সোমনাথ ও ইলিশতত্ত্ব

বন্ধু (জুলাই ২০১১)

তানভীর আহমেদ
  • ৯৫
  • 0
গত বৈশাখে বিস্মৃতপ্রায় প্রিয় পিতৃভূমি এই বাংলায় এসেছিলেন সোমনাথ;
ভোজনবিলাসী সোমনাথ পৃথবীব্যাপি একনামে পরিচিত মুখ-এ কালের বতুতা!
রোম, প্যারিস, ন্যুয়র্ক, লন্ডন, মুম্বাই, বেইজিং পৃথিবীর সব বড় বড় শহরের লোভনীয় খাবারের
স্বাদতত্ত্ব জিহ্বায় শুষে নিতে নিতে সোমনাথ ভোজনবিশারদ,
সোমনাথ- তিনি গত বৈশাখে পদ্মার প্রত্যন্ত তীরে ঝড়ের তোড়ে এক অখ্যাত রেস্তরায় পড়েছিলেন বাঁধা,
কতকটা বাধ্য হওয়ার ছলেই খেয়েছিলেন খিচুড়ির সাথে ইলিশভাঁজা;
বিস্ময়ে বিমূঢ় সোমনাথের মুখশ্রী জনৈক খেয়ালি ফটোগ্রাফারবন্ধুর ক্যামেরায়
তাঁর অজ্ঞাতেই হলো ফোকাসবন্দী;
সোমনাথ ইলিশের কল্যাণে ভালোবেসেছিলেন এই বাংলার সবুজ সমারোহ,
খোলা মাঠ, গ্রামীণ নারী আর শিশুর চিরায়ত অবয়ব
তারপর থেকে অকৃত্রিম বন্ধুর মতো তিনি বাংলাকে ভালোবেসে গিয়েছিলেন অবারিতভাবে,
শিখেছিলেন বাংলা ভাষাও
ভাঙা ভাঙা বাংলায় তিনি বাংলার মাহাত্ম্য গাইতেন অক্সফোর্ড থেকে হাভার্ড,
টেমসের স্রোত থেকে পদ্মার উদ্বেলিতে ঢেউয়ে ভেসে ভেসে;

ইব্ন বতুতা থিতু থাকে নি একস্থানে বেশি দিন
থাকেন নি সোমনাথও-
পৃথিবীর পথে পথে যাঁর পদচারণা;

কেউ কেউ কি দেখেছিল বিবিসির সেই ক্লোজ এক্সক্লুসিভ : সোমনাথের সাক্ষাৎকার?
ভোজনপর্বে ইলিশভাঁজার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, চোখেমুখে তাঁর বিস্ময়ের সহস্র স্বর্ণমুদ্রা!
সেই সোমনাথ দেহ রেখেছেন পৃথিবীর কোন এক নির্জনপ্রান্তে- বেশ ক’বছর হলো।

অদ্য বৈশাখের প্রথম মাহেন্দ্রখনটিতে ওয়েব সার্চ করে লন্ডন্ টাইমস্ মেলেই দেখলুম
অখ্যাত ফটোগ্রাফারের তোলা ইলিশভোজনে বিমূঢ় সোমনাথের সেই ছবিটি-
নিলামে যার দাম উঠেছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তানভীর আহমেদ ধন্যবাদ রোমেনা আপু।
রোমেনা আলম সুন্দর লিখেছেন আমাদের দেশের ইলিশভাঁজার প্রশংসা আর সোমনাথকে নিয়ে।
তানভীর আহমেদ ‘সোমনাথ’-একটি রূপক ব্যক্তিত্ব, যার অস্তিত্ব আমার হৃদয়ে।
Lutful Bari Panna সোমনাথ কে? তার পরিচয় স্পষ্ট করুন...
আদিব নাবিল তানভির ভাইজান, আপনি আমার মন্তব্য নেতিবাচক ভাবে নেবেন না- এই ভরসা আমার ছিল। আপনার পরিচ্ছন্ন প্রতিক্রিয়া আপনার উপর আমার শ্রদ্ধা বাড়াল।....রবি কবি কিংবা আরো অনেকেই লিখেছেন, কিন্তু ঐ ধারাটি জনপ্রিয়তা পায়নি এবং তাঁরাও এ নিয়ে তেমন আগে বাড়েন নি। যে রান্নার কথা বলেছিলাম- সেটা স্বাদে কটু হবে। যে পোশাকের উদাহরণ দিয়েছিলাম, তা পরতে বাধা নেই, তবে দৃষ্টিকটু হবে। তবে ব্যতিক্রম সবসময়ই ভাল, সৃজনশীলতার আরেক নাম ব্যতিক্রম। ও হ্যা, বলিনি বুঝি, আপনার লেখা কিন্তু আমার দারুন লেগেছে !
AMINA বেশ লাগল।
তানভীর আহমেদ আপনাকে সর্বদাই উপযুক্ত গঠনমূলক সমালোচক হিসেবে পাশে পাবো বলে বিশ্বাস করি। খোলামনে মন্তব্য করার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ আদিব নাবিল ভাই।
তানভীর আহমেদ অসংখ্য ধন্যবাদ আদিব নাবিল ভাই আপনাকে নিজস্ব মতামত অকপটে অবলীলায় ব্যক্ত করার জন্য। তাই আপনার মন্তব্যের ব্যাপারে দুটো কথা বলি। আপনি বলেছেন, গল্পের ফরমেটে কবিতা বা কবিতার ফরমেটে গল্প হয়ে যায় কি না! নিশ্চয়ই হয়। এমন কবিতা প্রতিষ্ঠিত অনেক কবিরাই লিখছেন। লিখেছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! ....স্যুট-কোট পড়ে চপ্পল পায়ে বের হতে দোষ কোথায়? কোথাও মানা আছে বলে তো আমার জানা নেই। আমি ঢাকার রাস্তায় অনেক পরদেশী টুরিস্টকে দেখেছি নিজস্ব ফ্যাশনেবল পোশাকের সাথে হালকা চটি বা চপ্পল পায়ে বিরাট লাগেজ কাঁধে তুলে মহানন্দে হেঁটে যেতে। আসলে সবকিছুই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। আমরা যা কিছু যেভাবে দেখতে অভ্যস্ত তার বাইরেও জীবন ও সমাজ-সংস্কৃতি রয়েছে। ভুল বুঝবেন না। আমি আপনার মন্তব্যকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছি না। এ কবিতাটি এ ফরমেটে আমি সচেতনভাবেই লিখেছি। একটি কবিতা সবার ভালো লাগতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। প্রত্যেকের রুচিবোধ ও ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারগুলো ভিন্ন। তাই আপনার মতামত আমার কাছে খুবই মূল্যবান। তবে, আমি শুধু আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করলাম। ভিন্নধর্মী কবিতাও ইনশাআল্লাহ আপনাকে উপহার দেবো এরপরে। আশা করি সেগুলো ভালো লাগবে। আপনাকে সর্বদাই উপযুক্ত গঠনমূলক সমালোচক হিসেবে পাশে পাবো বলে বিশ্বাস করি। খোলামনে মন্তব্য করার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ আদিব নাবিল ভাই।
তানভীর আহমেদ কুতুব উদ্দিন কনক ভাই ও পরবাসী ভাই আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার কবিতা পড়েছেন বলে।
পরবাসী কবিতাটা একটু কেমন যেন খাপ ছাড়া । অবস্য গদ্য কবিতা বুঝি এরকমই হয় ।

০৩ জুন - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪