ঢাকা, মতিঝিল,
অফিস আওয়ার শেষ, তাই রাস্তাঘাটে প্রচুর জ্যাম। প্রাইভেট কারের সারি। তারমধ্যে অনেক দামী ক্যাডিলাক গাড়িটা সবারই চোখে পড়বে। গাড়িটাতে বান্ধবী নিয়ে বসে রয়েছে রাহাত। এটা তার কয় নাম্বার বান্ধবী তার নিজেরও মনে নেই।
২
মা-বাবা সড়ক দুঘর্টনায় মারা যাওয়ায় শিল্পপতি পিতার অঢেল সম্পত্তির মালিক এখন রাহাত।কলেজ পড়ার সময় মা-বাবার বর্তমানেই সে বখে গিয়েছিল। এখন একটা নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ করছে সে। যদিও ভার্সিটিতে ক্লাস করার চেয়ে আড্ডা আর নতুন নতুন বান্ধবী জোগাড় করাই তার মনোযোগ বেশি।
৩
লাইট ক্লাবে বসে কথা বলছে রাহাত তারই মত বখে যাওয়া এক বন্ধু শিপন এর সাথে, বিষয় দেশ। কথায় কথায় রাহাত বলল, “এইটা একটা দেশ নাকি,”
“কেন কি হল?”
“আরে, এইখানে না আছে ভাল একটা ডিসকো, না আছে ভাল একটা বার, গাড়ি নিয়ে ডেটিং এ যাও, জ্যামের কারনেই সময় শেষ, আর ভাল্লাগেনা,”।
“তা ঠিক বলেছিস, কি করবি এখন,” শিপন জিজ্ঞেস করল তাকে।
“আর এখানকার মেয়েগুলোও যেমন, সম্পর্ক হলেই বিয়ের জন্য চাপাচাপি করে। মানুষ গুলোতো আরও আদিম, আরও বলে কিনা আমরা বখে যাওয়া, হুহ,” তার কথায় বোঝা গেল সে দেশকে যেমন ঘৃণা করে তেমনি দেশের মানুষকেও।
“আছিস কেন এদেশে?”
“দূর না, ডিভির জন্য আবেদন করেছি, পেলেই চলে যাব, তুই কি করবি,”।
“তোর তো বাবা-মা নাই, স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারিস, আমার বাবা-মা তো আমাকে কোথাও যেতে দিবেনা। এই পচা,জঘন্য দেশেই থাকতে হবে”। এমনভাবে মুখ বাকাল সে বাংলাদেশ যেন পচা নর্দমা আর সে ভুল করে পা দিয়ে ফেলেছে।
৪
রাহাত ভাবেনি ওর অবস্থা কখনো এমন হবে, আজ প্রায় দুই বছর হল ডিভি জিতে আমেরিকা এসেছে।
(এটা আমার ১ম গল্প, যদিও শেষ করতে পারি নি। দয়া করে, আমার ভুল গুলি ধরিয়ে দিলে আমি খুশি হব।ধন্যবাদ)
০৪ জুন - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১০ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪