জানালার পাশে ছোট্ট শিমুল গাছটাতে থেমে থেমে কু-উউ,কু-উউ করে একটা কোকিল ডেকেই যাচ্ছে। কোকিলের ডাক বলে দেয় এটা ফাগুন মাস। কোকিল নাকি তার সঙ্গীর সাথে মিলিত হবার আশায় এভাবেই ডেকে ডেকে কাছে আসার আকর্ষন বাড়ায়! যৌবনের খিল আটা দরজায় যখন ভালবাসার কড়া নেড়ে যায় না কেউ;তখন সঙ্গীহীন জীবন পানি শুকানো নদীর মত ধু ধু মনে হয়। এই ফাগুন মাসেই যেন এই আকাল বেশি হয়। কিন্তু আমার জীবনে তো এই আকাল নেই, নেই অথৈ পানির জোয়ারের কমতি। মনের ঘরের দরজায় সেই কবেই খিল এঁটেছি-খুলবনা কোন দিন এই প্রতিজ্ঞায়। ভাঁটা নদীর কুলে থরে থরে জমাট পলিচর! সেখানে নুড়ি পাথরের বাধাহীন আনাগোনায় পচা শামুকের ধবল চাষ করে আর যাই হোক তাসের ঘর ছাড়া আর কিছুরই জন্ম দেয়া সম্ভব নয়!
তবুও এই বসন্তে সানাই বাজে! কিন্তু দেহের শাখায় বসে বেনেবউ-এর স্পন্দন খেলা করে না;অনুভুতির অলিগলিতে জাগেনা কোন শিহরণ! সারা বাড়ী সেজেছে বিদায় দিতে;নতুন এক সঙ্গীর পদতলে জায়গা করে নিতে।
জায়গা ! খুব হাসি পায় কথাটা মনে হতেই। মনে পড়ে যায় বসন্তের দোলা মনে ঝড় তুলেছিল আমারও! যে ঝড়ে উথাল পাথাল করে দিয়েছিল মৃদ্যুল নামের ভালবাসা। বাবা মা কারো কথাই সেদিন মনে আসেনি। মনে আসেনি আগামীর জোসনাভরা চাঁদ,সূর্যের দাবানলে আমাকে জ্বলন্ত লাভায় জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে কিনা? সেদিন সানাইয়ের সুর ছিলনা,ছিলনা কোন বাড়তি সাজ। তবুও ছিল হৃদয় উজাড় করা প্রেমের সুরভী সারা শরীর মন জুড়ে। তিন মাস ! হ্যাঁ তিনটা মাস কেমন করে যে কেটে গিয়েছিল দুজনের যৌবন সঙ্গমের মসৃণ পথ ধরে, তা কেউই বুঝতে পারিনি। যেদিন রুদ্র জানান দিল সে আমার ভালবাসার সেতু হয়ে চুক চুক করে রক্ত খেয়ে বেড়ে উঠছে আমার শরীরে। সেদিনই সব কিছু অলট পালট হয়ে গেল! রোদ ঝলমলে আলোর মাঝে দ্বীপের সবুজ চূড়ায় মৃদ্যুল আর আমি সুখের স্বর্গ শিখরে কত স্বপ্ন বুনে চলেছিলাম! সব কিছু এক মুহুর্তেই তছনছ করে দিল রুদ্র আসার খবরটা! এক সপ্তাহের মাথায় আমার প্রিয় কল্পতরু ঐ অত বড় উচূ থেকে আমাকে এক ধাক্কায় ফেলে দিল সমুদ্রের ঠিক মাঝখানে। একটু জায়গা পেতে কত আকুতি মিনতি কত আবদার, কত প্রতিজ্ঞা! না কিছুতেই কিছু কাজ হলনা। মৃদ্যুলের একটাই শর্ত রুদ্রকে হত্যা করতে হবে! আমি ভেবে পাইনা কী করে নিজের অস্তিত্বকে আমি গলা টিপে মেরে ফেলব? কী করে আমার আলোঝরা উদ্যানে অন্ধকারের রাত নামাবো?
- " মৃদ্যুল তুমি ভাল জব কর, আমিও লেখাপড়াটা আবার শুরু করব। তারপর আমিও একটা কাজ খুঁজে নেব। আমাদের সুখ আসবেই একদিন। শুধু শুধু কেন একটা বৈধ জীবনকে হত্যা করতে হবে?"
একটা গাছের কাছে গিয়েও যদি আমি এমন করে আঁকুতি করতাম তাহলে সেই গাছটাও আমাকে ফিরিয়ে দিত না। একটু ছায়া, একটু বাতাস অথবা একটা ফল সে আমাকে দিত। কিন্তু মৃদ্যুল তো গাছ না,সে মানুষ! বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ! আর তাই সে আমাকে আর আমাদের সন্তানকে জায়গা দিলনা। একটা জেদ আর ঘৃণা আমাকে ওর কাছ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিল। যে বাবা মায়ের কথা না ভেবেই ওর হাত ধরেছিলাম,এই সময়ে এসে সেই মা বাবাই আমার হাতটা ধরল! তবে এখানেও সেই একী শর্ত! পৃথিবীটা এভাবে আমার কোনদিনই দেখা হয়নি। এমন করে দেখতে হবে তাও ছিল ভাবনাতীত। "মানুষ মানুষের জন্যে..." ভুপেনের গানটা বাবা মায়ের অনেক প্রিয়। এবং অনেক মানবিক কাজও ওরা দুজনে করে থাকে। অথচ এই বাবা মা-ই আমার সন্তানটাকে মানুষই মনে করল না। সেদিন অজানা এক দুঃসাহসীকতায় নিজেই সন্তানের ভারটা নিয়ে নিলাম। বাবা মায়ের শর্ত না মেনেই তাদের আশ্রয়েই থেকে গেলাম। পড়ে রইলাম বাড়ির ছোট্ট কামরায়। বিশ্বাস,একদিন আমার এই সন্তানই হবে সবার সবচেয়ে ভালবাসার মানুষ!
না হয়নি! আমি যেভাবে চেয়েছি সেভাবে কিছুই হয়নি! তবুও রুদ্রের জন্ম দিয়েছি এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে মাতৃত্বের কাছে? বিনিময়ে মৃদ্যুলকে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হয়েছে চিরতরে। বাবা মা খুশি,জানি মৃদ্যুলও খুশি। রুদ্র জন্ম নিল মায়ের আত্বীয়ের গ্রামে। সেখানে খুব গোপনে আমার কোল জুড়ে এলো আমার খুশির আলো। মা দিয়ে দিতে চাইল অন্যকোন পরিবারকে। কিন্তু রুদ্রের কচি নিষ্পাপ মুখখানা মায়ের মনে সামান্য হলেও দয়ার জন্ম দিয়েছিল। আর তাই সাথে করে নিয়ে এলেও শহরে এসে সবাইকে বলল গ্রামে একটা ঝোপের মাঝে পড়ে পেয়েছে শিশুটিকে! কত সহজভাবে সবাই তা বিশ্বাসও করল। আর শিশুটির বাবা মাকে মনের আশ মিটিয়ে দু এক কথা শুনিয়েও গেল। আমার সমাজ সেবা কর্মি বাবা-মাকে সমাজের সবচেয়ে উঁচু মানের মানুষ হিসাবে আখ্যা দিতে কেউ ভুল করেনি সেদিন। কোন কিছুরই সামান্যতম প্রতিবাদ করতে পারলাম না,নীরবে সইলাম সব! আমি আমার রুদ্রকে নিয়ে খুব খুশি। দিন কেটে যেতে থাকে সময়ের উদারতায়! নানা প্রতিবন্ধকতা টপকে মাঝপথে ফেলে আসা পড়াশুনাটাও আবার শুরু করতে গিয়েও হল না। যা ছিল আমার নিজের কাছে নিজের সবচেয়ে বড় পরাজয় ।
দেখতে দেতখে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ রুদ্রর দু'বছর চার মাস বয়স হয়েছে। ওকে দেখে আমি মৃদ্যুলকে আর ভুলতে পারিনি। মাঝে মাঝে ভাবি মৃদ্যুল যদি ওকে দেখে তাহলে ঠিকই চিনে নেবে এ তারই সন্তান! কিন্তু তার যে আর সন্তানের কোন প্রয়োজন নেই। সেও এক সন্তানের বাবা হয়েছে কয়েক মাস আগে! তার ফিরে আসার পথটাও আর থাকেনি...।
এদিকে আমার মা বাবা রুদ্রের আগামী নিয়ে একটুও চিন্তা করেনা। আমার কী হবে তাই ভেবে প্রবাসী শুভ'র সাথে আজ আমাকে উড়ে যেতে হবে সু-দূর কানাডা। আমার রুদ্র আজ কোল থেকে নামতেই চায়নি অথচ জোর করে ওকে নিয়ে গেছে। ছেলেটার সেকী কান্না! "ও কী বুঝে গেছে আমি ওকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি?"
আমার জীবনের নিকষ অধ্যায়ের সবটুকুই জানানো হল শুভকে। মৃদ্যুলের কথা রুদ্র'র কথা সব। পরে ঝামেলা যাতে না হয় তাই ভেবেই বাবা নিজেই জানিয়েছে। শুভ নিজেও একজন ডিভোর্সি এবং ওর ঘরে দুটো বাচ্চা আছে। রুদ্রের কারণে যদি শুভ'র বাচ্চাদের আদর যত্ন কম পড়ে যায় তাই ভেবে ওর আত্বীয়রা শর্ত দিয়েছে রুদ্র আমার সাথে যেতে পারবে না। "ভালবাসার বন্ধন শর্তের কষ্টি দিয়ে কী যাচাই করা সম্ভব?" আমার খুব ইচ্ছে হল শুভকে বলি "তোমার সন্তানদের সাথে সাথে রুদ্রও বেড়ে উঠবে। আমাদের না হয় তিনটা বাচ্চা হবে।" কিন্তু কেন জানিনা বলতে ইচ্ছে হলনা। নিজের কাছেই নিজেকে গবেষনাগারের গিনিপিগ মনে হল।
গোধুলীর আলো আমার সহ্য হচ্ছে না আজ! একটু পরেই আঁধার নামবে। অন্ধকার আমার ভীষণ ভয়! বাগানের দিকটাতে কুয়াশা আর আলো মিশে রাতের মায়াবীকে রহস্যময় করে তুলেছে। ধীরে ধীরে আমি আমাদের উঠানের মাঝে লাগানো বাবলা গাছটার কাছে যাই। এই বাবলা গাছের ফুল দিয়ে কত তেঁতুল মাখিয়ে খেয়েছি! স্বাদটা শুধু তেঁতুলেরই পাওয়া যায়। শুধু শুধু পরিমানটা বাড়িয়ে ফুলটাকে মিশিয়ে নেয়া! রুদ্র যেন বাবলা গাছের ফুল আর শুভ আর ওর বাচ্চা দুটোকে তেঁতুলের মত মনে হচ্ছে। আচ্ছা রুদ্রকে বাদ না দিয়ে ওতো একসাথে সবাই থাকা যায়। এতে তো কোন ক্ষতি নেই , যেখানে স্বাদের কোন পরিবর্তনই নেই। কেবল শুধু একটু বেশি জায়গা নেবে এইতো।
বাসা ভর্তি এতো মানুষ! আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব বাড়িতে গমগম করছে। প্রবাসী ছেলে পেয়ে বাবা মা অনেক খুশি আর তাই অন্য কোন কিছুই নজরে রাখছেন না। মনে হচ্ছে এতো ধুমধাম করে সবাইকে জানান দেয়া "আমার মেয়ে বিদেশে যাচ্ছে ,বেশ ধনী জামাই পেয়েছি আমরা। সবাই তোমরা দেখে নাও তোমাদের থেকে আমাদের ভাগ্য কত ভাল।"
ফোনটা হাতে নিয়ে একটু আড়ালে যাই। একটা রিং হতেই শুভ'র কন্ঠ শোনা গেল। আমি প্রথমে ভেবে পাইনা আসলে কী বলতে ফোন করেছি। ও বেশ কয়েকবার "হ্যালো হ্যালো" করে লাইনটা কেটে দিল। আমার শরীর জুড়ে কৃষ্ণ মলিন চোরাবালি। মনে হল আমি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছি। নিজেকে এতো অসহায় লাগছে কেন? বলেই দেখিনা শুভ রাজি হলেও হতে পারে! শিক্ষিত ছেলে, প্রবাসে থেকে লেখাপড়া করেছে । ওর নিজেরও বাচ্চা আছে। ও রাজি হলে আমার রুদ্রের ভবিষ্যৎটা উজ্জ্বল হবে। সে তার মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত হবেনা! নিশ্চয় শুভ বুঝবে। ও এতো অল্প সময়ে দেশে এসেই বিয়ে করছে ওর সন্তানদের কষ্ট হচ্ছে বলেই। তাহলে আমি দূরে গেলে যে রুদ্রের জীবনে সব আলো নীভে গিয়ে ঘোর অন্ধকার নেমে আসবে! আমাকে ফোন করতেই হবে।
সারা বাড়ি জুড়ে রঙ-বেরঙের আলো জ্বলে উঠল। কাজের মেয়েটার কোলে রুদ্র কেঁদেই যাচ্ছে। আমাকে দেখে ছুটে আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। মা যে কোথা থেকে ছুটে এসে ছো মেরে ছেলেটাকে নিতে চাইল! " আরে তুই এখনও রেডি হোসনি,ওরা তো এসে পড়বে এখুনি, যা রেডি হয়ে নে- ওকে আমার কাছে দে" জোর করে নিয়েই গেল। কষ্টগুলো দলা পাকিয়ে বুকের মাঝে দপদপ করে জ্বলছে! কল করলাম শুভ্রকে এবার ফোনটা ধরতেই - " আমি আমার সন্তান ছাড়া কোথাও যাব না, আমাকে ক্ষমা করবেন আমি কোন শর্ত মেনে নিতে পারব না। আমার পক্ষে আমার সন্তানকে ছেড়ে থাকা সম্ভব না"নিঃশ্বাসহীন কথা গুলো বলে গেলাম। লোডশেডিং হতেই সব আলোগুলো এক সঙ্গে নীভে গেল। কোন উত্তর শোনার অপেক্ষা করলাম না। বাতাসে ভেসে আসা গন্ধরাজের মাতাল সুবাস বুক ভরে নিলাম গভীর নিঃশ্বাসে। তারাভরা আকাশে আজ পুর্ণিমার চাঁদ যেন উদার হয়েই জোসনা বিলিয়ে দিয়েছে! সে জোসনা কঠিন আধঁারকেও জড়িয়ে নিচ্ছে নিজের বাহুডোরে! আহ কী শান্তি...!
বুকের ভেতরটায় দমাদম হাতুড়ি পিটিয়ে যাচ্ছে কেউ। যৌবনের খেলাঘরের ভীতে ধ্বস তো নামিয়েছি নিজের হাতেই, আজ না হয় সেই খেলাঘর চিরতরে শুন্যই রয়ে যাবে। খোলা আকাশের নীচে আলোছায়ার নিশিকাব্যে একলা পথিক আমি ছুটে বেড়াব অন্ধ লাগামহীন! ক্ষতি নেই কোন। নিশানা বিহীন নদীতে সাঁতার দিলে কূলের দেখা মিলবেনা জানি কোন কালেই! তবুও যে রুদ্রের জন্য মৃদ্যুলকে ছেড়েছি, নিঃশর্ত মুক্তি দিয়েছি চিরদিনের জন্য।সেই রুদ্রকে ছেড়ে দূরে যেতে হবে আমাকে? এই আমার মাতৃত্বের গর্ব! শুধুই জন্ম দেয়া? এমন মাতৃত্ব আমি চাইনা।
ঘরে ফিরে ঘুমন্ত রুদ্রকে বুকে টেনে নেই। খুব ভাল লাগছে আজ বহুদিন পরে। ছোট্ট সোনাটা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে তখনও কেঁপে কেঁপে উঠছে ঘুমের ঘোরে। দরজাটার খিল আটকে দেব বলে খাট থেকে নামতে গিয়ে দেখি বড় নির্ভরতায় কচি হাতটা দিয়ে শাড়ি ধরে রেখেছে। কপালে চুমু একে পাশেই শুয়ে পড়লাম আমি দরজা খোলা রেখে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে যামিনী এগিয়ে যায় স্বদর্পে আলোর দিকে! ভোর হয়েছে কখন নিজেও জানিনা। জানালা দিয়ে নতুন দিনের প্রথম আলোটুকু এসে পড়েছে আমার ঘরের মেঝেতে। জানালার কাছে গিয়ে দেখি বিয়ে বাড়ি বাসি ফুলে ফুলে ভরে আছে...। বাবা আর মা দাওয়ায় বসে আছে এমনভাবে,মনে হচ্ছে আজই এ বাড়ি থেকে কোন মৃত মানুষের সৎকার হয়েছে! একটা সুখের দীর্ঘশ্বাস ঝড় বাতাসের মত ধীরে ধীরে বের হয়ে আসে বুক চীরে। "ভাগ্যিস কাল শুভকে ফোন করেছিলাম না হলে আজ ভোরের ফ্লাইটেই আকাশে উড়ে যাবার কথা ছিল"! কথাটা ভাবতেই মনের পাতায় সদ্য ফোটা সুভাশিত ফুলের শিহরণে আমি ভিজে যেতে থাকি! ছোট্ট রুদ্রকে আদরে আদরে ভরিয়ে দিলাম আমি। গভীর ঘুমের মাঝেও ছেলেটা খিল খিল করে হেসে যাচ্ছে। আজ সবকিছুই বেশ ভাল লাগে। পাখিদের গান, ঝিরিঝিরি পাতার শব্দ, কোকিলের কুহুতান সবকিছুই।
আজকের সকাল অন্যরকম সুখের মাত্রা এনে দিলেও মনের মাঝে খচখচ করে বিঁধে যাচ্ছে রুদ্রকে সাথে নিয়ে সামনে চলার এক অনিশ্চিত সময়! জীবনে লেখাপড়া শেষ করাটা যে কত গুরুত্বের ছিল তা আজ খুব বেশী অনুভুত হচ্ছে! আজ আমার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে গহীন অমানিশা। আমার সন্তানকে আমি বুকের মাঝে নিয়ে নিরাপদে রাখতে পারছিনা,পারছিনা তাকে একটা আলোকিত জীবন দিতে। আমার স্বল্প শিক্ষা অভিশপ্ত হয়ে স্বর্গের আলোকেও ঢেকে নিয়েছে নিজের মত করে। নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত জীবনকে ঘোর অমাবস্যার অন্ধকারে এভাবে জড়িয়ে নেবে তা আমি কখনোই ভাবিনি। আগামী আরো কত দুঃসহ হতে পারে তা ভেবে রুদ্রকে বুকে জড়িয়ে আমি ভেসে যাই সমুদ্র নোনা জলে...। আলো বিহীন নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে...।
২৭ মে - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১২০ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪