আমি তাদের কথা বলতে এসেছি

নতুন (এপ্রিল ২০১২)

Nazrul Islam Delwar
  • ১০
  • ১৯১
আমি আজ তাদের কথা বলতে এসেছি,
নালিশ জানাতে এসেছি মানবতার কাছে।
কী মধুর গান করে কোকিল ঐনা গাছের ডালে,
কেন আমরা বিকৃত করি তার ঐ সুরটাকে?
কুকুর অতন্ত্র প্রহরী থাকে সারা রাত জেগে,
সকাল বেলা তাকে কেন মারি ঝাটা দিয়ে?
নদী আমাদের জল দেয় বাঁচার প্রয়োজনে,
কেন আমরা বিষমিশিয়ে মাছকে ফেলি মেরে?
শস্য শ্যামল সবুজে ঘেরা রূপসী এ বাংলা যে,
গাছ কেটে দুযের্াগ এনে কেন শসান করল এ বাংলাকে?
আমি আজ তাদের কথা বলতে এসেছি,
যারা বঞ্চিত নিস্পেশিত এ সমাজ থেকে।
আমি আজ তাদের কথা বলতে এসেছি,
যারা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এনেছে স্বাধীনতা।
আমি আজ তাদের কথা বলতে এসেছি,
যারা অস্ত্র হাতে নিয়েছিল অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থানের জন্য।
আমি আজ নালিশ জানাতে এসেছি,
মানবতার দরবারে, মানবতার বিবেকের কাছে।
কোথায় আজ সেই সকল মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনা,
যারা অস্ত্র হাতে নিয়ে স্বাধীন করেছিল এ দেশটা।
আজ কেন তাদের হাতে ভিক্ষার ঝোলা,
কে? কে? কে দিবে এ প্রশ্নের উত্তর?
আজ কেন এ বাংলায় মানবতার আত্নচিৎকার?
অন্ন চাই,বস্ত্র চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই।
আজ আমি তাদের কথা বলতে এসেছি,
যারা একমুঠো অন্নের জন্য ঘুরে বেড়ায় দাড়ে দাড়ে।
আমি আজ তাদের কথাই বলতে এসেছি,
যারা স্বপ্ন দেখেছিল এ দেশটা সোনার বাংলা হবে।
আজ আমি মানবতার দরবারে নালিশ জানাতে এসেছি,
আজ সোনার বাংলায় কেন শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের হুংকার।
জনসেবার নামে কেন চলছে অন্যায়,অত্যাচার,
অকালে কেন ঝড়ে পরছে তাজা নবীন প্রান।
আমি আজ তাদের কথা বলতে এসেছি,
যারা গরীবের রক্তচুষে গড়ছে সম্পদের পাহাড়।
সহায় সম্বলহীন হয়ে ধুকে ধুকে মরছে কত মানুষ
অন্ন নেই,বস্ত্র নেই, মায়ের বুকে দুধ নেই,
এরই নাম সোনার বাংলা, এরই নাম স্বাধীনতা।
আমি আজ তাদের কথা বলতে আসিনি,
যারা একাত্তুরে দেশটাকে করেছিল শসান।
কী বিভৎস, কী নরকীয় হত্যাযজ্ঞ করেছিল সেদিন,
কত মা-বোনের ইজ্জত লুটে নিয়েছিল হায়নার দল।
আমি আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে আসিনি,
লক্ষো প্রানের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজে পতাকা
আজ উড়ছে যুদ্ধাপরাধীর গাড়িতে; ছি! কী লজ্জা এ জাতির।
হায়রে দুভর্াগা দেশ! হায়রে দুভর্াগা জাতি,
তোর ললাটে তিলক এঁেক দিল ঐসব যুদ্ধাপরাধী।
আমি আজ তাদের কথা বলতে আসিনি
এসেছি আজ ওদের কবর রচনা করতে,
ঐ সব নরঘাতক হায়নার ফাঁসি হোক
এই বাংলার মাটিতে, জনতার আদালতে।
আমি আজ আমার কথা বলতে আসিনি
আসিনি বাংলার মানচিত্রটাকে পাল্টে দিতে,
আমি আজ এসেছি জনতার আদালতে
ক্ষমা চাইতে;বাংলামায়ের অযোগ্য সনত্দান বলে।
আমি আজ তাদের কথা বলতে এসেছি
বলতে এসেছি সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আত্ত্বচিৎকার,
এ দেশের জন্যই কী আমরা দিয়েছিলাম প্রান
হারিয়ে ছিলাম মা-বাবা,ভাই-বোন,স্ত্রী-সনত্দান।
এই কী আমার সোনার বাংলা; এই কী বাঙ্গালী জাতি,
আজ জনতার আদালতে; মানবতার কাছে প্রশ্ন রাখি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাহবুব খান দেশপ্রেম এর কবিতা /ভালো লাগলো / ৫ দিলাম
সেলিনা ইসলাম কে দেবে উত্তর ? জানা নেই... প্রশংসিত চেতনাবোধ -শুভেচ্ছা কবি
Lutful Bari Panna অনেক সচেতন কলম আপনার...
আশিক বিন রহিম comot kar kobit , caiful korim viyer sathe akmot
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি হাজারো কেন এর ভিড়ে কবিতার বক্তব্য ভালো লাগল.....নজরুল আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ.........মূল্যায়িত হলেন.......
Sisir kumar gain ধন্যবাদ কবি। আপনার সাথে সাথে আমারও একই প্রশ্ন।শুভ কামনা কবিকে।
জাফর পাঠাণ স্বাধীনতার চার যুগ পার হতে চললো বলে,অথচ কবিতায় উল্লেখিত সমস্যাগুলি অক্টোপাশের ন্যায় আকড়িয়ে ধরছে।দায়ী কারা ?যারা এতদিন রাষ্ঠ্র পরিচালক ছিলো তারা।যুদ্ধাপরাধীদের যারা ক্ষমা করেছে আর যারা প্রশ্রয় দিয়েছে, তারা।সত্যের ঝান্ডাধারী হলে কলম ধরতে হবে এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে।ধন্যবাদ মৌলিক স্বাধীকারের পক্ষে কলম ধরার জন্য।
সাইফুল করীম আমি আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে আসিনি, লক্ষো প্রানের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজে পতাকা /আজ উড়ছে যুদ্ধাপরাধীর গাড়িতে; ছি! কী লজ্জা এ জাতির।--যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে যা কিনা বিচারিক কার্যক্রম দেখে যে কেউ বুঝতে পারবে। কিন্তু এমন হবার কথা ছিল না। কবির মত আমরা সবাই চাই দৃষ্টান্ত মূলক বিচার হোক ঐ নরপশুদের। কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতি আর ব্যক্তিস্বার্থের কাছে নিজেদের জলাঞ্জলি দিয়েছি আমরা সবাই। আর সেই কারণেই গোলাম আজমের মত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা আজ কারাবাসের নামে হাসপাতালে মুরগির মাংস খায়, অনেকের বিরুদ্ধে সাক্ষী পর্যন্ত খুজে পাওয়া যায়না। যারা এই বিচারের নামে মূলো ঝুলিয়েছে বুমেরাং হয়ে একদিন তাদের ঘাড়েই পরবে। ধন্যবাদ কবিকে এমন ১টা কবিতা উপহার দেবার জন্য। শুভ কামনা।
সালেহ মাহমুদ UNION ALL SELECT NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL# বাহ্‌ চমৎকার লিখেছেন তো। আমি খুব আপ্লুত। তবে কিছু বানান ভুল রয়ে গেছে সেদিকে নজর দিবেন। যেমন- দাড়ে দাড়ে=দ্বারে দ্বারে; প্রান=প্রাণ; ধুকে ধুকে=ধুঁকে ধুঁকে; লক্ষো=লক্ষ; আত্ত্বচিৎকার=আর্তচিৎকার। এ রকম আরো কিছু ভুল থাকতে পারে। আর কবিতার চেতনার ব্যাপারে বলবো- এখন সময় এসেছে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের ধরে এনে/খুঁজে বের করে (প্রয়োজন হলে বঙ্গবন্ধু-ইন্দিরা গান্ধীর শিমলা চুক্তি বলে ঘোষিত ক্ষমা বাতিল করে হলেও) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা। অহেতুক রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য কাউকে নির্বি চারে যুদ্ধাপরাধী বলে ঢাকঢোল পেটানো বন্ধ করা উচিত।সাথে সাথে এই মুহূর্তে প্রয়োজন বর্তমান সময়ের দাবী ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের সাথে বিএসএফ এর কুকুর বিড়ালের মতো আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। ক্ষমতাসীনদের নতজানু বৈদেশিক নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। নচেত আমাদের দেশপ্রেম মেকি বলে প্রমাণিত হবে। প্রমাণ হবে আমরা ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে বৃহত্তম জাতীয় স্বার্থকে বিক্রি করে দিতেও প্রস্তুত। যার সূচনা হয়েছিল পলাশীর আম্রকাননে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ মহৎ অনুভূতির সুন্দর ও সাবলীল প্রকাশ। ভাল লাগলো খুব। শুভকামনা কবি।

০২ আগষ্ট - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "নগ্নতা”
কবিতার বিষয় "নগ্নতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মে,২০২৪