লাল পিড়ান

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

মোঃ শরীফুল ইসলাম শামীম
  • ২২
  • 0
  • ৮৬
গতকাল বৈশাখী ঝড়ে মোল্লা পাড়ার প্রায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে তাদের ক্ষতি পূরণ করে। আবার স্বচ্ছন্দে জীবন যাপন করছে। আবার অনেকে এখানে তাদের ক্ষতির কবল থেকে উঠতে পারে নি। এই পাড়ায় যারা অসহায় অনাদরে জীবন কাটিয় তাদের মধ্যে গিটটুরা অন্যতম। গিটটুর বাবা নাই, তার জন্মের আগেই তার বাবা মারা গিয়েছে, মা অন্যের বাড়ীতে কাজ করে কিন্তু আয় করে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতো। কিন্তু গত বছরে কাল বৈশাখী ঝড়ে তাদের এমন অসহায় করে দিয়েছে যে তার কবল থেকে আজও মুক্তি পায়নি। গিটটুর বয়স তেমন হয়নি, ও সারা দিন গুড্ডি নিয়ে বেড়ায়। আর মানুষ যা করতে বলে তাই করে দেয়। আর যে সময় ধার কাটার সময় তখন ও ধানের শিষ কুড়াই। আর যখন আলু তোলা হয়, তখন আলু কুড়াই। এই সব করে কয়েক মাস কোন মত খায়। কিন্তু ক’দিন পর যখন সব শেষ হয়ে যায়। তখন তাদের খাওয়ার মত আর কিছু থাকে না। পাড়ার সবায় তার মাকে কাজে নেয় না। যখন কাজে নেয় না তখন সারা বেলা মা-ছেলেকে উপোষ থাকতে হয়। জলপান করেও যখন থাকতে পারে না। তখন ক্ষুধার যন্ত্রণা নিভানোর জন্য গিটটু অন্যের গাছ থেকে ফলমূল পেড়ে খেত।
এ জন্য প্রায় তার মার কাছে লোকেরা নালিশ করত। মাঝের মধ্যে গিটটু কে ধরে ইচ্ছামত মার ধর করত।
চৈত্র মাসে শেষের দিকে দাবদাহ শুরু হয়। এ সময় আকাশ থেকে অগ্নির ফুলকি ঝড়তে থাকে। খাল বিল বারি শূন্য হয়ে পরে থাকে। এ জন্য কৃষকরা কোন ধরণের চাষবাস করার মত পর্যাপ্ত পানি জোগান দিতে পারে না। পশু পাখি ও তৃষ্ণায় ছটপট করতে থাকে। এ সময় প্রচণ্ড রোদ, অনাবৃষ্টি চারি দিকে মাঠ ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে। এ সময় গাছের পাতা নেই বললেই চলে। এ সময় মোল্লা পাড়ায় তেমন চাষাবাদ করে না। কারণ সবাই জানে এ কালে ফসল চাষ করা মানে বিপদ ডেকে আনা। এর পরেও যারা চাষ করেছে তাদের কাটামারা হয়ে গিয়েছে, , গিটটু এবার চেয়েছিল কিন্তু ধানের শীষ কুড়িয়ে বেচে যা টাকা পাবে তা দিয়ে মেলায় যাবে। এ কথা সে মনে মনে ঠিক করেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এবার ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে ধান পাবার প্রত্যাশা করাও বোকার লক্ষণ মনে হয়। কেননা না এবার জমিতে ইঁদুরের গর্ত তেমন দেখা যায় না। গিটটু কয়েকটি পাতার খুঁজে খুঁজে কোন ধান না পেয়ে মন খারাপ করে বাড়ী ফিরছিল। হটাৎ একটি গর্ত দেখে খুব খুশি হয়ে গর্ত খুড়তে খুড়তে ক্লান্ত হয়ে যায়। তবু একটি ৰধানের পাতান ও পেল না। সম্ভবত গর্তটি ছিল সাপের। তাই হয় তো কোন ধান ছিল না। গিটটু বাড়ী ফিরে আসলে তার মা আসে না আমেনা জিজ্ঞেস করে কিরে গিটটু খালি হাতে ফিরা আইলি ক্যান? ফিরা আসুক না তাহলে কি করুম। হারা পাতার খুইজন মরছি তাও একটা ধানের শীষ পাই নি এ বলে গিটটু চুপচাপ করে বসে থাকে। মা বাড়ী উঠান ঝাড়ু দিচ্ছে। গিটটু হঠাৎ বলে মা আর তো ১৫ দিন বাঁকি আছে মেলার, আমারে মেলায় যায়তে দিবা না। তার মা ভালো করে জানে তাকে মেলায় নিয়ে কিছু কিনে দেওয়ার মত তার মায়ের ক্ষমতা নাই। তাই শুনেও না শোনার মত করে কাজ করে যাচ্ছে। আর গিটটু তার মাকে বলে যাচ্ছে মেরায় গিয়ে কি কি করবে। গিটটুর স্বপ্ন সে মেরায় গিয়ে নাগর দোলায় উঠবে, গুড্ডি নিবে। আর কিনবে বাঁশি। আর নানা রকম খাবার খাবে। এ কথা গুলো তার মা শুনে রেগে গিয়ে বলে- ঐ গিটটু তুই এত ছাগলের মত ভ্যা ভ্যা করতাছ ক্যান। নুন আনতে পান্তা ফুরায় আবার মেলায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। মায়ের দাঁতের ওপর দাঁত পিষা দেখে গিটটু ভয় পেয়ে ইঁদুরের ভয়ের মত বিড়ালের সামনে থেকে পারিয়ে যায়। সব মায়েরই স্বপ্ন থাকে তার ছেলেমেয়েদের ভালো খেতে দিবে, পড়তে দিব। আমেনা ও তেমন দেখত। কিন্তু সেই স্বপ্ন দেখে তার লাভ নেই কেন না সে কিছুই করতে পারবে না। এর মধ্যে আমেনা থক থক করে কাশি দিচ্ছে। তার গায়ে হালকা হালকা কয়েক দিন ধরে জ্বর বইছে। এ অবস্থায় অন্যের বাড়ীতে কাজ করে কয়েকটা অন্ন জোগানের জন্য। তাকে নিয়ে সে চিন্তা করে না। চিন্তা করে না। চিন্তা করে গিটটুরে নিয়া। গিটটু আজ পর্যন্ত এক বেলা মাংস দিয়ে ভাত পায়নি। মাংস কি সেটা সে দেখেনি। গিটটু যখন মাংস খেতে চাইত তখন মাছকে মাংস বলে খেতে দিত। গিটটু মাছকেই মাংস বলে জানে।
গ্রামের মানুষ যে পথ দিয়ে হাঁটে যাওয়া আসা করে। সেই পথ ধরে গিটটু বসে বসে মানুষের যাওয় আসা দেখছে। অনেক ছেলেমেয়ে খুব আনন্দ করে বাড়ী ফিরছে। গিটটু সবার হাসি কল্পনায় চলে গিয়েছে তা নিজেও জানে না। সে স্বপ্ন দেখে, সে লাল পিড়ান গরে তাদের গায়ের পাশে যে নদী আছে। সেই নদী নৌকা দিয়ে পার হয়ে মেলায় গিয়েছে। কত রকম জিনিষ পত্র,চারি দিকে প্যাঁ পু আওয়াজে পরিবেশটা মুখর হয়ে উঠে। গুড্ডি কিনে উড়াচ্ছে মেতে উঠেছে। নাগর দোলায় উঠে গুড্ডি কিনে উড়াচ্ছে। নানা রকম খাবার কিনে খাচ্ছে। বাউল দল গান ধরেছে। আমি সাধু সবাই আনন্দে যেতে উঠে। গিটটুকে এত খুশি দেখাচ্ছে তা ভাষ্য করা যাবে না। সে এর আগে এমন আনন্দ পায়নি কোথাও। জীবনে প্রথম বার সে উল্লাসের জন্য রাশিতে ডুককি দিয়ে উঠে। গিটটু হাসছে খেয়ারের ঘরে। ঐ সময় গিটটুর বয়সের এক ছেলে পথ দিয়ে যেতে দেখে গিটটু ফিক ফিক করে হাসছে চোখ রুদ্ধ করে তাই ছেলেটি মাথায় থাবা দিয়ে বলে কিরে গিটটু হাসতাছ ক্যান?
আরে হাকিম আমি না মেলায় গেছলাম। কত মজা করছি। গিটটু কথা শুনে হাকিম বলে আরে তুই তো পাগল হইছ। মেলায় এখনও ১৫দিন বাঁকি আছে। আর তুই মেরায় গেছস, তাই না। গাধা, বলে হাকিম চলে যেতে লাগলে। গিটটু তার হাতে লাল পিড়ান দেখে হাকিমের কাছে দৌড়ে গিয়ে বলে- কি রে এই পিরান তোরে কে দিয়েছে। ক্যান আমার বাজানে, এইডা পইড়া মেলায় যামু। গিটটু সেথায় হতে দৌড়ে বাড়ী এসে বলে- মা, ও মা আমারে লাল পিড়ান কিনা দিবা। অহনি হাঁটে চল, মা চল। গিটটুর মা কোন কথা না বলে বসে আছে, গিটটু অতিরিক্ত জোড়াজোড়ি করার ফলে তার মা তাকে চড় মেরে বলে- ঐ তুই মরতে পারচ্ছ না। তোর বাপে মইরা শান্তি পাইছে। আর আমারে তুই জ্বাইলা পুইড়া মারবি না এ বলে কান্নায় তরঙ্গে ভেঙে পরে। এমন সময় মহাজন গিটটুদের বাড়ীতে এসে ডাকাডাকি করে। আমেনা বিবি বাড়ি আছনি। মহাজনের চামচা হুকুম আলী বলে উঠে- কিয়ে কন মহাজন। এ বাড়ীর মানুষ বাড়ী থাকবো না কি রাস্তায় থাকব। ক’দিন পর হয় তো রাস্তায় থকতে হইব। গিটটু মা মহাজনদের কথার আওয়াজ পেয়ে ঘোমটা দিয়ে বলে- কি কইবেন কন?
মহাজন হেসে বলে উঠে- আমি আবার কি কইতে পারি তা ভাল কইরা জান আমার দুইটা কথা এ কথা বলেছিলাম রাজি হওনি যায়গা কার মাসে তৈর কটা হইয়া গেছে আজো কিন্তু আমার পাওনা শোধ করতে পার নাই। পহেলা তারিখের নয়া বছর শুরু হইব। আর নয়া বছর শুরু হওয়ার আগে আমি পাওনা চাই। তা না হইলে কিন্তু নয়া বউ সাইজা যাইতে হইব আমি তোমাকে ১০ দিন সময় দিয়া গেলাম। বলে চলে যায়। আমেনা অস্থির হয়ে হোয়েন মহাজন সাব হোনেন বলে ডাকাডাকি করে কিন্তু তার কোন কথা শুনে চলে যায়।
কয়েক দিন ধরে গিটটু না খেয়ে দেয়ে রাস্তায় ঘোরা ঘুরি করতে দেখে লতিফ দয়া করে। গিটটুকে তার বাড়ীর ধবলীকে দেখভাল করার জন্য কয়েক দিনের জন্য কাজে নেয়। প্রতি দিন তারে এক বেলা ভাত খাইতে দিবে। আর এক পয়সা করে দিবে। এ কথা বলে গিটটুরে কাজে নেয়। গিটটু প্রভাত বেলা হয়। আর মধ্য দুপুর বেলা খায়তে আহে। আবার চলে যায়। গিটটুর মা তার খাওয়ার চিন্তা থেকে রেহায় পেল একথা ভেবে একটু খুশি হয়। কিন্তু মহাজনের কথা মনে হলে তার আত্মায় পানি থাকে না। পুরো গাঁ কামের জন্য ছোটাছুটি করে। কিন্তু কোন বাড়ীর লোকেই কাজে নিতে চায় না। আর কামে নিয়া অহন কি করব। কেননা এখন গ্রামের কোন বাড়ীতেই তেমন কোন কাজ নাই। গিটটু যখন এক পয়সা করে পেত তা নিয়ে এসে তার মাকে দেয়। গিটটু ইচ্ছা মেলার আগে সে একটা লাল পিড়ান কিনবে। কিন্তু একটা পিড়ান কিনতে লাগবে দশ পয়সা। এর মধ্যে আবার কিছু টাকা পাবে মহাজন। সেই টাকা দুই তিন পর নিতে আসবে। একথা বোঝানোর চেষ্টা করে গিটটুরে। গিটটু ও চায় লাল পিড়ান কিনতে। তার মা আমেনা ভেবে পায় না কি করবে। গিটটু সকাল বেলা উঠেই লতিফ মিয়ার বাড়ী গিয়ে গোয়াল ঘর থেকে ধবলী বেড় করে নিয়ে মাঠে চলে যায় ধবলী কে চড়ানোর জন্য।
গিটটু মাঠে গিয়ে ধবলীকে ছেড়ে দিয়ে গুড্ডি উড়াচ্ছিল। আকাশের নীল রঙের মাঝে গিটটুর মন হারিয়ে যায়। সে ভুলে গিয়েছে সে মাঠে ধবলীকে চড়াতে এসেছে। গুড্ডির সুতা যখন ছিঁড়ে উড়তে থাকে। তখন সে দিশাহারা হয়ে গুড্ডির পিছে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তার গুড্ডি নদীর জলে গিয়ে ভিজে যায় তখন সে মন খারাপ করে বসে থাকে। হঠাৎ তখন ধবলীর কথা মনে পরে যায়। তখন সে ধবলীকে খোজার জন্য ছুটাছুটি করে। গিটটুর চোখ মুখ শুকিয়ে যায়। দৌড়াতে দৌড়াতে সে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে, তবুও সে ধবলীর কোন খোঁজ না পেয়ে কাঁদতে শুরু করে দেয়। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে যায় তবু ধবলী কে খুঁজে বেড়ায়। গিটটু যখন জমির মিয়ার মরিচ ক্ষেত দিয়ে হেটে যাচ্ছিল তখন ধবলীকে মরিচ ক্ষেতে মরিচ গাছ খেতে দেখে তার হাতে যে নাটাই ছিল ওটা দিয়ে যখন পাঁচ ছয়টা বাড়ি দিয়ে দড়ি ধরে টান ছিল তখন ধবলী মাটিতে লুটিয়ে পরে পা শরীর ছড়িয়ে দিয়ে গাঁগাঁতে শুরু করে। ধবলীর পেটে বাচ্চা ছিল , পেটে জোড়ানো ভাবে আঘাত লাগার কারণে মাটিতে শুয়ে পড়ে তার কিছুক্ষণ পরই ধবলীর নিঃশ্বাস নেওয়া নিস্তদ্ধ্ব হয়ে যায়। গিটটু ধবলীকে দেখে, সে ভেবে পাচ্ছে না বাড়ী যাবে না কি অন্য কোথাও পালিয়ে যাবে। ঐ পথ দিয়ে আবার কিছু লোক হেঁটে যাওয়া দেখে সে দৌড় দেয়।
সাঁঝ হয়ে যায়। তবু ধবলীকে নিয়ে আসেনি। লতিফ খুব চিন্তায় পরে যায়। কি হল? লতিফ পরিশেষে গিটটুদের বাড়ী গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখে সে বাড়ীতেও যায়নি। সে গেছে কোথায় সে কথা জানতে চায় গিটটুর মায়ের কাছে। কিন্তু তার মা কিছু না বলার কারণে, অত্যাচার শুরু করে মানসিক ভাবে। গিটটুর মাকে লতিফ ভয় দেখিয়ে চলে যায়। গিটটুকে তার মা খুঁজতে বেরিয়ে পরে। অনেক খোঁজা খুঁজি করে বাড়ী ফিরে আসে। চিন্তায় মুখ চোখ শুকিয়ে যায়। এমনিতেই অসুস্থ তার মধ্যে আবার লতিফ অত্যাচার করছে। আবার এত রাত হয়েছে তবু গিটটুর কোন খবর পেল না। আজকাল এমনিতে বাচ্চাদের ধরে নিয়ে বিক্রি করে গোলামী করার জন্য। সে কথা ভাবতে ভাবতে আর কাশি শুরু হয়। কাশতে কাশতে মাটিতে শুয়ে পরে।
গভীর রাতে গিটটু চোরের মত করে বাড়ী এসে দেখে তার মা উঠানে শুয়ে আছে। তার মাকে আস্তে আস্তে ডাকতে থাকে। অনেক ডাকা ডাকির পরেও তার মার কাছ থেকে কোন সাড়া পেল না। তার মার শরীর বরফের মত ঠাণ্ডা সে বুঝতে পারে। তার মা যে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরাগমন করেছে। সারা রাত ধরে মাকে ডাকা ডাকি করে। তবু তার মার কাছে থেকে একটা বাণী পায় না। ভোরে সূর্য কিরণ বিস্তার করার আগেই গাঁ ছেড়ে পালিয়ে যায় গিটটু। তার মায়ের কবরে একমুঠো মাটি দিতে পারে না । কোথায় যে গিটটু হারিয়ে গিয়েছে তা কে বা জানে। তার লাল পিড়ানের স্বপ্ন আর মেরায় যাওয়ার আশা সে দিনই মাটি চাপা গড়ে ছিল।
‘স্বপ্ন ভেলা ডুবে গেল
গঙ্গা নদীর জলে
কোন ফাঁকে জীবনটা
গেল কবল তলে
জীবন খানা ভাঙ্গা তরী
ঠাক করার নাই তো দড়ি,
তবু সবাই বইতে চায় জীবন তরী
কতটুকু পরাপার দিতে পারি পাড়ি’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রওশন আলী আর একটু সময় নিয়ে লিখুন , ভালো করতে পারবেন
শাফিকুল ইসলাম শাফি লেখালেখি ভালই তো পারো
এস, এম, ফজলুল হাসান অনেক ভালো লেখেছেন , ধন্যবাদ আপনাকে
kolin সুন্দর হয়েছে.
sujon খুব ভাল
বিষণ্ন সুমন গল্পটা পড়তে গিয়ে যেটা বেশি চোখে বেধেছে তা হলো সময় ভেদে শব্দের বেবহার. একবার মনে হলো অতীতকে বর্ণনা করা হয়েছে. আবার কখনো কখনো বর্তমানে টেনে আনা হয়েছে. আবার একই লাইন এ অতীতকাল ও বর্তমান কালকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে. এটা বেবহার ভেদে কখনো কখনো লিখার অলংকরণের সৌন্দর্যহানি করে. যদিও প্রতিষ্ঠিত লেখকদের লিখায় অনেক সময় এধরনের কিছু কাজ দেখা যায়, যা পরিবেশনের মুন্সিয়ানার জন্য সুন্দর রূপ পায়. তুমি যদি এই বিষয়গুলু নজর দাও তবে অনেক ভালো কিছু লিখতে পারবে. সেই ক্ষমতা তোমার আছে. শুভাশিস রইলো পরেরবার তোমার কাছে তেমনি পরিপক্ক্ব একটা লিখা পাব. ধন্যবাদ তোমাকে.

৩১ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪