বর্ষার দিনে এক অদ্ভুত অভিঙ্গতার কথা

বর্ষা (আগষ্ট ২০১১)

subhadip
  • ১৪
  • 0
সময় টা বর্ষার।জানি না আপনাদের কাছে গল্প টা কেমন লাগবে তবে আমার কাছে এই টা বাস্তবেই হয়েছে,তাই ভাবলেই দেহের ভিতর যেনো নাড়া দিয়ে ওঠে। আমার এক বন্ধু থাকে(রমেন) নোয়াখালি গ্রামে ও বিয়ে করেনি বাড়িতে একা থাকে। আমি থাকি টাটা শহরে।হ্যাঁ আমি টাটা তে একটা বেসরকারি অফিসে চাকরি করি।বেশ কয়েক বার রমেন ডেকে ছিল তাদের গ্রামে কাজের বোঝা চ্ছেড়ে যাওয়া যায় কি,আমি আবার ম্যানেজার।বহু বছর কেটে গেলো টাটায় প্রায় ৮ বছর।এখন আর রমেন আমাকে ডাকে না হয়তো আমি যাই না বলে। হঠাত অফিসে কয়েক দিনের জন্য ছুটি পেয়ে গেলাম।ইতিমধ্যে স্থির করলাম রমেনের বাড়ি যাবো বহুবার ডেকে ও যাওয়া হয়নি।রমেন শুনলে খুব খুশি হবে।রমেন কে চিঠি লিখে জানিয়ে দিলাম আমি ওদের ওখানে যাচ্ছি।কিছু দিন পরে রমেনের চিঠি এলো যে খুব খুশি হয়েছে,বলেছে ছুটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেনো চলে যাই।আর বৃস্টির সময় গ্রামের অপরুপ চিত্র ক’জনের ভাগ্যে জ়োটে আমার বেশ কৌতুহল হল দেখার জন্য।আমি যেনো দিন গুনিতে শুরু করে দিলাম,অতি প্রতিক্ষায় ওই দিন চলে এলো।আমি আগে থেকে সব কিছু প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম।দিন টা ছিল বৃস্টির।রাস্তা ৫ঘন্টার, প্রথমে বাসে ২ তারপর জলপথে ২,আর হেঁটে ১ঘন্টার পথ।কোনো মতে জলপথ টা পেরিয়ে আমি হাঁটতে শুরু করে দিলাম।তখন বৃস্টি টা নেই বললে চলে।বাঁধানো রাস্তায় শেষ করে জমির আল ধরে হাঁটতে লাগলাম বৃস্টির জন্য গ্রামের পরিবেশ টা অন্ধকারে পরিণত হয়েছে,যেনো মনে হচ্ছে গ্রামের মানুষের সঙ্গে শহরের মানুষের শত্রুতার ফলে আলো দেখাতে চায় না।আর আল টি যেনো আমাকে বার বার ঠেলে দিচ্ছে তার উপর পদারপন করতে দেবে না বলে তার প্রমান বার বার কাদায় পড়ে যাওয়া।গ্রামের এক প্রান্তে রমেনের বাড়ি।বাড়ির নিকট পৌঁচেগেলাম।আমি ওর বাড়িতে যখন পৌঁচালাম তখন সন্ধ্যে ৬ টা।ওখানে পৌঁচানো মাত্র যেনো শরীরে একটা আলাদা সৃস্টি হল।যেনো মনে হলো পৃথিবীর সব অন্ধকার ঐ খানে ঘাঁটি বেঁধেচগে। বাড়ি টা মাটির,সামনে বারান্দা,ভেতোরে ২টি ঘর অরথাত গ্রামে যেমন হয় আর কি।বাড়ি টা দেখে মনে হলো বেশ পুরানো।চারিদিকে অন্ধকার,আমি আর দেরি না করে বাড়ির ভেতোরে প্রবেশ করলাম দেখলাম বাড়ির ভেতোর একটা হ্যারিকেন জলছে তার গাড়ত্ত বেশি দূর নয়।ও দিকে আবার বৃস্টি শুরু হয়েছে।প্রবেশ করতেই দেখলাম রমেন কি একটা খস খস করে লিখে যাছে,আমি বললাম রমেন তারপর কেমন চলছে ভাই ভালো তো
সে অবাক হত্তম্ভবের মতো তাকেয়ে থাকল কিছুক্ষন আমার দিকে,তার পরে সে ন্ম্র গলায় বলল বেশ।রমেন কে দেখে মনে হলো এই কয় বছরে যেনো কতটা পাল্টে গেছে,আমি আশা তে ও যেনো খুশি হয়নি,ওর চোখে মুখে যেনো এক অতিষ্টের ছায়া।আমি ভাবলাম এই কয় বছরে গোটা দুনিয়া পাল্টে যাছে এত আবার মানুষ।আমি মনে মনে বললাম হয়তো এত আসিনি বলে আমার উপর অভিমান করেছে কিছুদিন থাকলে সব ঠিক হয়ে যাবে।তারপর রমেন বলল চা খাবি
আমি বললাম হলে মন্দ হতো না,তার উপর বৃস্টির কাপুনি শরীর টা গরম করে নিতে হবে।
একটা মোটা চাদর গরম হওয়ার জন্য দিল।তারপর কথা শুরু হলো,সে বলল তুই ভুত আছে বলে মানিস,আমি বললাম একি অদ্ভুত কথা ভুত তুট আবার আছে নাকি,ও বলল তোমরা শহুরে রা এসবে মানো তো না তার উপর আরো যা তা বলো।ও বলল আমি এখানে যবে থেকে আছি এই বাড়ির একটা আত্মা আছে,আমি প্রত্যেক দিন ওর সঙ্গে কথা বলি।
আমি বললাম তুই কিভাবে জানতে পারিস ওই আত্মা টা ঘরে আসে,ও বলল যখন আসে তখন ঘরের মধ্যে একটা খস খস শব্দ হয়।ওই কথা টা জানার পর মনে হলো ওই আত্মা বুঝি আমার দিকে কটাক্ষ করে তাকিয়ে আছে।রমেন বলল ও কোনো ক্ষতি করে না শুধু চায় বন্ধু হয়ে কথা বলতে।ও যখন আসবে তুই ভয় পাবি না,গন্ডগোল শুরু হতে পারে, আমি বলেছি আমার বন্ধু আসবে ও তোর সঙ্গে কথা বলবে বলছে।আমি মনে ভাবলাম এটা একটা বাড়াবাড়ি না এক জ়ন আত্মা সঙ্গে কথা বলতে হবে,যতই হোক আমাদের জগত থেকে আলাদা আর যে আমদের কায়দা কানুন জানে না।ও বলল চুপ এবার ওর আসার সময় হয়ে গেছে হটাত মচ মচ ও পায়ের খস খস শব্দ যেনো দরজার এগিয়ে আসতে লাগলো,আর দরজার উপর তার শক্তি স্মমত ধাক্কা দিতে লাগলো আর রমেন বলল দরজা খুলে দিতে।আমি যেন এক মন্ত্র
মুগ্ধের মতো হয়ে দরজা টা খুলে দিলাম গেলাম আর দেখলাম রমেন,তখন ঘরের ভেতর দেখলাম কেউ নেই।কিছু ক্ষনের জন্য আমি মুরছা গেলাম আর সব কথা খুলে বললাম রমেন কে।রমেন বলল একটু বাজারে গিয়েছিল বৃস্টির জন্য দেরি হয়ে গেছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Fatema Tuz Johra ভয়ংকর বেপার...ভালো হয়েছে...চেষ্টা চালিয়ে যান আরো ভালো হবে নিশ্চয়ই.
sakil গল্পটি বেশ একটা ভৌতিক হতে পারত . লেখার মাঝে প্রথম দিকের গতিটা শেষ দিকে ধরে রাখা যায় নি . বেশ , লিখতে থাকুন একসময় সবঠিক হয়ে যাবে . শুভকামনা রইলো
সৌরভ শুভ (কৌশিক ) বর্ষার দিনে এক অদ্ভুত অভিঙ্গতার কথা,লিখবে আরও ভালো এই করি আশা /
শামীম আরা চৌধুরী বানান ভুল পরিলক্ষিত। বক্তব্য সুন্পস্ট থাকতে হবে। তবু ভাল
Akther Hossain (আকাশ) সত্যি ভয়াবহ ব্যাপার !
M.A.HALIM লিখার মান নিয়ে মন্তব্য করলাম না। তবু জ্ঞান চর্চার আসরে এলেন এ জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান গল্পটা ভূতের, বর্ষা মৌলিক বা মুখ্য বিষয় হিসেবে মোটেই আসেনি, গল্পের প্রয়োজনে উপকরণ হিসেবে বর্ষাকে আনা হয়েছে |
প্রজাপতি মন সত্যি ভয়াবহ ব্যাপার! শুনেই গায়ে কাটা দিচ্ছে

২১ জুলাই - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪