পরি হিনা ও আজোব দেশে আকমল (৮ম পর্ব)

ঈর্ষা (জানুয়ারী ২০১৩)

হোসেন মোশাররফ
  • ১৪
‘আমার নাম নিমু।’ বলল রাজকন্যা নিমু। কিছুক্ষণ অবাক বিষ্ময়ে চেয়ে রইল আকমল ওর দিকে। তারপর বলল ও ‘তুমি সত্যি সত্যি এ দেশের রাজকন্যা?’
কেন, তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি?’ মিটি মিটি হাসতে হাসতে বলল রাজকন্যা। নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বলল আকমল, ‘ না, বিশ্বাস হবে না কেন, প্রথম দেখাতেই বুঝেছিলাম তুমি এ দেশের রাজকন্যা। কিন্তু অবাক হচ্ছি অন্যকথা ভেবে; তুমি এ দেশের রাজকন্যা অথচ তোমার একটুও অহংকার নেই। আমার মত একজন গরিব অসহায় ক্ষুদে মানুষ কে তুমি একটুও অবহেলা করছ না।’
মনে হল আকমলের কথা শুনে রাজকন্যা নিমু যেন একটু লজ্জা পেল। চোখের মনি দু’টো সহসা একটু কেঁপে উঠল তার। দৃষ্টি আকমলের চোখ থেকে অন্যত্র সরে গেল হঠাৎ। তারপর বলল ও , ‘তুমি হয়তো ভেবেছ আমি মিথ্যে রাজকন্যা। যারা সত্যি রাজকন্যা হয় তাদের কখনো কোন অহংকার থাকে না। তুমি যাকে এখন দেখছ চোখের সামনে সে সত্যি রাজকন্যা সে জন্যই তার কোন অহংকার নেই।’
রাজকন্যা নিমুর কথায় আকমলের মনের সব কষ্ট যেন দূর হয়ে গেল। কথায় মানুষ যেমন কষ্ট পায় ; কথা তেমনি মানুষকে অনন্দও দিতে পারে। কথা মানুষকে নিয়ে যাবে স্বর্গ অথবা নরকের কঠিন অন্ধকারে। এই কথার কারণেই মানুষ মানুষের বন্ধু অথবা শত্রু হয়। আর কথা দিয়ে কথা না রাখলে বন্ধুত্ব নষ্ট হয়। আকমল বলল, ‘তুমি না কাল আমাকে কথা দিয়েছিলে আমাকে তোমার ভাগ্য বিড়ম্বনার কাহিনী শোনাবে?’
‘হ্যাঁ, দিয়েছিলাম।’ মিষ্টি হেসে বলল রাজকন্যা নিমু। আকমলকে পেয়ে রাজকন্যার মনের সব দুঃখ-কষ্ট যেন দূর হয়ে গেছে। তার হাসি দিয়ে হীরা-মণি আর মুক্তা যেন ঝরে ঝরে পড়তে লাগল। দুঃখ পেয়ে দুঃখ কে যে জয় করতে পারেনি সুখ তাকে কখনো ধরা দেয় না। রাজকন্যার নিমুর ভাগ্য বিপর্যয় তাকে হয়ত দুঃখ দিয়েছে কিন্তু তার মনের সুখ কেড়ে নিতে পারেনি। রাজকন্যা নিমু বলল, ‘সে কাহিনী তোমাকে আজ অবশ্যই শোনাব। তবে তার আগে একটা শর্ত আছে, যখনই আমি তোমাকে চোখের ইশারা করব তখনই তুমি আমার এই পুরানো জুতোটার মধ্যে যেয়ে লুকিয়ে পড়বে।’
ঘরের একপাশে পড়ে আছে রাজকন্যার একপাটি মখমলের পুরানো জুতো, তাতে হীরার ফুল আর সোনা দিয়ে কারুকার্য করা নকশা। তারই ফাঁকে ঠিক মধ্যিখানে বসানো আছে একটা মূল্যবান নীলা পাথর। পাথর থেকে বিচ্ছুরিত নীল আলোয় জুতোর ভিতরটা আবছা আলোয় ভরে আছে। আকমল একবার সেদিকে তাকিয়েই বুঝে ফেলল ওটার মধ্যে লুকিয়ে পড়া তার পক্ষে খুবই সহজ কাজ। কেননা জুতোর মাপটা তার দেহের চাইতে অনেক বড়। তা ছাড়া ওটার মধ্যে ঢুকে বেশ নিরাপদেও থাকতে পারবে সে। যেহেতু জুতোটা রাজকন্যা নিমুরই, সে ছাড়া অন্য কেউ তো ভুলেও পা ঢুকাতে চাইবে না ওটার মধ্যে। সুতরাং বলা যায় নিরাপত্তা ষোল আনাই পাওয়া যাবে ওটার মধ্যে। শুধু অসুবিধে যা একটু, রাজকুমারির গল্প শুনতে শুনতে তার চোখের মণি দু’টোর দিকে কড়া নজর রাখতে হবে তাকে। বলা যায় না কখন নির্দেশ জারি হয় তার উপর। একটু ঘুমিয়ে গেলে কিংবা দৃষ্টি এদিক ওদিক হলেই তো বিপদ। বিপদের পরিমানটাও মনে মনে আঁচ করে ফেলল আকমল। একেবারে বিনা বিচারে নির্ঘাত মৃত্যুদ-। বিকট চেহারার ঐ দৈত্যটাকে একবার দেখেই মনে মনে ধারণা হয়ে গিয়েছিল তার। রাজকন্যা নিমুর কথা শুনে তা এখন বদ্ধমুল হল তার মনে।
রাজকুমারী তার কাহিনী বলা শুরু করল।
আমার বাবা এই দেশের রাজা ছিল এক দুই বছরের কথা না, রীতিমতো পাঁচ হাজার বছর ধরে এক হাতে শাসন করেছেন এই দেশ। রাজকুমারীর কথা শুনে চোখ মাথায় উঠল আকমলের। বার দুই ঢোক গিলে আমতা আমতা করে বলল সে, ‘কথাটা মনে হয় এ রকম হবে রীতিমতো পাঁচ হাজার বছর ধরে বংশ পরম্পরায় এই দেশ শাসন করেছেন।’
রাজকুমারী কিছুক্ষণ আকমলের মুুখের দিকে চেয়ে থেকে বলল, ‘তাহলে এবার আমার দ্বিতীয় শর্তটা শোন। আমার কাহিনী বলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুমি কোন কথা বলতে পারবে না।’
ভুল বুঝতে পেরে আকমল মাথা নিচু করল। তারপর বলল, ‘আমার ভুল হয়েছে রাজকুমারী। বড়দের কথার মধ্যে কথা বলা অন্যায় তাও জানি কিন্তু পাঁচ হাজার বছর শুনেই মাথাটা বিগড়ে গেল। কেননা অতদিন তো আর মানুষ বাঁচে না।’
‘সেটা তোমার হিসাবে কিন্তু আমাদের হিসাবে পাঁচ হাজার বছর পার করে একজন মানুষ শিশুকাল কাটাতে; তারপর তো বাকি জীবন পড়েই রইল।’ রাজকুমারী নিমু বিষ্ময়ের সাথে বলল। যারপরনাই অবাক হয়ে আকমল বলল, ‘ভাগ্যের ফের আর কপাল মন্দ থাকায় আমাকে এই অল্প বয়সেই অনেক আজব দেশ ঘুরতে হচ্ছে , অনেক আজব ঘটনাও দেখতে হচ্ছে কিন্তু এমন তো কোথাও শুনিনি।’
‘সেই জন্যই বলছি, তুমি চুপ না থাকলে আমার পক্ষে কাহিনী বলা যেমন সম্ভব না; তোমার পক্ষে শোনাও হয়তো সম্ভব হবে না।’ বড়ই ক্ষোভের সাথে বলল রাজকন্যা নিমু। রাজকুমারীর কথা শুনে লজ্জায় চোখ-মুখ লাল হল আকমলের। মাথা নিচু করে মাথা চুলকাতে শুরু করল আকমল। সুযোগ পেয়ে রাজকন্যা নিমু আরও যোগ করল, ‘কাল তোমাকে দেখেই বুঝেছিলাম তোমার সাথে জমবে না আমার।’ তারপর একটু ইতস্তত করে রাজকুমারী আবার বলল, ‘তুমি কিছু মনে করো না তুমি ক্ষুদে মানুষ বলে তোমাকে আমি অবহেলা কিংবা উপহাস করছি না। তবে তুমিও মানুষ আমিও মানুষ কিন্তু আমাদের মধ্যে পার্থক্য অনেক। শুধু দেহের আকারেই ছোট বড় না আমরা আরও অনেক কিছু।’ বিষয়টা গোলমেলে আর মাথার উপরে কথা বলার নিষেধাজ্ঞা ঝুলছে দেখে শত কৌতুহল সত্বেও আকমল চুপ করে রইল। কিছুক্ষণের জন্য রাজকন্যা নিমু একটু অন্যমনষ্ক হল যেন। কিন্তু তা মাত্র অল্প কিছুক্ষণের জন্য, হঠাৎ ভূতে পাওয়া মতো সংবিৎ ফিরে পেয়ে বলল, ‘তোমার বয়সটা কত হবে আন্দাজ ?’
আকমলের বুঝতে আর বাকি রইল না তার গল্প শোনা বোধহয় এবার মাথায় উঠেছে; বলল, ‘দশ বছর।’
মুখে কোন কথা না বললেও রাজকুমারীর চোখ-মুখ দেখেই বেশ বোঝা গেল সে যা ভেবেছিল তাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। মৃদু হেসে বলল সে, ‘দশ বছর বয়সে মুখে কথা ফুটতেই কাটে আমাদের; আর হবেই বা না কেন, ও বয়সে যে বাচ্চাদের দাঁতই ওঠে না। আর তুমি দিব্যি বসে কথা বলছ আমার সাথে।’ ..তার মানে দশ বছর তাদের হামাগুড়ি দিতেই কেটে যায়। বিচিত্র দেশ বিচিত্র মানুষ জন; মনে মনে বলল আকমল।
বিষ্ময়ের ঘোর কাটিয়ে উঠে আবার শুরু করল রাজকন্যা নিমু।
‘যাক তোমার কাছে কথা দেয়া ছিল আমার জীবনের দুর্ভাগ্যের কাহিনী তোমাকে শোনাব, তাই এখন আমি আবার শুরু করছি সে কাহিনী। যদিও তোমাকে বলা আর দেয়াল কে বলা সমান। তারপরও মনের ভার লাঘব করার মতো একটাও মানুষ নেই আমার এই নির্জন বন্দিশালায়। অতএব তোমাকে বলেও আমি যদি কিছুটা হালকা হতে পারি। যে কথা বলছিলাম, পাঁচ হাজার বছর কেটে যাওয়ার পর একদিন হঠাৎ আমার মা মারা গেলেন। তারপর থেকে বাবা একা হয়ে পড়লেন। সেই দুঃখেই কিনা জানিনা, বাবার মাথায় একদিন পোকা ঢুকল যে রাজ্য শাসন করার চেয়ে এবাদত করেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবেন। যেই কথা সেই কাজ। পরদিনই বাবা রাজ্য ফেলে রওনা হয়ে পড়লেন বন বাসের উদ্দেশ্যে। কিন্তু আমার সহজ সরল বাবা জানতেন না অনেক হিংসুক দৈত্য তার রাজ্যের আশে পাশেই পাহাড়-পর্ব্বতে বাস করে। বাবা যেদিন রাজ্য ছেড়ে গেলেন তার পরদিনই এক দুষ্ট দৈত্য এসে রাজ্যটাও দখল করে নিল আর আমাকেও বন্দি করে রাখল এই কয়েদ খানায়। সেই থেকে আমি এই প্রাসাদেই বন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছি। তাও প্রায় দুই হাজার বছর ধরে আমি বিনা কারণেই দৈত্যের হাতে বন্দি। আমার বয়স এখন মাত্র চৌদ্দ হাজার বছর। সামনে তো এখনো বাকি দিন পড়েই রইল।
পুরো বিষয়টা আকমলের কাছে ভীষণ গোলমেলে মনে হল। তারপরও সার সংক্ষেপে এতটুকু বোঝা গেল বন্দি রাজকন্যার মনটা খুবই খারাপ। আকমল একটা দীর্ঘশ্বাস গোপন করে বলল, ‘তোমার জীবনের এই করুণ কাহিনী শোনার পর আমিও অনেক কষ্ট পেলাম। কিন্তু আমার কিছুই করার নেই। একে আমি দুর্বল ক্ষুদ্র মানুষ; তা ছাড়া আমার বয়সটাও অল্প। তোমাদের যেখানে হাজার হজার বছরের হিসাব আমাদের সেখানে এক’শ বছর বাঁচাই দায়। আমি তো সবে’ মাত্র দশ বছরের টি। তবে কিছু করতে না পারলেও মানুষ হিসাবে আমি তোমাকে একটা সৎ পরামর্শ দিতে পারি। আমার মা তার মৃত্যুর সময় এই পরামর্শটা আমাকে দিয়েছিলেন।’
মায়ের কথা শুনে রাজকন্যার উৎসাহটা যেন চর্তুগুণে বেড়ে গেল। সে উৎসুক হল শোনার জন্য। আকমল বলল, ‘সুখে-দুখে সব সময় খোদাকে স্মরণ রাখা এবং বিপদে পড়লে খোদার কাছেই সাহায্য চাওয়া।’ বিরস বদনে রাজকুমারী নিমু বলল এমন পরামর্শ আমার মায়ের কাছ থেকে আমিও শুনেছিলাম। চেষ্টাও করেছি কিন্তু কোন ফলাফল পাইনি। উত্তরে আকমল বলল, ‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই, খোদার কাছে চাইলেই যে সাহায্য পাওয়া যায় তার প্রমাণ আমি। সুতরাং তুমিও পাবে।’ এমন সময় আশ-পাশেই কোথাও ধড়মড় শব্দ শুনতে পাওয়া গেল। রাজকুমারীর চোখের মণি ইতস্তত নড়ে গেল। আর সাথে সাথেই যেন চারদিকে ঝড় শুরু হয়ে গেল। প্রথম শর্তে রাজকুমারী এই সময়টার কথাই বলেছিল আকমলকে। আর মোটেও দেরি করা যায় না। এক লাফে পালঙ্ক থেকে নিচে লফিয়ে পড়ল আকমল। ঝপ্ করে একটা শব্দ হল; তারপরই চোঁ দৌড় জুতো বরাবর। পুরানো জুতোটার ভিতরে ঢুকতে একটুও বেগ পেতে হল না তাকে। নিচের দিকে চামড়া একটু খানি ছেঁড়া ছিল জুতোটার। পুরানো জুতো বলেই কথা, নূতন জুতো হলে ভিতরে ঢোকার এমন মোক্ষম সুযোগ কোথায় পেত আকমল। ততক্ষণে দৈত্যটা ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়েছে। গুরু গম্ভীর শব্দে সে বলল, ‘ঘরের মধ্যে আমি নূতন মানুষের গন্ধ পাচ্ছি কেন রে-; নিশ্চয় কোথাও লুকিয়ে আছে মানুষটা এই ঘরে।’ তারপর তার স্বভাব সুলভ একটা হুংকার ছেড়ে বলল, ‘কে আছিস রে- শিগ্গির বের হয়ে আয়, এখনই তোর ঘাড় মটকাই। হি হি হু হু হা হা হা.. ’ দৈত্যের হুংকার আর হাসির শব্দে দরজা আর জানালার পাল্লা গুলো ঝন ঝন করে কেপেঁ কেপেঁ উঠল। চারদিকে ভয়ের শিহরন খেলে গেল বাতাসে। দৈত্যটা এবার সারা ঘরময় তন্ন তন্ন করে খুঁজতে শুরু করল। জুতোর ভিতরে বসে আকমলের ততক্ষণে ভয়ে আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার অবস্থা হল। জুতোর চামড়ার ফুটোতে চোখ রেখে আকমল দেখতে লাগল দৈত্যটার তা-ব। কয়েক’শ মণ ওজনের এক একটা বালিশ খাটের উপর থেকে টেনে ছিঁড়ে কুটি কুটি করে দূরে ছুড়ে ফেলল। তারপর একে একে ঘরের সব কিছুই দূরে ছুঁড়ে ফেলতে লাগল। দৈত্যের মহা আক্রোশ চারদিকে খান খান হয়ে ফেটে পড়তে লাগল। তার মুখের র্গর্গ শব্দে প্রাসাদটাই ভূমিকম্পের মতো কাঁপতে লাগল। জুতোর দিকে এখনো নজর পড়েনি তার, তাই এখনো রক্ষা। কিছু না হোক, পুরানো জুতোটা একবার ভূলক্রমে তার পায়ের নিচে পড়লেই সব যাবে রসাতলে। মনে মনে প্রমাদ গুণল আকমল।
ঘরের সব জিনিস পত্র তছনছ করার পর রাজকুমারীর জুতো গুলোও একে একে টান দিয়ে এদিক সেদিক ছুঁড়ে ফেলতে লাগল দৈত্যটা। নেহাত পুরানো জুতো বলেই জানে বেঁচে গেল আকমল। কিন্তু দৈত্যটার আক্রোশ মোটেও কমল না। মানুষের গন্ধ পেয়েছে; সুতরাং সে প্রায় নিশ্চিত এ ঘরে কোথাও মানুষ লুকিয়ে আছে। কিন্তু মানুষটা যে একটা পুরানো ছেঁড়া জুতোর মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে এটাই তার মোটা মাথায় ঢোকেনি এখনো। তবে একবার ঢুকলে আর যে রক্ষা নেই আকমলের তা তার হাবভাবেই বেশ বোঝা যাচ্ছে। মাঝে মাঝেই সে চেঁচিয়ে উঠে হুংকার ছাড়তে লাগল, ‘এই কে কোথায় লুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুকিয়ে আছিস্ শিগ্গির বের হ্ , এখনই তোর মু-ুটা চিবিয়ে খাই।’
দৈত্যের কথায় আকমল নিশ্চিত হল তার লুকিয়ে থাকার ব্যাপারে দৈত্যের মনে কোন দ্বি-মত নেই। এখন বাইরে বের হলেও বিপদ, আবার জুতোর ভিতরে লুকিয়ে বসে থাকলেও দৈত্যের অত্যাচারের হাত থেকে রাজকুমারীর রেহাই নেই। তাহলে উপায়? ভেবে পেল না আকমল। কিছুক্ষণের জন্য মনে হল সবকিছু ঠা-া হয়ে গেছে। বোধহয় দৈত্যটা ছুটাছুটিতে হাঁপিয়ে পড়েছে; এখন একটু বিশ্রাম নিয়ে শুরু করবে আবার। হঠাৎ একটা অভূত-পূর্ব ঘটনা ঘটে গেল সেখানে। আকমলের কাছে মনে হল জুতোসহ সে ক্রমাগত উপরের দিকে উঠছে। একটু পর অকষ্মাৎ তা শূন্যে থেমে দাঁড়িয়ে রইল। জুতোর ছেঁড়া ফুটো দিয়ে চেয়ে দেখল আকমল বেশ খানিকটা উপরে উঠে থেমে আছে জুতোটা। আপাত দৃষ্টিতে অদ্ভুত কা- মনে হলেও ভয়ের ঠা-া শিহরন তার শিরদাঁড়া বেয়ে নিচে নামতে লাগল। একটু পরেই তার মনের আতঙ্ক বাস্তবে সত্য প্রমাণিত হল। হঠাৎ তার চোখ জুতোর ফুটো থেকে সামনে সামনে খোলা অংশে পড়তেই দেখতে পেল দৈত্যের ভীষণ চেহারা তার সামনে মূর্তিমান।
জুতোটা হঠাৎ শূন্যে ওঠার কারণ তার বুঝতে আর অসুবিধে হল না। দৈত্যটাই জুতো সহ তাকে উপরে তুলে এনেছে; তারপর শিকার হাতের মুঠোর মধ্যে পাওয়ায় সে এতক্ষণ শান্ত হয়ে লক্ষ্য করছে তাকে। বাঁচার আশা পুরোপুরি ছেড়ে দিয়ে আকমল মনে মনে বলল, ‘আমি হয়তো মারা পড়ব ঐ দৈত্যর হাতে কিন্তু হে খোদা, ঐ দুষ্ট দৈত্যের হাত থেকে নিষ্পাপ রাজকুমারীকে রক্ষা করো।’ তারপরই ঘটে গেল একটা বিস্ফোরণ, সম্ভবত দৈত্যটা টেনে তুলে আছাড় মারল আকমল সহ পুরানো জুতোটাকে। আর তাতেই প্রচ- শব্দে জুতোটা আছাড় খেল ঘরের দেয়ালের সাথে। জুতোটা ফেটে ছিঁড়ে কুটি কুটি হল। রাজকুমারী বিষ্ময়ের সাথে লক্ষ্য করল আকমল জুতোর খোলা অংশ দিয়ে ছিটকে জানালা পথে বাইরে চলে গেল। দেয়ালের সাথে আঘাত লেগে নির্মম মৃত্যুর হাত রক্ষা পেলেও শূন্যে ভেসে বাইরে কোথায় যেয়ে পড়ল তার কোন হদিস পাওয়া গেল না।
ক্স * * *
পড়বি তো পড় একেবারে বাইরে গোলাপ বাগানের সদ্য ফোটা গোলাপের উপর যেয়ে পড়ল আকমল। মৃত্যু দূরের কথা গা’য়ে সামান্য আঘাতটুকুও লাগল না আকমলের। যেন কেউ তাকে ধরে এনে গোলাপের নরম বিছানায় শুইয়ে দিয়ে গেল। কিন্তু নিচে তাকাতেই আত্মারাম খাঁচা শূন্য হল তার। গোলাপ গাছের বিশাল বিশাল কাঁটাগুলো যেন চোখ মেলে তাকিয়ে আছে তাকে গিলে খাওয়ার জন্য। এ যেন এক মৃত্যুর হাত থেকে আর এক মৃত্যুর হাতে পড়ার সামিল। মনে মনে খোদার কাছে তার জীবন রক্ষার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাল। যদিও এখনও সে পুরোপুরি আশঙ্কা মুক্ত হতে পারেনি। তবে একজন মানুষ সুখী হওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই এখানে সে পেয়েছে। এই মূহুর্তে তার পেটে ক্ষুধা নেই। থাকার জন্য সুন্দর মনোরম সুগন্ধিযুক্ত নরম বিছানা, দৈত্য কিংবা অন্য কোন প্রাণীর হাত থেকে আশঙ্কামুক্ত নিরাপদ আস্তানা; আর কী চাই মানুষের জীবনে। আর অনিশ্চয়তার কথা যদি ধরা যায় তাহলে পৃথিবীতে কে কোথায় কখন নিশ্চয়তার সাথে অন্তত একদিন বেঁচেছে তার প্রমাণই বা দিতে পারবে কে? বরং ফুলের উপরে বসে কেউ একবার নিচে তাকিয়ে দেখে না বলেই আরাম আয়েশ আর আনন্দ হাসিতে দিনগুলো পৃথিবীতে কাটিয়ে যেতে পারে। সুতরাং আকমল এই মূহুর্তে সবচে’ সুখী মানুষদের একজন। ক্লান্ত আকমল নিশ্চিন্তে একটা গোলাপি নরম পাপড়ির উপরে গা’ এলিয়ে শুয়ে পড়ল।
ক্লান্ত আকমল ঘুমিয়ে পড়েছিল। এ অবস্থায় সে কতক্ষণ ঘুমিয়েছে মনে করতে পারল না। হঠাৎ কিসের শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেল। শব্দ কোনদিকে হচ্ছে ঠিক বুঝতে পারল না আকমল। ভোঁ ভোঁ শব্দটা ক্রমশ জোরালো হতে লাগল। উপরে লক্ষ্য করতেই প্রাণ বায়ু উড়ে যাওয়ার উপক্রম হল। বিশাল একটা ভিমরুল উড়ছে ফুলের উপরে। একবার যদি ওটা ফুলের উপরে বসে তো ওটার দেহের চাপেই অক্কা পাবে আকমল। মনে মনে বলল আকমল, ‘এ কোন আজব দেশে এসে পড়লাম, একটার পর একটা বিপদ দেখছি লেগেই আছে।’ মাঝে মাঝেই ভিমরুলটা বেশ কাছে চলে আসছে ফুলের। তার পাখার বাতাসে ফুলের পাপড়ি গুলো উড়তে লাগল। সেই সাথে মনে হল আকমলও বোধহয় প্রচ- বাতাসের ধাক্কায় নিচে উল্টে পড়ে যাবে। মনে মনে খোদাকে ডাকতে লাগল আকমল। ভিমরুলটা কিছুক্ষণের মধ্যেই একটু তফাতে সরে গিয়ে অন্য একটা ফুলের উপরে চক্কর দেয়া শুরু করল। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল আকমল।
একটু পর ভিমরুলটা দূরে কোথাও উড়ে গেল। মনে মনে খোদাকে ধন্যবাদ দিল আকমল। কিছুক্ষণ আগে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়লেও জায়গাটা তার জন্যে মোটেও নিরাপদ নয়। বিপদ যে শুধু নিচে আছে তা না বরং উপরেও ভীষণ বিপদ তার জন্যে অপেক্ষা করে আছে। বুদ্ধিমান লোকেরা বিপদ আসার আগেই তা থেকে বাঁচার উপায় খোঁজে। আকমলও ওখান থেকে কীভাবে নিচে নামা যায় তার একটা উপায় খুঁজতে শুরু করল। কিন্তু সব প্রচেষ্টাই তার ব্যর্থ হল। পথ শুধু একটাই তার সামনে খোলা আছে আর তা হল ফুলের উপর থেকে সরাসরি লাফ দিয়ে নিচে পড়া। কিন্তু এতে করে প্রাণ রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তারপরেও হতাশ হওয়া যাবে না উপায় একটা আছেই .. .উপায় নেই এমন কোন সমস্যাও নেই মানুষের জীবনে। আকমল ভাবতে লাগল। এমন সময় ঘটল অদ্ভুত কা-টা।
বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ কোথা থেকে ভিমরুলটা উড়ে এসে আকমল কে ছোঁ মেরে সেখান থেকে তুলে নিয়ে উড়তে শুরু করল। আকমল হাত পা শূন্যে ছুঁড়তে শুরু করল প্রবল বেগে কিন্তু ফলাফল হল শূন্য। ঘটনা চক্রে আবার মৃত্যুর মুখোমুখি হল আকমল। এবার বুঝি আর রক্ষা নেই মৃত্যুর হাত থেকে। ভিমরুলটা তাকে নিয়ে দ্রুত পথ অতিক্রম করতে লাগল। বেশ উপরেও উঠে পড়েছে। একবার ছেড়ে দিলেই খেল্ খতম। নিচে পড়তে পড়তেই প্রাণ বায়ু তার দেহ ছেড়ে বিদায় নেবে। তাই হাত পা ছোঁড়া বাদ দিয়ে শান্ত হল আকমল। অহেতুক হাত পা ছুঁড়ে বিশাল ঐ ভিমরুলের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। দৈত্যের চেয়ে মোটেও কম যায় না সে। বরং দৈত্যের চেয়ে তাকে বেশিই বলা যায়। কারণ দৈত্য যতই শক্তিশালি হোক, সে উড়তে পারে না। কিন্তু ভিমরুলটা তার ঐ বিশাল দেহটা নিয়ে দিব্যি উড়ে যাচ্ছে। মৃত্যু নিশ্চিত জানলে মানুষ আবার স্বাভাবিক হতে পারে। আকমল নিচে তাকিয়ে দেখল, দূরে রাজ প্রাসাদটা চোখে পড়ল তার। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয়, আর কোন ঘর বাড়ি চোখে পড়ল না সেখানে। শুধু রাজা আছে আর তার প্রাসাদ আছে কিন্তু কোন রাজ্য নেই; এ আবার কেমন দেশ? কেমনই বা তার রাজা আর তার রাজ্য।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওড়ার পর ভিমরুলটা এবার নিচে নামতে শুরু করল। বিশাল এক পাহাড়ের উপর এক মরা গাছের কোটরে তার বাসা। মাটি দিয়ে শক্ত করে সে তার বাসা তৈরি করেছে। চারদিকে গোল করে শক্ত মাটির দেয়াল তুলে সে তার দুর্ভেদ্য ঘর তৈরি করেছে। সেখান থেকে কেউ কখনো তার চোখ এড়িয়ে তার অনুমতি ছাড়াই বের হতে পারবে এমন ভাবাটাই অন্যায়। কেননা ওর বাসাটা গোল বেড় দেয়া লম্বাটে গোছের; ফলে ওর ভিতরে ঢোকা সহজ কিন্তু বের হওয়া অনেক কঠিন বা বলা যায় প্রায় অসম্ভব। আকমলকে নিয়ে সোজা সে ঢুকে পড়ল দুর্ভেদ্য ঐ দুর্গটার মধ্যে। ভিতরে ঘুরঘু্িট্ট অন্ধকার। বোঁটকা একরকম গন্ধও পাওয়া গেল। সম্ভবত আকমলের আগে আরও শিকার সে ধরেছে তারই আলামত ঐ গন্ধটা। অন্ধকারে কিছু দেখা না গেলেও বেশ অনুভব করা গেল তার রসদ ভা-ারে জমা আছে অনেক পোকা-মাকড়। আর তাদের দেহের মাপটাও নিশ্চয় আকমলের চাইতে বড়ই হবে। ভীমরুলটা তাকে সেখানে রেখে বের হয়ে গেল আবার বাইরে। ভীমরুলের দুর্ভেদ্য কারাগারে বন্দি হয়ে পড়ল আকমল। মনে মনে সে বলল, ‘হে খোদা, এ আমাকে কোথায় নিয়ে এলে? মায়ের হারানো গলার হার আমার আর দরকার নেই, তারচে’ বরং মামার বাড়িতে চাকর হয়ে বাকি জীবনটা কাটানো ঢের ভাল ছিল।’
হঠাৎ মনে হল কেউ যেন খুব কাছে থেকে ফিস্ ফিস্ করে বলল, ‘ও বাবা, এত অল্পতেই ভেঙে পড়লে? তুমি না সাহসী ছেলে।’ চমকে উঠে অন্ধকারে শব্দ লক্ষ্য করে তাকাল আকমল। শব্দ লক্ষ্য করে দু’হাত প্রসারিত করে খুঁজে হয়রান হল। কোথাও কেউ নেই। তাহলে? এই অন্ধকার বদ্ধ কারাগারে কে কথা বলল; আর এ তো মৃত্যুপুরী এখানে জীবিত মানুষ কোথা থেকে এল? তা ছাড়া তার মতো ক্ষুদে মানুষ কী এদেশে আরও আছে? কিংবা কোন অশরীরী নয়তো? নাকি ভুল শুনেছে সে? মানুষ বিপদে পড়লে অনেক সময় ভুল শোনে, ভুল দেখে, ভুল বকে। এ কি তারই আলামত?
আকমলের এইসব প্রশ্নের উত্তরে কোন জবাব খুঁজে পেল না সে। অন্ধকারে জোরে চেঁচিয়ে উঠে বলল, ‘এখানে আমার মতো ক্ষুদে মানুষ কে আছ আমি তার পরিচয় জানতে চাই।’ কিন্তু অন্ধকারে চারদিকের দেয়ালে তার বলা কথা ধাক্কা খেয়ে আবার তার কাছেই ফিরে এল। কোন জবাব পেল না সে।
তারপর নিজেই নিজের মাথার চুল টেনে ধরে বলল, ‘আমি বোধহয় পাগল হয়ে গেছি।’
খুব কাছে থেকে আবার ফিস্ ফিস্ করে কেউ বলল, ‘কে বলল তুমি পাগল হয়ে গেছ, আমিতো দেখতে পাচ্ছি তুমি দিব্যি ভাল আছ এখনো।’ আবার চমকে উঠল আকমল।
হঠাৎ মনে পড়ল তার লম্বা জামার পকেটে অনেক দিন আগে একটা জোড়া চকমকির পাথর রেখেছিল। সেটি কী এখনো আছে, একবার খুঁজে দেখল নেই। এত ঝড় ঝাপ্টা গেছে তার জীবনের উপর দিয়ে এতদিন পরে সেটি কী আর থাকে। কী মনে হতে আবার একবার পকেট হাতড়েই পেয়ে গেল জোড়া পাথর। তার কাছে মনে হল সে যেন যাদুর বাক্স হাতে পেয়েছে। চকমকি ঠুুকে আগুন জ্বালতেই মূহুর্তেই দেখতে পেল তার মতোই ক্ষুদে মানুষ। কিন্তু চকমকির আলো এতই স্বল্পস্থায়ী তাতে চেনার কোন উপায় নেই। বরং তার কৌতুহল আরও বাড়িয়ে দিল। চকমকির পাথর হাজাার বার জ্বলিয়েও কোন লাভ নেই। এক মূহুর্তের বেশি সে আলো দেবে না। একদিকে আতঙ্ক, ভয় অন্যদিকে আশার আলো। এই অজানা দেশের দুর্গম দুর্গে নূতন মানুষটি কে, সে তার শত্রু না কি বন্ধু ?
ধীরে ধীরে সাহস সঞ্চয় করে ভয় আর আতঙ্ক মেশানো গলায় ফিস্ ফিস্ করে বলল আকমল, ‘তুমি কে গো ?’
অন্ধকারে নির্লিপ্ত গলায় ফিস্ ফিস্ করেই বলল আগন্তুক টি , ‘ আমি পরী হিনা..’
(চলবে..)
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তাপসকিরণ রায় রূপ কথার কাহিনীর মত গল্পটি বেশ ভালো লাগছে।পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।আপনাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও আমার অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন....পরবর্তী পর্বের আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম .....
ভালো লাগেনি ২৯ জানুয়ারী, ২০১৩
নাইম ইসলাম আপনার কাঙ্খিত ধারাবাহিক গল্প 'পরি হিনা ও আজোব দেশে আকমল' এর অষ্টম পর্ব শেষ করলাম মোশাররফ ভাই।জানি পুরো গল্পটা শেষ না করতে পারলে পরিতৃপ্তি পাবনা ।অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী সংখ্যার। আর একটি কথা, আপনার গল্পের নাম কি ফন্টজনিত কারণে 'পরি হিনা ও আজোব দেশে আকমল' নাকি (পরী হেনা ও আজব দেশে আকমল) এটা লিখতে চেয়েছিলেন? ভাল থাকেন, অনেক অনেক..
হ্যা , আপনি যা ভেবেছেন আমি ঠিক তাই লিখেছিলাম কিন্তু ফন্টজনিত সমস্যা এত ঝামেলায় ফেলছে বার বার যে আর পারছি না , বার্তা পাঠিয়েও কাজ হচ্ছে না .....ধন্যবাদ আপনাকে ....
ভালো লাগেনি ২৯ জানুয়ারী, ২০১৩
পন্ডিত মাহী রুপকথা চলছেই... চলুক... একটা ভিন্ন স্বাদ পেতে দারুন লাগে... খুব ভালো লাগলো...
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৩
ধন্যবাদ আপনাকে , পরবর্তী পর্বের আমন্ত্রণ রইল ....
ভালো লাগেনি ২৯ জানুয়ারী, ২০১৩
স্বাধীন রূপকথার রাজ্যে হারিয়ে যেতে আসি আপনার ঘরে। বেশ কটা পর্বের পর পরী হিনার আগমনী বার্তা পেলাম, আগামী সংখ্যার অপেক্ষায় রইলাম।
ভালো লাগেনি ২৪ জানুয়ারী, ২০১৩
আগামী পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ ও সেই সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ...
ভালো লাগেনি ২৯ জানুয়ারী, ২০১৩
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ..........................অন্ধকারে নির্লিপ্ত গলায় ফিস্ ফিস্ করেই বলল আগন্তুক টি , ‘ আমি পরী হিনা..। মনে হচ্ছে যেন পরীটাই যেন ভোমরটাকে পাঠিয়েছিল। নারে ভাই, আর কটা দিন...। দারুণ! শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ২৩ জানুয়ারী, ২০১৩
একটু অপেক্ষা করুন ...ধন্যবাদ আপনাকে ....
ভালো লাগেনি ২৭ জানুয়ারী, ২০১৩
মিলন বনিক বিষয় ভিত্তিক ধারাবাহিক কল্পকাহিনীগুলো খুব সুন্দর বর্ণনায় ফুটিয়ে তুলতে পারাটা অভাবনীয়....খুব ভালো লাগলো....আগামীতেও আছি....
ভালো লাগেনি ২১ জানুয়ারী, ২০১৩
ধন্যবাদ আপনাকে....সতত সঙ্গেই থাকুন...
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৩
নিলাঞ্জনা নীল সুন্দর
ভালো লাগেনি ১৮ জানুয়ারী, ২০১৩
ধন্যবাদ আপনাকে, ভাল থাকুন নিরন্তর ....পরবর্তী পর্বেও থাকুন ......
ভালো লাগেনি ২১ জানুয়ারী, ২০১৩
আহমেদ সাবের আপনার মজার গল্পগুলো পড়বার জন্যে বারবার ফিরে আসি, হোসেন মোশাররফ ভাই। এবারের একুশে বই মেলায় আপনার নতুন বই থাকছে কি?
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০১৩
আমিও আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি সাবের ভাই, কেননা আপনাকে নিয়মিত কাছে পাই ....না, এবারের মেলায় আমার বই থাকছে না........মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ......
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০১৩
মো. ইকবাল হোসেন কথা মানুষকে নিয়ে যাবে স্বর্গ অথবা নরকের কঠিন অন্ধকারে। এই কথার কারণেই মানুষ মানুষের বন্ধু অথবা শত্রু হয়। আর কথা দিয়ে কথা না রাখলে বন্ধুত্ব নষ্ট হয়।-- awsome .Very good .
ভালো লাগেনি ৮ জানুয়ারী, ২০১৩
ধন্যবাদ আপনাকে ......
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৩
এশরার লতিফ পরি হিনার অনুপ্রবেশ......আগামী সংখ্যার অপেক্ষায় রইলাম. সুন্দর কাহিনী এবং বর্ণনা....
ভালো লাগেনি ৮ জানুয়ারী, ২০১৩
বোঝায় যাচ্ছে সমঝদার পাঠক আপনি, তবে হ্যা পরি হিনা কে আগামী পর্বে আশা করতে পারেন ...ধন্যবাদ আপনাকে .....
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০১৩

২৫ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী