বন্ধু ও

বন্ধু (জুলাই ২০১১)

নীলকাব্য
  • ২৭
  • 0
টিং টিং টিং শব্দে মোবাইলটা এলার্ম দিয়ে চলছেই, ঘুমে এতই বিভোর আমি যে মোবাইলের শব্দ আমার কানে এসে পৌছাতে পারছেনা। এলার্ম বেজেই চলেছে নিজের ইচ্ছামত, শেষমেষ এলামের্র শব্দের কাছে পরাজিত হয়ে বিছানা ছেড়ে উঠলাম। ব্রাশে টুথপেষ্ট লাগিয়ে বারান্দায় দাড়ালাম, এটা আমার নিত্য দিনের অভ্যাস, বারান্দায় দাড়িয়ে দাতঁ ব্রাশ করা। আজকের আকাশটা অনেক পরিষ্কার রোদের তেজ এখনো বাড়েনি তাই মুখ ধুয়ে ছাদে চলে এলাম। চলে এলাম আমরা রাজ্যে!!, ঈদের ছুটিতে ঢাকা অনেকটাই ফাকা, কোন কোলাহল নেই, খুব শান্ত একটা পরিবেশ, ছাদে কিছুক্ষন হাটাহাটি করলাম, নীচে নামতে যাব ঠিক সেই সময়ে একটা ফোন এল আমার এক বন্ধুর নাম্বার থেকে। কলটা রিসিভ করে মোবাইলা কানে ধরতেই ওপাশ থেকে যা শুনলাম তা শোনার জন্যে আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। সকালের নাস্তা না করেই বাসা বের হলাম, আমার বা হাতে তখন ব্যান্ডেজ করা তাই বেশী জোরে হাটতেও পারছিনা, কোন রিকশাও পাচ্ছিনা। হাতে বেশী সময় নেই, তাই একপ্রকার দৌড় শুরু করলাম। কিছুটা সামনে যেতেই একটা খালি রিকশা পেলাম। চরে বসলাম রিকশায়। রিকশা চলছে সামনের দিকে আর আমি ফিরে গেলাম পেছন্#২ে;৪০৪;। ক্লাশ সিঙ্ েপড়ার সময়ে নতুন একটা ছেলে এসে ভর্তি হয় আমাদের স্কুলে, ওর নাম শামীম। ওর চেহারাটা ছিল খুব মিষ্টি, আমি মেয়ে হলে নির্ঘাত ওর প্রেমে পড়ে যেতাম। ও খুব ফর্সা ছিল দেখতে, বলদে গেলে একেবারে দুধ সাদা!! প্রথম দিনেই ওর সাথে আমার খুব ভাল বন্ধুত্ব্য হয়। এর পর থেকে প্রতিদিন টিফিন ভাগাভাগি করে খেতাম আমরা, স্কুল পালাতাম দু'জন এক সাথে। বিকেল বেলা দুজনে একসাথে ছাদে বসে গিটার বাজাতাম, ছয় তারের ঝংকারে আন্দোলিত করতারম সবাইকে। নচিকেতা আর হেমন্ত এই দুজনের গানের সুর ওর গিটারে একেবারে জীবন্ত হয়ে উঠত। সেই প্রথম নচিকেতার সাথে আমার পরিচয়, সেই থেকে আমি নচিকেতার ভক্ত। নচিকেতার একটি গান ছিল ওর খুব প্রিয়, অন্ত বিহীন পথ চলই জীবন, শুধু জীবনের কথা বলাই জীবন আর আমার ছিল নীলাঞ্জনা সিরিজের একটি গান: সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা। সু-কর্ম হোক আর অপকর্ম হোক দুটেতেই ছিল আমাদের দুজনের সমান দক্ষতা। যাই করতাম দু'জনে একসাথে করতাম। ওর ইচ্ছা ছিআল একটা ব্যান্ডদল তৈরী করা, নামটাও ঠিক করে রেখেছিল ও "ব্ল্যাক রেস" কি ভেবে ও সেই নামটা ঠিক করেছিল তা আমি জানতে পারিনি কখনো। জিজ্ঞেস করলেই বলত: পর বলব। সকালে স্কুল, বিকেলে গিটার আর সন্ধ্যার পরে ড্রামস পেটানো এই ছিল আমারদের নিত্যদিনের রুটিন। আমি তখন সবে মাত্র ধুমপান করা শিখেছি, তবে ওকে না জানিয়ে। ওর কোন বাজে অভ্যাস ছিল না, আমারো না, তবে কিভাবে যেন আমি ধুমপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠলাম। ও যেদিন জানতে পারে সেদিন আমাদের মাঝে খুব ঝগড়া হয়, ও অনেক রাগ করে আমার উপর এরপর থেকে ওর সাথে আর আমার কোন যোগাযোগ হয় নি, আমি ভেবেছিলাম এয ও আমার উপর রাগ করে আছে, রাগ ভাংলেই আবার আমাদের বাসায় আসবে আমাকে ডাকতে। সাত দিপর পার হয়ে গেলেও শামীম আর আসে না। তাই আমি নিজ থেকেই ওদের বাসায় গেলাম। ওদের বাসা এর আগে কোনদিন আমি এত নিস্তব্ধ দেখিনি। ওর ঘরে গেলাম, দেখি খাটে শুয়ে আছে। আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরে অনেক্ষণ কাদঁল সাথে আমিও কাদঁলাম কোন কারন ছাড়াই সেদিন আমি কেঁদেছি। জীবনে সেই প্রথম আমি ওর চেখে জল দেখেছিলাম, এর আগে কোনদিন ওকে আমি হাতাশ গ্রস্থ হতেও দেখেনি। কাদাঁর কারণ জিজ্ঞেস করতে ও যা বলল তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। ওর বাবা রোড এ্যকসিডেন্টে মারা গিয়েছেন। এর পর থেকেই শামীম স্কুলে অনিয়মিত, আড্ডায় ওকে পাওয়াই যেত না। ক্লাশ এইটে ওঠার আগেই আমাদের স্কুল থেকে বিদয় নিল ও, বাসা পরিবর্তন করে চলে গেল ঢাকার বাইরে। সেই থেকে অনেক দিন আমরা দু'জন ছিলাম বিচ্ছিন্ন।
কোন দিকে যামু?? ডাইনে?? রিকশাওয়ালার ডাকে ধ্যান ভাংল; বললাম ডানে যান। রিকশা থামল একটা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রর সামনে। শামীম আজ মাদকাস্ত। নেশার জগতে এমন কোন মাদক নেই যেটা ও ব্যবহার করেনি। সারাক্ষন নেশায় বুদ হয়ে থাকত। বেশ কয়েকবার পুলিশ ধরে নিয়েগিয়েছিল ওকে। কোন উপায় না দেখে ওর মা ওকে এখানে ভর্তি করান। যদি ও ভাল হয়, যদি ও ফিরে আসে সেই অন্ধকার জগৎ থেকে। ভিতরে ঢুকে দেখি শামীমের মাথার কাছে দাড়িয়ে আছে ওর ছোট ভাই, শিহাব, মেঝেতে বসে বিলাপ করছে ওর মা, আরো কিছু বন্ধু এসে দাড়িয়ে আছে, ওর খাটের পাশে। আমি গিয়ে শিহাবের কাছে দাড়ালাম। শিহাবের চোখে জল, আমাকে দেখে বলল: ভাইয়া নেশার জগৎ থেকে ফিরে এসেছে!! ও আর কোনদিন নেশা করবে না। গিটার হাতে তুলবে না আর সুরের ঝংকার।
মাদক!!!!!! জীবন থেকে জীবন কেড়ে নিয়ে গেল, আসহায় হয়ে তা চেয়ে চেয়ে দেখলাম শুধু
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য গল্পটা সুন্দর, কিন্তু বুননটা আরো গোছানো হলে ভাল হতো। যেমন "বা'হাতে ব্যান্ডেজ" যেহেতু বলা হয়েছে, কেন তাও বলা দরকার ছিল। আর গল্পে সময়ের একটা বিশাল ব্যবধানে শামীমের বা গল্পের নায়কের জীবনের ঘটনা বর্ণনা করে গল্পটাতে সময় বিরতির একটা সমাধান দেয়া যেত। তাহলে এখন যেমন "ডায়রীর পাতা থেকে" মনে হচ্ছে লেখাটা, তেমন মনে হতোনা। শুরুর তিন-চারটা লাইনে গল্পের আমেজ ছিল।
সেলিনা ইসলাম আমি তানভীরের সাথে একমত । শুধু দায়সারা গোছে ভাল,সুন্দর বললে কিছুই শেখা হবে না । যে পরামর্শ দেয় সে সত্যিকার শুভাকাঙ্ক্ষী । আপনার প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবী রাখে । শুভ কামনা ধন্যবাদ
মোঃ আক্তারুজ্জামান সময় উপযোগী লেখা| ভালো লেগেছে| নিয়মিত চেষ্টায় অবশ্যি আরও অনেক ভালো করবেন|
শাহ্‌নাজ আক্তার ভয়াবহ এই বাধিটি আমাদের সমাজে ডালপালার মত ছড়িয়ে পরছে বর্তমানে, কত সংসার যে ভেঙ্গে খান খান হয়ে এজোনো | আসুন আমরা রুখে দাড়াই এর বিরুদ্ধে , সোচ্চার হই, জয় আমাদের একদিন হবেই ......খুব ভালো লিখেছেন আপনি ..ভোট দিলাম |
AMINA সুন্দর হয়েছে। বাস্তব কাহিনী, থিম সুন্দর।
আশা গল্পটা ভালো। তাই লেখকের প্রতি অনুরোধ- সময় বেশি ব্যয় করে লিখুন। লেখার প্রতি আরো যত্নবান হউন। বিষয়বস্তুর জন্যে ভালো কিছুই দিলাম আপনাকে।
এমদাদ হোসেন নয়ন সমাজের সবচেয়ে ঘৃণার বস্তুটি নিয়ে ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্য।
junaidal বন্ধু গল্পটা সুন্দর হয়েছে। তবে আমার মনে হয় প্যারা দিয়ে লিখলে পাঠকের মন জয় করতে আরো সহজ হতো। আপনার কাজে আসলেই আমি ধন্য হব । শুভ কামনা।
ফাতেমা প্রমি ভালই লিখেছেন...সামান্য একটু যত্ন নিলে আরও ভালো হত...।

০৬ জুন - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী