বাবা,আজ ঈদ- তোমাকে আজ বড় বেশি মনে পড়ছে ! এই যে,তোমার আদরের নাতি জিসান, ছোট্টবেলায় যাকে তুমি পিঠে চড়িয়ে ঘোড়া সেজে ঘুরে বেড়াতে আর ও,ওর ছোট্ট হাতে একটা বেত নিয়ে হ্যাট হ্যাট করে পর-মুহূর্তে তোমার গলা জড়িয়ে হেসে কুটি কুটি হতো; সে এখন একুশ বছরের টগবগে যুবক, তার এখন যুদ্ধে যাবার সময়,বাবা !
তোমার বংশের প্রথম নাতনী সিলভিয়া, ও এখন পুরোদস্তুর মহিলা ডাক্তার ! আর তোমার জামাই,যাকে তুমি এক্কেবারে ছেলেমানুষ ভেবে,স্নেহে আদরে ভরিয়ে রাখতে,সে যে আজ কত দায়িত্ববান বাড়ির কর্তা,তোমার মত সবদিকে চোখ ! ওরা পাজামা-পাঞ্জাবী,টুপি পরে; হাতে জায়নামায নিয়ে ঈদগাহে যাচ্ছে, আমার যে ওদের যেতে ভারী ইচ্ছে হচ্ছে বাবা,লজ্জায় বলতে পারছি না !
যেমনি করে সকালে গোসল সেরে,নতুন জামা পরে,তোমার আঙ্গুল ধরে নামাযে যেতাম ! জামাতে সবাই সেজদায় গেলে,আমি মাথা তুলে সফেদ জন-সমুদ্র দেখতাম ! নামাযের পর সবার কী যে কোলাকুলি আর এ বাড়ি,ও বাড়ি ঘুরে ঘুরে সালাম আর সালামী, খেয়ে দেয়ে বেড়ানো আর বেড়ানো ! বাবা,সেই দৃশ্যটা যে প্রতিবছর আমার চোখের সামনে ফিরে ফিরে এসে দাঁড়ায় আর আমার দু’চোখ ভিজিয়ে দিয়ে যায় !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ
বাবা,সেই দৃশ্যটা যে প্রতিবছর আমার /
চোখের সামনে ফিরে ফিরে এসে দাঁড়ায় /
আর আমার দু’চোখ ভিজিয়ে দিয়ে যায় ! ---// অনন্য স্মৃতি ও বেদনার জলছবি। শুভকামনা আপু।
মোঃ শামছুল আরেফিন
একটি নস্টালজিক কবিতা। ঈদের দিনে বাবাকে নিয়ে নতুন করে হারিয়ে যাওয়া এক মেয়ের ( যে কিনা এখন নিজেও মা) মনের কিছু কথা প্রকাশ পেয়েছে কবিতায়। খুব ভাল লাগল আমার কাছে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।