জল প্রবালের ঢেউ

মুক্তির চেতনা (মার্চ ২০১২)

মামুন ম. আজিজ
  • ৪৪
  • ৫৫
উলঙ্গ জল প্রবালের ঢেউ এবং নৃত্য,
রঙিন সাগর তল-আধুনিক চোখগুলো বিস্মিত ভীষণ।
সে তলে উলঙ্গ মানুষের জন্য সঞ্জীবনী বায়ু নেই,
যেটা উদ্বায়ু; মুক্তির চেতনা নেই ,
কিন্তু সেখানে আবদ্ধতা আছে এবং খুব দ্রুত চির সত্য -মৃত্যু।

মুক্তি এক বিস্ময়কর ভাবগত ধারনা।
আবদ্ধ বিষয় থেকে মানব মনে যার তাড়নার সূত্রপাত।
এই যেমন,আলো-অন্ধকার, রোদ-বৃষ্টি, কিংবা জন্ম-মৃত্যু।
বারবার মৃত্যুতে এসে পড়ছে!
আবদ্ধ আর মৃত্যু কি সহবাস সম্পর্কে তুল্য?
তা কেনো- আবদ্ধতা বাস্তব উপলব্ধি আর মৃত্যু পুরোমাত্রায় মিথ।

মুক্তি-তলফুটো পাত্রে রাখা যা
তেমনি গোলাকার কোন ফুটবলের ভেতর রাখাও তাই,
ঠিক বাতাস নয়,এর গঠন কেমিষ্ট্রি নেই আর তাই নেই বস্তুগত ক্ষয়;
মুক্তিকে চেতনার সাথে যুক্ত করতেই ডাঙ্গায় উঠে আসে
যদি উলঙ্গ জল প্রবাল, তবে দিশেহারা, নির্জলা- মৃত্যু ডাকে ঐ।

উলঙ্গ জল প্রবালের টান ঐ জলের তলে,
জলের গভীরে মুক্তি মেলে , জলের গভীরে প্রাণ টানে।
আসলে তার মুক্তির চেতনাই নেই, তার জলের তলে বাস,
সেটা আবদ্ধতা নয়, যেখানে আবদ্ধ ধারনা অনুপুস্থিত ,
সেখানে মুক্তির চেতনা মিথ্যে কাল্পনিক, মিথও নয়-অবান্তর।

মানুষ উলঙ্গ থাকেনা- তার মুক্তির চেতনা লজ্জা থেকে আসে।
লজ্জা একটা আবদ্ধতা - অন্যের চোখে দেহরূপ বন্দী।
মানুষ বসে থাকেনা- তার মুক্তির চেতনা এগিয়ে যাওয়ায়।
পঙ্গুত্ব একটি আবদ্ধতা , মানেই জীবনমৃত ধারনা।
মানুষ সৃষ্টিশীল- মানুষ কবিতা লেখে- মুক্তির চেতনা ভাবনায়।
ধর্মে বর্মে আইনে সৃষ্টির আবদ্ধতা, আবদ্ধে পূর্ণ সৃজন হয়না।

জল প্রবালের ঢেউ যেখানে সেখানে কোন মত নেই,
মানুষের নানান মত, মতে মতে পার্থক্য আর বিদ্বেষ।
একের মতে অন্যে আবদ্ধ, অন্যের আবদ্ধে মুক্তির চেতনা।
ভীতগুলো কল্প, বাস্তব ইট সুড়কি হলে একটা মত মিথ্যে হতোই।
তাহলে মুক্তির চেতনায় এত হানাহানি, তর্ক হতো না;
আগুনের ফুলকি চোখের শক্তি কমাতো না দর্শনের পর দর্শনে।

তারর্পও মুক্তির পর মুক্তি এসেছে ভেবে নেয়ার যে ধারনা
সেটার পরেও আর্বাও মুত্তির আস্বাদ, মুক্তির জন্য জল্পনা কল্পনা,
আইন কানুন, বাধা নিষেধ, ছল চতুরী কিংবা শেষমেষ পুনঃ যুদ্ধ।
কারন- আবদ্ধের আনাগোনা নিরন্তর, অবিচল, পুনঃ পুনঃ।
অথচ দেখো সাগর তল, জল প্রবাল -তার কোন
আবদ্ধ ধারনা নেই -তার নেই মুক্তির চেতনা।

তাই কিন্তু জল প্রবাল আর তার ঢেউ-
কেবল প্রকৃতির রূপ আর সরল প্রাণ।
অথচ আমরা মানুষেরা বুদ্ধিদীপ্ত , সৃজন ক্ষমতার তুঙ্গে ধাবমান।
তাহলে কি আবদ্ধ ধারনা আর মুক্তির চেতনাই মানুষের মূল চালকদ্বয়!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রফিকুজ্জামান রণি ভাই ! আপনার লেখা সবসময় ভালো লাগে ! ``মুক্তি এক বিস্ময়কর ভাবগত ধারনা। আবদ্ধ বিষয় থেকে মানব মনে যার তাড়নার সূত্রপাত। এই যেমন,আলো-অন্ধকার, রোদ-বৃষ্টি, কিংবা জন্ম-মৃত্যু। বারবার মৃত্যুতে এসে পড়ছে! ''' .........দন্যবাদ ভাই !
বিন আরফান. আমি আপনার নয় আপনার লেখার একজন ভক্ত. তবে আপনার লেখায় আমি প্রায় ই কিছু শব্দে ইংরেজি ব্যবহার দেখি যা আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয়. আমি যে কোন দেশের ভাষার প্রতি সম্মান রাখি তবে বাংলা সাহিত্যে তা ব্যবহার না করাই শ্রেয় মনে করি. এসব বাংলিশ লেখা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে স্থান পাবেনা. পেলেও অনেকের আক্রোশের স্বীকার হতে হবে. সরি ভুল বুঝবেন না. কবিতা অসাধারণ. চাহিদা বেশি তাই চুপ থাকলাম না.
হোসেন মোশাররফ কবিতা ও দর্শন, মন্দ না....টক টক মিষ্টি ...
আহমাদ ইউসুফ অনেক ভালো লাগলো আপনার কবিতা. এমন দার্শনিক কথন সময় কে অতিক্রম করে মহাকালের সাক্ষী হতে পারে. ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখার জন্য.
খন্দকার নাহিদ হোসেন দর্শন সবসময়ই আমায় বড় টানে। আর কবি মাত্রই তাকে ভাবতে হবে......আর ভাবনার কত অলিগলি কত মানে...। তো চিন্তার সুক্ষতা বেশ লাগলো। তবে কবিতায় তা প্রকাশ করাটা সত্যি কঠিন। কবিতায় সবকিছু ঠিকঠাক তবে কাব্যিক সুরটা একটু কম।
নীলকণ্ঠ অরণি কবিতাটা একটু কঠিন। ঠিকঠাক বুঝতে মনে হয় বেশ কয়েকবার পড়তে হবে। চেষ্টা করব আবার পড়ার
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ......................সুন্দর ভাবে একটা বিষয়কে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে কবিতাটা, ভাল লেগেছে। তবে কয়েকটা ক্ষেত্রে যেন পরস্পর বিরোধী ভাব চলে এসেছে, তবে এটা বোধহয় আমার বোঝবার ভুল। আর আমার যা মনে হয়, আবেগ হচ্ছে মূল চালক, যুক্তি তাকে নিয়ন্ত্রণ করে আর লোভ তাকে তাড়িয়ে নিয়ে চলে। শুভেচ্ছা জানবেন।
মৃন্ময় মিজান পড়লাম । তবে কিছুই বললাম না।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম দার্শনিক না হলে এ কবিতার তত্ব বোঝা কঠিন। কয়েকবার পড়তে হল। ভেদ ভাংতে কষ্ট হচ্ছে । তবে এটুকু বুঝে আসে, মুক্তির চেতনা নিয়ে এক গভীর দশর্ণতত্ব লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কবিতায় । এটি বার বার পড়া দরকার । ভাল লেগেছে। শেখার আছে অনেক কিছু । কবিকে অনেক ধন্যবাদ

০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৭৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪