বন্দু কথাটা শুনলেই কেমন যেন বুকরে মাঝে টিন টিন করে ওঠে । যখন প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়তাম তখন ছিল ছোট ছোট সব বন্দু, ছোট ছোট কত আশা ।তখন কি মজা হত তাদের নিয়ে। ইস্কুলে গেলে সবাই মিলে মুরি মাখানো চানাচুর,বাদাম খাওয়া হত ইস্কুলের সামনে দাড়িয়ে। সবাই এক সাথে পিটি। পিটি শেষে লাইন ধরে রুমে ঢোকা। তারপর ক্লাস শুরু,ছাড় ম্যাডাম আমাদের ক্লাস নিতেন।ম্যডাম আমাদের অনেক ভালোবাসতেন,একদিন ক্লাস শুরু হবে বেল পড়ে গেছে কিন্ত ম্যডাম আসতে একটু দেরি হয়েছে। যেয়ার মত গল্প করছে,আমার এক বন্দু নাজিম ক্লাসে ঢুকে আমার সাথে কোলাকুলি করছে আর এমন সময় ম্যডাম ক্লাসে ঢুকে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্ত কিছু বলছে না , অন্য সবাই যে য়ার সিটে বসে গেছে আমরা খেয়াল করিনি। এ সময় ম্যডাম বলছে দেখ এদের মধ্য কি বন্দুত। তারপর সবই যখন হেসে উঠেছে তখন আমরা একে অপরকে ছেড়ে দিলাম দেখি ম্যডাম আমদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে একটু হাসলেন। তারপর আমরা সিটে গিয়ে বসলাম। অবশ্য একটু ভয় করছিল আবার হাসি ও পাচ্ছিল। কেননা এর আগে ম্যডামের সামনে এমন কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি তাই। আবার আমরা বন্দুরা মিলে এখানে সেখানে বেড়াতে যেতাম,কখনও নদীর ধার দিয়ে হেটে বেড়াতাম। কেননা নদী আমার খুব ভালো লাগত, ছোট থেকেই তাই প্রায় আমরা নদীর ধার দিয়ে পানির পাশে বেড়াতাম। কিন্ত নদীতে যখন পানি ভড়ে যেত খুব স্রোত হত তখন নদী দেখলে খুব ভয় পেতাম তখন খুব একটা নদীর কাছে যেতাম না। গেলেও আগে যেমন পানির ধার দিয়ে হাটতাম তখন নদীর পাড় থেকে নদীতে নৌকা চলাচল করতে দেখতাম। এভাবে দু'বছর কাটে সেই নদীর ধারের ইস্কুলটিতে তার পর চলে আসা হয় আমাদের গ্রামের বাড়িতে। এখানে এসে গ্রামের সবার সাথে যারা স্কুলে যেত তাদের সাথে প্রায়ই সবাই স্কুলে যেত ছোট বেলায় । এখানেও সবার সাথে আজ এখানে তো কাল অন্য খানে ঘুওে বেড়াতাম অন্যের গাছের বড়ই , আম, জাম ইত্যাদি পেড়ে খেতাম। তখনও খুব ভালো লাগতো কিনতু মাঝে মাঝে শহরে ছেড়ে আসা বন্দুদের কথা মনে পড়ত তখন খারাপ লাগত। সেই দু'বছরের ফেলে আসা স্মৃতি গুলো অজানাতে চোখের সামনে দেখতাম। আর কি করা যেহেতু চলে এসেছি। তারপর প্রাথমিক বিদ্যালয় পেরিয়ে হাই স্কুলে যখন পা রাখলাম তখন সব কিছু যেন অন্য রকম লাগলো। আগের সব বন্দু কেউ নেই, যা দু'চার জন আছে। এখনে ক্লাস করতে করতে দু'এক জন নতুন বন্দু গড়ে উঠল। কাতের সাথে আস্তে আস্তে বন্দুতটা মজবুত হতে লাগল। হটাত একদিন খেয়াল করে দেখি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে যে কজন এসেছিলাম তার মাঝে শুধু আমি এখানে আছি আর কেউ নেই। সবাই দেশের কাজে মন দিয়েছে । তখন আমার খুব খারাপ লাগলো। যখন নাইন টেনে উঠলাম তখন আমাদের দুষ্টুমিটা একটু বেড়ে গেল। আগে ছাড়দের দেখলে একটু ভয় ভয় হতো কিন্তু যখন টেনে উঠলাম কি আশ্চার্য এই ভয় টুকু আর নেই দিব্যি ছাড়দের সাথে অনেক ছোট খাটো দুষ্টুমি করছি। অথচ ছাড়রা কিছু বলতো না একটু বেশী দুষ্টুমি করলে শাসন না করে শুধু করা শুরে বলত এগুলো কি হচ্ছে। যেদিন স্কুলে আমাদের বিদায় অনুষ্টান হল, সেদিন সবাই বেশ আনন্দ ফুরতি করছি। ছাড়দের সাথে অনুষ্টানের শেষ পর্যায়ে বিকেল বেলা খাওয়া হল সবাই এক সাথে। আমাদের খাওয়া শেষ হল। কিছু কাজ করার পরে, আমরা ছাড়দের কাছ থেকে বিদায় নিব তখন সবার চোখের কোনে পানি এসে গেছে। যখন প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেরে এসেছি এতোটা খারাপ লাগেনি। কিনতু আজ এই মুহূতে আমার এতোটা খারাপ লাগছে, মনে হচ্ছে আমরা কি থেকে যেন বঞ্চচিত হচ্ছি। আমাদের মুখে কান্না ছারা আর কোন ভাষা নেই। সবার একই অবস্থা ,অনেক সময় আমাদের কান্না চল। পাশের রাস্তা দিয়ে যারা যাচ্ছিল তারা আমাদের দেখে তাদের চোখও পানি আসছিল। আমরা ছাড়ের হাত,পা ধরে কাঁদছিলাম। ছাড়াও কাঁদছেন, স্কুলে মেইন গেটের কাছে এসে বেড় হয়ে সবচেয় বেশি খারাপ লাগল। আমাদের মনে হল আজ হতে এই স্কুলে আর আমরা খেলতে পারবো না দৌড়াতে পারবো না,এই অধিকারটা যেন হারিয়ে গেল। কতদুর পর্যস্ত যে সেদিন কাঁদতে কাঁদতে এসেছিলাম। এখন কলেজে এসেছি এখনও আমার সেই সব বন্দুদের কথা মনে পড়ে। আমি আমার সব বন্দুদেরকে আবার ফিরেপেতে চাই। সেই আগের মত করে চলতে চাই সবাই এক সাথে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য
অতীত, অতীতের স্মৃতি, বন্ধু আর আর কতকি!! কতদিন ভেবেছি ঘুম থেকে উঠলেই দেখব নাটাই হাতে চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছি আকাশের ঐ ঐখানটাতে, ছোট একটা ঘুড়ির দিকে.......... তোমার লেখাটা পড়ে অতীতে ঘুরে এলাম খানিকটা। তবে বন্ধু তুমি যা লিখছে তা স্মৃতি রোমন্থন, পূর্ণাঙ্গ গল্প কিন্তু হয়নি। ***কয়েকটা চরিত্র ধরে তাদের আচরণ, সম্পর্কের খুটিনাটি, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, পরিনতি ধারাবাহিক বর্ণনায় গল্প হয়ে ওঠে। আগামীতে এমন একটি পূর্ণাঙ্গ গল্প তুমি উপহার দেবে কেমন। আর বানানগুলো কিন্তু ঠিক হওয়া চাই।
খন্দকার নাহিদ হোসেন
লেখা ভালো লেগেছে। ভাইয়া, তোমার মতো এই আকুলতা আমাদের সবার মনের মাঝেই জমে থাকে। আর বানান দেখে কিন্তু মেজাজ গরম হয়ে গেছে! তো সামনে নির্ভুল লেখা চাই কিন্তু।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।