বাঙ্গালীপনা

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

মামুন ম. আজিজ
  • ৫৪
  • 0
  • ১৫০
দলছুট পিঁপড়াটা দিশেহারা হয়ে ঘুরেছে কিছুক্ষণ, আমি চারপাশে তার এঁকেছিলাম
একটি পানির বলয়, সাময়িক বন্দিত্ব। তুচ্ছ বাঁধা-তার কাছে যেন হিমালয় ক্ষণিক, সে
নিজেও তো তুচ্ছ কীট। রোদও বন্ধু হয়, পানি শুকায়, গন্ধ পথ দেখায়, তারপর দলের
অনুসন্ধান। মানুষ অধিক থেকে অধিকতর স্মৃতি যন্ত্র ধারণ করে, কিন্তু ভুলে যায়, একটা
বিশাল ওক গাছের পাশে দেখেছিলাম সব বৃক্ষই মনে হয় ক্ষুদ্র । আপেক্ষিকতা বড় সত্য
অথচ রহস্যময়তা নিজেও আপেক্ষিক এবং গণ্ডগোলের সূত্রপাত ওখানেই। তবে আমরা
সূত্র মানিনা তেমন একটা। আমরা বাঙ্গালী জাতি। মুখে গর্ব করি খাঁটি আর ইতিহাসে
ভরপুর কুখ্যাতি। স্মৃতি ভাণ্ডারে শ্যাওলার পাল বেড়ে ওঠে, জান তো শ্যাওলার বৃদ্ধিতে
গুমোট পরিবেশ বড্ড কার্যকর। শ্যাওলার নড়াচড়ায় নিউরনে সুড়সুড়ি লাগে, হাসি বাড়ে
তখনই মনে পড়ে-ইতিহাসের মোড়ে মোড়ে দেদীপ্যমান কীর্তি গাঁথা, জ্বলছে স্ব মহিমায়;
শ্যাওলার ভিড়েও দৃশ্যমান, সত্যটা সত্যই, স্বাধীনতা পথ দেখায়, কিন্তু আনাচে কানাচে
পিছলে যায় বাস্তবতা, শ্যাওলায় প্রচণ্ড ঘর্ষণের অভাব। পিঁপড়ের মত গন্ধ বোধ আমাদের
নেই , অথচ আমরা গন্ধের ঝড় তুলি কথায় এবং একে অন্যের ভুলে। ভুল সূক্ষ্ম কিংবা
তা স্থূল- পরিমাপ করার যন্ত্র আবিষ্কার আমরা মানি না। 'মানি না, মানবো না' এ তো
রাজপথের বাতাসে চিরস্থায়ী এক শব্দ তরঙ্গ। ভুল এবং সঠিকের মাপকাঠি আমাদের
স্বার্থ এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আপেক্ষিক। পথের কিনারে রোজ জমা বালুর চেয়ে বেশী ভুল
এবং স্বার্থ। অথচ গর্বিত জাতির মাঝে প্রাণ চঞ্চলতা আসে খুব ক্ষণে ক্ষণে, ছোট এক
তেঁতুলের পাতা যেমন গোনা যায়, জাতিগত উল্লাসের কালগুলোও গোনা যায় তেমনি,
অথচ আমাদের মত আনন্দঘন স্বাধীনতা আর পেয়েছে কোথায় কোন জাতি? কথায়
আছে সহজে পাওয়া জিনিসের গুরুত্ব কমে যায়। সূত্র যে আমাদের জন্য নয়। তাই
মোরা উৎসব পেলে হই মাতোয়ারা। প্রজাপতির ডানা ঝাপটানো এক প্রকার নাচ,
তারচেয়ে বেশী নাচ বাঙ্গালীর মনে উল্লাস ক্ষণে, উন্মাদনা ভরপুর, ক্ষনগুলো কম।
উন্মাদনায় গরম ভাতে পানি ঢেলে গরীবেরে উপহাস অজান্তে পহেলা বৈশাখ প্রভাতে,
ইলিশগুলো রূপায় মোড়ানো, রূপার দাম বেড়েছে, ইলিশের পেছনে শত্রু লেগেছে ,
এক বেলা বাঙ্গালী হতে হতেও কারও পক্ষে বাঙ্গালী আর হয়ে ওঠা হয় না তো কভু।
রঙিন চশমা চোখে দিনকে রাত করে শত্রুর দল, মৌমাছি ঘরে ফেরে অবেলায় তাই।
জোয়ারে যেমন ভেসে ওঠে নৌকার লগি , তেমনি আনন্দে ভেসে ওঠে মনের বৈঠা;
মাঝি বলতে কেউ নেই আজ আর, সবাই যাত্রী , যাত্রা করেছে কোটি বাঙ্গালী আজ,
গন্তব্য জানা নেই; মানুষ পিঁপড়া নয়, পানি বৃত্তে আটকে গেলে সে গন্ধ খুঁজে পায় না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিন আরফান. যদি কেহ তেল মনে করে থাকেন তবে আমি তেল দেই. আমার গল্পকবিতার সেরা ৫ লেখক আমি অনেক পন্ডিতের সমালুছনে দেখেছি. তাদের লেখা পড়েছি. এই কয়েজন সুচিন্তিত সমালোচক ও অন্যদের সঠিক দিক নির্দেশক . কিন্তু মতামতের বাহারে কবিরা যেন প্রাণ পেল আর ভোটে মনে হয় আমার মত প্রতারক এল গেল.
মামুন ম. আজিজ আমি আবেগ তাড়িত হলাম
ফাতেমা প্রমি @মামুন আজিজ>> হ্যা ভাইয়া,আপনি সাধারণ মানুষ তো বটেই-তবে অসাধারণ কবি...সতর্কতা এইজন্য j যোগ্য সম্মানটুকু যেন এই কবিকে দিতে পারা যায়,dat's all...
মামুন ম. আজিজ উত্তর তো জানি না।
sohel নের্তৃত্বহীন বাঙালীর এই যাত্রা কোথায় থামবে? আর কোনদিন বাঙালী সত্যসন্ধানী হবেনা? নাকি কবির সৃষ্ট পানির বলয়ে আটকে থাকা পিপড়ার মতোই আমরা দৈবপাকের ঘুর্ণাবর্তে আটকে থাকব? অনেক ভালো লেখা
মামুন ম. আজিজ নাজমুল হাসান, কটূ কি? আমর মনে হয় রহস্য ঘনীভূত করা প্রচেষ্ট। অনেকর এই প্রচেষ্টা ভাল লাগবে। সকলের লাগবে বলে মনে হয় না। সেটা আমিও বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ।
মামুন ম. আজিজ Ametaf Ymorp , কেনো বোন, সাবধানতা কেনো> আমি সাধারণ মানুষ মাত্র।
মামুন ম. আজিজ আবিদ, বিশুদ্ধ গদ্য ফর্মেট। ভয়ের কোন কারন নাই। ধন্যবাদ।

০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৭৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী