অজগর প্রেম

ভালবাসা (ফেব্রুয়ারী ২০১১)

সাইয়্যেদা ফাতিহা-তুর রূবাইয়্যাৎ
  • ১৩
  • ৬৮
"আচ্ছা দাদু 'অ'-তে 'অজগরটি আসছে তেড়ে'- অজগর কি?"
তমু সোনা, অজগর হল একটি বৃহদাকৃতির সাপ।মানুষ খেয়ে ফেলতে পারে।"
"তা-ই, অজগর আমাদের ড্রয়িংরুমে টানানো বাঘের মতো বড় হবে?
"দাদু মনি,শোনো তাহলে।আফ্রিকার এক জঙ্গলে একবার কয়েকজন শিকারি করার ফাঁকে একটি গাছের গুড়ির উপর বসে যেই না ধূমপান করছে তেমনি একটি স্ফুলিঙ্গ গাছের গুড়ি স্পর্শ করার সাথে সাথে নড়ে উঠল। শিকারিরা প্রথমে আশ্চর্য হলেও পরে বুঝতে পেরে দৌড়েঁ পালাল।
"দৌড়ে পালাল কেন?
"কারণ, ওটা ছিল একটি অজগর।"
তমিস্রার ছেলেবেলায় এভাবেই অজগরের সাথে প্রথমে পরিচয়। কৈশোরে রয়্যালারড কিপলিংয়ের দ্যা জাঙ্গল বুক-এ মোগলির সাথে অজগরের বৈরী সম্পর্ক মোটামুটি অজগর সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ করে তোলে তাকে। কিন্তু মহাকালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া সময় তার চিহ্নস্বরূপ যে স্মৃতিকে রেখে যায় সেই অতীত যে কারো হৃদয়ে অজগরের নিভৃত নির্জন আশ্রয় তৈরি করতে পারে তমিস্রার জীবনের পঁচিশ বসন্তই তার ঘোষিত প্রমাণ।
তমিস্রা ছেলেবেলা থেকে অনেক আদর যত্নে মানুষ হয়েছে। গ্রহকোনে আবদ্ধ শিশু মানব বলতে যা বোঝায় তাই আর কী। কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের জান আর ক্লাস রুমে ছাড়া বাবা-মার সং স্পর্শহীন বাইরের কোন অভিজ্ঞতা তার মনে পড়ে না। জীবনের ষোলতম বর্ষার দিনে খুব ইচ্ছা করছিল ভিজতে কিন্তু বাসার আশেপাশে ছেলে পাশে ছেলেদের মেস থাকায় তার মনের সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি।তাতে কী হয়েছে, প্রেম তো হয়েছে। তার প্রেমিক পুরুষটি বাসায় নিয়মিত গমনাগমন করে, অংক বিজ্ঞান দেখিয়ে দেয়।কিন্তু তমিস্রা বলতে পারে নি। দুটো বছর গত হয়েছে। খুব ভালো হয়েছে এক দিন সে জিজ্ঞেস করে-
"স্যার, আপনি বিয়ে করবেন না?
"করব"
"কাকে?"
"এখনও জানি না"
"আমি তো আপনাকে সব বলি। বলেন না, আপনার কোনো পছন্দ আছে কি না?
আমার আবার পছন্দ। সে হবার নয়।
কেন? আপনি আমাকে একবার দেখিয়ে দিন। তাকে যেভাবেই হোক আপনার করে দেব।
তুমি তো তাকে দেখতে পারবে না।
দেখতে পারবোনা। কেন স্যার।
’তুমি শুধু তার প্রতিবিম্ব দেখতে পাবে।
হঠাৎ বুকের প্রকোষ্ঠে কি যেন একটা উল্লম্ফ নৃত্য শুরু করল। না বলা অনুভূতি কীভাবে স্যারের ভিতর সংক্রমিত হলো? তমিস্রার পৃথিবীটাকে দুর্বোধ্য আর অতি-প্রাকৃত মনে হতে লাগল। সেই-ই শুরু। ধীরে ধীরে সংসার , অফুরন্ত সুখের সীমিত চিন্তা। এত সুখ এ যে নিক্তিতে মাপা যায় না। তারপর...
‘আচ্ছা ঐ সুন্দরী মেয়েটা কে?’
’ও পাশের বাসায় নতুন এসেছে। আমার সাথে খুব বন্ধুত্ব’ স্বামীর সৌন্দর্যাসক্তি দেখে উৎসাহ ভরে বলল আঠারো বছরের তমিস্রা।
'ওকে মাঝে মাঝে বাসায় বেড়াতে নিয়ে এসো," শ্রদ্ধেয় স্বামী বললেন।
‌’জানো ওকে এক হিন্দু ছেলে ভীষণ ভালবাসে’, তমিস্রা বলে।
‘ও ভালোবাসে না?’
‘অবশ্যই জানো ও মুসলমান কিন্তু হিন্দু ছেলেটা ওকে সিন্দূরের কৌটা দিয়েছে।’
স্বামী দেবতা কিছুটা মনক্ষুণ্ন হলেন। কিন্তু সময়ের আবর্তে যখন তার নিবেদিত প্রাণ পূজারী দেবতার সম্মুখে ভোগ উৎসর্গ করল তার পরিচিতা নারীদের যারা পুরুষ স্পর্শ প্রিয় আর ’বলি’ দিল তমিস্রার চির অন্ধকারময় বিশ্বাসকে। এখন তমিস্রার কাছে 'স্বামী বনাম প্রেমিক' এবং প্রেম বনাম বিয়ে' এই তত্ত্বটি একটি ঘুমন্ত অজগর যে অজগরটি জিজ্ঞাসা বোধক চিহ্নের মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমিয়ে আছে, মাঝে মাঝে প্রাণপ্রিয় স্বামীর সিগারেটের স্ফুলিঙ্গে তার আড়মোড়া ভাঙ্গে। এরপর আবার ঘুমিয়ে যায় সেই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিন আরফান. আপনি যা লিখেছেন এটা অমূল্য, দুনিয়াতে আর কেহ তা লিখতে পারে নাই . খুব ভালো লাগল চালিয়ে যান. আপনি একদিন বড় হবেন এই প্রত্যাশায় , বিন আরফান.
ভালো লাগেনি ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
Dubba ভালো লেগেছে
ভালো লাগেনি ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
মাহমুদা rahman wellcome everyone....golpo kobita......
ভালো লাগেনি ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
সুমন ভালো লেগেছে
ভালো লাগেনি ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
অনিকেত jamal নাহ অপূর্ব
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
শাফা মৌমি onek valo na holeo motamuti bala jay
ভালো লাগেনি ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
বিষণ্ন সুমন সেই ছেলে বেলা থেকে লিখছি. কিন্তু কি যে ছাইপাশ লিখছি আল্লাই মালুম. যেহেতু আমায় কেও চিনেনা. প্রশ্নটা হলো আমি নিজেও কি আমায় চিনি ? যখন পাঠক হিসেবে নিজের লিখাটা পড়ি, তখন মনে হয় এত পচা লিখা আমার হতেই পারেনা. আবার যখন লিখতে বসি তখন বুঝতে পারি, এর চেয়ে ভালো লিখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়. তবে আমি মানুষকে অসম্ভব ভালবাসি. তাই অন্যের লিখার সমালোচনা করার দুঃসাহস আমার হবেনা. তাই সকল লেখক-লেখিকা ভাই-বোনদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিছি, আমার এই অপরাগতায় কেও যেন আমায় ভুল না বুঝেন. শুভকামনা সবার জন্য.
ভালো লাগেনি ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
Mashiur Rahman একটি ঘুমন্ত অজগর যে অজগরটি জিজ্ঞাসা বোধক চিহ্নের মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমিয়ে আছে, মাঝে মাঝে প্রাণপ্রিয় স্বামীর সিগারেটের স্ফুলিঙ্গে তার আড়মোড়া ভাঙ্গে। - e tuku ভালো উপমা হেছে কিন্তু ar তো ভালো লাগা কিছু নাই.
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
বিন আরফান. লিখতে থাকেন ভালো হয়েসে
ভালো লাগেনি ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

৩১ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪