ক্ষুধার তাগিদে যে শিশুটি অন্ন খুজে আস্তাকুড়ে, আমার রক্ত কি তার চেয়ে বেশি লাল? ক্ষুধার্তের ক্রন্দনে যে বাতাস ভারী হয় পৃথিবীজুড়ে, সেখানে কেন থামে না আমার স্বার্থপর মহাকাল? পৃথিবীতে আছে তার সমান অধিকার, যে এসেছে মানুষ হয়ে পৃথিবীর পরে, তবু কেন মারা যেতে হয় হয় মানুষকে ক্ষুধা বৈষম্য আর দারিদ্রের প্রকোষ্ঠে? যে অপিত্রতার অপরাধে তাকে মারা যেতে হয় অনাদরে, আমার জন্ম কি তার চেয়ে বেশি পবিত্র? জানি না রীতি, মানি না নীতি, বুঝি না যে ধর্ম; বাঁচার তাড়নায় দিয়েছি শুধু ঈশ্বরের পুনর্জন্ম। পাপ পুণ্যের হিসেবে যখন ব্যস্ত থাকে ভাগ্যবিধাতা, পার্থিব সমতলে তখন কাঁদে আমার বিবর্ণ মানবতা। বিশ্বমাতার ক্রন্দনে আজ গাই না আমি সাম্যের গান, বৈষম্যের এই পৃথিবীতে কি হয় আর সুরের ঐকতান? একই জন্মে, একই বাতাসে, একই ক্ষুধায়, একই আলোতে, তবুও যে পৃথিবী বাঁচতে শেখায় যুদ্ধে, মারতে শেখায় জন্ম,বর্ণ,ধর্মের ভেদে , শেষে কি একই সমতলে মেলেনা সবাই একই রুপের মৃত্যুতে?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মনির খলজি
ক্ষুধাকাতুর মানুষের কথা বলা হয়েছে, শোষক ও শোষিতের বিবর্ণ চিত্র এ কবিতায় সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে......খুব সুন্দর একটা কবিতা ....কিন্তু কেন যে এত কম পড়া হয়েছে বোধগম্য নয় !! ...কবির এগিয়ে চল ......শুভকামনা রইল ।
সূর্য
দেখতে ভাল না লাগলেও কবিতার তাল ঠিকই বুঝা যায়, অন্তত আমরা যারা টুকটাক লিখি তাদের অসুবিধা হবার কথা নয়। কবিতা অনেক অনেক ভাল লেগেছে [[তবে কবিতায় স্ব-বিরোধী কিছু কথা রয়েছে>>>জানি না রীতি, মানি না নীতি, বুঝি না যে ধর্ম;//বিশ্বমাতার ক্রন্দনে আজ গাই না আমি সাম্যের গান,///তবুও যে পৃথিবী বাঁচতে শেখায় যুদ্ধে, মারতে শেখায় জন্ম,বর্ণ,ধর্মের ভেদে>>>> এগুলো মানুষ একান্তই নিজের স্বার্থ আদায়ে এবং সংরক্ষণে করে থাকে।]]
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।