে চাই-
আমার পাশে তুমি থেকো, আমি যত দূরে যাই।
কালবৈশাখী ঝড়ের মত তোমার আসা যাওয়া,
কভু হবেনা পূরণ জানি তোমায় কাছে পাওয়া-
জানি সম্ভব হবে না আমাদের মন দেয়া নেয়া!
আমরণ আমি তোমাকেই ভালবাসতে চাই-
একটু ভালবাসা দিও আমায়, যত দূরে যাই।
কখনোও বা ছিন্নভিন্ন হয়ে যত আমার হৃদয়,
তুমি অন্তত: আমার প্রতি হয়ো না নির্দয়!
হাসিমুখে শেষবারে আমায় দিও বিদায়।
তোমার হাসিমুখ দেখেই আমি চলে যাই-
জানি না কি সেই গন্তব্য, যত দূরে যাই।
তোমাকে নিয়ে কল্পনা আমি গেঁথেছি ছন্দে,
কল্পনার জাল বুনে গিয়েছি অপার আনন্দে-
তোমাকে ভালবাসায় কভু ছিলাম না দ্বিধাদ্বন্দ্বে।
সেসবের কিছু কথা আমি গোপনে লিখে যাই,
তুমি পড়ে নিও তা, আমি যত দূরে যাই।
আমি যখন গেয়েছিলাম ভালবাসার সেই গান,
তুমি কি দেখো নাই তোমার তরে আমার টান?
ক্ষণিকের তরেও যাকে হতে দেইনি আমি ম্লান,
তোমার চোখে আজ আমি কিসের আভাস পাই?
তাচ্ছিল্য করোনা আমায়, যত দূরে যাই।
যদি তুমি তাকিয়ে দেখতে আমার চোখে-
দেখতে পেতে তাই যা বলতে পারিনি মুখে!
আজ তাই বুক ফেটে যায় না বলার দুঃখে।
সম্ভব হবে না জেনেও আমি আজ বলতে চাই,
তুমি শুধুই আমার! আমি যত দূরে যাই।
ভালবাসা যা ছিল আমার ভাবনার অতীত,
আজ আর তার হবেনা কোনই বিহিত!
রবেনা আমাদের মাঝে কোন পথিকৃৎ!
তোমার হাত ধরে আমি এগিয়ে যেতে চাই,
এসে ধর এই হাত, আমি যত দূরে যাই।
সমুদ্রের ঢেউ এর মত তোমার সেই চঞ্চলতা,
অথচ মায়াবী চোখের গভীরে ছিল সরলতা!
প্রতি মূহুর্তে আমি দেখতাম তোমার উচ্ছলতা।
শেষ পর্যন্ত যেন তোমায় এমনই দেখতে পাই,
এমনটিই থেকো তুমি, আমি যত দূরে যাই।
খেলা করে আলো-ছায়া প্রভাতের নব কিরণে,
আমার মাঝেই আমি নেই, তুমি বিহনে!
বারংবার দগ্ধ হই আমি অন্তর দহনে!
নিজের দিকে তাকাবার সময় যে আর নাই,
শুধু যে তোমাকেই দেখি, যত দূরে যাই।
তুমি যে মিশে আছ আমার বিশ্বাসে-
তুমিই তো যাও আসো আমার শ্বাস প্রশ্বাসে!
তোমার কথাই আসে মনে প্রতিটি আশ্বাসে।
প্রতি হৃৎস্পন্দনে আমি তোমার দেখা পাই,
প্রতি নিঃশ্বাসেই তুমি, আমি যত দূরে যাই।
তুমি জুড়ে আছো আমার অদেখা ভুবন,
শুধু তোমাকে সাথে করে যা করেছি সৃজন!
তোমার জন্য রয়েছে যেথা পাখির কূজন।
আমি তোমাকে সেই ভুবনে নিয়ে যেতে চাই-
যাবে তো তুমি? আমি যত দূরে যাই?
কথা বলতে বলতে যখন তুমি হও নীরব,
ভালো লাগে শুনতে তোমারই কলরব-
তুমি ছিলে আমার জীবনের বড় গৌরব।
অন্তিম কালেও যেন তোমার কথা শুনতে পাই,
বলোনা একটু কথা, আমি যত দূরে যাই।
ভুল ত্রুটি নিয়েই চলে যায় আমাদের জীবন,
তারই মাঝে রয়ে যায় ভালবাসার কিছু ক্ষণ।
তোমাকেই আমি ভালবেসেছি দিয়ে প্রাণ মন।
এখন যদি একটু তোমার ভালবাসা আমি চাই,
দেবে তো আমায়, আমি যত দূরে যাই?
শরীরে ধীরে ধীরে জমে উঠেছে যে ব্যাধি,
ক্রমশ যা কমিয়ে এনেছে জীবনের পরিধি-
একদিন যা আমাকে দেখিয়ে দেবে সমাধি!
এটাই আমার নিয়তি যা এখন দেখতে পাই-
তুমি দূরে যেও না আমি যত দূরে যাই।
তুমি যে ছিলে আমার ছোট্টবেলার সাথী,
সুখ দুঃখে আমরা ছিলাম দুজনের সমব্যথী!
আমাকে চলে যেতে হবে ছিন্ন করে ছায়াবীথি!
আমি যে সবাইকে হাসিমুখে দেখে যেতে চাই-
তুমি একটু হাসবে তো? আমি যত দূরে যাই?
আঁধার! আমার জীবনে ঘনিয়ে এসেছে আঁধার!
হয়তো সময় পাবো না অতিক্রম করা বাঁধার-
সকলকে ছেড়ে বরণ করতে হবে মৃত্যু উপহার!
স্পষ্ট বুঝতে পারছি, সময় যে বেশী আর নাই,
বাঁচতে পারবো না আমি, যত দূরে যাই!
যদিও তোমরা করতে চেয়েছিলে গোপন,
কারণ তোমরাই যে আমার সবচেয়ে আপন!
তোমাদের কাছে মূল্যবান ছিল আমার জীবন।
শেষ বিদায়ে তোমার একটু কাছে থাকতে চাই,
একটু ধর আমার হাত! আমি যত দূরে যাই।
তুমি ছিলে আমার ভালবাসার শুরু থেকে অন্ত,
তুমি ছাড়া আমার ভালবাসার পাবে না দিগন্ত-
তোমার কাছেই আছে যে ভালবাসার শেষ প্রান্ত।
যদি পার তবে ভালবাসার তরে দিও একটু ঠাঁই,
তোমার ভালবাসা নিয়েই মরবো, যত দূরে যাই।
যে কথা আমি তোমাকে বলে চলেছি বারংবার-
চেষ্টা করেও যার করতে পারি না উপসংহার!
তোমার তরেই করতে পারি জীবনের সংহার।
তুমি ছাড়া আর কার কাছে পাবো আমি লাই-
তুমি শুধুই আমার, আমি যত দূরে যাই।
তোমাকে ছাড়া আমাদের জমতো না কোন আসর-
যদিও আমাদের জীবন ছিল সুখ দুখের দোসর!
আর কভু সাজবে না আমার কল্পনার বাসর।
তবুও কিছু সুখের স্মৃতি আমি সঙ্গে নিতে চাই,
ওটাই হবে আমার পাথেয়, যত দূরে যাই।
তোমাকে নিয়ে ভাবনায় আমার কেটে যেন দিন-
কখনোও ভাবতে পারিনি আমি হব তুমি বিহীন।
তোমাকে না দেখতে পাওয়ার কষ্ট ছিল সীমাহীন।
না চাওয়া সত্ত্বেও সেই কষ্টই কেন আমি পাই?
এর কি হবে না শেষ? আমি যত দূরে যাই?
তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাই ছিল আমার প্রেরণা,
কত ভালবাসি তোমায়, করতে পারবেনা ধারণা।
ভালবাসার অভিনয় করে, করোনা আমায় করুণা।
সত্যিই ভালবাসো কিনা, সেটাই আমি জানতে চাই-
জানি জানা হবে না আমার! যত দূরে যাই।
মানুষ চলে গেলেও থেকে যায় তার ছায়া-
আমি যদি ছায়া হই, তবে তুমি যে ছিলে কায়া!
আমাকে চলে যেতে হবে যে ছিন্ন করে সব মায়া,
তুমি ছাড়া আমার নিজের তরে ভাবনা কিছুই নাই,
একবার ফিরে দেখো তুমি, আমি যত দূরে যাই।
কত আনন্দে ভরা ছিল আমাদের এই প্রাঙ্গন,
তুমি একে ধরে রেখ, হতে দিও না ভাঙ্গন।
সুখ আর সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক তোমার অঙ্গন।
এক মাঝেই একদিন দেখতে পাবে আমি নাই,
তোমাদের ছেড়ে অনেক দূরে, যত দূরে যাই।
তোমার আর আমার মাঝে যে অদৃশ্য প্রাচীর-
আমাদের ভালবাসা তাতে ধরাতে পারতো চীড়।
সেটা দেখার আগ্রহে যে আমি ছিলাম অধীর!
আমার সব স্বপ্নগুলো অকালে পুড়ে হল ছাই-
ভস্মীভুত হল সব আশা! যত দূরে যাই।
তোমাকে নিয়ে বাঁধা হলো না সুখের সংসার,
আমার ভালবাসায় ঘনায়ে এল যে আঁধার-
হয়ত এটাই ছিল আমার ভালবাসার উপহার।
আজ আমি বড় নিঃস! আমার যে কিছুই নাই,
শুধু এই কবিতাটা রইল। আমি যত দূরে যাই।
কখনও কি তাকিয়ে দেখছ আমার মনের ভিতর?
তুমি কি ভেবেছ আমি হৃদয়হীন এক পাথর?
ভালবাসার কাঙ্গাল হয়ে জীবন সায়াহ্নে আমি নিথর!
আমার অন্তিম সময়ে ভালবাসা দেবার যে কেউ নাই,
ভালবাসার ভিখারি ছিলাম আমি, যত দূরে যাই।
আমি আমার ভিতরে পোষণ করেছি যে সত্ত্বা-
আমি, আমার হৃদয় এবং আমার অন্তরাত্মা,
কিছুই তোমার ভালবাসার কাছে পেলনা পাত্তা।
তোমার প্রতি আমার বিন্দুমাত্রও অভিযোগ নাই,
হোকনা তা একপেশে ভালবাসা, যত দূরে যাই।
ভেবোনা আমার ভালবাসায় আমি স্বার্থপর,
স্বার্থের খাতিরে ভেবোনা বাছবো আপন পর,
যদিও বা পুড়ে শেষ হয়ে যাক আমার ভিতর।
আগুনে পুড়লে সব কিছু হয়ে যায় ছাই!
আর অন্তর দহনে? আমি যত দূরে যাই।
সূর্য্যের আলোয় যেমন থাকে প্রখরতা-
চাঁদের আলোয় যেমনি থাকে কোমলতা,
তেমনি আমার ভালবাসায় ছিল তীব্রতা।
আমার ভালবাসা তুমি কখনোই দেখো নাই-
তবুও অনুযোগ নেই, যত দূরে যাই।
আমার এই কবিতাটা নয় কিছু বিচ্ছিন্ন প্রলাপ,
অথবা নয় মিথ্যা ভালবাসার অসংলগ্ন আলাপ!
হৃদয় নিংড়ে বেরিয়ে আসা কিছু কিছু কথা-
কিছুটা তারি বহিঃপ্রকাশ, আর কিছুটা ব্যথা।
শত সহস্রবার বলেও যা করতে পারবোনা শেষ,
ভালবাসি তোমায়, আজ আর নেই কোন দ্বেষ।
নিজের অজান্তে যদি কভু দিয়ে থাকি আঘাত,
ক্ষমা করে দিও আমায়, করোনা অভিশম্পাত।
অনেকবার চেষ্টা করেও বলতে পারিনি তোমায়,
বড় বেশী ভালবাসতাম বলে বুঝোনি তুমি আমায়।
রিক্ত হাতে শূন্য হয়ে আজ নিতে হচ্ছে বিদায়-
আমাকে ভালবাসা দিলো না! জীবন বড় নির্দয়।
মনে পড়ে? তুমি চেয়েছিলে তোমার চিঠির উত্তর?
এটাই সেটা! যা কিছু বলে দিলাম এর ভিতর।
যখন তুমি পড়বে এটা, তখন আমি যে বহুদূরে-
ভালবাসা ফেরত চাইতে আসবোনা আমি ফিরে।
তোমায় আমি ভালবেসেছি শত মানুষের ভিড়ে-
সেই কথাই বলে দিলাম, আমার হৃদয় ছিঁড়ে।
আমার সময় ফুরালো, আমি এইবার বিদায় চাই-
তোমাদের মাঝেই থাকবো আমি, যত দূরে যাই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) @সৌরভ শুভ (কৌশিক ) : পাবেন ভাই! যাব আর কি? ধন্যবাদ আপনাকে.
সৌরভ শুভ (কৌশিক ) যত দূরে যাই,tobu tomakei pai /
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) @খোরশেদুল আলম: আপনি যে পুরোটা পড়েছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই!
খোরশেদুল আলম অনেক বড় কবিতা অনেক কষ্ট করেলিখেছেন, একটু সময় নিয়েপড়তে হয়েছে, ভালো লিখেছেন।
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) @Khondaker Nahid হোসাইন: খুব ভালো লাগলো তোমার সুন্দর পরামর্শ. অবশ্যই আমি ঐভাবেও লেখার চেষ্টা করব ভাই. পরবর্তিতে তোমার কথা মাথায় রেখে লিখব যেমনটি বলেছ ভাই.
খন্দকার নাহিদ হোসেন ভাইয়া, আপনার মাঝে কবিত্ব আছে তাতে কোন সন্দেহ নাই কিন্তু আপনার কাছ থেকে এক্সপেরিমেন্ট চাই। আপনার সবগুলো কবিতাই লাইন এ লাইন এ মিলিয়ে লেখা। আপনি চাইলেই কিন্তু ছন্দের অন্য কোন ফরম্যাট এ লিখতে পারেতেন। সামনে গদ্য কবিতাও চাই।
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) @আহমেদ সাবের: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য. বড় কবিতা লেখা হয়ত আপনার কাছে সময় আর প্রতিভার অপচয় মনে হয়েছে কিন্তু আমার কাছে তেমন কিছু মনে হয় নাই. আর বিশেষ করে এই কবিতাটা লেখার পিছনে আমার অন্য একটা কারণ আছে. এই কবিতাটা আমি আমার একটা উপন্যাস এ উল্লেখ করতে চাই আর এটার প্রেক্ষাপট ওই উপন্যাস কে কেন্দ্র করে. আজকাল কে কি লিখল বা কেউ বড় লিখে না ছোট কবিতা লিখে সেটা নিয়ে চিন্তা করলে তো আর আমার সাহিত্য করা কোলে না. কাজী নজরুল ইসলাম জোখন বিদ্রোহী কবিতা লিখলেন তখন তো উনাকে বলা হয় নাই যে আপনার প্রতিভার অপচয় হলো বা এত বড় কবিতা এখন কেউ পরে না, তাই না? আমার লেখার পিছনে নিশ্চিত ভাবে আমার যুক্তিও আছে. আশাকরি বুঝতে পারছেন?
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) @আবু ওয়াফা মোঃ মুফতি: onek dhonnobad aponake
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) @মোঃ শরীফুল ইসলাম শামীম: dhonnobad

০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৭৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪