বিদ্যালয়ের নাম হাজি মুহাম্মাদ মহসিন বালক বিদ্যানিকেতন. এটিকে একটি এলাকার নামি স্কুল গুলোর মধ্যে একটা ধরা হয়. এলাকা নারায়ণগঞ্জ. বিদ্যালয়টি নামি কারণ এর এস.এস.সি পরীক্ষার পারফরমেন্স সন্দেহজনক।হা এখানে নকল হয় তবে তার ফলাফল স্কুল এর শিক্ষার্থী এবং শিখক কেও ভোগ করতে পারেনা. কারণ এর পরীক্ষার কেন্দ্র চিরসবুজ মোল্লা প্রিমিয়াম হাই স্কুলে পরে . চিরসবুজ স্কুল এর পারফরমেন্স আশাব্যঞ্জক. তবে এটি অন্য কারণে সুপরিচিত. কোমল মতি শিক্ষার্থী সমাজে এর কতগুলো নাম প্রচলিত আছে . যেমন এক্সপেল সেন্টার কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প ইত্যাদি এবং আরো কতগুলো ইত্যাদি . এই যেমন থাকে আর কি. এখন আসি হাজী মুহাম্মদ মহসিন বিদ্যালয় কেন সন্দেহজনক . এখান থেকে প্রতিবারই মেধাতালিকায় দুইজন করে আসন গ্রহণ করে. এখানে স্থান এর বদলে আসন বলছি কারণ তারা এক থেকে তিনের ভিতর থাকে . এখন আসি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী পরিচয় পর্বে . এখানকার শিক্ষক এবং শিক্ষিকাগন বিশেষ বিশেষভাবে বিশেষ বিশেষ কারণে পরিচিত . তালিকাভুক্ত শিক্ষকদের তালিকা নিম্নে প্রকাশ করা হলো . ১. মহসিন সার : উনি পরান না এমন কোনো বিষয় নাই . ২. ইয়াসমিন মিস: উনি সমাজ ও বাংলা পরান . তবে নাম ইয়াসমিন থেকে তার চরিত্রে মিন (হীন) বেপারটা চলে এসেছে ৩. মোহাব্বত সার: উনি মোহাব্বত করেন না. উনি ধর্ম পরান . উনার একটি কোড নেম আছে . গিব্বা সার . উনি খাতা নাম্বারিং করেন গিব্বা মেপে . এক গিব্বা =৫. তবে উনি যেহেতু ধর্ম শিক্ষক উনি উনার নামের(মোহাব্বত) প্রতি যথার্থ অবিচার করেছেন ছাত্রদের যখন তখন যেখানে সেখানে পিটিয়ে . আরো অনেক গুনিমানি শিক্ষক আছেন . এখন আমি ছাত্র পরিচয়ে যাব. একানকার ছাত্র দুই প্রকার. নাম বিশিষ্ট এবং বিশিষ্ট নাম বিশিষ্ট প্রথমে আসি নাম বিশিষ্ট ছাত্রের তালিকায় . এরা আবার তিন ক্লাসে বিভক্ত. পরাকু , মধ্যম পরাকু এবং অতি না পরাকু . এদের মধ্য প্রথমেই আসি একজন সম্পর্কে. সে শাহরিয়ার হোসাইন. এই প্রাণীটার কাম সারাদিন লেখাপড়া করা আর ফার্স্ট হওয়া . He keeps it simple silly. এই গ্রুপের আলোচনা ভালো লাগছেনা . আসুন যাই দ্বিতীয় ( বিশিষ্ট নাম বিশিষ্ট) অংশে . প্রথমে আসি কিলিক মাসুদ সম্পর্কে. ব্রিটিশরা divide and rule তত্ত্ব দিয়ে †M‡Q অনেক আগে. তার বাস্তব প্রয়োগ দেখায় আমাদের এই মাসুদ. মাসুদ একজনের কথা আর একজনের কাছে চালান করে রুপান্তৃতি , অর্দরুপান্তরিত এবং ছেঅরুপান্তরিতভাবে . মাসুদ যে তার সহপাঠীদের ওপর এই তত্ত্ব এপ্লাই করে তা নয়. তার পরিধি আরো বিস্তৃত . সেই এই তত্ত্বের তালিকায় শিক্ষকগণকে আগেই রেখে†Q তবে আবার তার লক্ষ্য স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাগণ. এরপরই আসি কফিল ভাই সম্পর্কে . হেন কাজ নাই যা সে পারেনা. পড়ালেখায় প্রথম তিন জনের মধ্যে ঘুরপাক খায়. খেলাধুলায় ব্যাপক ব্যবধানে অন্যদের চেয়ে ভালো করে. এজন্য তার বন্ধুরা তাকে জিন কফিল উপাধি গিফট করেছে . কথিত আসে যে সেই একবার আস্ত এক গাভী আছাড় মেরেছিল. এরপরই আসি আজিব হোসাইন সম্পর্কে . তার কাজ হচ্ছে চুপচাপ বসে থাকা . আজিবের রূপ পুরুষ সুন্দর্যকে বর্ণনা করে . যে একবার তাকায় সেই বার বার তাকায়. শিক্ষকরা তাকে গাটেনা. সে পরীক্ষার খাতায় সব প্রশ্নের উত্তর লেখে কিন্তু আনসারের নাম্বারিং করেনা . তার গতিবিধি সন্দেহজনক . সে মাজে মাজে স্কুলের মাঠে খেলা †`L‡Z আসে . সেই দু একটা কথা বলে যা ঠিক উল্টা ভাবে বাস্তবে পরিণত হয় . এজন্য বন্ধুরা তাকে চুপ থাকতে বলে. শিক্ষকরা তাকে রীতিমত ভয় পায়. তাকে প্রশ্ন করলে উত্তর†`q না. তবে উত্তর দিতে বাধ্য করলে এমনভাবে ব্যাখ্যা করে শিখুক ভুলে যান কে শিক্ষক. শাহরিয়ার মানব অসহায় ফিল করে . তবে একটি বেপারে এদের সবার বহুত মিল . এরা সবাই বইয়ের ফাকে কমিক বই রেখে পরে . ওগুলো কমিক বুক নাও হয়ে অন্য কিছু ও হতেপারে . প্রিয় পাঠককে স্বাধীনতা ইচ্ছা দেওয়া হলো ইচ্ছা মত ভেবে নিন . এই যে আমাদের ভদ্র মানব শাহরিয়ার উনিও এর ব্যতিক্রম নন ( উনার বেলায় আরো প্রযোজ্য ). ইয়াসমিন (সাকিবা ইয়াসমিন) মিস এমন ছিলেন না। বসন্তের এক সাদামাটা দুপুরে কিবরিয়া রহমান ও সাকিবা মিস বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন. জনাব কিবরিয়া ভালো চাকরি করতেন. উনি অনেক সিগারেট খেতেন হোন্ডা চালাতেন তবুও আমি বলব উনি ভালো মানুষ ছিলেন. সাকিবা মিস গর্ভধারণ করলেন। দেয়ালের সুন্দর সুন্দর বাবুদের ছবি লাগানো হলো. কিবরিয়া অফিস করে বাসায় এলে যথারীতি মিসের সাতে ঝগড়া হত . তারপর কোনো এক ভাবে রাগ ভাঙত. তারপর তারা হাতে হাতে রেখে নবাগত বাবুর নাম ঠিক করত এটিও ছিল এক প্রকার ঝগড়া কিন্তু সবচেয়ে মধুর ঝগড়া ঠিক a‡i‡Qb পূর্ব নির্ধারিত ফলাফল মিসই জয় লাভ করতেন ছেলে হলে আসিফ মেয়ে হলে আসিফা রহমান. গেল. কিন্তু প্রকৃতি abnormality পছন্দ করে. সাকিবা মিস এর মিস্কারাজ হলো. কিবরিয়া দ্রুত হোন্ডা চালিয়ে আসার সময় road accident এ মারা গেলেন . মিস জ্ঞান ফিরবার পর সব শুনলেন. মিস পাথর হয়ে গেলেন. পাথরের ও প্রাণ আসে মিস এর প্রাণ ছিল না . দীর্ঘ ৬ মাস মিস শুধুই বলতেন আমর আসিফ গুমায় না কেন? মাসের পর মাসের স্বপ্ন, ভালোবাসা, মিছে ঝগড়া, ইস্তির মুকুট সব একদিনে শেষ. ধন্য আপনি প্রকৃতি. আপনাকে আমাদের প্রয়োজন নাই. হৃদয় হছে সাদা খাতা যে খাতায় একবার কিছু লেখা হয় তা ভুলে যাওয়া যায় কিন্তু মুছে ফেলা যায় না. ৬ মাস পর তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেলেন. তবে তিনি আগের মত রইলেন না . তিনি বদমেজাজি হয়ে গেলেন. এই হছে তার হীন চরিত্রের রূপ কথা. একন আসি বর্তমানে . ক্লাস টেনের test পরিখা শেষ . সবাইকে especial ক্লাস্সে ট্রান্সফার করা হইসে . সমসার নাম আজিব সমসা . তাকে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর দেয় না। শুদুমাত্র সাকিবা মিসের প্রশ্নের উতর দেয় . মহসিন সারের একটি ক্লাস্সের বর্ণনা দিচ্ছি. মহসিন সার কিলিক মাসুদ কে জিঘাসা করলেন বলের সংগা বল. মাসুদ বলল . কিন্তু আজিব উহু শব্দ করলো .মহসিন সার বললেন অর্দ্দেক কারেক্ট . মহসিন সার আজিবকে জিঘাসা করলেন. যথারীতি আজিব চুপ . কিলিক মাসুদ বলল তুই উহু করলি কেন। আজিব- তুই ভুল বলবি আমি উহু করব না। কিলিক মাসুদ - তুই এত ভান ধরস কেন, পারলে ক . তাফালিং করবি না . আজিব - তুই বলসিস যা স্থির বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তার গতির পরিবর্তন করে বা করতে চায় তাকে বল বলে . তুই গতিশীল বস্তুর কত বলিস নাই . তবুও যদি তুই স্থির বস্তু না বলে শুদু বস্তু বলতই তাও বুজতাম. কিলিক মাসুদ রাগাননিত, অপমানিত. কিলিক মাসুদ- ক্লাসের শেষে তরে বলের প্রয়োগ দেখামু . নাহ কিলিক মাসুদ কে ঘন্টার জন্য অপেক্ষা করতে হলনা . মহসিন স্যার সব সারদের ডেকে আনলেন. দেখা গেল আজিব শুধু সাকিবা মিসের কথায় রেছপনছ করে . কিজন্য জানি না সাকিবা মিস রেগে গেলেন . উনি মহাব্বত সারের বেত নিয়া আজিব কে মারতে শুরু করলেন. সবাই ইস্তব্দ হয়ে গেল . মহব্বত সার কোনো মতে মিসকে থামালেন.
ইস্কুল ছুটি হলো . আজিবের রাতে খুব জোর এল . সে জোরের ঘোরে শুধু বলের সজ্ঞা বলে. সাকিবা মিস তীব্র অপরাদ বোদে ভুগতে লাগলেন . তিনি আজিব্দের বাসী গেলেন. তিনি আজিবের রুমে ঢুকলেন. রুমে ঢুকে তিনি ধাক্কার মত খেলেন . তিনি দেকলেন দিয়ালে তার ছবি এবং অন্য একজন পুরুষের ছবি . কাজের বুয়া বলল আজিবের মা, মইরা গেসে গা, আমি আফনারে দেইখা জব্বর অবাক হইসি . সাকিবা -উনি কবে মারা গেসেন ৯৬ সালের ১৮ এপ্রিল . সাকিবা মিস জানতেন তিনি এমন কিছুই শুনবেন এই দিনে তিনি সামি সন্তান হারিয়ে নিঃস্ব হওয়াচেন . সাকিবা মিস আজিব কে বুকে তুলে নিলেন . মা এর ভালবাসা ঔষুধের অনেক উপরে . আজিব সুস্থ হযে গেল. আজিব সবার মত লেখাপরা শুরু করলো. সবাই পরায় মন দিল . একমাত্র কিলিক মাসুদ Model test এ সাদা খাতা দিয়া বের হযে যায়. মাসুদ প্রথম ১০ এর মধ্যে ও ছিল ওকে দিয়া ভালো কিসু করা যেত. কিন্তু সাররা ওকে নিয়ে মাত্থা গামালেন না . S.S.C. পরীক্ষার ফল প্রকাশিত.
শাহরিয়ার, কফিল, আজিব চুপচাপ নদীর তীরে বসে আসে. বেলা গড়ালো ওরা বাড়ি ফিরল . সকল বোর্ডে সম্মিলিত মেধাতালিকা প্রথম ইস্থান শাহরিয়ার হোসাইন. কফিল আহমেদ, আজিব হোসাইন এবং মাসুদ রহমান (কিলিক মাসুদ).
শাহরিয়ারতো ভালো করবেই, কফিল করেছে আজিবও করবে এমন একটা কিছু সবাই দরে নিয়া ছিল . মাসুদ কিভাভে এটা করে দেখালো (একন কিলিক মাসুদ বলার সাহস আমার নাই) পুরো শহর কিলিক মাসুদকে নিয়ে বড্ড উন্মাদ হওয়া গেল . রাজনৈতিক নেতারা বলতে লাগলো মাসুদ আমাদের একদিনের CM ( নেশা দ্রব্য না অনিল কাপুরের নায়ক ছবি দেইখা এই অবস্তা ) এতকিসুর পর সব কিভাবে ঠিক থাকে . শাহরিয়ার বার বার জ্ঞান হারাছে. জ্ঞান ফিরলে বলছে - বাসায়া দে বুড়িগঙ্গার পানি তে আমারে বাসায়া দে . আবার সে জ্ঞান হারাছে . আজিব তার নতুন মা সাকিবা মিসের কাছে বসে আছে . মিস নিজে বিভাভ্রান্ত . তবে তিনি আজিবকে বুজানোর অভিনয় করছেন। কফিল হকিস্টিক দিয়া already ১০ তা গাড়ির কাচ ভাংসে. ভাগ্যবালো গাদার মাত্থায় শিখামন্ত্রনাল্যের কত মাথায় আসে নাই . আসলে কি হইত পাঠককে পুনরায় স্বাধীনতা দেআ গেল ইছামত ভেবে নিয়ার জন্য .
**আমি জীবনে কোনদিন ফাস্ট হতে পারিনাই এজন্য আমার একটা অপূর্ণতার কথা আপনাদের জানিয়ে দিলাম . বাকি গল্প Totally fictious.
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমেদ সাবের
লেখার এমন বৈঠকি ষ্টাইল কোথায় পেলেন? সত্যি বেশ মজা করে পড়লাম। মনে হলো, হুতুম পেঁচার নক্সা পড়ছি। আমদের সিরিয়াস গল্প গুলোর ভিড়ে এক ঝলক হাসির সুবাতাস। জানি আপনার বাংলা কী-বোর্ড এখনো রপ্ত হয়নি। তবে হাল ছেড়ে দেবার কিছু নেই। আমি যদি পারি, আপনিও পারবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।