সবুজসংঘ ক্লাব

সবুজ (জুলাই ২০১২)

সেলিনা ইসলাম N/A
  • ২৩
(১)

আমাদের এই বাড়ীটা নতুন করে তৈরী করা হয়েছে । যার চারিধার বড় বড় গাছগাছালিতে ঘেরা । গ্রামের মানুষ প্রয়োজন না পড়লে এদিকটাতে খুব একটা আসেনা। এর পাশেই আমাদের পুরানো বাড়ী। সেই বাড়ীতেই কাল বোর্ডের উপর সাদা রঙ দিয়ে লেখা 'সবুজসংঘ ক্লাব।' আমি বলি ভুতের আখড়া ! গ্রামের মানুষ একেবারেই যে বোঝেনা কিছু এই ক্লাবের উদ্যেশ্য কি এবং কেন করা হয়েছে তা কিন্তু নয়! তবে যে তরুনদেরকে দিয়ে ভুত ছাড়ানো হবে সেই যুবশক্তিকেই ভূতে ধরেছে! সুতরাং গ্রামের মানুষ এই ভূত কিভাবে ছাড়াবেন !
আমার স্কুলে আসা যাওয়ার পথেই এই ক্লাবঘরটা ! যেখানে সারাদিন থাকে তরুন যুবকদের আনাগোনা!গ্রামের যতরকম বিচার, শালিস, কে কার বউকে রাখবে বা না রাখবে, কে কোন জায়গায় দোকান করবে বা না করবে!কে তার বোনের বিবাহ কোন বাড়ীতে দিবে বা দিবেনা, সব কিছুরই একটা অনুমতি দেয়া বা মীমাংসা এই যুবসংঘ থেকেই করা হয় !মূলতঃ গ্রামের নিরীহ সহজ সরল মানুষরা কথা শুনতে যাতে বাধ্য থাকেন, অথবা নির্ভরশীল হয়ে পড়েন-এই উদ্যেশ্যকে সামনে রেখেই গ্রামের চেয়ারম্যান আমার বাবা সুরুজ মিয়া তরুণদের পৃষ্টপোষকতা করছেন বেশ দক্ষতার সাথে ! দিন যত অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যায় এই ক্লাবঘর তত বেশী সরব হয়!আমি যতবার সামনে দিয়ে হেটে যাই জানিনা কেন আমার শরীর কি এক অদৃশ্য ভয়ে ছমছম করে উঠে !

(২)

ক্লাব ঘরের দায়িত্বে আছে বাদশা নামে একজন।যাকে বাবা খুবই সমীহ করে চলেন । মাঝে মাঝে মাত্রাতিরিক্ত সমাদর করেন, যাকে বলে জামাই আদর । এই ছেলেটাকে দেখলেই আমার বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠে । কি বীভৎস আর ভীতিকর চেহারা ! একটা চোখ নেই তার । লোক মুখে শোনা এই বাদশা একসময়ে আমাদের গ্রামের বেশ বড় ধরনের চোর ছিলেন! গ্রামে আসা সব ট্রেন থেকে বিশেষ উপায়ে জ্বালানী চুরী করতেন । এবং সেইসাথে মালবাহী ট্রেন থেকে বিভীন্ন রকম মালামালও চুরী করে বাজারে বিক্রি করতেন! বেশ কয়েকবার পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন । যদিও বেশীদিন জেলে থাকতে হয়নি তাকে।মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাবাই ছাড়িয়ে এনেছেন মোটর বাইকের পিছনে বসিয়ে! যেদিন বাদশা ছাড়া পেত সেদিন আমাদের বাড়ীতে পোলাও ,কোর্মা রান্না করা হত । মা নিজেই তা রান্না করতেন নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে । অবশ্য মা চাইতেন না এই সব মানুষদের সাথে বাবা উঠা বসা করুক । কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হত।বাবা মাকে বেদম পেটাতেন হাতের লাঠি দিয়ে ।মা আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কাঁদতেন আর নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করতেন। আমি তখন মনে মনে বলতাম বড় হয়ে মাকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাব । কিন্তু তার আগে এই ক্লাব ঘরটাতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে যাব ।

একবার এক পুলিশের সাথে বাদশার কি নিয়ে যেন বেশ তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতিও হয় । আর তারই পরিণতিতে বাদশাকে পুলিশ সেলে নিয়ে এমনই রাম ধোলাই দেন যে নাকে গরম পানি ঢালা,আর ডান্ডার খোচায় একটা চোখই নষ্ট হয়ে যায় !সেবারও বাবা ছাড়িয়ে আনেন আগের তুলনায় বেশী টাকা দিয়ে।বাদশার চোখের উপরে আবার বেশ বড় ধরনের একটা গভীর কাটা দাগ!কেন এই দাগ?এই ঘটনা অবশ্য আমার জানা নেই !কেউ কেউ পিছনে 'কানা বাদশা'বলে ডাকে!মা বলে -'এক চোখ কানা যার ছিয়াশি বুদ্ধি বেশী তার'! আমি অবশ্য এর সত্যতা পেয়েছি বাবাকে এই কানা বাদশাকে বেশ ভয় পেতে দেখে। বাবা এলাকার হর্তাকর্তা হয়েও কেন যে এই পিশাচকে ভয় পায় তা আমার অজানা নয় ।ইদানিং গ্রামের কিছু বয়স্কদেরকেও দেখা যায় ক্লাবে আনাগোনা করতে ।সারাদিন গ্রামের ছেলেরা এখানে ক্যারাম , দাবা খেলে আর কাপের পরে কাপ চা পান করে। সাথে থাকে গাঁজা , বিড়ি ও বাংলা মদ । এসবের যোগান স্বয়ং আমার বাবা দিয়ে থাকেন । বাবার সবচেয়ে বড় যে কাজটি বাদশা করে তা হল ব্যবসা দেখা । পুরানো ব্যবসার সাথে এখন যোগ হয়েছে ফেনিসিডিলের রমরমা কারবার। যদি কখনো গ্রামের কেউ বাবাকে নিয়ে বা ক্লাবের বিরুদ্ধে কোন ধরনের প্রতিবাদ করে বা কোন ঘটনার সমালোচনা করে তবে তাকে ধরে আনা হয় এই ক্লাব ঘরে-চলে নির্মম ও পাশবিক অত্যাচার । নিজেদের মনের মত করে খায়েস মিটিয়ে তারপর একটা মিথ্যে কেসে সোপর্দ করা হয় পুলিশে । অবশ্য থানার দারোগা মাঝে মাঝেই লাল,নীল প্যান্টশার্ট পরে আমাদের বাসায় এসে ভুরিভোজ করে যান । যাবার কালে ভ্যান ভরে শাকসব্জি থেকে শুরু করে বাবার প্রিয় ছাগলটাকেও মটর বাইকে পাহারা দিতে দিতে নিয়ে যান।তিনি স্বয়ং কালো ব্রিফকেসটা শক্ত হাতে ধরে ড্রাইভারের পিছনে বসে থাকেন গালভরা লাল পানে ।সাথে বত্রিশপাটি দাঁতের বিজয়ী হাসি!

(৩)

বাদশা আমাকে দেখলেই আমার দিকে এক চোখে কেমন করে যেন তাকায়! নিজের জিভ দিয়ে সিগারেটে পোড়া মোটা ঠোঁট চেটে বিশ্রী একধরনের শব্দ করে। যা আমাকে ভয়ের পাশাপাশি একধরণের শিহরণ জাগায়! মনে হয় আমি ধীরে ধীরে মাটির অতলে তলিয়ে যাচ্ছি আর হিসহিস করে একচোখা একটা সাপ আমার সারা দেহটাকে জড়িয়ে ধরেছে! আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার সমস্ত দেহে ঠান্ডা শিতল স্পর্শে আমাকে পাগল করে দিতে চায় । নিয়ে যেতে চায় এক সবুজ বনভুমির অতল গহ্বরে । আমি ভীষণভাবে হাঁপাতে থাকি; নিজেই নিজেকে কাঁপা দুহাতে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠি ।আজকাল প্রায় প্রতি রাতেই এই অনুভুতি আমাকে স্বস্তি দেয়না । আমি মাকে বলেছি বাদশার তাকানোর কথাটা কিন্তু মা বাবাকে বলতে সাহস পায়নি! কারন মা জানে বাবা কখনই এই কথা বিশ্বাস করবেন না ! এই বাদশাকে বাবা প্রভুর মত করে কতরকম সাহায্য করেছে। সেই কিনা প্রভুর মেয়ের ভক্ষক হবে ? মা আমাকে বরং সাবধান করে দিয়েছেন যেন আমি বাবাকে কিছু না বলি !

সন্ধ্যায় আমি যখন জানালার কাছে বসে জোনাক গুনি অথবা চাঁদের জোসনাকে সারা গায়ে জড়িয়ে নিতে একটু হাত বাড়াই ।বাতাসে ভেসে আসা মিষ্টি ফুলের প্রেম বন্ধন আমাকে নিজের সাথে জড়াতে চায়। তখন আমি বিমুগ্ধ সমর্পণে হারিয়ে যেতে চাই কল্পনার রাজকুমারের বিশাল বুকে। সুখানুভূতি নিয়ে সামনে তাকাতেই দেখতে পাই সবুজসংঘের নেতা একটু দূরে লোভাতুর চোখে আমাকে দেখে ।আমি বাস্তবতায় ফিরে ঠাশ করে জানালার কপাট লাগিয়ে দোয়া ইউনুস পড়তে থাকি । দূর থেকে অট্ট হাসি বিলীন হয়ে যায় দ্রুত হেটে যাবার শব্দে!

(৪)

আজ দুদিন ক্লাবের সামনে দিয়ে যখন যাই বাদশাকে দেখতে পাইনা ! ভাবি যাক আপদটা হয়ত কোন কাজে শহরে গেছে । কিন্তু দিন যত যেতে থাকে আমার দুচোখ খুঁজে ফেরে কাউকে । বাবাকেও ইদানিং বেশ চিন্তিত মনে হয়! জমাট বাঁধা ভয় একটু একটু করে গোলতে শুরু করে।আর তাই আজ স্কুল থেকে ফেরার পথে নিঝুম দুপুরে কি ভেবে যেন সবুজসংঘের জানালার কাছে যাই । কান পাততেই শুনতে পাই একটা পরিচিত শব্দ !যে শব্দ মায়ের ঘর থেকে আমি প্রায় গভীর রাত্রেই আমার ঘুম ভেঙ্গে দেয় !যা আমাকে আমার যৌবনের সন্নিকটে নিয়ে যায় এক অন্যোন্য শিহরনে । অনুযোগের সুরে মনে মনে বলেই ফেলি ' নাহ্! বাবা মা কি বোঝে না তাদের কিশোরী মেয়ে পাশেই থাকে'? লজ্জা পেয়ে নিজেই এক নিমেষে হারিয়ে যেতাম সবুজ মাঠের প্রান্তরে ! যেখানে অপেক্ষা করে থাকতো প্রজাপতির ঝাঁক,আর সবুজ নারিকেল পাতায় বানানো বাঁশির সুরেলা আওয়াজ!আজ সেই একই শব্দ আমাকে রহস্য এনে দেয়... কৌতুহলের সিড়ি বেয়ে উঁকি দেই সবুজসংঘের ভীতরে -আধো অন্ধকারে আমি যা দেখি তাতে আমার সারা শরীরের রক্ত জমে যায় ! আমার পা যেন মাটির সাথে আটকে গেছে ! আমার বন্ধু নসিমনকে আজ তিনদিন ধরে কেউ খুজে পাচ্ছে না । সে তার বোনের বাড়ী থেকে নিজেদের বাসায় না এসে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে ! কেউ বলছে কারো সাথে ভেগে গেছে । কেউ বলছে পানিতে ডুবে মারা গেছে ! কেউ আবার বলছে জীনে ধরে নিয়ে গেছে। আমি দেখি সেই নসিমনকে একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে খাটের সাথে এবং তার মুখও বাঁধা।মনে হল নসিমনের দেহ একেবারেই নড়াচড়া করছে না!পাশে শুয়ে বাদশা । আধো অন্ধকারেও আমি দেখতে পেলাম পাষণ্ড বাদশার বিশাল বুক উঠনামা করছে! কেমন করে যে 'হাই আল্লাহ!' শব্দটা মুখ থেকে বের হয়ে গেল আমি নিজেও জানিনা! পিছনে স্পষ্ট কারো পায়ের শব্দ আমাকে শত শক্তিতে ছুটে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে! ছুটতে ছুটতে যেইনা বাড়ীর গেইটে এসে দাঁড়িয়েছি সামনে আমার জন্মদাতা বাবা ।

তিনি একটা ছেলের সাথে নীচু গলায় কি যেন কথা বলছেন। আমাকে দেখে চোখের ইশারায় ছেলেটাকে কি যেন বললেন ! বাবার হাতের মোবাইল আমাকে থমকে দেয়।আমার সমস্ত শরীরে মোবাইলের ভাইব্রেইট অনুভুত হয়! 'শালা মোবাইল সব অনষ্টের মূল-কে যে এই দেশে এই যন্ত্রটা এনেছিল'খিস্তি দিয়ে উঠি আপন মনে! বাবা আমার দিকে লাল চোখে তাকালেন-বুকের ভীতরটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল!এক কদম যেতেই বাবার গম্ভীর ডাক
-জমিলা !
-জ্বী জ্বী বাবা !
আমতা আমতা করে কথাটা বললাম।আমি বাবাকে এর আগে কোনদিন এমন রূপে দেখিনি ।
-কাছে আইসো !
আমি মাথা নীচু করে কাছে আসলাম। আমার মনে হচ্ছে বাবা এখুনি হয়ত ধারালো কোন কিছু একটা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করবেন-কেন এমন মনে হচ্ছে আমি নিজেও জানিনা ।
-বলেন বাবা! থর থর করে কাঁপছি আমি।
-আজকাল বাড়ী থাইকা কম বাইর হইবা।যেহারে জীন-ভুতে মাইয়াগো ধরতাছে, সাবধান থাইকো...না জানি তুমিও কখন তাগো নজরে পইরা যাও! যাও বাইরে বাইর হইবা না !
-আচ্ছা বাবা।
গলাটা ভীষণভাবে কেঁপে কেঁপে উঠলো! একমুহুর্তের জন্য নসিমনের উলঙ্গ দেহটা চোখের সামনে থেকে সরাতে পারছি না ! কিন্তু সে নড়ছে না কেন ? কি হয়েছে ওর ? সবুজসংঘের মাঝে এসব কোন তারুন্যের সঞ্জীবনী সুধাসহ আরো কতধরনের বিষাক্ত সাপের ছোবলে নীল হচ্ছে মানুষ ? আমার ছোট্ট মনের প্রেক্ষাপটে সর্বনাশা জলছবির মত ভেসে উঠতে একটুও সময় নিল না ! মা কাছে এসেছিল কিন্তু তাকেও কিছু বলতে পারিনি ভেবেছি কাল বলব । কিন্তু সেই কাল আর আমার জীবনে এলোনা! ভয় আর আতংকে রাতই আমার জ্বর উঠে গেল !
সারারাত পেঁচার ডাক আর ডাহুকের চিৎকার আমার বুকের মাঝে পাহাড় সমান যন্ত্রণার ঝড় বয়ে দিল! তখনও ভোর হয়নি পানি খেতে উঠে যাই । তারপর ঘরের দরজা খুলে
ভারী মাথা নিয়ে প্রকৃতির ডাকে এলোমেলো পায়ে হেঁটে যেতে থাকি ...কে যেন আমার নাক,মুখের উপর একটা কাপড় চেপে ধরে। একটা ধোঁয়াটে গন্ধ আমার চোখে রাজ্যের ঘুম এনে দেয় । আমি অস্পষ্টভাবে একটা পরিচিত মোটা কাল ঠোঁট দেখতে পাই। যা খুব ধীরে ধীরে আমার মুখের দিকে নেমে আসছে...!

শেষ

বন্ধ জানালার এপাশ থেকেই মায়ের চিৎকার আর আহাজারি আমার ইন্দ্রীয়কে সজীব করে রাখে! মায়ের রান্না করা ফেনাভাতের ঘ্রান পেটের ভাজে ভাজে ক্ষয়ে যাওয়া জীবাণুগুলো তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলে মৃত হাত বাঁড়ায় ! অবশিষ্ট শক্তিটুকু দিয়ে চিৎকার করে ডাকি
'মা মাগো আমি এখানে মা , আমাকে তুমি তোমার কোলে নিয়ে যাও' ।কিন্তু এ আর্তনাদ নিজের কান পর্যন্তই পৌছায়না, সেখানে মা কি করে শুনবে!

আমার শরীরটা বেশ ভারী মনে হয়।পা দুটো অবশ,পাশ ফিরতে পারিনা!হাতটা কে যেন খুব শক্ত করে ধরে রেখেছে!সমস্ত শক্তিটুকু দিয়ে একটু মাথা উচু করে খেয়াল করতেই মেঝের মাঝখানে সদ্য করা ঢালাই দেখতে পাই!হু হু করে বুকের মাঝে বেজে উঠে 'নসিমন'-এর নাম! আমি এই বাড়ীর যে ঘরটাতে জন্ম নিয়েছি,সেখানেই শুয়ে আছি অভিশপ্ত বাসরে! কতদিন ধরে হবে আমার এই বাসর শয্যা? কতজন চাষ করবে তাজা সবুজ ফসলের বীজ?তার আমি কিছুই জানিনে!পুরুষ্ট ঠোঁটের বিষাক্ত ছোবল আর দানবীয় হিংস্রতা আমার মুখাগ্নি করে শতবার । আমাকে ধীরে ধীরে আমারই জন্মদাতার খোড়া সবুজসংঘের তারুণ্যের বন্দরের অপবিত্র ভুমিতে চিতা সাঁজায়। নিঃশেষিত শোষণে কোন সে কামের দাবানলে- তা আমার অজানাই রয়ে যায় !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
F.I. JEWEL N/A # অনেক সুন্দর ।।
Lutful Bari Panna পড়তে গিয়ে শিউরে উঠছিলাম বারবার। সমাপ্তিটা এক্সপেক্টেড ছিল। তবে আমার কাছে মনে হল গল্পে টুইষ্টের ঘাটতি ছিল। বর্ণনা যথারীতি দুর্দান্ত।
ম্যারিনা নাসরিন সীমা সবুজের রঙ আজ বিবর্ণ ! চমৎকার একটা গল্প সাবলীল ঝরঝরে লেখা !
তানি হক গল্প পড়তে পড়তে ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভুতি হচ্ছিল ...এত অসাধারণ করে কিভাবে লিখলেন আপু ..এক কথায় অসাধারণ লাগলো ...সুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ এই গল্পটির জন্য ...
মিজানুর রহমান রানা অপূর্ব সুন্দর গল্প। সেরাটা।
সেলিনা ইসলাম N/A সবাইকে সময় দিয়ে গল্পটা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ -সবার জন্য শুভকামনা
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম নিঠুর বাস্তবতা । আমাদের রাষ্ট্র ঠিক এভাবেই গাল কাটা----- , মুরগী--- , চোখ কানা----- ইত্যাদি নানা জাতের পৈশাচিক শক্তি লালন পালন করে আজ ৪০ বছরে দেশটাকে যেভাবে অসতী করে ফেলেছে , আপনার এ রূপক আমাকে সেই কথাটাই মনে করিয়ে দিল । আপনার এ গল্প পড়ে আমি আবার কেদে উঠলাম । হৃদয়ে গভীর ক্ষত কেবল যাতনা দেয়, হে আল্লাহ এ কোন মাটিতে আমার মেয়েকে তুমি আমার এ দুর্বল দায়িত্বের কাধে চাপালে ?
খুব সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসীম ধন্যবাদ ।শুভেচ্ছা নিবেন
স্বাধীন বেড়া কর্তৃক ক্ষেত খাওয়া প্যাথেটিক............ অন্যায়ের প্রতিফল কেন যে নিজেরাই ভোগ করে না মানুষ গুলো। সুন্দর গল্প
সিয়াম সোহানূর হায় হতভাগী নসিমন! কষ্টটার সাথে একাত্ব হয়ে পড়েছিলাম । অনন্য একটা গল্প। অভিনন্দন।
সেলিনা ইসলাম N/A এখন বাচ্চাদের সামারের ছুটি থাকায় খুব একটা সময় দিতে পারছিনা বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত ! সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় করে লেখা পড়ার জন্য , শুভকামনা নিরন্তর

২৭ মে - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১২০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "পদত্যাগ”
কবিতার বিষয় "পদত্যাগ”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুন,২০২৫