মুলি বাঁশের চিকন বাঁশী সনাতনী পন্থায় দু’হাত দিয়ে তুলে ধরল ওষ্ঠ ও অধরের সঙ্গমস্থলে।
চোখে অপার কৌতূহল মেশানো বিষণ্ণ দৃষ্টি ;নিষ্পলক। নদীর উজান পানে বহু দু-উ-উ-রে দিগন্তের কাছে কি যেন দেখছে?
রোদ পড়ে চিকচিক করছে পানি, চিকচিক করছে বাঁশী-ওয়ালার দু’চোখের কোন।
বহু কাঙ্ক্ষিত, আরাধ্য, নূতনের আজ্ঞাবহ মহান সূর্য্যদেব ঐ বুঝি অকস্মাৎ মাথা তুলবেন- রহস্যে মোড়া ভবিষ্যতের দিগন্তে।
বাঁশী-ওয়ালার হৃদয় নিঃসৃত আকাঙ্ক্ষা ছড়িয়ে পড়লো মহাকালের অসীম শুন্যতায়!
বিশাখা নক্ষত্রলোকে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়লো সেই বার্তা, নূতনের কেতন নিয়ে বৈশাখী মূর্ছনায় সকল মৌসুমকে পশ্চাদে রেখে সম্মুখে ছুটলো বৈশাখ নূতন সুরের বার্তা নিয়ে ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে- বাঁশী-ওয়ালার ফুসফুস থেকে নিক্ষিপ্ত বাতাসে সৃষ্টি করবে নূতন সুর নব-প্রজন্মের তরে।
হৃৎপিণ্ডকে এফোঁড় ওফোঁড় করে ছড়িয়ে পড়ল বাঁশীর সুর প্রত্যুষ বাতাসকে সঙ্গী করে।
আধা শুকনো পেঁয়াজ পাতার ডগায় লেগে থাকা শিশির-বিন্দু ঝরে পড়তে গিয়েও পড়ল না,
শেষ বসন্তের সন্ধ্যায় আমের বোলে উড়ে বেড়ানো মৌমাছিগুলো পাখনার গুঞ্জন থামিয়ে দিলো, ঝিঁঝিঁপোকার এক ঘেয়ে ডাক বন্ধ হল,
গাছের ডালে বসে থাকা পাখীদের ডানা ঝাপটানোর শব্দও থেমে গেল।
যেন প্রতিটি জীবন্ত ও জড় বস্তু থেকে মুচড়ে ,নিংড়ে, চুইয়ে চুইয়ে নিঃশেষ করে বেরুলো সুর !
নদীর উজান দিগন্তে ভবিষ্যতের জানালায় নূতনের পশরা নিয়ে মহান সূর্য্যদেব মাথা তুললেন।
আলোকিত হলো প্রকৃতি বৈশাখ ফিরে পেল তার ঐতিহ্য, এসো হে বৈশাখ- এসো হে ।
মাত্র একবার দু’চোখ মুদে প্রাণভরে শ্রদ্ধা জানালো সূর্য্যদেবকে বাঁশী-ওয়ালা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।