নদীর পারে আলীর বাড়ি বয়সটা তার বুড়া বুড়ো হলে মনটা যে তার রঙ্গে রসে ভরা । একটুখানি খুশি এলে বেজায় খুশি হয় কাজ কর্ম বাদ দিয়ে সব ঘরেই বসে রয় । বউ পোলাপান আলী মিয়ার কোনকিছুই নাই তাই তো তাহার রোজগারেতে কোন তাগিদ নাই । আজকে আলী আনন্দিত নতুন বর্ষা দেখে আষাঢ় এলো বর্ষা এলো আলী মরে সুখে
গাঙ্গে নতুন জোয়ার এলো নতুন পানির ঢল তাই দেখিয়া আলী মিয়ার মন হল চঞ্চল । কামে কাজে যাবনা আজ বর্ষা দেখব বসে বর্ষা ছাড়া এই আনন্দ আর আসিবে কিসে ? জলের খেলা দেখছে আলী দাড়িয়ে আঙ্গিনায় হঠাৎ সেটা পন্ড হল বৃষ্টির তাড়নায় । ঝরঝরিয়ে বৃষ্টি এলো বানের সাথে হাত মেলাল তাই দেখিয়া আলী মিয়ার আনন্দটা দ্বিগুন হল আলী মিয়া ঘরে গিয়া কাথা নিয়া গায়ে দিয়া খাটের উপর সে বসিয়া বাহির দিকে মূখ কারিয়া মন আনন্দে ছড়া কাটে বৃষ্টির গান গায় আয় বৃষ্টি আয় বর্ষা আমার ঘরে আয় ।
বৃষ্টি পরে অজর ধারায় বানের পানি বাঁধ ভেঙ্গে যায় তুমুল বেগে আসছে পানি স্রোতটা যেন কর্ণফুলি । এক মুহুর্তেই প্লাবন এলো আঙ্গিনাটা ডুবে গেল আলী মিয়া ঘুমিয়ে আছে বানের পানি তেড়ে আসছে । ধীরে ধীরে বাড়ছে পানি ডুবিল তার ভিটা খানি ঘরের ভিতর জোয়ার এলো আলী মিয়ার ঘুম ভাঙ্গিল খাট থেকে নিচে নামল পা দুটি তার ভিজে গেল হোচট খেয়ে চমকে উঠল লাফ দিয়ে সে খাটে বসল অবাক হয়ে নিচে দেখল বর্ষারা তার ঘরে এলো ভাবল আলী একি কান্ড ! এইটা আবার কি হল ? পানি কেন ঘরের ভিতর ? বর্ষা কি তবে ঘরে এলো ?? কুপি বাতির আলো জ্বেলে দেখল আলী সামনে চেয়ে হাড়ি পাতিল নৌকা সেজে ছুটছে সারা ঘরের মাঝে । যারে ধরে সে থেমে যায় বাকিরা সব ছুটে বেড়ায় একটা ধরে একটা ছাড়ে কি করবে সে ভেবে না পায় । বুদ্ধি এলো আলীর মাথায় হাড়ি তোরা যাবি কোথায় । হাড়ি পাতিল ধরে ধরে খাটে উপর জমা করে চাল চুলি্ল যা ছিল সব খাটের উপর ঠেকি দিল দেখতে দেখতে আলীর ঘরে কোমর পানি ছেয়ে যায় এবার বুঝি আলী মিয়া সত্যি সত্যি অসহায় । স্রোতের ঠেলায় আলীর ঘরের বেড়া খানি খুলে গেল একমাত্র খাটটি তাহার পানির নিচে তলিয়ে গেল মাল ছামানা যাহা ছিল আবারও তা ভাসতে লাগল কোনটা ছাড়ি কোনটা ধরি আলী এবার পাগল হল । মাটির চুলা ভিজে গেলে খাওয়া দাওয়ার পথ নাই ভাবল আলী চুলাটাকে চালের উপর রেখে যাই । চালের উপর চুলা রেখে নামল আলী ঘরের মাঝে দেখল এবার আলী মিয়া খাট বেড়া কিছুই নাই ভাসছে তারা বানের জলে ছুটছে তারা কোন খেয়ালে কোথায় গিয়ে থামবে তারা কে বলবে ভাই । সাতরে গিয়ে আলী মিয়া ধরল খাটের মাথায় স্রোতের ঠেলায় খাটটা এবার আলীকে ধাক্কায় । খাটের সাথে কুস্তি খেলে হেরে গিয়ে আলী ক্লান্ত হয়ে ফিরে এলো হাতটা নিয়ে খালি । ঘরে বন্যা চোখে বন্যা কেন যে বর্ষা এলো কাথা কম্বল যাহা ছিল সব সম্বল ভেসে গেল চালের উপর পাকের চুলা সেখানেও শান্তি নাই উপর থেকে বৃষ্টি পরে এখন আমি কোথায় যাই ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মনির মুকুল
প্রথম দুই লাইন পড়ার পর মনে হয়েছিল খুব সুন্দর একটি কবিতা পড়তে যাচ্ছি। কিন্তু তৃতীয় লাইন থেকেই ছন্দ পতন শুরু হলো। তবে মাঝে মাঝে শিড়দাড়া খাড়া করে দাঁড়ানোর চেষ্টা ছিল কিন্তু অসম মাত্রা পিছু ছাড়েনি। লেখায় গতি আছে বেশ ভালো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সূর্য
কবিতায় একটা কাহিনী ধরে রাখলে তার মাত্রা, ছন্দ, স্বর, ধ্বনির ব্যাপারে যতটুকু কাজ করতে হয়-বিষয়ের গন্ডিতে থেকে খুব অল্প সময়ে লেখা জমা দিতে হয় বলে অনেকেরই খুত থেকে যায়। আমরা প্রায়শই এটা ভুলে যাই। এ কবিতায় গ্রাম্য পালা গানের সুর পেলাম, বেশ ভালই লাগলো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।