ইচ্ছেপূরণ

ইচ্ছা (জুলাই ২০১৩)

সোহেল মাহরুফ
  • ১৪
  • 0
সাধারণত বাপন সকালে স্কুলে যাবার সময় বেশি খেতে পারে না। তাই হালকা না¯—া সেড়ে স্কুলে যায়। এরপর ফেরার পথে মা বার্গার, স্যান্ডুইচ প্রভূতি কিছু না কিছু কিনে দেন। সে গাড়িতে বসে খেতে খেতে বাসায় আসে। মাঝে মাঝে বাসায় ফিরেই না¯—া করে। সেদিন স্কুলের পাশের কেএফসি থেকে মা তাকে জিনজার বার্গার কিনে দেন। সে গাড়িতে বসে খাওয়ার জন্য যেই না বার্গার মুখের কাছে নেয় অমনি একটি দৃশ্য দেখে তার বমি আসে। সে মুখের কাছ থেকে বার্গারটি সরিয়ে ফেলে। বমি করার জন্য জানালার গ­াস নামিয়ে বাইরে মাথা বের করে দেয়। তার কখনও এমন হয়নি। এ অবস্থা দেখে ড্রাইভার গাড়ি পাশে করে রাখে। তার মা খুব অস্থির হয়ে উঠেন। কিন্তু তার বমি হয় না। সে হঠাৎ ড্রাইভারকে বলে গাড়ি পেছনে নিতে। তার মা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন- ব্যাপার কি? বাপন তখন তার মাকে ব্যাপার খুলে বলে। বলে, পেছনে একটা ডাষ্টবিনের কাছে দেখেছে যে তার মত বয়সীই একটা মেয়ে ডাষ্টবিনের ময়লা থেকে খুঁটে খুঁটে কি যেন খাচ্ছে। সেটা দেখে তার বমি আসে। এইটুকু বলার পর সে একটু থামে। তারপর মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে নরম সুরে বলে- আচ্ছা মা আমি তো সবসময়ই এসব খাই। আজকে আর এটা খেতে ইচ্ছে করছে না। এটা ওকে দিয়ে আসি চলো। এ কথা শুনে মা খুব বিরক্ত হন। ড্রাইভারকে নির্দেশ দেন গাড়ি ষ্টার্ট দিতে। বাপনের মন খুব খারাপ হয়ে যায়। সে বাসায় এসে ও কিছু খায় না। খাবারের কাছে গেলেই তার রা¯—ার দৃশ্য মনে পড়ে। আর তখনই তার বমি আসে। সে সারাদিনে আর কিছুই খায় না। রাতে বাবা অফিস থেকে ফেরার সাথে সাথে বাবার কাছে নালিশ চলে যায়। বাবা তার কাছে জানতে চাইলে সে সব খুলে বলে। তখন সে হঠাৎ তার বাবার কাছে জানতে চায়- আচ্ছা বাবা আমরা কি পারি না অš—তপ¶ে এদের একজনের মুখে হাসি ফোটাতে! প্রতিদিন না হোক অš—ত সপ্তাহে একদিন কিংবা মাসে একদিন!
-না বাবা সেটা অনেক ঝামেলার।
-কি ঝামেলা বাবা। সেটা কি অনেক খরচের ব্যাপার।
-না না তা না। ওটা অনেক হাঙ্গামা। আর ওদের দেখাশুনার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে।
-বাবা তাই বলে কি আমরা চাইলে ও একটা দু’টো পথশিশুর মুখে হাসি ফোটাতে পারবো না। হঠাৎ ছেলের এমন কথা শুনে বাবা কিছুটা নরম হন। তারপর ছেলের সাথে ভাবতে বসেন কি করা যায়। তার সিদ্ধাš— নেন প্রতি শুক্রবার তার দশজন পথশিশুকে ভাল পোশাক কিনে দেবেন আর ভাল খাবার খাওয়াবেন। কিন্তু সমস্যা হলো তাদেরকে নিয়ে আসবে কে। পরে বাবা ড্রাইভার মজনু কাকা, দারোয়ান আনোয়ার, শরীফ খালা আর বাবার অফিসের ষ্টাফদেরকে বলেন। তারা এক এক শুক্রবার এক একজনে দশজন করে পথশিশুকে নিয়ে আসেন। সেদিন বাপনের মনে আর আনন্দ ধরে না। সে নিজে যায় বাবার সাথে বাজার করতে। তারপর বাবার সাথে সাথে নিজেও খাবার পরিবেশন করে। এরপর তাদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেয় নুতন জামাকাপড়। প্রথম প্রথম তার মা এতে বিরক্ত বোধ করেন। এরপর তিনি নিজেও জড়িয়ে পড়েন এই আনন্দ কর্মে। বাপনের কাছে মনে হয় তার বাবা মা’র মত ভালো বাবা মা আর পৃথিবীতে নেই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ঘাস ফুল ছোট তবে একটি শিক্ষনীয় বিষয় তুলে ধরেছেন। খুব ভাল গল্প।
মোহসিনা বেগম একজন নিবেদিত প্রাণ কবি ও লেখকের একটি দারুন উপস্থাপনা । মন ছুয়ে গেল ভাইয়া । ভোট করে গেলাম ।
পাঁচ হাজার সাবাশ বাপন তুমি দেখিয়ে দিলে ইচ্ছা মত কর্ম করলে অনেক কিছুই করার আছে। ভাল লাগল গল্প।
স্বাধীন এক টুকরো স্বপ্ন গাথা। এমন ইচ্ছে যদি সব ধনীর মনে জাগতো! সুন্দর গল্প।
এশরার লতিফ শুভ ভাবনার গল্প. সুন্দর লিখেছেন.
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর ভাবনা । সুন্দর গল্প ।।
Tumpa Broken Angel বেশ সুন্দর লিখেছেন।
অদিতি ভট্টাচার্য্য এরকম ইচ্ছে যদি আরো সবার হত পৃথিবীটা তাহলে সত্যি স্বপ্নের দেশ হত। ভাল লাগল আপনার অণুগল্প
তাপসকিরণ রায় ভাল লাগল গল্পটি--এক সুন্দর ভাবনার প্রতিফলন--বাস্তবায়ন হলে কত না সুন্দর হতো !
Lutful Bari Panna এই গল্পের কথাগুলো যদি বাস্তবায়ন হত তাহলে কী ভালই না হত। সোহেল, মানুষের লেখা হচ্ছে তার মনের প্রতিবিম্ব। এই মনটা বেচে থাকুক অনন্তকাল।

২৫ মে - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪