উপহার

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

বিষণ্ন সুমন
  • ২০২
  • 0
  • ৮৮১
বাম পা'টা অনেকক্ষণ যাবত চুলকাচ্ছে। কিন্তু চুলকোবার উপায় নেই। একটু নড়লেই ডোবারম্যানটা মাথা খাড়া করছে। ওটার হিংস্র দাঁত কেলানো দেখে চুলকানোর ইচ্ছে উবে গেছে জিয়ার। প্রায় ৫ ঘণ্টা হলো এভাবে ঠায় বসে আছে ও। ভেতর থেকে এখনো কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ঘড়ি দেখার ইচ্ছে হলো। কিন্তু উপায় নেই। তবে রাত ১২টা বেজে গেছে, এটা টাহর করা গেল। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কারণে ঠিক ১২টার পর কুকুর ছেড়ে দেবে এটা আগেই বলে দিয়েছে। বাহিরের লনে ওয়েটিং লটে বসে আছে জিয়া। ওকে বাসায় চলে যেতে বলেছিল। কিন্তু, মুনার এ অবস্থায় তো চাইলেই আর চলে যাওয়া যায়না। অবশ্য ভেতরে ওর সাথে মা আছেন। মেয়ে রোগীর সাথে কেবলমাত্র একজন মহিলা ভিজিটর'ই আ্যালাও করে এরা। তারপরেও স্বামী হিসেবে ওর থেকে যাওয়াটা মেনে নিয়েছে। কিন্তু থেকেই বা লাভ হলো কি। ভেতরে কি হচ্ছে না হচ্ছে, কিছুই জানতে পারছে না। সবচেয়ে বড় কথা এখান থেকে নড়তেই পারছে না।
"ভাইজান আপনের কি অইছে, এমন কাঠ অয়া রইছেন ক্যান ?" খাকী ড্রেস পরা নাইটগার্ড পান চিবুতে চিবুতে জিজ্ঞেস করলো।
উত্তরে ঠোঁট নাড়াতে গিয়ে ভয়ে ভয়ে কুকুরটার দিকে তাকিয়েও আবার মুখ বন্ধ করে ফেললো জিয়া। চোখের ইশারায় কুকুরটাকে দেখালো।
"অ, কুত্তারে ডরাইছেন !" হেসে দিল গার্ড। কুকুরটার দিকে একদলা পানের পিক ফেলে আবার জিয়ার দিকে ফিরলো। "এইডা মাদী কুত্তা। কিন্তুক চেহারা দেইখ্যা বুজা যায়না। ছোর-ডাহাতগো তো আর হেই সুযোগ নাই, কাছে গিয়া দেকবো এইডা পোলা না মাইয়া। হের লাইগ্যা ডরে কাছেই ভিড়ে না। আমার অইলো মজার চাকরী। সারারাত বয়া বয়া জিমাই আর পান ছিবাই।"
বুক পকেট থেকে কাগজে মোড়া এক পোঁটলা খিলি পান বের করলো। কি মনে করে জিয়ার দিকে বাড়িয়ে দিল, "পান খাইবেন ভাইজান ?" জিয়ার দিক থেকে কোন সারা না পেয়ে নিজেই মুখের ভেতর একটা চালান করে দিল। বাকীগুলু আবার রেখে দিল যথাস্থানে। তারপর কুকুরটার দিকে ফিরে খেঁকিয়ে উঠলো, "এই ট্যারী, যা ঘুরান দিয়া আয়।" কুকুরটাও সাথে সাথেই নড়ে উঠলো। জিয়ার দিকে আর একবার দাঁত কেলিয়ে পরক্ষেণেই ক্লিনিকের পেছন দিকে ছুট লাগালো।
"নেন ভাইজান, আর ডর নাই। আমি না ডাকলে ট্যারী আর আইবো না।" হেসে আশ্বস্ত করতে চাইলো জিয়াকে।
পলায়নপর কুকুরটার গমনপথের দিকে আড়চোখে একবার তাকালো জিয়া। ওটাকে আর না দেখতে পেয়ে হাঁপ ছাড়লো। কুকুরটার নাম তাহলে 'ট্যারী', ভাবছে ও। "তোমার এই ট্যারী আসলেই ট্যারর। দেখলেই গা হিম হয়ে যায়।"
"আরে দূর, এইডা অইলো ওর ভড়ং। আর এই ভড়ং এর লাইগ্যাই ছোর-ডাহাতরা এহানে আহনের সাহস পায়না।" শরীর ঘুরিয়ে কোমড় ফোঁটালো গার্ড। "আমি অহন যাই। আফনে বয়া থাহেন। পরে আবার আমুনে।" বলেই গেটের পাশে গার্ড রুমে ঢুকে গেল।
আবারো একা হয়ে গেল জিয়া। গার্ড যদিও বলেছে কুকুরটা আর আসবে না, তবুও নিশ্চিত হতে পারলো না। ভয়ে ভয়ে আবার ওটার চলে যাবার পথের দিকে তাকালো। না ওটাকে আর দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে সত্যিই আর আসবে না। হাত তুলে ঘড়ি দেখলো। ১টার উপর বেজে গেছে। ভেতরের খবর পাবার কোন উপায় নেই। ডাক্তার পই পই করে বলে দিয়েছে, ও যেন কোন ফোন না করে। রোগীকে এখন কমপ্লিট অবজার্ভেশনে রাখা হয়েছে। অবস্থার গ্রেক্ষিতে যে কোন ডিসিশনে যাবার ক্ষমতা স্বামী হিসেবে জিয়া আগেই ওদের দিয়ে রেখেছে। তারপরেও যদি কোন সমস্যা হয় প্রয়োজনে ওরাই যোগাযোগ করবে। অবশ্য মা'ও তো আছে। কিন্তু, মা তো মুনাকে এখন আর সহ্যই করতে পারে না। আসলে মা' খুব হতাশ। পরপর দুইবার যে মেয়ে মরা বাচ্চা জন্ম দেয়, তার প্রতি কোন শাশুরীই খুশী থাকার কথা না। মা তো মাঝখানে আবার ওকে বিয়ে দেবারও পায়তারা করছিলেন। কিন্তুু ওর দিকে থেকে কোন সাড়া না পেয়ে শেষটায় দমে গেছেন। বাবাও এখন আর ওকে ভালো চোখে দেখেন না। নাতি-নাতনীর মুখ দেখতে না পেয়ে উনিও ছেলের বউয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট। সেইজন্য ক্লিনিকেও এলেন না। কিন্তু, এতে তো মুনার কোন দোষ নেই। এটা জিয়াও বুঝে। তবে ও নিজেও যে মুনার প্রতি বিরক্ত, এটা ইদানিং ঠিকই টের পাচ্ছে। অথচ এই মুনাকেই সে কিনা ভালবেসে বিয়ে করেছিল। সেই ভালবাসা কি আজো আছে ? মনে হয় না। সে কারণেই সন্ধায় মা যখন ফোন করে বলেছিলেন, মুনা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেছে। খবরটা ওকে তেমন নাড়া দেয়নি। যদিও সে তড়িঘড়ি করেই বাসায় ফিরেছিল, তারপরেও মুনার ব্যাথায় কাতর পাংশুটে নীল মুখখানা দেখে ওর তেমন অনুভূতি জাগেনি। বরঞ্চ বিরক্ত লাগছিল, ওর আগামী কালের সব প্ল্যান মাটি হয়ে যাচ্ছে বলে। কাল নববর্ষে ইতির সাথে ওর সারাদিনের ঘুরবার প্ল্যান রয়েছে। মেয়েটার সাথে ইয়াহু চ্যাটিং এ পরিচয়। খুব ভালো মনের মেয়ে বলেই ওর সকল কষ্টকে জেনেই জিয়ার সাথে বন্ধুত্ব করেছে। সে নিজেই কাল দেখা করবার আগ্রহ দেখিয়েছে। জিয়াও এমন একটা দিন অন্যরকম কাটানোর নেশায় ইতির ইচ্ছেয় সায় দিয়েছে। তার মন বলছে, এটা কোন অন্যায় নয়। ররং তার বর্তমান কষ্ট থেকে কিছুক্ষণ পালিয়ে থাকার একটা চেষ্টা মাত্র। তাছাড়া ভাল থাকতে কে না চায়। কিন্তুু, ও তো ভাল নেই। তাই অবস্থার প্রেক্ষিতে স্রেফ একটিবারের জন্য ভাল থাকতে গিয়ে ও যদি মুনা ছাড়া আর কারো সাথে কিছুটা সময় কাটায়, তবে তা অন্যায় হবে কেন। তাছাড়া নিজের সন্তুষ্টির জন্য, নিছক আনন্দের জন্য, খোলামনে কিছু করা কখনোই অন্যায় নয়। বরঞ্চ অন্যায় হবে তা তখনি, যখন তার এই করাটা আর কারো জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে এবং এই ক্ষতিটুকু বুঝতে পারার পরও সে অপরাধপ্রবণতায় ভুগবে। না সে কোন অন্যায় করছে না। আনমনে মাথা নাড়লো জিয়া। কিন্তু, এখন তো আর ইতির সাথে দেখা করবার কোন জো রইলো না। মেয়েটা গতকাল'ই তার নাম্বার দিয়েছে। ঠিক সকালে ওকে কল দিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে বলেছে। তারপর কোথায় দেখা করতে হবে, ওই তাকে জানিয়ে দেবে। নিঃসন্দেহে এটা হবে তার এই কষ্টকর জীবনে আসা কোন নববর্ষের সেরা উপহার। এখন একি ফ্যাসাদে পড়ে গেল। কিভাবে যে এ গ্যাড়াকল থেকে মুক্তি পাবে, বুঝতে পারছে না। মেডিকেল সায়েন্সের প্রতি তার আর ভক্তি রইলো না। এরাও দেখি আবহাওয়াবিদদের মত উল্ট-পাল্টা ভবিষ্যতবানী দেয়। মুনার তো এখন অসুস্থ হবার কথা না। ডাক্তারের বেধে দেওয়া সময় তো আরো পরে। কিন্তু তার অনেক আগেই ব্যাথা উঠেছে ওর। হয়তো কিছুই নয়, তারপরেও হলেই বা কি। ফলাফল কি হবে তা তো তার জানাই আছে। না এবারো যদি ও ব্যার্থ হয়, তবে ওকে একটা সিদ্ধান্তে আসতেই হবে। হয়তো ইতি এ ব্যাপারে ওকে সাহায্য করবে। না কালই ইতির সাথে এ বিষয়ে মুখোমুখি কথা বলতে হবে। অস্থির হয়ে উঠলো জিয়া। কি যে হচ্ছে ওদিকে আল্লাই মালুম। কোন ভাবে যদি রাতটা পার হয়ে যেত, তবে তো কেল্লা ফতে। চোখ বুজে একটু ঝিমানোর চেষ্টা করলো জিয়া।
"ভাইজান ঘুমাইছেন ?" গার্ডের গলা শোনে চোখ খুললো জিয়া। লোকটা এখনো পান চিবুচ্ছে। ব্যাটা কি পান ছাড়া আর কিছু খায়না নাকি। "বুজছেন ভাইজান, এই যে পান খাই তাও মজা পাইনা। আচ্ছা আপনেই কন, বউ ছাড়া এই রাইতের বেলা পান খাইয়া মজা আছে? বউ আদর-সোহাগ দিব। যতন কইর্যা পান বানাইয়া দিব, তয়না খাইতে মজা। কি্ব কন? " আক্ষেপ ঝরে পড়লো ওর কন্ঠ থেকে।
এসব কথা জিয়ার ভালো লাগছে না। এত্ত আদর-ভালবাসা থাকার পরেও ওর আর মুনার মাঝে আজ কত দুরত্ব। বুকের ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো ওর। সহসা গার্ড রুমে টেলিফোন বেজে উঠলো। ওদিকে গার্ডের দৃষ্টি আকর্ষন করলো ও।
"খাড়ান, আমি ফোনটা ধইর্যা আইতাছি।" চলে গেল গার্ড। ফিরে এলো সাথে সাথেই। "আপনারে ডাক্তার আপায় ভিতরে ডাকে।"
অনেকটা ইচ্ছের বিরুদ্ধেই উঠে দাঁড়ালো জিয়া। বিরক্ত বদনে মেইন রিসিপশনে গিয়ে দাঁড়ালো। মেয়েটা ওকে ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গেল।
"বসুন জিয়া সাহেব। আমরা ডিসিশন নিয়েছি, অপারেশন করে ফেলবো। এখন আপনার কোন আপত্তি না থাকলে .. " কথাটা শেষ না করেই নিচের ঠোঁট চেপে ধরলেন ডিউটি ডাক্তার।
"আমি তো এ ব্যাপারে আপনাদের আগেই অনুমতি দিয়ে রেখেছি।"
"ওয়েল ।" হাতে ধরা বন্ড ফর্মটা জিয়ার দিকে বাড়িয়ে দিলেন ডিউটি ডাক্তার।
সই করে ওটা ফেরত দিল জিয়া, "ম্যাডামকে জানিয়েছেন?"
"ম্যাডামের সাথে কথা বলেই ডিসিশন নেয়া হয়েছে। উনি কিছুক্ষণ এর মধ্যেই এসে পড়বেন। আপনি বরং ২ জন ব্লাড ডোনার এর ব্যাবস্থা করুন। আমাদের স্টকে যা আছে, তা যথেষ্ট নাও হতে পারে। সো স্ট্যান্ডবাই রাখতে হচ্ছে।"
মনের ভেতর কেমন কুঁ গেয়ে উঠলো জিয়ার। সহসা মুনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে হলো। "এঙ্উিজ মি, আমি কি ওকে একটু দেখতে পারি?"
"হু, পারবেন। তবে একটু অপেক্ষা করতে হবে। এই মহুর্তে উনাকে চেঞ্জ রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ড্রেস পরাবার জন্য। ওখান থেকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাবার সময় আপনাকে ডাকবো। আপনি বরং এখানেই অপেক্ষা করুন।" বলেই বেরিয়ে গেল ডাক্তার।
একটা চেয়ার টেনে নিয়ে হেলান দিয়ে বসলো জিয়া। এমনি সময় মা এলো। "খোকা শুনেছিস তো, বউমার অপারেশন হবে?"
"হুম শুনেছি। ও কেমন আছে মা ?"
"ভাল না। আমার মন বলছে এবারো ..."
"চুপ করো তো মা। কোথায় আল্লাহর কাছে দোয়া করবে যেন খারাপ কিছু না হয়। তা না আগে থেকেই খারাপ চিন্তা করছো।" রেগে গেল জিয়া । বুঝতে পারলো আসলে ওর নিজের মনটাও বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে।
"আসুন জিয়া সাহেব।" ডাক্তারের ডাকে সম্বিত ফিরে এলো ওর। উনার পিছু পিছু একটা ক্যাবিনে ঢুকলো। মাও সাথে এলেন। সাদা একটা গাউন পরে ট্রলিতে শুয়ে আছে মুনা। পাংশুটে মুখটা ওকে দেখেই উজ্জল হয়ে উঠলো। পাশে গিয়ে দাঁড়ালো জিয়া। ওর ডান হাতটা টেনে নিল নিজের হাতে। আস্তে করে একটা চাপ দিল। কি যেন বলতে চাইলো মুনা। গলা দিয়ে কোন স্বর বেরুলো না। শুধু ঠোঁট দু'টো হালকা ভাবে নড়ে উঠলো। আয়া দু'জন ট্রলি ঠেলতে শুরু করবার পরও হাতটা ধরে থাকতে চাইলো ও।
কি বলতে চাইছিল মুনা। প্রশ্নটা বুকের ভেতর কেমন যেন তড়পাতে লাগলো। সহসা ওর বুকটা যেন একটা মৌচাক হয়ে গেল। একদঙ্গল মৌমাছি ওর বুকের আনাগোনা শুরু করে দিলো। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না জিয়া। ধপ করে সোফায় গা এলিয়ে দিল।
মা বুঝতে পারলেন, ছেলের মনে কি চলছে। তিনি এসে আস্তে করে ওর মাথায় হাত রাখলেন। "সব ঠিক হয়ে যাবে বাবা। তুই বরং একটু ঘুমা।"
একটা চি-হিঁ কান্নার শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো জিয়ার। ক্যাবিনে হালকা আলোর লাইট জ্বলছে। তারই আলোয় সে দেখতে পেল, সাদা ধপধপে বিছানায় শুয়ে আছে মুনা। চোখ দুটো বন্ধ। পাশেই মা বসে আছে। এত্ত কম আলো সহ্য হলো না ওর। কি মনে করে এগিয়ে গেল জানালার দিকে। দুদিকে পর্দা সরিয়ে দিল। সফেদ আলোর বন্যায় ভেসে গের সারা ঘর।
"খোকা তুই উঠেছিস। অনেক আগেই সকাল হয়েছে। তোকে ডাকিনি, ঘুমাচ্ছিস বলে।" মায়ের উচ্ছাস মাখা কন্ঠ শুনতে পেল জিয়া। কোন উত্তর করলো না। সম্মোহিতের মত এগিয়ে গেল মুনার দিকে। ওর দৃষ্টি মুনাকে ছাড়িয়ে চলে গেল অপর পাশে। সাদা একটা পোটলা সদৃশ বস্তুতে ওর চোখ আটকে গেল। হাত বাড়িয়ে নরম তুলতুলে জান্তব বস্তুুটাকে স্পর্শ করলো ও। পরম মমতায় অতীব যতনে মন্ত্রমুগ্ধের মত বুকে টেনে নিল।
হাত পা নাড়িয়ে চিৎকার করে নিজের অস্থিত্ব ঘোষনা করলো জিয়া জুনিয়র। সাড়া পেয়ে চোখ মেলল মুনা। হাত বাড়িয়ে সেও স্পর্শ করলো তার সদ্যজাত সন্তানের শরীর। তার ফ্যাকাসে ঠোঁটের কোণে ঝুলে আছে সজীব একটা হাসি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মিজানুর রহমান তুহিন আমার পাঠক বন্ধুর দল,কিসের দিবে ছল,সুন্দর সুন্দর বল,অসাধারণ লিখে দিলে,লেখক হবে পদতলে,ছলে বলে কৌশলে,কাজটি করে চল,ওরে আমার পাঠক ঠকের দল,শুধুই মিথ্যা কমেন্ট বল !!
বিন আরফান. ২০৪ মতামত ৩১ ভোট. আশ্চর্য. মূখূশ্ধারী লেখক কবিদের আগমন ঘটেছিল. যারা নিজেরা ভোট নিতে মতামত দিয়েছে কিন্তু ভোট দেয় নি.
বিষণ্ন সুমন আরফান ভাই দেশী মানুষ হয়ে বিদেশী খাবার খাওয়াবার মত ভুল আমি করব এটা কি আপনি আশা করেন ? সেই কারণেই আমার আগের জায়গায় থাকাটা নড়বড়ে হয়ে আছে বলে আমার বিশ্বাস.......... হা হা হা
বিন আরফান. আপনি আগের ঠিকানায়. চায়নিছ না খাওয়ালে খবর আছে.
বিষণ্ন সুমন তুহিন তোমাদের অপার ভালবাসায় আমি কি এরিমধ্যে বিজিত নই ? কাজেই কাল কি রিজাল্ট হবে এ নিয়ে আমার আর কোনো টেনশন নেই. আমি শুধু জানি এই গল্পকবিতায় আমি যে পরিমান ভালবাসা পেয়েছি তা আমার সারা জীবনেও জুটেছে কিনা কিম্বা আদৌ জুটবে কিনা সন্দেহ. আমি তোমাদের সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞ. অনেক ধন্যবাদ তোমায় ভাই.
মোঃ মিজানুর রহমান তুহিন আপনার বিজয় মেন হয় নিশ্চিৎ ২০০ কমেন্ট আমার দেখা সর্বচ্চ
বিষণ্ন সুমন দীর্ঘ একটা মাস যারা কষ্ট করে আমার লিখা পড়েছেন ও তাদের মূল্যবান কমেন্ট দিয়ে আমায় সঠিক নির্দেশনা দিয়েছেন, তাদের সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ. আগামীতেও এমন করে আপনাদের পাশে পাবার আশাবাদ রাখছি.
বিষণ্ন সুমন বোন প্রজ্ঞা মৌসুমী . আসলে টেরির ঘটনাটা আমার চোট বোনের বাচ্ছা হবার সময় শান্তিনগর এর একটা ক্লিনিকে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া. তাই এদ্দুর সময় নিয়েছি বাস্তব চিত্রটার ভয়াবহতা তুলে ধরার জন্য. আপনাদের ভালোলাগাই আমার আগামী দিনের পাথেয়. তাই ভবিস্যতে আমি অবশ্যই চেষ্টা করব এদিকটা খিয়াল রাখতে. অনেক ধন্যবাদ আপনাকে.
প্রজ্ঞা মৌসুমী আমিও একমত- প্রাণবন্ত গল্প। কিছু কথা দারুণ লেগেছে। আমার ছোট কাকীরো পরপর দুটি মৃত বাচ্চা হয়েছিল। আমাদের মধ্যে একটা আতংক কাজ করতো। এখন অবশ্য জিয়াকে দেখে হাসছিলাম আমার কাকাজানের মনে কি হয়েছিল। উনাদেরো ভালবাসার বিয়ে ছিল কিনা। আমার ছোট বোনের মত গাল ফুলিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে 'আমি রাগ হইছি।' ট্যারির বর্ণনা দিতে ১৪/১৫ লাইন খরচ করলেন। আর শেষে এসে এত সুন্দর জুনিয়র জিয়ার কথা বললেন সবে ৮ লাইনে। অল্প কথা হলেও শেষের দুটো প্যারাই ভয়াবহ রকম সুন্দর। অনেক শুভকামনা।
বিন আরফান. আমার সেরা ৫ গল্পের ১ টি.

২৪ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৬৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী