আমার জীবনে উপহার বলতে তেমন কিছুই নেই
তোমার চোখে দেখা একফোঁটা শিশির বিন্দু, সূর্যালোকের ঝিলিক,আমার শ্রেষ্ঠ পাওয়া,
সেও অনেক আগের কথা, স্কুলে ভর্তি পরীক্ষার সময়।
বড় হয়ে ডাক্তার হব, স্বপ্ন দেখতেন বাবা
কিন্তু তা যে হবার নয় হয়ত বুঝতে পেরেছিলেন তিনি,
তাই আমার জন্মের কিছু দিন পরেই ছুট লাগিয়ে ছিলেন বিধাতার কাছে অভিযোগ পত্র নিয়ে।
তোমার প্রতি ফোঁটা ঘাম, রক্তের মূল্য নবম শ্রেণী পর্যন্তই রাখতে পেরেছিলাম হয়ত,
সে সময় গোপাল স্যার খুব ভালবাসতেন আমাকে, বলতেন বড় হয়ে মায়ের মান রাখবে।
নিত্য নতুন ব্যাগ নিয়ে আসত ক্লাসের ছেলেরা, সানগ্লাসের নিচ দিয়ে অবজ্ঞা ভরে দেখত,
একটা নতুন ব্যাগ আর নীল শার্টের বড্ড শখ ছিল মা, বলিনি কোনদিন,
তোমার কান্না যে সইতে পারতাম না মা।
অতশত না পাওয়ার মাঝেও বাঁচতে চেয়েছিলাম নিতুর ভালবাসার মাঝে,
কিন্তু ও আমায় ভালবাসেনি মা, আমার তো দামী শার্ট, জুতো, সানগ্লাস ছিলনা।
ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত আমি মুক্তি চেয়েছিলাম, শ্বাস নিতে চেয়েছিলাম,
সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তির ঠিকানা আমাকে দিয়েছিল “মিলন” স্কুলের পিছনের সেই বস্তিতে,
গোপাল স্যারের কাছে আমি পড়তে যেতাম না মা, সেই টাকা দিয়ে কিনতাম মুক্তি।
কিন্তু বিশ্বাস কর মা! সেইদিন বস্তিতে খুনটা আমি করিনি, খুন করেছে ওই মন্ত্রীর ছেলে,
ওঁরা সবাই সেটা জানে, ওঁরা এও জানে আমরা গরীব-অসহায়।
জেলখানার কার্নিশে ছোট্ট একটা কাঁচের টুকরা খুঁজে পেয়েছি মা,
আমার স্বাধীনতা-মুক্তির নতুন উপায়।
ঈশ্বরের কাছে যে অভিযোগ পত্রটা দেব তা কিছুক্ষণ আগেই লেখা শেষ করেছি,
হয়ত বাবা বেঁচে থাকলে অন্য স্কুলে পরতাম,
দামী শার্ট, জুতো, সানগ্লাস থাকলে হয়ত নিতু গ্রহণ করত আমাকে,
পুলিশরা টাকার জন্য ওদের মাদক বিক্রি করতে না দিলেও পারত, হয়তবা হয়তবা...
উফ! আর পারছিনা মা, বড্ড ঘুম পাচ্ছে, তোমার কোলে শেষ বারের মত মাথা রাখতে দেবে আমায়..তোমায় অনেক ভালো...
২০ জুন - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪