অল্প না বয়সের ছকিনা ছেরি আমার মনটা ক্যান করলি চুরি... গানটা শেষ না করেই থেমে যায় আবুল।এলাকার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন শাহেবের ছোট শালা সে।দুলাভাইয়ের ক্ষমতার জোরে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করাই তার কাজ। তার চোখ এখন আটকে আছে ভিজা কাপড়ে হেটে আসা এক নারির দিকে। লোলুপ দৃষ্টিতে সে ভিজে কাপড়ে থাকা নারি দেহের সৌন্দর্য প্রাণপণে উপভোগ করে। মনে চলতে থাকে অশ্লীল কল্পনা। নারীটির পথ আগলে ধরে সে জিজ্ঞেস করে, - ক্যাডা গো তুমি সুন্দরি? চমকে গিয়ে নির্বিকার ভাবে উত্তর দেয় -আমি সালামের বউ,আলেয়া। -সালাম দুবাই গেছে না? -হ -বাড়িত অখন কেডা কেডা থাহ? একটা চোখ বন্ধ করে অশ্লীল ইঙ্গিত দেয় আবুল। -আমি আর আমার শাশুড়ি। মনে মনে আবুল বলে হালা, বুড়ি মাতারি অহনো মরে না ক্যান সাথে সাথে সে বলে, -তোমার মরদ তো বাইরে ,কোন কিছু লাগলে কইয়ো,আমার আবার নরম মন।কেউ বিপদে পড়লে ছুপ থাকবার পারি না। লোকের চিন্তায় আমার ঘুম আহে না -লাগলে কমু নে।বাড়িত যাই।কাম আছে। আলেয়া দ্রুত হেটে চলে যায়। আবুল এক মনে তাকিয়ে থাকে পথের দিকে।আপন মনে বলে উঠে , হালি জব্বর মাল। পরের দিন আবুল আলেয়াদের বাড়ির সামনে দারিয়ে থাকে।আলেয়া গোছল করতে গেলে সে পিছু পিছু যায়।ফেরার পথে আলেয়া কে বলে -বুঝলা,আমি তো বুঝি,উপায় নাই স্বামী বিদাশ,কুনো সমস্যা,নাই আমি তো তোমার পাছে আছি।রাইতে বাড়ির পিছকুলে আইয়ো। হতবম্ভ হয়ে যায় আলেয়া।কি বলবে সে।তারপর সাহশ জুগিয়ে বলে -ভাই,আমার পথ ছাড়েন।বাড়িত জামু। -হইতে চাই ছাইয়া,কও ভাইয়া...জাউজ্ঞা -দেহেন আমি কিন্তু চিল্লান দিমু। হুমকি শুনে আবুল চুপসে যায়।পরক্ষনেই বলে উঠে, -স্বামী বাইরে বইলা এর ওর লগে ফস্তি নসটি করছ আর আমি কইলে দোষ।এইদা আমার এলাকা এইখানে থাকতে হইলে আমার কথা শুনন লাগব। আলেয়া আবুলকে কষে চড় মারল। সে ভীত হয়ে দ্রুত বাড়িতে ছলে আসে। প্রতিশোধের আগুনে জলতে থাকে আবুল। তার অনুগত লোকজন দিয়ে গ্রামে ছড়িয়ে দেয় আলেয়ার নামে খারাপ কথা। চেয়ারম্যান দুলাভাইকেও বলে প্রতিশোধের কথা। এলাকার মৌলানা সাহেব কে নিজ দলে টেনে নায় সে।
আলেয়ার শাশুড়ির ডাক পরে চেয়ারম্যান বাড়িতে। চেয়ারম্যান সাহেব তাকে তার পুত্রবধুর নামের নালিশ বলেন। -বুঝলা সালামের মা, সমাজে ছলি আমরা। সবার ভালমন্দ দ্যাখতে হয়। তোমার বউয়ের কিচ্ছা কাহিনি তো কানে আইল,দেহ তুমি কি করবা? চেয়ারম্যান সাহেবের কথা শুনে খিপ্ত হয়ে আলায়ার শাশুড়ি বাড়িতে ফিরে এশে আলেয়াকে মারধর করেন। পরের দিন আলেয়া কে আবারো কুপ্রস্তাব দ্যায় আবুল।কাজ না হলে দেখে নেবার হুমকি দ্যায় সে।
তারপরও আলেয়া রাজি হয়না।গ্রামের শবাই তাকে ছি ছি করতে থাকে।সুযোগ বুঝে চেয়ারম্যান সাহেব আলেয়ার নামে বিছার ডাকেন। চেয়ারম্যান সাহেব বিচার সভায় মৌলানা কে নিয়ে উপস্থিত হন। -আজকালকার মাইয়া সাওয়াল জা হইছে হুজুর কি কমু,স্বামী বিদাশ বইলা এর ওর লগে ফস্তি নসটি কইরা আমাগো সমাজটারে নস্ত করতাছে অই মাগিটা।হুজুর আপনি কিছু কন। হুজুর তার দারি চুল্কাতে চুলকাতে বলেন -নাউজুবিল্লাহ,অই মাইয়ারে ২০ খান দোররা মাইরা মাথা কামাইয়া এলাকারতন বাইর কইরা দেন। হুজুর ফতয়া দেয়ামাত্র বাদিনির কথা না শুনে শাস্তির পালন হয়।নিরেপরাধ আশহায় নারির কথা কেউ শনে না।তার চোখের পানি কারো অনুকম্পা পায় না। পরেরদিন তার লাশ পাওয়া যায়,পাশে পরে থাকে কিটনাশকের বোতল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ্নাজ আক্তার
এই সমস্ত অবিচার ,, আমি কখনো সয্য করতে পারিনা ,, কিছু না করতে পারার জন্য বুকের মধ্যে ঝড় উঠে ,, শুধু মনে হয় ,, কেন ? কেন এমন হয় ? মানুষ হয়ে কি করে আরেকজন মানুষকে এত কলুষিত করতে পারে ? যাই হোক তুমি ভালো লিখেছ ..............
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।