গভীরে ডুবে আছে যে ছায়ার শরীর- সেই কবে ঝাপসা আঙুলে দেখিয়েছিল না ফেরার দিক। তবুও অনন্তর আলো-ছায়ার রহস্য নিয়ে ভেতরে ফেরায়-'যা আর নেই'।
দিনের শৈশবে ফিরে আসে গৃহতল, ঘুম-ভাঙা বাজারের থলে। গুটে থাকা মৃত আমিষ, পুঁই শাক, কচি ধনে পাতা নিয়ে আবার ফিরে আসে ছায়ার স্বাদ।
চারকোনা আয়নায় চোখ তুলে রাত-জাগা দাড়ি, আপোষহীন গোঁফ। সবুজ মগে ভাসন্ত সাবানের ফেনায় ভিজে ছায়া। তারপর ছুট দেয় রোদ-পোড়া সাদা আস্তিন, বারোমাসী পকেট-কলম। ধুলোমাখা দুরন্ত বাস ছায়াকে টেনে নেয় ফাইলের ভেতর। সাদা চশমায় উঠে আসা অক্ষরে লেগে থাকে ছায়া।
একটি নয়, অসংখ্য অবিকার ছায়া-চোখ উপুড় হয়ে দেখে জমাট অক্ষর থাক্ ওরা দেখুক অক্ষর; ধরে থাক থকথকে ঘনিষ্ঠতা। শুধু ঘনপথ জানে অক্ষরের নিচে শুয়ে থাকে রোদের ব্যালকনি- যেখানে দাঁড়িয়ে একজোড়া চোখ দুপুরের অপেক্ষায়...
নামে দুপুর; টিফিন-ক্যারিয়ারেও নেমে আসে ঘুটঘুটে ঘুম তবুও ঘুমায় না ছায়ার আঙুল, টাইপরাইটারে চলে শব্দের দীর্ঘপথ। তিন-কাঁটা কিংবা সূর্য অথবা চারজন মিলেই অন্তঃপুরে ফিরিয়ে দেয় ছায়া সাথে স্যাঁতস্যাঁতে খবরের কাগজ, পেয়ালায় রেখে যাওয়া চায়ের দাগ।
এভাবেই ফিরে আসে পড়ার টেবিল, বড় ছোট ঝগড়া-শাসন ফিরে আসে বিটিভির খবর, সাদা-ভাত, ঘন ঝোল, লেবুর গন্ধ। ছায়া দেখে চারপাশের ভরাট চেয়ার, আদরের ঘর-সংসার সাধারণ দিন বড় অসাধারণ লাগে...
এইসব ভালোবাসা, ভালো-থাকার তৃপ্তি নিয়ে ছায়া হেঁটে গেছে ঘুমের দিকে। ছিল অনেক না-পাওয়া তার তবুও ছোট ছোট দূর্লভ পাওয়া বুকে মেখে ছুঁয়েছে ছায়াপথ...
হ্যাঁ... ছায়াকে ঘিরে ছিল সাপ্তাহিক অবসর। জীবনে কোথাও অবসরটা বড্ড বেশিই ছিল একবার। তবু গাঢ় ব্যস্ততাই ভালো রেখেছিল ছায়াকে।
গৃহত্যাগী চোখেরা বসে থাকে জানালায়; দেখে- যা এখনও আছে। নতুন রোদ নামে, নামে নতুন মেঘ। রোদ-মাখা, মেঘে-ধোয়া ছায়া কখন যে 'ছায়া' থেকে 'বাবা' হয়ে যায়; বাবার স্বাদ নিয়ে ফেরে অস্তিত্বের ঠিকানায়।
চলে গিয়েও কি গভীরভাবে থেকে গেছে ছায়া। জীবনের ভেতরেই থাকে জীবন। ছায়া দেখে ছায়াসন্তান; দেখে নিজেকেই জীবনের বিবর্তনে। বাবার ছায়ার দূর্লভ উত্তরাধিকার নিয়ে এবার মুখ তুলে বাবার সন্তান!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সানাউল্লাহ নাদের
চিরন্তন সুন্দরকে আরো নিজস্ব সুন্দরে সিক্ত করার অপূর্ব শব্দ বুনন । একান্ত আপন লাগল লেখাটি । স্বীকৃতি ও তারই প্রমান । চমৎকার ! অভিনন্দন । লেখক, পাঠক এবং সংশ্লিষ্ট জন ; সবাইকে ।
খন্দকার নাহিদ হোসেন
লিখেই ক্লান্ত হয়ে গেলে হবে?! সামনে লেখা চাই কিন্তু...। আর অভিনন্দন রইলো...। আর লিখলেই প্রথম ঘটনা কি?! কোন কলম দিয়ে লেখো জানতে মন চাচ্ছে.........!!
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।