প্রিয়তমেষু, তোমার আমার অর্ধেক রূপকথা যে আজীবন অসমাপ্ত থেকে যাবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। অনেক অনেক দিন আগের কথা নয়.. আজ থেকে কয়েক বছর আগে আমাদের গল্পের সূচনা। ভালোবাসার গল্পেও সেই অর্ধেক রূপকথা আছে এখনো.. আমিই লিখেছিলাম। তখনও জানতাম না, তোমার কাছে এই রূপকথার অস্তিত্বই নেই। বছরখানেক হলো তুমি বদলে গিয়েছো.. যোগাযোগ ক্রমশ কমতে কমতে নেমেছিলো শূন্যের কোঠায়। ভেবেছিলাম অন্য কেউ এসেছে তোমার জীবনে.. তাই অপেক্ষায় ছিলাম তুমি ফিরে আসবে বলে। বহুদিন পর মুঠোফোনে একরাতে তোমার নাম.. ফিরে এসেছিলে বিদায় নিয়ে একবারে ফিরে যাবে বলে। মুঠোফোনে তোমার চেনা কণ্ঠস্বর শুনে সেই পুরোনো দিনের মত ছুটে গেলাম বারান্দায়.. বাকিটা রাত সেখানেই কেটে গেলো তোমার কথার বিষে নীল হতে হতে। তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়টা সত্যি হয়ে যাবে ভাবতেই পারিনি।স্বপ্নেও ভাবিনি আমার অসম যুদ্ধ এক হারিয়ে যাওয়া অবাস্তব মেয়ের সঙ্গে, যাকে তোমার ভালোবাসার সবগুলো নীলপদ্ম দিয়েছো সেই কৈশোরে! আমি তাহলে কোন আকাশকুসুম স্বপ্নে বেঁচে ছিলাম? তার উত্তরে বললে, চেষ্টা করেও ভালোবাসতে পারোনি.. আজীবন তুমি সেই কল্পমানবীকে ভালোবেসে যাবে... তাতে কি আসে যায় আমার! আমি আছি এখানেই, আমার নিজস্ব পৃথিবীতে.. প্রার্থনায়, পড়ালেখায়, পরিবার আর বন্ধুতায়। তবু মাঝে মাঝে অজানা বিষণ্নতায় শিউরে উঠি। আয়নার ওপাশে নিজের প্রতিবিম্ব ঝাপসা হয়ে আসে.. দেখতে পাই সেই অচেনা কল্পমানবীকে। তার অভিশপ্ত মুখচ্ছবি তোমায় হারানোর ভয়কে সত্যি করে দিলো শেষ পর্যন্ত। শুধু থেকে গেলো আমাদের অসমাপ্ত রূপকথা, অস্তিত্বহীনতায় অবশেষে যার সমাপ্তি.... ইতি, অতন্দ্রিতা
চিঠিটা অনেক আগেকার.. বছর কয়েক আগে তীব্র বিরহে লেখা! পুরোনো ডায়েরী গুলো ঘাটতে গিয়ে হঠাত্ পেলো জল। ছেলেটিকে সে লিখতো অতন্দ্রিতা নামে। চিঠিটা আর দেওয়া হয়নি তাকে। কি যে দুঃসহ কেটেছিলো তারপরের দিনগুলো। এখন ভাবতেই হাসি পেলো তার! কি যে বোকা ছিলো সে.. এখন বুঝতে পারে! সেই অভিশপ্ত গল্পের সমাপ্তিটাও জল নিজের হাতে করেছে। তার হৃদয়কে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য করেছে মস্তিষ্কের কাছে। উপলব্ধি করেছে এইসব দুঃখবিলাসী রূপকথার বাইরেও আছে মুগ্ধ বাস্তবতা। সে একটু একটু করে চিনেছে নিজেকে, ভালোবাসা আর কর্তব্যে বেঁধেছে পরিবারের সবাইকে। এখন তার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাসার সবার কাছে। পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল তাকে এগিয়ে নেয় আরো অনেকটা পথ। আর তারপর একদিন, তার এই আনন্দময় জীবনে ফিরে এলো সেই মানুষটা.. মাথা নিচু করে সাহায্য চাইলো! কাউন্সেলিং জলের রক্তে আছে, মায়ের কাছে পেয়েছে হয়তোবা! বোকা মানুষটা আর তার প্রেমিকার কাউন্সেলিং করার অনুরোধ এলো! এতদিনের জমাট বিতৃষ্ণা আর তুমুল অভিশাপ। জীবনের সেরা প্রতিশোধ নিলো সে.. সাহায্য করলো দূর্বল মানুষটাকে। একটু একটু করে মুক্ত হলো নিজের খুব গভীরে লুকিয়ে থাকা সবটুকু দূর্বলতা থেকে। আয়নার সামনে দাড়িয়ে আজকাল মুগ্ধ হয়ে দেখে সত্যিকারের নিজেকে.. উপলব্ধি করে, কখন যেন ভালোবেসে ফেলেছে আয়নার ওপাশে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকা ঐ আত্মপ্রত্যয়ী মানবীকে!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শামীম খান
বেশ ভিন্নতা নজরে পড়লো উপস্থাপনায় , বর্ণনায় আর বিন্যাসে । আগে কবিতা পড়েছিলাম । সেই স্বাদ গোপনে সিঞ্চিত হয়েছে দেখে অবাক হইনি , মুগ্ধ হয়েছি । সাধুবাদ আর শুভেচ্ছা রইল । এগিয়ে চলুন .........। শুভকামনা ।
ইমরানুল হক বেলাল
অনেক সুন্দর একটি কাব্যময় মাখা গল্প।
শুরুতে ভেবেছিলাম লেখাটি (প্রেম-কাব্য -চিঠি )
কিন্তু না শেষের দিকে চোট গল্প শর্ত মেনে অসাধারণ ফিনিশিং দিয়েছেন।
এত সুন্দর পরিকল্পনাটা কী করে যে আপনার মাথায় আসলো?
সত্যটি খুব ভাল লেগেছে লেখাটি।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।