কতিপয় যোদ্ধা

গর্ব (অক্টোবর ২০১১)

মহি মুহাম্মদ
  • ২৩
  • 0
  • ৪১
ঐ যে আসছে খোঁড়া মুক্তিযোদ্ধা। ওর নাম তরপ আলি। সম্মুখ যুদ্ধে কাঁধে গুলি লেগেছে। পায়েও গুলি লেগেছে। বাঁচার আশা ছিল না। তারপরেও কোনরকমে বেঁচে আছে। তবে ডান পা খোঁড়া। সবাই ওকে খোঁড়া মুক্তিযোদ্ধা বলে। রতনপুর চা বাগানের ফ্যাক্টরিতে ও ফিটারের কাজ করতো। ভালই কাটছিল জীবন। কিন্তু ম্যানেজার চাকরিটা নট করে দিল। ইঞ্জিনিয়ারের দোষটা তার মাথায় এসে চাপলো।তারপর ম্যানেজারের পায়ে পড়ে চৌকিদারি যা একটা পেল, তাও ভাগ্যটাতে সইলো না।বড় বাংলোয় বিদু্যতের তার চুরি হলো। দোষী তরপ আলি। দে ওকে চাকরি থেকে তাড়িয়ে। এখন অবশ্য কিছু করে না। কিছু করে না বললে ভুল হবে। সে এখন গরু, ছাগল চড়ায়। বউ ছেলে মেয়েরা চা বাগানে কাজ করে। আর নিজে খোঁড়া পা নিয়ে খুব বেশি ভারি কাজ করতে পারে না। তাই গরু, ছাগল চড়িয়ে বেড়ায়। তাদের সাথের অনেক মুক্তিযোদ্ধা এখন সরকারি ভাতা পায়। কেবল তরপ আলিই কোন ভাতা পেল না। তারা অনেকেই রামগড় হয়ে শাবরুম বর্ডার ক্রস করেছিল। তারপর ইন্ডিয়ার হরিণায় ট্রেনিং নিয়ে এক নম্বর পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধ করেছে। ট্রেনিং এর সময় পঁচাত্তর টাকা যে সম্মানি পেয়েছিল তাই প্রথম তাই শেষ। ইন্ডিয়ায় যখন যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছিল তখন মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা সেখানে নাম উঠেছিল এইটুকুই। এরপর বাংলাদেশ হওয়ার পর কত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি হল কিন্তু তার কোন গতি হলো না। ওর মত আরো দুইজন কপাল পোড়া মুক্তিযোদ্ধা হল খুরশিদ ও মহরম আলি। ওরা এক সঙ্গেই যুদ্ধ করেছিল। মহরম আলি এখন আর বেঁচে নেই। দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে মারা গেছে। খুরশিদ পঙ্গু। বিছানায় শুয়ে শুয়ে কাৎরায়। কোনদিন হয়ত ফট করে মরে যাবে। যাক, মরে গেলেই ভালো। অন্তত না খাওয়ার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবে।
তরপ আলি স্থানীয় কমাণ্ডারকে ধরেছিল কিন্তু সেও ধানাই পানাই করে কাজটি করেনি। কতজনের কাছে যে ধরনা দিল সে, তবুও একটা সার্টিফিকেট যোগাড় করতে পারলো না। পাইন্দং এর আবুল মিঞা তো তার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা খসিয়ে নিল। কিন্তু বিনিময়ে সার্টিফিকেট তার পাওয়া হলো না। খুরশিদ যখন বিছানায় খাবার দাবারে কষ্ট পাচ্ছে তখন তরপ আলি দেখতে গিয়েছিল।
খুরশিদ কোন রকমে মাথা তুলে বলল, 'তরপভাই আইছনি? ভাইরে খিদার জ্বালায় বাঁচি না। একটু থেমে বলল, ভাইরে কিছু খাইতে দে।' তরপ আলি তাড়াতাড়ি লাইনের দোকান থেকে কলা আর মুড়ি কিনে এনে দিল। বুভূক্ষু খুরশিদ হাপুস হুপুস করে রাক্ষসের মত নিমিষেই খেয়ে ফেলল। তারপর আধাজগ পানি খেয়ে বলল, 'তরপভাই দোয়া করিচ তাড়াতাড়ি য্যান মইরা যাই।' তরপ আলি কি বলবে, ভেবে পায় না। চুপ মেরে থাকে। আর খুরশিদ ময়লা ঘিঞ্জি ঘরটার সঁ্যাতসঁ্যাতে বালিশে মুখ বুজে শামুকের মত পড়ে থাকে। তরপ আলি কিছুক্ষণ মাটিলেপা ঘরের ওপর টিকটিকির ছুটোছুটি দেখে। খুরশিদের পায়ে পচন ধরেছে। ভয়ংকর গন্ধ। মানুষের মাংস পচা গন্ধ এত বিটকেলে যে বমি উঠে আসে। তরপ আলি কিছুক্ষণ বসে থেকে উঠে আসে। তারপর কিছুদিন হলো খুরশিদের কোন খবর- বার্তা নেই। মাসখানেক পর বিনা চিকিৎসায়, বিনা পথ্যে খাবারের অভাবে খুরশিদের মৃতু্য ঘটে। ওকে কবর দেয়া হয়েছে তিন নম্বর লেবার লাইনের গোরস্থানে। লাইনের গোরস্থান বললে ভুল হবে। আসলে এই রতনপুরে কোন গোরস্থান নাই। বৈরাগিটিলার অপরপাশে শ্রমিকরা নিজেরাই গোরস্থান বানিয়ে নিয়েছে।
এ চা বাগানের আরেকজন বাবু যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বাগান ছেড়েছিল। এ খবর বাগানের অনেকেই জানে না। নাম তার শামসুদ্দিন। সে রাতে শামসুদ্দিন আনোয়ার বাবুর কাছে এল। রাত তখন বারোটা। মিজর্ারহাট থেকে গুলির আওয়াজ থেকে থেকে সচকিত করে তুলছে পাহাড়ের খানা-খন্দ। আবার মানিকছড়ির ওদিক থেকেও গুলির আওয়াজ ভেসে আসছে। শামসুদ্দিন এসে ডাক দিল, চাচা ঘুমায়ছেন নাকি? কোনো শব্দ নেই।
এতরাতে আগন্তুক দেখে পাড়ার নেড়ি কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে উঠলো। শামসুদ্দিন আবার ডাকলো, চাচা ও চাচা। এবার আনোয়ার বাবু ঘুম থেকে ধরমড়িয়ে বিছানায় উঠে বসলেন।
কে, কে? এই কিডারে?
চাচা আমি শামসুদ্দি।
শামসুদ্দিন সব সময় নিজের নাম বলত, শামসুদ্দি। কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর কূলে বাড়ি ছিল। এত বছর বাগানে চাকুরি করলো, চট্টগ্রামের মানুষের সঙ্গে মিশলো বিজাতীয় মানুষের ভাষার সঙ্গে মিশলো কিন্তু ভাষা বদল হলো না। মিষ্টি একটা সুরে চাচা ডাকত। পরিচিত কাউকে দেখা হলেই জিজ্ঞেস করতো, কিরে কেমন আছিস? খবর বার্তা ভালো তো। বাসার সবাই ভালো আছে তো?
আনোয়ার বাবু দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন।
'কিরে শামসুদ্দিন, এত রাইতে তুই! কোনো সমস্যা?'
'হ চাচা, একটা কথা আপনাক না বইলে গেলে শান্তি পাচ্ছিলাম না।'
'কি কথারে শামসুদ্দিন! ক তাড়াতাড়ি ক।'
' চাচা আমি যুদ্ধে যাতিছি'
' কুথায় যাবি?'
'যুদ্ধে যাব চাচা। চাচা ঠিক করেছি শালাদের আচ্ছা করে পঁ্যাদায়ে দিয়ে আসি। হেনে বইসে শুকনা শুকনা রুটি চিবুতি চিবুতি দিন যাবি তারচে দুই তিনডে শত্রু খতম কইরে দিয়ে আসি।'
' কারো সাথে কথা হইছে?'
'হ চাচা, মির্জার হাটে ওহাব মাস্টেরের দল আয়ছে। ওদের দলের সাথি যাব।'
'ঠিক আছে, যাবি যহন যা।'
'চাচা মাফ সাফ কইরে দিও।'
শামসুদ্দিন ঝাঁপিয়ে পড়ে আনোয়ার বাবুর বুকের ওপর। কিছুক্ষণ দুজন দুজনকে আলিঙ্গন করে রাখে। আজ হঠাৎ সমবয়েসি এই লোকটার জন্য মনটা কেমন অজানা ব্যথায় টনটন করে ওঠে। তারপর শামসুদ্দিন বেরিয়ে আসে।

সেই শামসুদ্দিন ফিরে এসেছিল দেশ স্বাধীন হবার অনেক পরে। সবাই ভেবেছিল শামসুদ্দিন বুজি সম্মুখ যুদ্ধে মারা গেছে। একদিন সকালে সবাইকে আনন্দে ভাসিয়ে শামসুদ্দিন ফিরে আসে। সবমিলিয়ে সে পাঁচ মাস ছিল। শামসুদ্দিনের যুদ্ধে যাবার খবর অনেকেই জানত না। কারণ বাগানের আশে পাশেই থাকত রাজাকার মজু। মজু রীতিমত ক্যাম্পে যেত আসত। সব খবরা খবর পাচার করতো। সেখান থেকে এসে বাগানের সবাইকে ভয় দেখাত। ভয় দেখিয়ে সে অনেক ফায়দা লুটেছে। অনেককেই জোরে ধমক দিয়েছে। ভয়ে মজুর কথার কেউ কোন প্রতিবাদ করে নি। সপ্তায় সপ্তায় টাকা নিয়েছে সে। ছাগল, গরু সাপ্লাই দিয়েছে। অনেকের বউয়ের দিকে নজর দিয়েছিল। কিন্তু কাজ হাসিল করতে পারেনি। বাগানের মানুষ সব একাট্টা হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য একদিন মজুকে ধরে আচ্ছা করে ধোলাই দিয়েছিল বাগানের মানুষ। নাকের কাছে তুলা ধরে শ্বাস-প্রশ্বাস আছে কিনা পরীক্ষা করতে হয়েছিল। সেই মজুর ভয়ে শামসুদ্দিনের যুদ্ধে যাবার কথাটি যে জেনেছিল তারাই লুকিয়ে রেখেছিল।
শামসুদ্দিন ফিরে এলো এক দঙ্গল দাঁড়ি গোঁফ নিয়ে। তারপরেও তার চোখে মুখে এক ধরনের দীপ্তি ছড়িয়ে ছিল। অফিসে এসে শামসুদ্দিন যে কথাটি বলল, তা হলো সে যুদ্ধ করতে পারেনি। তবে মুক্তি যোদ্ধাদের সঙ্গে ছিল। তাদের ভাত তরকারি রেধে দিয়েছে এবং আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করেছে। ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ বেধে দিয়েছে। স্টেনগান, রাইফেল,এল.এম.জি, গ্রেনেড হাতে নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছে_ সে কথাও বীরত্বের সঙ্গে শামসুদ্দিন প্রচার করলো। তবে শামসুদ্দিনের বলা একটি কাহিনি সবার চোখে জল এনে দিল।
হারান মাঝির ঘটনা বলতে বলতে শামসুদ্দিন নিজেও কেঁদে ফেলল। গ্রামটির নাম শামসুদ্দিনের মনে নেই। হারান মাঝি সে গ্রামের অবস্থাপন্ন ঘরের কামলা। হারান জাতে চামার। তিনকূলে তার কেউ নেই। একসময় মরা গরুর চামড়া ছাড়িয়ে জুতো, স্যাণ্ডেল বানাত। চামড়ার কারবার করত। পঁচিশ বছর বয়সে বিয়ে করেছিল। বাচ্চা-কাচ্চা হয়নি। আরো পঁচিশ বছর পরে বউ মারা গেলে হারান একাই রয়ে গেল। মজাহার মিঞার খামারে মজুর খাটত সে। তবে মজাহার মিঞা মানুষ ভাল। হারানকে সে শ্রদ্ধা করতো। জমি জমার সব কিছু হারানের ওপরে ছেড়ে দিয়েছিল সে। বৃদ্ধ হারানের বয়স তখন ষাট,পয়ষট্টি। তবু সে নিজের হাতে লাঙল চষে, মই বায়,বীজ বোনে। ধান পাকলে জমিতে গিয়ে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে। কখনো ফসলের ক্ষেতে মাটিকে আদর করে। কখনো কচি চারার সঙ্গে কথা বলে। কখনো গাছের সঙ্গে কথা বলে। কখনো আকাশের সঙ্গে কথা বলে। হারানের জাতটাই যেন কেমন। সবাই বলে হারান মাটির মানুষ। কেউ বলে হারান ভালো মানুষ। সব মিলিয়ে ঐ গ্রামে হারানের মত আর মানুষ হয় না। তাই নিচু জাতের হলেও হারানকে সবাই পছন্দ করে। আর হারানের হাতেও যেন আছে যাদু। গাছ পালা, ফুল-ফল, তরি তরকারি, শস্য সবকিছু ফুলে ফেঁপে ওঠে। কারো ক্ষেতে কোন কিছু না জন্মালেও সেবার হারানের ক্ষেতে ফসলাদি হবেই। হবে তো হবে একেবারে বাম্পার ফলন হবে।
তো যুদ্ধ লাগলে গ্রামের যে কয়ঘর হিন্দু ছিল তারা সবাই চলে গেল ভারতে। হারানদের সজাতি দু একজন যারা ছিল তরাও চললো ভারতের দিকে। যাবার সময় খুব কাকুতি মিনতি করলো।
হারানদা চলো যাই। এখানে তো তোমার কেউ নাই। শুধু শুধু গুলি খেয়ে মরে যাবে। কষ্ট পাবে। চলো তারচে তোমাকে আমরা বর্ডার পার করে দিই।
হারান কিছুতেই রাজি হলো না। এই সবুজ মাটি অবারিত ফসলের মাঠ শস্য দানা আর মানুষের ভালোবাসা ছেড়ে সে কোথাও যাবে না। তা ছাড়া সে বৃদ্ধ মানুষ মাঠে- ঘাটে কাজ করে পাক বাহিনি তাকে কিছু বলবে না। পাশের দেশে গেরে সে উদ্বাস্তু হয়ে যাবে।
পাক বাহিনি তাকে কিছু বলবে না- এই বিশ্বাস সবার ছিল। কিন্তু বিশ্বাস ভাঙতে বেশি দিন লাগলো না। প্রথমে ওরা ধরে নিয়ে গেল মোজাহের মিঞাকে। রাজাকাররা লাগিয়ে দিয়েছে মোজাহের মিঞা মুক্তি বাহিনীকে খানাপিনা দিয়েছে, আশ্রয় দিয়েছে। এই অপরাধে মোজাহের মিঞাকে ধরে নিয়ে গেছে। মোজাহের মিঞাকে অমানবিকভাবে কষ্ট দিয়েছে। বাড়ি থেকে প্রতিদিন ভাত পাঠানো হত। মোজাহেরকে ওরা খেতে দিত না। কিন্তু টিফিন ক্যারিয়ারে ওরা মোজাহের মিঞার আঙুল কেটে কেটে পাঠাত। যখনই টিফন ক্যারিয়ার ফেরত আসতো, তখন আত্মীয়- স্বজনদের আহাজারি গুমরে গুমরে ফিরত। এভাবেই একদিন ওরা তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মোজাহের মিঞাকে মারে। তারপর ঘটলো সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

একদিন সকালে বুড়ো হারান মাঝিকে ওরা ধরে নিয়ে গেল। গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম পেটাল ভালো মানুষটাকে। হারানের তখনও মাথায় টুপি আছে। পরনে আধময়লা লুঙ্গি। ধরা পরার ভয়ে মানুষের বুদ্ধিতে হারান পড়ত একটা পাঞ্জাবি, লুঙ্গি আর টুপি। কসাইগুলো হারানকে মারার পর তাকে নেংটো করে দেখলো সে মুসলমান কিনা। এরপর তো হারান মাঝির আর বেঁচে থাকা চলে না। তবে শেষমেষ তাকে জিজ্ঞেস করা হলো তার শেষ ইচ্ছা কি? হারান তার শেষ ইচ্ছা বললো।
আমার মাটি, আমার জমিগুলান যারা কোনদিন আমারে বিমুখ করে নাই, সেই মাটির কাছে একবার যাইতে চাই।
সবাই হো হো করে হেসে উঠল। কয় কী হারামজাদা! সবাই দেখা করে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে আর সে নাকি দেখা করবে মাটির সঙ্গে। হো হো হো। হাসির বন্যা বয়ে গেল। তোমার পোলাপান থাকলে কও। না, তার ছেলে পেলেরা ওপাড়ে চলে গেছে। এ মাটিকে ছেড়ে ওরা সীমানা পাড় হয়ে গেছে। ওরা মায়ে সঙ্গে বেঈমানী করেছে। হারানমাঝি বেঈমান না।
মাটিই আমার আত্মীয়। আমার মা। একটু ধুলা যদি লাগাইতে পারি।
হ, হ লাগাইতে পারবি কি, এক্কেবারে মাডির রগে হুইতা থাকতে পারবি।
সবার রসিকতায় হারান বুড়োর চোখ গলে জল গড়িয়ে নামল। আর সবাই বলল, ঠিক আছে বুইড়া যহন মাডির লগে দেহা করবার চায়, করুক।
হাত পা বাঁধা অবস্থায় হারানকে নিয়ে যাওয়া হলো জমিতে। জমির কাছে গিয়ে হারান মা, মা, মা বলে চিৎকার দিয়ে ওঠে। জমিকে দু হাতে আলিঙ্গন করে হারান। আর নির্দয় পশুগুলো হারানকে সেই আলিঙ্গন থেকে আর মাটিতে দাঁড়াতে দিল না। হারান রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিকে জড়িয়ে পড়ে রইলো। মনে হল আর কেউ হারানকে তার মায়ের বুক থেকে আলাদা করতে পারবে না। বুকের সবটুকু তাজা উত্তপ্ত রক্ত ঢেলে দিতে লাগল সে তার মায়ে বুকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নিলাঞ্জনা নীল খুব সুন্দর একটি গল্প.......
পন্ডিত মাহী গল্পটি দারুন, বর্ণনাভঙ্গি অসাধারণ...
পন্ডিত মাহী তরপ আলী থেকে শামসুদ্দিন, শামসুদ্দিন থেকে হারান ... শেষের চরিত্রের একটি পরিনতি না হয় দেখলাম, কিন্তু বাকি দুটো চরিত্র এখনো অসম্পূর্ণ
সেলিনা ইসলাম একটি যুদ্ধ আমাদের জীবন থেকে যা কেড়ে নিয়েছে তা আর ফিরে পাব না কিন্তু দিয়ে গেছে গর্বিত মিনার । যে মিনারের বন্ধনে নেই কোন শিক্ষা, ধর্ম বা দৈন্যতার বিভেদ । আমি বলব লেখকের আরও একটু যত্নবান হতে হবে রিভাইস দেবার প্রতি । আর একটা জায়গায় খটকা লাগছে হারানকে যারা ধরে নিয়ে গেছে তারা কি রাজাকার না পাকবাহিনী ? যদি পাকবাহিনী হয় তাহলে তাদের কখপকথন উর্দুতে বা ভাঙ্গা বাংলায় হলে ভাল হত আর যদি কথাগুলো রাজাকারদের হয় তাহলে ঠিক আছে । সব মিলিয়ে আপনার গল্প ভাল লেগেছে । আপনার কাছ থেকে আরও লেখা পাবার প্রত্যশায় শুভকামনা !
খোরশেদুল আলম অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা মুক্তিযুদ্ধের গল্প। শুভ কামনা রইল লেখকের জন্য।
আহমাদ মুকুল কষ্টই লাগে, এমন লেখায় পাঠক নেই! আপনার গল্পের বিশেষত্ব হল, একদম জীবন্তভাবে বলা কাহিনীটিকে ফুটিয়ে তোলা। এই গল্পেও প্রাণ এবং আবেগ দারুন। কিন্তু গল্পের পরিণতি টানা কিংবা চরিত্র থেকে চরিত্রে পদচারনায় একটু যেন অগোছালো মনে হয়েছে।
সূর্য আমার মনে হয় আজকে আর গল্পকবিতা পড়া হবে না। মনির মুকুলের গল্পটা তাও পড়ে মন্তব্য করেছি। কিন্তু তোমার লেখায় বলার ভাষাও নাই। <<<<<আমার মাটি, আমার জমিগুলান যারা কোনদিন আমারে বিমুখ করে নাই, সেই মাটির কাছে একবার যাইতে চাই।>>>> আমার মৃত্যুর সময়ও যেন মুখে এই কথাটা থাকে ভাই। যে বুঝা সে বুঝুক আমি অধম আমার বাপটারে দেখছি শত প্রলোভন আর স্বার্থ এক নিমিষে জলাঞ্জলি দিতে পারে ব্যাটায়। তাই মুক্তিযোদ্ধা কি জিনিস আমারে বুঝানো লাগবে না।
আশা অনেক আবেগ ছড়িয়ে দিলেন। মাটির মানুষটির জন্য হৃদয়ে রক্তক্ষরণই যেন শুরু হলো। তো যাই হোক, লেখা অব্যাহত রাখুন- এই কামনা করছি।
খন্দকার নাহিদ হোসেন আপনার গল্প বরাবরই করুন ও বড় সুন্দর। তো আপনার লেখায় মধ্যবিত্ত জীবনটা কেমন ফুটতো তাই ভাবছিলাম। সামনে তেমন একটা গল্প পাবো সেই আশায় থাকলাম।
মনির খলজি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবোধে উজ্জিবীত সুন্দর পরিপাটী লিখায় দুটো সুন্দর চরিত্রকে ফুটে তুলেছেন লিখক সাবলীলতার সাথে ..শুভকামনা রইল

১৩ জুলাই - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪