মনোলি

পূর্ণতা (আগষ্ট ২০১৩)

অবিবেচক দেবনাথ
  • ১০
মনোলি-০১

রাতের প্রদ্বীপটাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারিনি
পারিনি শরীর কিংবা মনকে আশ্রয়ে রাখতে
বাতাসের অস্ফালন বেয়ে যখন জ্বালাবার ভরশাও শেষ হয়
তখন উন্মত্ত আঁধারে ঢলে পড়া উগ্রঝড়ে বড় দিশেহারা হই
তোর কষ্টতুর ঐ সাগরের ফেণিলের গর্জনের মতো নিঃশ্বাসে,
আমি আজ বড় অসহায় হয়ে যাই; সুশান্ত।

অধিক কিছু তো চাওয়ার ছিলনা
তোর পায়ে সঁপে দেওয়া জীবন-যৌবনের কাব্যিক গল্প
একটু মুক্তবাতাস, আবেগের একটু ছৌঁয়া
কিংবা সংসার সাগরের ছুটে চলা; এছাড়া আর কি চেয়েছি!
অথচ জীবনের বহিঃরশ্মি চোখের সামনে পর্দাটেনে খেলে গেল
তোর আর আমার মুখোমুখি আবেগী নিংশ্বাসটাকে
কখনোই হেমালকের বীষ ছাড়া কিছুই দিল না।

কখনো কার্পণ্য ছিল না মনের টানে;
অযুত বৎসর আমরা একসাথে থাকব
আলোয় ঘর ভরাব কিংবা জোস্নার সাথে সখ্যতা হবে…
অথচ জীবনের রক্ষা কবচ আমাকে ফাঁকি দিতে চাচ্ছে
তোর শরীর কাঁপা প্রশ্বাস আমাকে বার-বার স্তব্ধ করে দিচ্ছে।

নারে; সব আজ হারিয়ে বসলাম
মনেরগীটে যখন বল পাই না; শরীর অতটুকুতে তখন কি হয়?
গীরিখাতগুলো বড় বেশী গভীর, এই একটু ঢুলব কি টলব
গহ্বরে ম্লান হয়ে যাবে সব অপ্রকাশিত কথা বা স্বপ্নমালা‘রা
আঁধারে তোর পাণে চেয়ে এ থরো-থরো অশ্রুধারাও বুঝি
আর তুই শান্তনায় ভূলাবি না
বড় নিষ্ঠুর পাষানে আজ তুই বুক বেঁধে নিয়েছিস।

না সুশান্ত; এভাবে আমায় ছেড়ে যাসনে,
তোর পায়ে জীবন ঠুকে-ঠুকে মরতে এসে; এ মনোলি
আঁধারে ঠুকে-ঠুকে হৃদয়টাকে ছেদ করবে,
ভালোবাসার এই একটুখানী দোহাই; তুই তা পারিস না
তুই ছাড়া যে এ আমার দেহবর্ণে আজীবনের সংকুলান।

————————————————————–

মনোলি-০২

অযাচিত ভাবনারাও একদিন মুখ থুবড়ে পথে পড়ে,
তখন জীবনপথের আসক্ত বাসনাটুকু আর থাকে না।
পূর্ণচাঁদে গ্রহণদিলে যেখানে শুক্লপক্ষের জোৎস্না ম্লাণ হয়,
জীবনজোৎস্না চাঁদহীন গ্রহণে সেখানে ম্লাণ হবার মত কি খুঁজবে?

দূরবেলায় আমার আচারিসুখ আজ
দিবালোকের কত আলোই না ম্লাণ করে দিচ্ছে,
দূর দিগন্তে বসে এই আমার পাণে চেয়ে চিত্রশিল্পী‘রাও
হয়তো ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হবে এ জীবনের পটচিত্র,
কেননা সেও যে অন্তরক্ষরণ দাহ’তে দাতস্থ।

আজ দীর্ঘ দুটো বৎসর এই তোর সাথে
হাসপাতালের জেনারেল সিটটাতে বসবাস
তুই দূরালোকে চেয়ে আছিস ফাঁকি দেবার আশায়
আর আমায় রেখে যাচ্ছিস নিঃসঙ্গ একাকী জীবনে
দু‘টুকরো সোনালী স্বপ্নের মায়ায়।

বড় ভয় লাগে সুশান্ত;
অযাচিত যাপনবেলায় একাকী একেলা
এ আমার সব হারাবার দারূণ ভয়
শরীরের রঙ্গের যে আবহ দেহকে চাহিদাযোগ্য করে;
সে রং যে আমার মুচেনি;
বিলক্ষন এ জীবনে তাই কতই না অশুভ শনি ইঙ্গিত করে।

তোর বিহীন এ আমার হয়ত কোন ভাষা রবে না,
তাম্রলংকারে অন্ধকারের যে ছবি ভেসে বেড়ায়
প্রতিবাদ যে তার হয় না। পথহারা বিপথগামীর
বাসনারা কি কখনো শক্তিশালী দেয়াল পায়
এ আকড়ে থাকবে বলে?

তুই সব জানিস; তুমি সব বুঝিস,
তবু অবুঝ ভাষায় ফ্যাল-ফ্যাল চেয়ে থাকিস;
বল দেখী আমার নয়ণধারায় এই অনবরত বর্ষণও কি
তোকে একটু চেতনা দেয় না; বলে না তুই ছাড়া
এ মনোলি; একটা মূর্তিমান দেহবোধ ছাড়া কিছুই না!

সবকিছুই আজ দীর্ঘশ্বাসের বীষে মিশে যায়; সুশান্ত
জীবনরেখার অন্তঃগামীর চোরাশি চেরাকাঁটার বীষক্ষরণে
আমার জীবনের লাভ-ক্ষতির সব হিসেব চুকে যায়।
আর আমি! বরষার আকুলতায় ব্যকুল হয়ে পথে বয়ে যাই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এশরার লতিফ ভাবে, ভাষায় আর গভীর বোধে অসামান্য দুটি কবিতা,
ইব্রাহীম রাসেল -ভালো, অারো ভালো হবে নিশ্চয়-
মিলন বনিক জানিনা..মনোলি কোনো ব্যক্তিবিশেষের নাম কিনা...তবে যাই হোক দুটো কবিতার অনন্য গাথুনি খুব খুব মুগ্ধ করেছে....অসাধারণ....
রোদের ছায়া খুব সুন্দর . দুটো কবিতায় বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম , ভালো লাগা জানাচ্ছি...
Masud Rana osadharon hoyeche ভাই ..........................অভিনন্দন রইলো
শিশির সিক্ত পল্লব দীর্ঘ কবিতা হলেও একঘেয়েমী বিরাজ করেনি সম্পূর্ন কবিতাটি পড়তে.....এটা আপনার লেখার যে বিশেষ গুন এটা বলতে দ্বিধা নেই.....বাস্তবতা নির্ভর অনেক চমৎকার সৃষ্টি
ওসমান সজীব দুটি কবিতাই দারুন লেগেছে
হাবিব রহমান কবিতা আমি খুব একটা বুঝিনা, তথাপিও আপনার লেখাটা ভাল লাগল..
সূর্য জীবনটা এমনই, হিসেবটা সব সময়ই বাকি থেকে যায়, শুধু ভালবাসাটা মনের ঘরে একলা জেগে থাকে ক্লান্তিহীন, বর্ণহীন, শব্দবিহীন। সে শব্দ যদি শুনতে পেতাম হয়তো এ কবিতার মতোই হতো।
তানি হক কি বলব বুজতে পারছিনা ... মনোলি-০২ পড়ার পরে চোখের কোন ভিজে উঠলো ... আসলে আমদের জীবনটাই এমন ই ... হয়ত অনেক না পাওয়ার বেদনা ... অনেক অপরাগতার কষ্ট বুকে নিয়ে বাঁচতে হয় ... তবুও এই যে ভালোবাসার চির অম্লান ভাবনা ... আবেগ ...তাই হয়ত বেঁচে থাকার শক্তি যোগায় প্রেরণা দেয় ... আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ... এই দীর্ঘ ... হৃদয় ছোঁয়া কবিতাটির জন্য ...

১৭ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী