এক পয়সার বাঁশি

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

মোঃ শরীফুল ইসলাম শামীম
  • ২৭
  • 0
  • ৯১
আজ সেই দিন মনে করে দেয়
তাল পাতার বাঁশির সুর,
শহর থেকে যে গ্রাম ছিল
একটু দূর।

সময় পেলেই ছোটাছুটি
খালবিল থেকে ধরিতাম
ছোট ছোট চুচরা পুঁটি।
চৈত্র মাসের শেষের দিনে
ব্যস্ত পুরা গাঁ
প্রভাত হলে মায়ে বলে-
‘মেরায় তোরা যা,
দশ পয়সা দিয়ে বলে
দুজন মিলে খা।

টুনি ছিল বড় বোকা
দিত এক পয়সা
ওরে নিয়ে আমার যেন
হত দুর্দশা।

এর জন্য কোথাও আমি
পারতাম না যেতে
বকা দিয়ে বলতাম আমি
যদি দেখি নড়তে
তবে তোকে নিব না
কোন দিন খলতে
এই বলে ফাঁকি দিয়ে
যেতাম আমি ঘুরতে।

নাগর দোলা ঘুড়ি ওড়া
কত রকম খেলা
বাউল পথিক গান ধরেছে
বাজছে একতারা বেহালা।
দোতারার সুরে টুনি যায় হারিয়ে
কান্না জুড়িয়ে দেয় আমাকে না পেয়ে
আমি বাপু মহা সুখে।
করি যেন খেলা
ঘুড়ি কাটা, জালের মধ্যে পয়সা ফেলা,
খেলতে খেলতে শেষ হয়ে যায়
সারাটা বেলা।

মেলা থেকে কিনলাম আমি
তাল পাতার বাঁশি
দোকান বাবু ডেকে বলছেন
এক পয়সার বাঁশি।
ছেলে বুড় সবাই কিনছে
তাল পাতার বাঁশি
বাঁশির সুরে বলে দেয়
ইচ্ছে মত নাচি।

ফিরার পথে নিলাম আমি
মুড়ি মুড়কি কিনে,
এসে দেখি টুনি নাই
ভয় লেগেছে মনে।

সবার কাছে জিজ্ঞেস করি
জানে না তো কেউ
মনে করি বাড়িতে নিয়েছে
জানা লোক কেউ।

দেখলাম আমি বাড়ি গিয়ে
টুনি আছে বসে
আমার উপর সবাই খেপে আছে।

অচিনপুরের লোক এসে
টুনিকে নিয়ে যায়
টুনির কান্না দেখে বলি
বোন ক্ষমা করা কি যায়?

সবাই যেন গোমরা মুখে
গাল ফুলে আছে।
তাল পাতার বাঁশির সুরে
দৌড়ে টুনি আসে।

বাবা-মা সবাই যেন
খিল খিলয়ে হাসে
তালপাতার বাঁশির সুরে
টুনি বোন নাচে।

তালপাতার বাঁশি খানা
টুনি নিতে চায়,
দুজনে সাথে তখন
ঝগড়া লেগে যায়।

কৈশোর কাল পেরিয়ে যখন যখন
যৌবন কাল এলো
পড়াশোনা করার জন্য
আমায় শহরে পাঠাল

শহরে আবার নববর্ষের
অন্য রকম খেলা,
ছাত্র ছাত্রী র্যারলি করে
কাটিয়ে দেয় বেলা।

রং তুলি দিয়ে সবাই যেন
গায়ে আঁকে আলপনা
ছোট বেলার কথাগুলো
আজ ভোলা যায় না।

আজ মনে হয় যেন
সেই ছোট বেলার কথা,
মানের মধ্যে জেগে তোলে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অজানা ব্যথা।

আগের মত নেই আর
সেই বাঁশির সুর
ঐতিহ্য থেকে মানুষ গিয়েছে
সরে বহু দূর।

জীবনে আমার প্রথম কেনা
এক পয়সার বাঁশি
সে কথা মনে হলে
এখনো আমি হাসি।

বাউলের গান ভাটিয়ালি সুর
বাংলার কথা এত যে মধুর
আমার গ্রাম শহর থেকে
একটু খানি দূর
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ শামছুল আরেফিন শৈশবের পহেলা বৈশাখের বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। অনেক অনেক শুভ কামনা থাকল।
রওশন আলী শেষে একটু খাপছাড়া , তাছাড়া খুব ভালো হয়েছে
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন) অনেক বড়। আরো খেয়াল করে ছন্দ মিলাতে হবে।
শাফিকুল ইসলাম শাফি কঠিন ভালো লেগেছে
এস, এম, ফজলুল হাসান অনেক ভালো লেখেছেন , ধন্যবাদ আপনাকে
মেহেদী আল মাহমুদ ছন্দের দূবর্লতা প্রকাশ পেয়েছে খুব বেশি। কবিতার কথা গুলো ভালো লেগেছে।
বিপ্লব কুমার সরকার সুন্দর লেখা নামটাও খুব সুন্দর লাগলো
মামুন ম. আজিজ দুটো লাইন এক সাথে করে লিখলেও পারতে। দেখতে পড়তে সুবিধা হতো।
মামুন ম. আজিজ বিশাল জীবন গাঁথা, নষ্টালজিক কবিতা। বেশ।
sujon asadharon ভাল হয়াছে

৩১ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪