সেতু বন্ধন

পার্থিব (আগষ্ট ২০১৮)

সেলিনা ইসলাম
  • ৪০
খালু...এই এলাকায় কী নতুন মাল?

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি গলির মোড়ে! বহু বছর পর কাকডাকা ভোর দেখছি! গভীরভাবে দীর্ঘনিঃশ্বাস নিচ্ছি! যেন বিগত বছরগুলোতে না পাওয়া বিশুদ্ধ বাতাস,এই এক মুহূর্তেই ফুসফুস ভরে নেব। যান্ত্রিক জীবনে গত বিশ বছরে ভোর দেখার কোন সুযোগ পাইনি। সোনার হরিণের পিছনে ছুটতে ছুটতে রাত দিনের হিসেব কষে চলতে ভুলে গিয়েছি। দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ছুটে চলায় যে অন্যকোন লক্ষ্য থাকে না! সুখ শান্তি আনন্দ দুঃখ কষ্ট বেদনা সবকিছুই যেন ঐ দায়িত্বের বোঝায় আটকা পড়ে যায়! মন পড়ে থাকে পিছনে ফেলে আসা মানুষগুলোর কাছে। মনটা বড় ছটফট করে সেই মানুষগুলোর কাছে ফিরে যাবার দুরন্ত স্বপ্নে। কাজের গতি যায় বেড়ে! ধীরে ধীরে অন্য সব অনুভূতিরা ভোতা হতে থাকে। জং পড়ে যায় নিজে ভালো থাকার সব অনুভূতিতে।


নানা ভাবনা ভাবতে ভাবতে পিছনে সাইকেলের ক্রিং ক্রিং শব্দ শুনে একপাশে সরে দাঁড়ালাম। একটা সাইকেল এসে পাশে দাঁড়ালো-

-খালু...এই এলাকায় কী নতুন মাল? কথাটা আবার বলল! দেখি আঁট দশ বছরের একটা ছেলে। ওর মুখে "মাল" শব্দটা শুনে যতটা না অবাক হয়েছি-তার থেকে আশ্চর্য হয়েছি ওর বাচন এবং অঙ্গভঙ্গি দেখে! কত সহজভাবে আমাকে কথাগুলো বলল তাও হেসে হেসে। আমার উত্তর শোনার অপেক্ষা না করে শাঁ করে আবার চলেও গেলো। আমি নিজেও জানি না মনটা কেন খারাপ হয়ে গেলো! রাগ হল খুব। ওর চলে যাওয়া পথের দিকে চেয়ে বিড়বিড় করে 'অভদ্র,বেয়াদপ কোথাকার!" এসব বলে খিস্তিও দিলাম। ভাবতে লাগলাম-


বিশ বছর...বেশ দীর্ঘ সময়। অনেক পরিবর্তন হয়েছে এই শহরে,মহল্লায়,এবং মানুষের মাঝে। যে স্বপ্নের লাগাম ধরে প্রিয় মানুষগুলোর মাঝে ফিরে আসার তাড়া অনুভব করেছি। গত কয়েকদিনে যেন সেই তাড়ার লাগাম ভুল ছিল ভেবে কষ্ট পাচ্ছি! সবকিছু অন্যরকম লাগছে! নিজেকে অনেক বেমানান লাগে এই পরিবেশে। রাস্তা গাড়ি বাড়ি সবকিছুই যেন আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে আমি অন্য জগতের। এ আমার জনম শহর,এ আমার প্রিয় মাতৃভূমি! অথচ এখানে আজ আমি অতিথি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আর ঐ প্রবাস জীবনে ফিরে যাব না। ওখানে আমার কোন আপনজন নেই। তবুও এতদিন সবকিছু মানিয়ে নিয়েছিলাম আপনজনদের ভালো রাখার জন্য,আপন সুখ পাবার জন্য। সবাইকে ছেড়ে প্রবাসে থাকার যে কষ্ট তা আর ভালো লাগেনা! কিন্তু এখন তো সেই আপনজনদের মাঝেই নিজেকে বেমানান লাগছে!

গতকাল তো ছোট ভাইটা জিজ্ঞাসাই করে বসলো- "ভাইয়া তুমি ফিরে যাবা কবে?" উফঃ কেন যেন বুকের ভীতরে খুব বড় একটা ধাক্কা লাগল। সেই ধাক্কা সামলে নেবার আগেই বড় বোন বলল "শোন রাফি,তোর যেদিন ফ্লাইট থাকবে? তার তিনদিন আগে আমরা গাড়ি ভরে ঢাকা যাব! আমার ছেলে মেয়ে ধরেছে মামাকে নিয়ে ফ্যান্টাসি পার্কে যাবে!" ভাই বোন ওদের আনন্দ দেখে নিজের অজান্তেই বুকের বাম পাশে হাত চাপা পড়লো। ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে বলেছিলাম-"আচ্ছা ঠিক আছে!" চোখের পানি অনেক কষ্টে চেপে রাখলাম। অবাক হলাম ভেবে-এর থেকেও গভীর কষ্ট যেখানে হজম করেছি। সেখানে আজ ছোট ছোট কষ্টগুলোও বড় বড় ঢেউ নিয়ে মনে আঘাত করছে! হয়ত আমার বুঝার অথবা ভাবনার ভুলও হতে পারে। তবুও মন মানছে না কিছুতেই। মনের পরতে পরতে পলির মত জমা হচ্ছে অভিমান। যে বাড়ি,যে পরিবেশ আমাকে বাইশটা বছর আনন্দ আর সুখে রেখেছে। সেখানে মন আজ নিজেকে বড় অযাচিত ভাবছে !


আমাকে পেয়ে সবাই খুশি! এতে কোন সন্দেহ নেই। তবুও কোন কিছুই ভালো লাগছে না। ধুঁকে ধুঁকে মনের ব্যারামে মরে যাচ্ছি। দম বন্ধ হয়ে আসছে। হয়ত এসব কিছু আমার প্রত্যাশার বাইরে ছিল বলে। অথবা পাবার প্রত্যাশাটা ছিল অনেক বেশি! "ভাইয়া তোমাকে আর যেতে দেব না!" অথবা "এই রাফি তোকে আর ফিরে যেতে হবে না ভাই। ডাল ভাত খেয়ে থাকব তবু সবাই একসাথে থাকব। অনেক মিস করেছি তোকে!" এমন কিছু? ঠিক জানিনা... শুধু জানি মন আর এখানে থাকতে চায়ছে না-'একবার প্রবাসীর খাতায় নাম লেখালে নিজের বলে আর কিছুই থাকে না! না একূলের না অকূলের! দুই নৌকায় পা রাখলে যা হয় আর কী! সবকিছু হয়ে যায় বড় অচেনা!' কথাটা ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস বেড় হয়ে আসে।


এক সময়ে ছোটরা বড়দেরকে সম্মান দিত। এই আমি নিজেও বড়দেরকে দেখে সিগারেট লুকিয়ে ফেলেছি। ধোঁয়া সরানোর জন্য হাত দিয়ে বাতাস কেটে মাছি তাড়াবার ভান করেছি! এই ভানটুকুতেও ছিল সম্মান,আর আত্মসুখ। মুরুব্বিরা ঠিকই বুঝে নিত। তবুও তারা সম্মানবোধ করত। কিন্তু আজ আবার এলাকার নতুন প্রজন্মের ব্যবহার আমাকে মনে করিয়ে দিল-আমি আসলে কেউ না। সম্মান তো দূরে থাক এখানে বাস করার যোগ্যতাটুকুও আমি হারিয়ে ফেলেছি। ওরা আমাকে চেনে না! রাস্তা পার হতে ভয়! একা বের হতে ভয়! নিজের এলাকায় নিজেই নতুন অতিথি! ভোর দেখার আনন্দ একেবারে উবে গেলো। বাড়ির ফিরতি পথ ধরলাম। ঘড়িতে দেখি সকাল সাতটা! "তার মানে ওখানে এখন বিকাল!" মোবাইল হাতে নিয়ে ফোন দিলাম রুমমেট বন্ধু ছোট ভাই ফয়সালকে-

-"হ্যালো"

- " হ্যাঁ ফয়সাল…

-"জ্বী বড়ভাই"

- "ইয়ে মানে... আগামী মাসের তিন তারিখের একটা টিকিট কেটে দিতে পারবা?"

-"কেন বড়ভাই? আপনি না চাকুরী বাকরি ছেড়ে ছুড়ে গেছেন,পার্মানেন্ট ভাবে দেশে থাকবেন বলে?"

-"আসলে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসে বলি...?"গলাটা ধরে এলো। ফয়সাল কী বুঝল জানি না। সে ব্যস্ত হয়ে বলল- "ঠিক আছে বড়ভাই আমি ব্যবস্থা করছি। আপনি একদম ভাববেন না!" হাতে আছে আর মাত্র পনের দিন।


মনে পড়ে এমনও দিন গেছে একটা ডাইম খরচ করতেও হিসেব কষেছি! সারাদিনে এককাপ কফি আর একটা ডোনাট খেয়ে কাঁটিয়ে দিয়েছি। এভাবেই কষ্ট করে সেই অর্থ পাঠিয়ে দিয়েছি দেশে। তারপরও হত না। মাঝে মাঝে ভাই বোনের বাইনা মেটাতে দুটো কাজও করেছি। মাত্র দুই ঘণ্টা ঘুমিয়ে ছুটে গেছি আবার কাজে। গেস্টিকের ব্যথায় পেট চেপে ধরে কাজ করেছি। দেশে ফোন দিয়ে হাসি মুখে কথা বলেছি! আজ দেশে এসে অনেকের মুখে শুনলাম "আরে তুই তো বুড়া হয়ে গেছিস!" হেসে উড়িয়ে দিলাম। সবাই আমার হাসিটাই দেখল। বুকের ভেতরের জ্বালা যে কত দাউদাউ জ্বলছে,তার আঁচটুকুও কেউ দেখতে পেলো না।


পনেরদিন মায়ের সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। বৃষ্টি হবে পোড়া সোঁদা মাটির ঘ্রাণ নেব। সেই মাটি বর্ষার জলে মিশে কাঁদা করবে। সেই কাঁদায় আমি প্যাচপ্যাচ শব্দ তুলে হেঁটে যাব। আমি আর কোথাও যাব না। এই কয়দিন গত বিশ বছরে মায়ের রান্না খাওয়া থেকে যে বঞ্চিত হয়েছি। তা খানিকটা পুষে নেব। সিদ্ধান্ত নিলাম খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হব না।


ওদিকে মা আমাকে বিয়ে দেবার জন্য মেয়ে খুঁজছেন। " না ছেলের তো অনেক বয়স!" "ছেলে এতো কালো কেন? আর অনেক বেশি মোটা... "এসব বলে অলরেডি তিনটা মেয়ে আমাকে অপছন্দ করেছেন! আমি সত্যিই বড় বেমানান হয়ে গেছি! কেন যেন বিয়ে করার ইচ্ছেটাও আর নেই। ভাবছি যেদিন ফ্লাইট থাকবে তার আগেরদিন সবাইকে জানাব যে,আমি চলে যাচ্ছি। সেই পর্যন্ত আনন্দ নিয়েই মায়ের কোলে থাকতে চাই। সোঁদা মাটির ঘ্রাণ আর মায়ের রান্নার স্বাদটুকু আমাকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে নিয়ে যায়। নানা কথা ভাবতে ভাবতে বাতাসে ভেসে আসছে ইলিশ পোলাউয়ের ঘ্রাণ…!

'আহঃ ভুলেই গিয়েছিলাম এই ঘ্রাণ!" পেটের ভীতরে "কোয়াক...গুড় গুড়ড়ড়" শব্দ তোলে! 'মা তুমিই শুধু আজীবন বেঁচে থাকবে আমার মনের মণিকোঠায়!'

-"খো... কা খেতে আয়!"মায়ের ডাকটাও বড়ই মধুর!

আমি খাচ্ছি আর মা পাশে বসে দেখছে। ঠিক ছোটবেলায় যেভাবে দেখত। উদ্বিগ্ন থাকত ভেবে"এই বুঝি মাছের কাঁটা গোলা বিঁধল!" আজও সেভাবেই উদ্বিগ্ন মা! কাঁটা নয়... কান্না দলা পাকিয়ে গলার কাছে বিঁধে আছে। শেষ পর্যন্ত মাকে ছেড়ে যেতে পারব তো? ভীষণ ভয় করছে। মনে হচ্ছে এই বুঝি মা বলে বসবে-"খোকা আর তোর বৈদেশ যাওন লাগব না বাবা! অনেক হয়ছে আর কষ্ট করণের দরকার নাই!" মা তুমি বললে আমি আর যেতে পারব না।


মনটা হু হু করে উঠে! মা...তোমাকে ছেড়ে থাকার যে অনেক কষ্ট মা। সব আছে প্রবাসে। শুধু তুমি নেই..তোমার মিষ্টি মধুর ডাক নেই। তোমার আঁচলে ক্লান্তি মোছার সুখ নেই। হাজারো কষ্টে একটু শান্তির জায়গা তোমার গায়ের ঘ্রাণ নেবার কোল নেই!


মাতৃভূমির সোঁদা মাটির ঘ্রাণ আমাকে আজও পাগল করে। আজও তোমার সবুজ কোল আমাকে হাতছানি দেয়! মা,মাতৃভূমি-এই একটা জায়গায় আমি পরবাসী নই। মনটাও আমার পরবাসী নয়। তাইতো আবার ফিরে আসার একটা তাড়া আমাকে তাড়িয়ে বেড়াবে...। আজীবন তাড়িয়ে বেড়াবে ভালোবাসার টানে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক চমৎকার গল্প। খুব ভালো লাগলো। শুভকামনা। আমার গল্পে আমন্ত্রণ থাকলো।
মাইনুল ইসলাম আলিফ জীবিকার টানে প্রবাসীদের কত কষ্ট করে যে দূরে থাকা লাগে,এটা শুধু তারাই জানে।সুন্দর গল্প।শুভ কামনা আর ভোট রইল।আসবেন আমার গল্প আর কবিতার পাতায়।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী বেদনার উঠোন ভরা অসাধারণ একটি গল্প। শুরুর লাইনটা পড়ে ভেবেছি অন্যকিছু হতে পারে, কিন্তু শেষের দিকে এসে বুঝতে পেরেছি। বরাবরের মতই আপনার গল্প অনেক ভালো লেগেছে আপু। নিরন্তর শুভ কামনা রইল
আসাদুজ্জামান খান "একবার প্রবাসীর খাতায় নাম লেখালে নিজের বলে আর কিছুই থাকে না"- করুন আর্তনাদের মত মনে হল। জীবন কখনো কখনো বড় কঠিন। ভালো থাকবেন।
মোঃ মোখলেছুর রহমান "ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে বলেছলাম-" এ তো কবিতার লাইন, কবিতা দিচ্ছেননা কেন জানিনা।শুভকামনা রইল।
জলধারা মোহনা সেলিনা আপু, মুগ্ধ হতে এসেছিলাম। মুগ্ধ হয়ে গেলাম... মায়ায় জড়ানো বিষন্নতাও রইলো কিছুটা। দারুণ লাগলো গল্পটা।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা নিরন্তর।
ফেরদৌস আলম খুব ভালো লাগল গল্পটা। ভোট ও শুভ কামনা রইলো।
সময় দিয়ে গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ। অনেক অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

হাজারো সুখ দুঃখ কষ্ট সমৃদ্ধি-হাজারো স্বজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে মায়ের কোল,মায়ের স্পর্শ,মায়ের শরীরের ঘ্রাণ। পৃথিবীতে মায়ের প্রতি সন্তানের যে টান তা সাত সমুদ্রের ওপারে গেলেও ভুলে থাকা যায় না। সন্তানের জন্য মা ইহজগতে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। দুনিয়ার সবাই মুখ ফিরিয়ে নিলেও,এই প্রাপ্তিই আজীবন সন্তানকে অন্যরকম উপলব্ধি এনে দেয়,বাঁচার প্রেরণা যোগায়। মাতৃভূমিও একজন মানুষের মনে ভালোবাসার একটা জায়গা তৈরি করে নেয়। যে জায়গা থেকে সেই মানুষ মাতৃভূমির প্রতি টান অনুভব করে। স্বদেশ এবং প্রবাস এ যেন একূল আর ওকুল। এই দুইকুল জুড়ে দিয়ে মা ও মাটি জাগতিক সুখ এনে দেয়। যা অন্যকোন কিছুতেই পাওয়া সম্ভব নয়! গল্পে একজন প্রবাসীর এমনই অনুভূতি তুলে ধরে বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যতা রাখার চেষ্টা করেছি।

২৭ মে - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১২০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী