"মা তুমি জানো আমি চাকরি পেয়েছি| " "সত্যি?" "হ্যা |" "তাহলে তোর বিয়ে দেই |" " না না এত বাস্ত হয় না " মা একটু আশাহত হলেন |তিনি ধরে রেখেসিলেন ছেলে চাকরি পেলে ঘর বউ আনবেন |তাই তিনি বললেন আমি কোনো কথা শুনতে চাই না | এবার বউ আনবই | এমন সময় অতুলের ছত বন মিতুল এসে গেল | সে মাইকে ঘোষণা দাওয়ার ভঙ্গি করে বলল "সুখবর! সুখবর ! ভাইয়া চাকরি পেয়েছে |এবার আমার চকলেট লাগবে |ভাইয়া চকলেট দাও |" অতুল " দিচ্ছি বাবা দিচ্ছি |" মা " মিতুল এখান থেকে যা | আমি অতুলের সাথে কথা বলছি |বিরক্ত করিস না " অতুল " মা তুমি ওকে যেত বোলো না |আমি বিয়ে করব না |" "কেন ?" "কারণ আমাকে কিছু কাজের জন্য আমেরিকা যেতে হবে | " "সে কি ? না না যাসনে বাবা !" "তা হয়না মা |এ দেশে কোনো মানুষ থাকতে পারে ? " "তর বাবা অনেক কষ্ট করে এ দেশ সাধীন করেছেন | তাকে অসম্মান করিস না |" " মা তুমি একটা বোকা তুমি আসল কথা জানো না | এদেশ স্বাধীন করা হযেছিল দায়ে পরে |তখন যদি আমার মত বিদেশে যাওয়ার উপায় থাকত তাহলে সবাই তাই করত| " "তুই এই মুহুর্তে আমার সামনে থেকে চলে যা আর কোনো দিন তুই আমাকে মুখ দেখাবি না |" সেদিন থেকে মিসেস শিখা তার মেয়ে মিতুলকে নিয়ে গ্রামে থাকেন | আর প্রায়ই তার ছেলের কথা মনে করেন | অতুল আমেরিকা চলে গেছে | বিয়েও করেছে |তবে বউ আমেরিকান | মিসেস শিখা এসব শুনেছেন | শুনেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি |
পাচ বছর পর
অতুল আমেরিকার জেল থেকে বের হলো |সে তার বউ ইসাবেলাকে খুব ভালবাসত কিন্তু জেল থেকে বের হে দেখল তাকে রিসিভ করতে আসে নি অতুল মোটেও অবাক হলো না | কারণ ইসাবেলা তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে |অতুলকে সে একটা মানিমেকার হিসেবে বিয়ে করেছিল |আসলে সে ভালবাসত ডিককে |কিন্তু তার কোনো টাকা ছিল না |তাই সে অতুল কে বিয়ে করেছিল |তারপর তার একাউন্ট থেকে সব টাকা নিয়ে সরে পরেছে |অতুল তাকে বলেছিল সে ডিককে খুন করবে তাই সে তাকে জেলে পাঠিয়েছিল |অপরাধ খুনের হুমকি | জেল থেকে বের হয়ে সে তার একাউন্ট চেক করলো | তার কোনো টাকা নেই |সে তার মাকে ফোন করলো |
মিসেস শিখা খুব বাস্ত |দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাজ দেখছেন মিতুলের বিয়ে | জামাই একজন চাকরিজীবি |ব্যাঙ্কে চাকরি করে |মিতুলও একই ব্যাঙ্কে কাজ করে |মিসেস শিখা তার মেয়েকে নিয়ে ভাবছিলেন ||এমন সময় একটা গ্রামের মানুষ জানালো তার ফোন এসেছে |সে অবাক হলো না |তার কারণ তাকে নানান জনে ফোন করে |সে ফোন ধরল |ওপাশ থেকে তার ছেলে বলল "মা তুমি ঠিকই বলেছিলে |আসলেই আমার আমেরিকা আসা ঠিক হয়নি |তুমি আমাকে মাফ করে দিও |" এতদিন পরে ছেলের কথা শুনে তার চোখে পানি চল এল |তিনি তা বুঝতে দিলেন না |বললেন "মিতুলের বিয়ে হচ্ছে তুই চলে আয় |" "আসবো কেমন করে টাকা নেই |ঠিক আছে আমি তোকে বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করছি কিন্তু তুই না বললি বাংলাদেশে কোনো মানুষ থাকতে পারে না |" "মা আমার ভুল হয়ে গেছে আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি |আমি এখন দেশে ফিরে দেশের মানুষের সেবে করব |" "কি করবি ?" "গ্রামের মানুষের জন্য করব " মিসেস শিখা কি যেন ভাবলেন |কিছুক্ষণ কথা বললেন এরপর ফোন রেখে দিলেন |
দুই মাস পর
মিতুল,তার স্বামী আবীর,মিসেস শিখা এআরপড়তে অপেক্ষা করছেন |এক সময় অপেক্ষা শেষ হলো | অতুল দেশে ফিরল |ফেরার সাথে সাথে মিতুল বলল "ভাইয়া আমার চকলেট?" তার কথা শুনে প্রথমে আবীর পরে অতুল এবং শেষে মিসেস শিখা হেসে উঠলেন
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম
শিক্ষিত মানুষের মাঝে যখন ভ্রান্ত ধারনা বাসা বাঁধে তখন তার শিক্ষা কু-শিক্ষায় পরিনত হয় । লিখতে থাকুন আশাকরি আগামীতে আরও পরিপক্ক লেখা আপনার কাছ থেকে পাব সেই প্রত্যাশায় শুভেচ্ছা ও শুভকামনা !
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।