রানী এমন কথা কহিল, রাজা তাহা মানিতে পারিল না।অন্য কেহু কহিলে, এতক্ষণ সভা বসিয়া যাইত।কিন্তু রানী,তাই বোধ হয় এখনও স্থীর রহিয়াছে?তবুও তাঁহার মধ্যে সন্দেহ রহিয়া গেল।বিড় বিড় করিয়া বলিতে লাগিল,না,না এমন হইতে পারে না!দেশে একজন পুরুষও নাই,যে তাঁহার স্ত্রীকে ভয় করে না?নিশ্চয়!নিশ্চয়!!দেশে এমন পুরুষও রহিয়াছে,যে তাহার স্ত্রীকে একটুও ভয় করে না। সন্দেহের তাড়না তাঁহাকে অস্থির করিয়া তুলিল।ক্রমাগত পা-চারী করিতে লাগিল।এমন সময় তাঁহার পাশে রানী আসিয়া দাঁড়াইল।রাজা রানীর দিকে এক নজর তাকাইয়া আবার পা-চারী শুরু করিয়া দিল।রানী তাহার কীর্তি দেখিয়া হাসিয়া ফেলিল।মুখে হাত চাপিয়া হাসি রোধ করিবার চেষ্টা করিল বটে;কিনতু মুখে হাসি রহিয়ায় গেল।হাসি মিশ্রিত ঠোঁটে কহিল, স্বামী,মোর প্রিয়তম স্বামী,আপনাকে এত অস্থীর দেখাইতেছে কেন?
রাজা কহিল,কাটার উপর নুনের ছিটা!এটা ঠিক নহে রানী।আমি তোমাকে ভয় করি ঠিকই;কিন্তু আমার রাজ্যে এখনও এমন অনেক পুরুষ রহিয়াছে,যাঁহারা তাঁহার স্ত্রীকে ভয় করে না।সকল পুরুষই তাঁহার স্ত্রীকে ভয় করে,তোমার ধারণা মানিতে পারিলাম না।
স্বামী,শুধু আপনার রাজ্যে নহে;পৃথিবীতে যত রাজ্য আছে,তত রাজ্যের পুরুষই তাঁহার স্ত্রীকে ভয় করিয়া থাকে।যদি
বিশ্বাস না হয়,তবে সভা ডাকিয়া পুরুষ জাতিকে জিঞ্জাসা করিয়া দেখিতে পারেন।রানী কহিল।
স্বপ্নচারিনী পিয়তমা রানী,তোমার সব কথা আমি বিনা যুক্তিতে মানিয়া লই;কিন্তু তোমার এই কথা আমি মানিতে
পারিলাম না।তুমি তোমার কথা,তোমার কাছে ঘুরিয়া লও।
যাহা সত্য তাহা মানিতে একটু কষ্ঠই হয়।কী করিবেন স্বামী?কপালের লিখন,সবই কপালের লিখন।ঈশ্বর যে নিয়ম
লিখিয়া দিয়াছে,তাহা ত আপনি আর আমি খন্ডন করিতে পারিব না।
আমি এখনও বিশ্বাস করি,আমার রাজ্যে এমন অনেক পুরুষ রহিয়াছে,যাঁহারা তাঁহার স্ত্রীকে ভয় করে না।
আমি ত আগেই বলিয়াছি স্বামী।আপনি সভা ডাকিয়া তাহা প্রমান করিয়া লইতে পারেন।
রানী মুখ টিপিয়া হাসিয়া রাজার কাছ হইতে প্রস্থান করিল।ইহাতে রাজার রাগ দ্বিগুন হইয়া গেল।তাহার অস্থীরতা আরও বৃদ্ধি পাইল।মনের মধ্যে কষ্ঠ অনুভব করিল।সে নিজে নিজেই বিড় বিড় করিয়া বলিতে থাকিল,ইহা কোন ভাবেই মানিয়া লওয়া যায় না।ইহা হইতে পারে না।রাজার হ্রৎপিন্ড ধড়াক ধড়াক আওয়াজ করিতে লাগিল।তাঁহার মনের মধ্যে দ্রুততর কষ্ঠ বৃদ্ধি পাইতে থাকিল।তাঁহার মনে হইল,এমন কী হইতে পারে?
রাজার মধ্যে মনোকষ্ঠ বৃদ্ধি পাইল।তাহার মস্তিস্কের মধ্যে মহাপ্রলয় শুরু হইয়া গেল।তাঁহার মস্তিস্ক তাঁহাকে প্রশ্ন করিয়া বসিল,ওহে রাজা গোবিন্দ,তুমি তোমার স্ত্রী কলাবতীকে ভয় কর কেন?রাজার বোধ হইল।তাই ত! আমি কলাবতীকে কী কী কারণে ভয় করিয়া থাকি।ইহার একটি ফর্দ্দ তৈরি করা উচিত।রাজা আর দেরী করিল না,তাঁহার গ্রন্থাগারে ঢুকিয়া পড়িল এবং কাগজ কলম লইয়া বসিয়া পড়িল।
রাজা গোবিন্দ অনেক কিছুই ভাবিল;কিন্তু নির্দিষ্ঠ কোন বিষয় স্থীর করিতে পারিল না।সে নিজেকে গোবরধন হিসাবে ভাবিতে শুরু করিল।তাঁহার মনে হইল,এই ছোট একটি বিষয়, এটাও সে বাহির করিতে পারিল না!রাজার মনোকষ্ঠ আরও বৃদ্ধি পাইতে থাকিল।
রাত গভীর হইতে থাকিল।রানী কলাবতী ঘরে একাকী রহিয়াছে।রাজার ভয় হইল,রানী চিৎকার শুরু করিয়া দিলে,ইজ্জত বলিয়া আর কিছুই.................!রাজা ভাবনা শেষ না করিয়া চিৎকার করিয়া উঠিল,পাইয়াছি,পাইয়াছি!রাজার মনে প্রফুল্ল আসিল।সে বুঝিতে পারিল,নারীজাতির শরম বলিয়া কিছু নাই;যে কোন সময় যে কোন অঘটন ঘটাইতে পারে।কিন্তু পুরুষ জাতির ইজ্জত বলিয়া কিছু আছে,কোন রুপ কোলাহল সৃষ্টি না হয়,তাহার জন্য সে চুপ করিয়া থাকে।ইহাকে ভয় বলা ভুল হইবে।
কলাবতী অন্দরমহল হইতে চিৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল, স্বামী,স্বামী, রাত কত হইয়াছে,তা কী আপনার বোধ হয়নি?না আমাকে আসিতে হইবে?
প্রিয়তমা কলাবতী,একটু সবুর করিও,আমি এক্ষনি আসিতেছি।রাজা কহিল।
দেরী করিবেন না,আমার আর সবুর সহিতেছে না।আপনি বিনা আমাকে নিঃস্প্রাণ মনে হয়।
রাজা গোবিন্দ অন্দরমহলে প্রবেশ করিল।তাঁহার মনটা এখন অনেক উৎফুল্ল।মুখে তাঁহার হাসি লাগিয়া আছে।ইহা দেখিয়া রানী কলাবতী আশ্চর্য হইয়া রাজাকে দেখিতে লাগিল।এমন হাসি দেখিয়া যে কোন রমনীর ময়ূর-ময়ূরীর মত অবস্থা হইত;কিন্তু রানীর তাহা না হইয়া,রাজার উপর রাগিয়া গেল।উচ্চস্বরে কহিয়া উঠিল,এমন বেহায়ার মত তখন হইতে হাসিতেছেন কেন?
রাজা চমকিয়া উঠিল।তাঁহার মধ্যে আবার কষ্ঠ বৃদ্ধি পাইল বটে,কিন্তু সে বুঝিতে পারিয়াছে ইহা ভয় নয়;ইহা ইজ্জত।তৎক্ষনাত মনোকষ্ঠ দূর হইল এবং কহিল,তুমি যাহা ভাবিতেছ তাহা ঠিক নহে।
আমি কী ভাবিতেছি?
ঐ যে,সকল পুরুষই তাঁহার স্ত্রীকে ভয় পাই।আমি আগামীকল্য রাজসভা ডাকিব।
হঠাৎ রাজসভা!হেতু?
আমি রাজ্যের সকল বিবাহিত পুরুষকে রাজসভায় আমন্ত্রণ করিব।এবং তোমাকে দেখিয়া দেব যে, আমার রাজ্যে এখনও
অনেক পুরুষ রহিয়াছে,যাঁহারা তাঁহাদের স্ত্রীকে ভয় পাই না।
প্রিয়তম স্বামী,আপনার ধারণা ভুল প্রমাণিত হইবে।এই কিস্তিতেও আপনি হারিয়া যাইবেন।খামকা ডাকিয়া লজ্জা কাঁধে
লইবার দরকার ছিল কী?
সময়ই বলিয়া দিবে।অপেক্ষা করিতে থাক কলাবতী।
রাত অনেক হইয়াছে,কথা বাড়াইয়া নিদ্রা বিল্ম করিবেন না।এখন বিছানাগত হইলে প্রশান্তি হইবে।কেউ আর কথা
বাড়াইল না।দুইজনেই ঘুমিয়া পড়িল।
পরেরদিন রাজসভা ডাকা হইল।রাজা গোবিন্দ সিংহাসনে বসিয়া রহিয়াছে।সবাই চুপচাপ,টু শব্দটিও নাই।সকলে সকলেরই দিকে মুখ চাওয়া-চাহি করিতেছে;কিন্তু কেহু কথা বলিতেছে না।হঠাৎ রাজা মুখ খুলিল- উজির সাহেব,মন্ত্রি মহাদয়,
আজ হঠাৎ কেন সভা ডাকা হইয়াছে,তাহা কী আপনাদের কাহারও বোধগোম্য হয়?
আঞ্জে,মহারাজই ভাল জানেন।উজির বল্লেন।
রাজার মুখোমন্ডল দেখিয়া,আপনাদের অনুমান হইতেছে না,আমি কী বলিতে চাহিতেছি?
রাজার মন, বড় জটিল মহারাজ!আমরা কী বুঝিতে পারি।শিক্ষা মন্ত্রি বললেন।
আপনি ত শিক্ষা মন্ত্রি!কোন গর্দভ আপনাকে শিক্ষামন্ত্রি বানাইয়াছে,ইহা কী বলিতে পারিবেন?
আঞ্জে,জাহাপনা আপনি।
বটে!রাজা আর কথা বাড়াইল না।আমি আজ যে কারণে সভা তলপ করিয়াছি তাহা শুনুন।.......আমি আপনাদের কাছে
জানিতে চাহিতেছি যে,আপনারা কে কে আপনারা আপনাদের স্ত্রীকে ভয় করিয়া থাকেন?
মাফ করিবেন জাহাপনা,এমন উদ্ভট প্রশ্ন আপনার মাথাই আসিল কী করিয়া, জানিতে পারি কী?রাজ্যে কত গুরুত্বপূর্ণ
কাজ রহিয়াছে;সেই সকল আলোচনা জরুরী নয় কী?রাজ্য মন্ত্রি কহিল।
আপনি আমার পিতার নিয়োগপ্রাপ্ত মন্ত্রি,বিধায় মাফ করিয়া দিলাম,তাহা না হইলে,আপনার গর্দান লইতাম।উজির
সাহেব,আপনিই প্রথমে বলেন,আপনি কী আপনার স্ত্রীকে ভয় করিয়া থাকেন?
আঞ্জে মহারাজ,আমার মনে হয়,সকলেই সকলের স্ত্রীকে ভয় পাইয়া থাকে।
রাজার মুখ ভার হইয়া গেল।সে বুঝিল, এখানে যাহাকেই জিঞ্জাসা করা যাইবে,সেই বলিবে আমারা সকলেই স্ত্রীকে ভয় পাইয়া থাকি।রাজা তাই আর কথা বাড়াইল না।সে কিছুক্ষণ গম্ভীর হইয়া বসিয়া রহিল।অতপর মুখ খুলিল,উজির সাহেব,ঘোষণা করিয়া দিন,আগমী রবিবার,রাজ্যের সকল বিবাহিত পুরুষকে রাজসভায় হাজির হইতে হইবে।রাজা আর কোন কথা কহিল না।রাজ সভা ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল।
আজ রবিবার।রাজ প্রাসাদের সামনে নতজানু লাখো মানুষ।মানুষ ত নয় যেন মাথা,মাথার সাগর বলিয়া মনে হইতেছে।সকলেই রাজার অপেক্ষায় বসিয়া রহিয়াছে।এই বুঝি রাজা আসিবে-এই বুঝি রাজা আসিবে!রাজার অপেক্ষায় ক্লান্ত দেহ তাঁহাদের,তবুও বসিয়া রহিয়াছে!রাজার হুকুম।
অতপর রাজা আসিল।সঙ্গে তাঁহার প্রিয়তমা স্ত্রী কলাবতী।নতজানু মানুষগুলো রাজার দিকে তাকাইয়া রহিল,রাজা কেন তাঁহাদের ডাকিয়াছে,এই শুনিবে বলিয়া।রাজা বেশ কয়েকবার পা-চারী করিয়া নতজানু মানুষের দিকে তাকাইল,অতপর বলিয়া উঠিল,আমার প্রাণপ্রিয় প্রজাকূল,আজ আপনাদিগকে কেন ডাকিয়াছি, আপনাদিগ ঞ্জ্যাত নহে।আজ আপনাদের রাজার জয়-প্ররাজয়ের দিন।আপনাদের সুচিন্তিত মতামতের উপর নির্ভর করিতেছে, আপনাদের রাজার জয়-পরাজয়।তাই বন্ধুগণ,আপনারা আপনাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করিয়া, আপনাদের প্রাণপ্রিয় রাজার জয় নিশ্চিত করিবেন, ইহাই আমার কামনা।এই বলিয়া রাজা কিছুক্ষণ নিরব রহিল।সকলেই ভাবিতে লাগিল রাজা এমন কোন বিপদে পড়িয়াছে?তাহারপরেও কাহারও সাহস হইল না প্রশ্ন করিবার।রাজা আবার কহিল,বন্ধুগণ,আমি আপনাদের কাছ হইতে জানিতে চাহিতেছি যে,আপনারা কে কে আপনাদের স্ত্রীকে ভয় পাইয়া থাকেন?যাঁহার স্ত্রীকে ভয় পাইয়া থাকেন,তাঁহারা ডান দিকে যাইয়া দাঁড়াইবেন আর যাঁহারা আপনাদের স্ত্রীকে ভয় পাইয়া থাকেন না,তাঁহারা বামদিকে দাঁড়াইবেন।
এমন উদ্ভট প্রশ্নের জন্য তাঁহারা প্রস্তুত ছিল না।তাঁহারা কী করিবে ভাবিয়া উঠিতে পারিল না।একে অপরের দিকে মুখ চাওয়া-চাহি করিতে লাগিল। রাজা হুঁকার দিয়া উঠিল।হুঁকার দিয়া কহিল,আপনাদের যাহা বলিয়াছি,তাহাই পালন করুন।সকলেই ভয় পাইয়া গেল এবং রাজার আদেশ মোতাবেক কাজ শুরূ করিয়া দিল।যাঁহারা স্ত্রীকে ভয় পাইয়া থাকে,তাঁহারা ডান দিকে গিয়া দাঁড়াইল;শুধু একটি মাত্র লোক বামদিকে গিয়া দাঁড়াইল।
রাজা মর্মাহত হইলেও এই বলিয়া সান্তনা পাইল যে,এখনও তাহার রাজ্যে একজন ব্যক্তি আছে,যে তাঁহার স্ত্রীকে ভয় করিয়া চলে না।রাজার মুখে হাসি ফুটিল!রাজা অট্টহাসিতে ফাটিয়া পড়িল এবং চিৎকার করিয়া বলিতে লাগিল,প্রিয়তমা রানী,দেখ,দেখ এখনও আমার রাজ্যে এমন একজন ব্যক্তি আছে,যে তাঁহার স্ত্রীকে ভয় করিয়া চলে না।আমার জয় হইয়াছে!আমার জয় হইয়াছে!!
রানীর বাকশক্তি হারাইয়া গেল।প্রকাশ না পাইলেও অনুভূত হয়;তাঁহার ভিতোর গুঙড়াইতেছে।চেহারার দিকে তাকাইলে অতিসহজে অনুমেয় হয়,তাঁহার রুপ হইতে আগুন বাহির হইতেছে।রানী এই মূহুর্তে কী করিবে ভাবিয়া উঠিতে পারিল না।ঠিক এই সময় তাঁহার ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় বলিয়া উঠিল,এত সহজে ভাঙ্গিয়া পড়িলে ত চলিবে না?........ লোকটিকে জিঞ্জাসা করিয়া দেখ,কেন সে তাঁহার স্ত্রীকে ভয় করিয়া চলে না?রানীর মুখ হাস্যজ্জোল হইল।সে গুটি গুটি পায়ে লোকটির কাছে উপস্থিত হইল এবং প্রশ্ন করিল, তুমি তোমার স্ত্রীকে ভয় করিয়া চল না?
এমন প্রশ্নের উত্তর সে কী করিয়া দিবে,ভাবিয়া উঠিতে পারিল না।এইদিক-ওইদিক তাকাইল,কাহকে দেখিতে পাইল না।লোকটির ভয় হইল।রানী আবার কহিল,তুমি তোমার স্ত্রীকে ভয় পাইয়া থাক না?বল,নির্ভয়ে বল।লোকটি এবার মুখ খুলিল।
সে বলিল, রানীমাতা,আসলে তাহা নয়;বাড়ি হইতে বাহির হইবার সময়,আমার স্ত্রী বলিয়া দিয়াছে,যেইদিকে বেশী হট্টগোল হইবে সেইদিকে তুমি থাকিবে না।তাই ঐদিকে যাইবার আমি সাহস করি নাই।নচেৎ,আমিও ঐদিকে গিয়াই দাঁড়াইতাম।
রানীর চেহারার পরিবর্তণ ঘটিল।তাঁহার এক চোখে কষ্ঠের চাহনি;অন্য চোখে বিজয়ের চাহনি ফুটিয়া উঠিল।রাজা হারিয়া গিয়াছে;রাজার প্রতি তাঁহার ভালোবাসা বোধ হইতে এমন কষ্ঠ হইতেছে,আবার তাঁহার জয় হইয়াছে!এই দুই মিলিয়া তাঁহার দ্বৈত্ব মুখায়ব তৈরি হইল।রানী উঠিয়া দাঁড়াইল।ঠোঁট দুটি বাঁকা করিয়া হাসিল।অতপর,রাজার কাছে গিয়া কানে কানে বলিল,রাজা গোবিন্দ,আপনি হারিয়া গিয়াছেন,আমার জয় হইয়াছে।কিন্তু রানী জানিতে পারিল না,রাজা কষ্ঠে বাকশক্তি হারিয়া ফেলিয়াছে,ব্যথিত,বেদনায় উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পাইয়া কৃষ্ণমূর্তি ধারণ করিয়াছে!......