টুপটাপ, টুপটাপ বৃষ্টি ঝরছে। বাসের সীটে এলিয়ে থাকা আমার এই ক্লান্ত শরীরের চোখে মুখে এসে লাগছে বৃষ্টির ঝাপসা। জানালাটা একটু টেনে দিয়ে আবার এলিয়ে দিলাম শরীরটা কে বাসের সিটে। মোবাইলের মৃদু আওয়াজে লাফ দিয়ে উঠলাম। খুশীতে চমকে উঠলাম তোমার এসএমএস! তাড়াহুড়ায় ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করতে গিয়ে দেরি হয়। রাগ হয় নিজের উপরই। একসময় পেয়েও যাই মোবাইলটাকে। কিন্তু নিরাশ হই, নাহ! আমার এসএমএস নয়। বোধহয় অন্যকারও। ভুলে যাই আজ তো তুমি আর আমাকে এসএমএস করো না। ভুলে যায় আমার এ মন যে তুমি আর ফিরবে না। তুমি তো এখন প্রতিপত্তি আর ক্ষমতার লোভে মত্ত উপরে উঠার সিঁড়ি খুঁজতে ব্যস্ত এক মানুষ। আচ্ছা, মনে পড়ে তোমার কোন একদিন তুমি বৃষ্টি হলেই আমাকে এসএমএস করতে, লিখতে আজ এই বৃষ্টির ফোঁটা দেখে তোমায় মনে পড়ছে। কোন একদিন তুমি আমাকে বলেছিলে ঢাকার এই বৃষ্টিভেজা রাজপথে কোন এক সকালে তুমি আর আমি হাঁটবো হাতে হাত রেখে। এই তো সেদিন ধানমন্ডি লেকে হাঁটতে হাঁটতে অভিমান করে বলেছিলাম তুমি আমাকে মোটেও ভালবাস না। তুমি আমাকে এই বর্ষায় একটাও কদম ফুল দিলে না। তুমি হেসে উঠে বলেছিলে তবে চল কিনে নয়, এই গাছ থেকেই তোমাকে পেড়ে দেব কদম ফুল ভালবেসে। শুনে আমার সে কি হাসি! তুমি বেশ থতমত খেয়ে তাকিয়েছিলে আমার দিকে। আচ্ছা! তোমার কি সত্যিই মনে পড়ে না পহেলা বৈশাখের সেই কালবৈশাখীর রাতে রিকশার ভেতর মিরপুর রোডে তুমি বিজলী দেখে ভয়ে আমার বুকে মুখ লুকিয়েছিলে। আমি তোমাকে শাড়ির অাঁচলে জড়িয়ে নিয়েছিলাম তোমাকে। মুঠোফোনের কথকথায় রাতে বৃষ্টি হলেই আমাকে চাদর বানিয়ে জড়িয়ে নিতে তোমার শরীরে। আমি যতই বলি একটু ছাড়। তুমি তত বেশি আমাকে জড়িয়ে নিয়ে জম্পেশ ঘুম দিতে। আমি জানি এ সবের কিছুই তোমার আজ আর মনে নেই। সব ভুলে গেছ, তাই না? তুমি যে আজ বড্ড ব্যস্ত উপরে উঠার সিঁড়ি খুঁজতে। কিন্তু আজও বৃষ্টি হয়। আমি আজও কান পেতে রই হয়তো মোবাইলে তোমার এসএমএস আসবে বলে। জানি একদিন তুমি আবার ফিরবে। আমার যে আজও কদমফুলগুলো নেওয়া হয়নি। আমি আজ এটাও জানি তুমি আসবে আমার বর্ষার কদমফুলগুলো হাতে নিয়ে। অভিমান ভাঙিয়ে আমায় ফিরিয়ে নিতে। ততদিন পর্যন্ত শুধুই আমার ছুটে চলা। বাস আমাকে নামিয়ে দেয় গন্তব্যে। ঝুম বৃষ্টি। আমি বৃষ্টির মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেই। বৃষ্টির ফোঁটা আর আমার চোখের নোনা জল ভিজে এক হয়ে যায়। ব্যর্থ অভিমানে ছুটে যাই আমি গন্তব্যপানে। আমাকে লেখক হতে হবে, হতে হবে অনেক বড়। হতে হবে নামী তোমার থেকেও বেশি। আমার এই ছুটে চলা বৃষ্টিও থামাতে পারবে না। কারণ আমিও যে আজ ব্যর্থ অভিমানে আর মিথ্যা অভিনয়ে তোমার মতই উপরে উঠার সিঁড়ি খুঁজতে শামিল। বৃষ্টির ফোঁটাগুলো আমার শরীর বেয়ে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিজানুর রহমান রানা
আমি বৃষ্টির মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেই। বৃষ্টির ফোঁটা আর আমার চোখের নোনা জল ভিজে এক হয়ে যায়। ব্যর্থ অভিমানে ছুটে যাই আমি গন্তব্যপানে। আমাকে লেখক হতে হবে, হতে হবে অনেক বড়।--------------সুন্দর বক্তব্য, পরিপূর্ণ লেখক স্বপ্ন পোষণ। শুভ কামনা থাকলো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।