আর কত খাবে আমাকে?

ক্ষুধা (সেপ্টেম্বর ২০১১)

অনইক আহমেদ
  • ৩৮
  • 0
  • ৭৭
ক্ষুধা!
এত ক্ষুধা কেন তোমার!
হাতে ক্ষুধা,
পায়ে ক্ষুধা,
আঙ্গুলে ক্ষুধা,
চোখে ক্ষুধা,
ঠোটে ক্ষুধা,
বুকে ক্ষুধা,
সারা গায়ে তোমার,ক্ষুধা !
অন্তরটাও বাদ যায়না
তোমার!
তোমার প্রতিটা হার্টবিট
শুধু ক্ষুধার কথা বলে!
আমার কাছে আসলেই,
কেন ক্ষুধা পায় তোমার?
আমি কি তবে তোমার খাদ্য!
কেমন খাদ্য আমি তোমার
যে,
আমাকে দেখলেই ক্ষুধা
অনুভব কর তুমি?
আমারওতো ক্ষুধা পায়,
কিন্তু তোমার মত এমন
রাক্ষুসে ক্ষুধাতো
আমার পায়না!
তোমার আবার
যেমন তেমন ক্ষুধা নয়,
একেবারে ছিড়ে কুড়ে
খাওয়ার ক্ষুধা!
প্রেমের ক্ষুধা কি এমন হয়?
কই আমার ক্ষুধাতো এমন নয়!
আমার শুধু মনে হয়
এ তোমার ক্ষুধা নয়,
এ হল তোমার
ভোগ করার ইচ্ছা।
আমি কি তবে
তোমার ভোগের বস্তু?
শুধুমাত্র ভোগের জন্যই
তোমার এই প্রেম দেখানো
আদুরে নাটক!
সত্যি করে
বলতো জাদুমনি,
কতটুকু ভালবাস আমায়?
আমাকে ছুয়ে বলতো,
আমার ঘাসফড়িং'টা?
ভালবাস কি
ভালবাসা পাওয়ার জন্য?
নাকি শুধু ভোগ করার জন্য!
জানি তুমি বলতে ভয় পাবে।
হারানোর ভয় তাইনা?
এমন খাদ্য কি কেউ
হারাতে চায়!
তোমার কি দোষ,
দোষতো আমার।
আমার নারীত্বটাই
আমার দোষ।
ভোগ্যপণ্য নামক
আমার এই নারীদেহটাই
যত নষ্টের মূল।
আমাকে দিয়ে আর
কিইবা হয় ভোগ করা ছাড়া?
ক্ষুধা মেটানো ছাড়া!!
তাইতো তুমি যেমন ইচ্ছা
তেমন খাচ্ছ আমাকে!
বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে সোনাপাখি।
কিন্তু বলতে যে আমাকে হবেই।
রাগ করোনা ,
আজ আমাকে একটু
বলতে দাও?
বললেই কি তোমার পুরুষত্বে
আঘাত লাগে,জানটুস আমার?
শোন,
ভেবে দেখলাম যে,
খাদ্য ও খাদকের মাঝে
যেমন সম্পর্ক,
তোমার আর আমার
সম্পর্কটাও ঠিক তেমন।
খাদক যেমন খাদ্য দ্বারা
তার প্রয়োজন মেটায়,
তুমিতো তাই করছো।
তোমারতো দোষ নেই!
খাদক যেমন ক্ষুধা পেলে
খাদ্যের অনুমতি
নেওয়ার প্রয়োজন
বোধ করেনা,
তুমিতো তাই করছো।
তোমারতো দোষ নেই!
খাদক যেমন খাদ্য
চিবানোর সময় খাদ্যকে
জিঙ্গেস করেনা যে,
খাদ্য ব্যথা পাচ্ছে কিনা,
তেমনি ভাবেইতো তুমি
আমায় চিবাচ্ছো।
তোমারতো কোন দোষ
দেখিনা আমি!
এটাইতো স্বাভাবিক তাইনা,
প্রিয়তম আমার?
ভেবোনা যে,
এত কিছু বলছি বলেই,
বিদ্রোহী হয়ে উঠব আমি।
তোমার অবাধ্য হব।
ভেবে দেখতো,
সে সাহসটা
কি আমার হবে কখনো?
তোমার এমন
বাধ্যগত,
অনুগত,
ওষ্ঠাগত খাদ্য কি আর
পারে তোমার অবাধ্য হতে?
ভয় পেওনা,তোমার
প্রেয়সিনী,
সুহাসিনী,
অর্ধাঙ্গিনী,
কামিনী,
যামিনী,
তোমার খাদ্য হয়েই,
তোমার দিবস রজনীর
প্রয়োজন মেটাবে...,
ঠোটে ক্ষুধা,
বুকে ক্ষুধা,
সারা গায়ে তোমার,ক্ষুধা !
অন্তরটাও বাদ যায়না
তোমার!
তোমার প্রতিটা হার্টবিট
শুধু ক্ষুধার কথা বলে!
আমার কাছে আসলেই,
কেন ক্ষুধা পায় তোমার?
আমি কি তবে তোমার খাদ্য!
কেমন খাদ্য আমি তোমার
যে,
আমাকে দেখলেই ক্ষুধা
অনুভব কর তুমি?
আমারওতো ক্ষুধা পায়,
কিন্তু তোমার মত এমন
রাক্ষুসে ক্ষুধাতো
আমার পায়না!
তোমার আবার
যেমন তেমন ক্ষুধা নয়,
একেবারে ছিড়ে কুড়ে
খাওয়ার ক্ষুধা!
প্রেমের ক্ষুধা কি এমন হয়?
কই আমার ক্ষুধাতো এমন নয়!
আমার শুধু মনে হয়
এ তোমার ক্ষুধা নয়,
এ হল তোমার
ভোগ করার ইচ্ছা।
আমি কি তবে
তোমার ভোগের বস্তু?
শুধুমাত্র ভোগের জন্যই
তোমার এই প্রেম দেখানো
আদুরে নাটক!
সত্যি করে
বলতো জাদুমনি,
কতটুকু ভালবাস আমায়?
আমাকে ছুয়ে বলতো,
আমার ঘাসফড়িং'টা?
ভালবাস কি
ভালবাসা পাওয়ার জন্য?
নাকি শুধু ভোগ করার জন্য!
জানি তুমি বলতে ভয় পাবে।
হারানোর ভয় তাইনা?
এমন খাদ্য কি কেউ
হারাতে চায়!
তোমার কি দোষ,
দোষতো আমার।
আমার নারীত্বটাই
আমার দোষ।
ভোগ্যপণ্য নামক
আমার এই নারীদেহটাই
যত নষ্টের মূল।
আমাকে দিয়ে আর
কিইবা হয় ভোগ করা ছাড়া?
ক্ষুধা মেটানো ছাড়া!!
তাইতো তুমি যেমন ইচ্ছা
তেমন খাচ্ছ আমাকে!
বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে সোনাপাখি।
কিন্তু বলতে যে আমাকে হবেই।
রাগ করোনা ,
আজ আমাকে একটু
বলতে দাও?
বললেই কি তোমার পুরুষত্বে
আঘাত লাগে,জানটুস আমার?
শোন,
ভেবে দেখলাম যে,
খাদ্য ও খাদকের মাঝে
যেমন সম্পর্ক,
তোমার আর আমার
সম্পর্কটাও ঠিক তেমন।
খাদক যেমন খাদ্য দ্বারা
তার প্রয়োজন মেটায়,
তুমিতো তাই করছো।
তোমারতো দোষ নেই!
খাদক যেমন ক্ষুধা পেলে
খাদ্যের অনুমতি
নেওয়ার প্রয়োজন
বোধ করেনা,
তুমিতো তাই করছো।
তোমারতো দোষ নেই!
খাদক যেমন খাদ্য
চিবানোর সময় খাদ্যকে
জিঙ্গেস করেনা যে,
খাদ্য ব্যথা পাচ্ছে কিনা,
তেমনি ভাবেইতো তুমি
আমায় চিবাচ্ছো।
তোমারতো কোন দোষ
দেখিনা আমি!
এটাইতো স্বাভাবিক তাইনা,
প্রিয়তম আমার?
ভেবোনা যে,
এত কিছু বলছি বলেই,
বিদ্রোহী হয়ে উঠব আমি।
তোমার অবাধ্য হব।
ভেবে দেখতো,
সে সাহসটা
কি আমার হবে কখনো?
তোমার এমন
বাধ্যগত,
অনুগত,
ওষ্ঠাগত খাদ্য কি আর
পারে তোমার অবাধ্য হতে?
ভয় পেওনা,তোমার
প্রেয়সিনী,
সুহাসিনী,
অর্ধাঙ্গিনী,
কামিনী,
যামিনী,
তোমার খাদ্য হয়েই,
তোমার দিবস রজনীর
প্রয়োজন মেটাবে...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আনিসুর রহমান মানিক ভালো ..ভালো ..
ভালো লাগেনি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সূর্য রেলগাড়ির মতো হয়েছে, বিরতিহীন ক্ষুধার এক-একটা বগি জুড়ে আছে কবিতায়।
ভালো লাগেনি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
ইয়াসির আরাফাত হীমালয়ের চেয়ে উঁচু হয়েছে কবিতাতি ভাল লাগল ।
ভালো লাগেনি ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১
ম্যারিনা নাসরিন সীমা ক্ষুধার বিশাল ব্যাপার স্যাপার ! লম্বা কবিতা তবে সুন্দর ! ভাল লাগলো ।
ভালো লাগেনি ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১
এফ, আই , জুয়েল # কামনা-বাসনার বেড়াজালে নিয়তির দোলায় , কবিতা ক্লান্ত হয়েছে ----- তবুওতো পরাবাস্তবের পরাভবে হালকা ঢেউ তুলে কবিতা চলছে সুন্দরের পানে ।।
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১
প্রজাপতি মন সত্যি করে বলতো জাদুমনি, কতটুকু ভালবাস আমায়? আমাকে ছুয়ে বলতো, আমার ঘাসফড়িং'টা? ভালবাস কি ভালবাসা পাওয়ার জন্য? অনেক সুন্দর!
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১
ইউছুফ আলী বারবার ক্ষুধার কথা আসাতে একঘেয়েমি লাগলো । বেশি বেশি কবিতা পড় তাহলে সামনে ভাল করবে ।
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সোহেল মাহরুফ ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ভালো লাগেনি ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১
M.A.HALIM ওরে বাপরে বাপ! ক্ষুধা আর ক্ষুধা পড়তে পড়তে আমিও ক্ষুধায় অস্থির হয়ে উঠেছি। খেয়ে এসে আবার বসতে হবে। শুভ কামনা রইলো।
ভালো লাগেনি ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১

০২ জুলাই - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪