যে জলে তৃষ্ণা মেটেনা

বাবা (জুন ২০১২)

বিষণ্ন সুমন
  • ২৯
  • 0
আজ দুইদিন যাবত টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে আমাদের বাড়ীর চারপাশ মাঠ-ঘাট ডুবে একাকার। যেদিকেই তাকাই শুধুই পানি আর পানি। এরকম বৃষ্টিতে মানুষের জীবনযাত্রা বিশেষ করে গ্রামীন জনপদ একদম স্থবির হয়ে যায়। আমাদের অবস্থাও তাই। মা তো কেবল লাগোয়া রান্নাঘর আর বড় ঘর এই দু'য়ের মাঝে দৌড়াদৌড়ি করেই সময় পার করছেন। বাড়ীর উঠোনে পানি জমে থৈ থৈ অবস্থা বলে তার ঘর থেকে বেরুবার জো নেই। তবে সমস্যা হচ্ছে বাবাকে নিয়ে। তিনি ভীষন অস্থির হয়ে উঠেছেন। হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঘরপালানো মানুষ আমার বাবা। আমার জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি, তিনি প্রায়ই নিরুদ্দেশ হয়ে যান। বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ করেই ক'দিনের জন্য বাড়ী ছেড়ে চলে যান। আবার বেশ ক’দিন বাদে ফিরেও আসেন। তার চলে যাওয়াতে আমার যতটা না খারাপ লাগে, এর চেয়ে বেশী আনন্দ লাগে তার ফিরে আসাতে। কারণ ফেরার সময় তিনি আমার জন্য এটা-সেটা অনেক কিছু নিয়ে আসেন।

তবে যে ক’টা দিন বাড়ী থাকেন, তিনি আছেন এটা ভেবেই আমাদের খুশী থাকতে হয়। কারণ আমার বাবা কথা খুব একটা বলেন না। পুরোটা সময়ই তিনি নিজেকে অথবা তার দো’তারা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। আসলে আমার বাবা হলেন গায়েন। আশে-পাশের দশ গ্রামের মানুষ তাকে এই পরিচয়েই চেনে। তবে গায়েন হলেও তিনি গান পাগল মানুষ এটা বলা যাবে না। গানের জন্য তিনি আমাদের ছেড়েছেন এই কথা আমরা কোনদিন বলব না। প্রকৃতপক্ষে বাবা হলেন ছন্নছাড়া। যাকে বলে বহিঃর্মূখী মানূষ, তিনি আসলে তাই। তাই ঘর সংসার তার ভালো লাগে না। আমার দাদা আগেভাগেই ব্যপারটা টের পেয়েছিলেন। সেই চিন্তা থেকেই বাবাকে ঘরমূখী করার জন্য আমার মায়ের মত রূপবতী একটা মেয়েকে তার বউ করে ঘরে এনেছিলেন। কিন্তু, মায়ের আগুনে রূপ’ও বাবাকে ঘরে ধরে রাখতে পারেনি।

বাবা আমার কদাচিত ঘরমূখী হোন এটা সত্যি, কিন্তু ঘরোয়া বা সংসারী বলতে যা বোঝায় তিনি তা কোনোদিনও হতে পারেননি। আর সে কারণে বাড়ীতে থাকলেও মানে যে ক’দিন থাকেন আর কি, ঘরে আর তার থাকা হয় না। বাড়ীর সামনের উঠোন পেড়িয়ে ঝিলের ধারে যে মাচামতন আছে, বাড়ীতে থাকার পুরোটা সময়ই তিনি সেখানে পড়ে থাকেন। কখনো ঝিম মেরে দূরে গঞ্জগামী যে পাকা রাস্তাটা দেখা যায় ওটার দিকে তাকিয়ে থাকেন। আবার কখনো চোখ বুজে দো’তারায় সুর তুলে গান ধরেন। আমি খেয়াল করেছি, বাবা যখন গান করেন তখন মা’ও কাজ ফেলে এসে বারান্দার বেঞ্চিতে ঝিম মেরে বসে থাকেন। কখনো কখনো মায়ের চোখের কোণায় অশ্রুকণা চিকচিক করে উঠতে দেখি। মা কাঁদছেন এটা বুঝার জন্য আমার খুব বড় হবার দরকার পড়েনি। তবে বাবার গান শুনে এমন কাঁদবার কি হলো সেটা বুঝতেই আমার যা সমস্যা।

আমার সেই বাবাই আজ অবস্থার ফেরে ঘর ছেড়ে নড়তে পারছেন না, এটা যে তার জন্য কতটা কষ্টের সেটা তার মুখ দেখেই বুঝা যায়। বর্ষণমুখর এই দুই’টা দিন বাবা পুরোটা সময় বারান্দার বেঞ্চিতে বসে কাটিয়ে দিয়েছেন। অন্য সময় এরকম মুহুর্তে আমি তার কাছে-পিছে তেমন ভিড়ি না। তবে এবার আশপাশ দিয়ে ঘুরঘুর করেছি, যদি তার চোখে পড়ে এই আশায়। কিন্তু, কিসের কি। বাবা তার নিজের মত করে ঝিম মেরে বসে আছেন। এই সময়টাতে মা’ও বাবাকে তেমন ঘাটাননি। মাঝে মাঝে দেখেছি মা বড় ঘরের দুয়ারে দাঁড়িয়ে বাবার দিকে নির্ণিমেষ তাকিয়ে থাকেন। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার ঘরের ভেতরে ঢুকে যান। যদিও বাবা এসবের কিছুই টের পান নাই।

আসলে মা’ও বোধকরি বুঝতে পেরেছেন, এই মানূষটাকে ঘরোয়া করে তোলার সাধ্যি তার নেই। যতদিন আমার দাদা-দাদী জীবিত ছিলেন, ততদিন যাও বা দু’একদিন বাদে ঘরে ফিরতেন। এখন তো মাস পেরুলেও খবর থাকেনা। ভাগ্যিস আমার দাদা এই বাড়ীটা আর বিশেষ কিছু জমি-জিরাত রেখে গিয়েছিলেন। তাই জমি বর্গা দিয়ে আমাদের দুজনের সংসারটা বেশ চলে যায়। দু’জনের বললাম এই জন্যই যে বাবা তো আর আমাদের সাথে নিত্যদিন থাকেন না। বরঞ্চ তার অবস্থান এই বাড়ীতে অনেকটা চিরস্থায়ী অতিথির মত। আর যখন বাড়ী আসেন তখন মুঠো ভর্তি টাকা না থাকলেও একেবারে খালি হাতে আসেন তাও নয়। শুনেছি এখানে-ওখানে গান গেয়ে তিনি কামান মন্দ না। তাই সংসারে দু’পয়সা দিতে না পারলেও নিজের জীবন ধারনে তার খুব একটা অসুবিধা হবার কথা না। তবে এজন্য আমার মা’র কোন অভিযোগ আছে বলে মনে হয় না। আর আমি তো একটা বাচ্চা মেয়ে। সবে স্কুলে যেতে শিখেছি। আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে যখন যতটুকু প্রয়োজন তা আমার মা’ই দিয়ে থাকেন। মূলতঃ বাবাকে খুব একটা কাছে পাইনা বলে, তার কাছে কখনো কোন আব্দার করার অভ্যেসটা আমার ঠিক হয়ে উঠেনি। এরপরেও বাবা প্রতিবারেই বাড়ী ফেরার সময় আমার জন্য যা’ই নিয়ে আসেন তাই আমার জন্য অঢেল আনন্দের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

তবে এবারের আনন্দটা আমার তেমন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। গত দু’রাতের একটা ভিন্ন ঘটনার কারণে বাবার প্রতি আমি যথেষ্ট মনক্ষুন্ন। আমি সবসময় রাতে মায়ের সাথেই ঘুমাই। বাবা বাড়ী এলে সাধারণতঃ বারান্দার ধারের তক্তপোষেই ঘুমিয়ে থাকেন। কিন্তু, গতরাতে আমি যথারীতি মা’র সাথে ঘুমালেও ভোর বেলা পেচ্ছাব পাওয়ায় তাকে ডাকতে গিয়ে বিছানায় না দেখে বেশ অবাক হই। খোঁজাখুঁজি করে মা'কে বাবার সাথে জড়াজড়ি করে তক্তপোষে শুয়ে থাকতে দেখি'। আমি ভেবেই পাইনা, বাবার মত এত বড় একজন মানুষকে মায়ের জড়িয়ে থাকার কি হলো। এর আগের রাতেও টের পেয়েছি আমি ঘুমিয়ে গেলে (যদিও মা উঠে যাওয়া মাত্রই আমার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল) মা উঠে গিয়ে বাবার কাছে গেলেন। কতক্ষণ পর মনে হলো মা যেন কেমন কোঁকাচ্ছেন, আবার কখনো কখনো চাপা শব্দে চিৎকার করে উঠছেন। আমি ভয়ে টু শব্দটিও করিনি, যেহেতু বুঝতে পারছিলাম মা কোন কারণে ব্যথা পাচ্ছেন। এর ক্ষাণীক বাদেই মা এসে আবার আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে গেলেন। আমিও তার বুকের সাথে মিশে গিয়ে ঘুমিয়ে যাই। মা বুঝতেই পারেননি মাঝখানের এই সময়টাতে আমি পুরোই জেগে ছিলাম। কিন্তু, মাকে বাবা ব্যথা দিয়েছে এই বিষয়টা আমার মনটাকে তার প্রতি ভীষন রাগিয়ে তুলে। তাই সকাল থেকে এই ঝমঝমে বৃষ্টির সময়টাতে বাবা ঝিম মেরে বারান্দায় বসে থাকলেও আমার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে হয়নি আগের মত তার আশ-পাশ ঘুরে দৃষ্টি আকর্ষন করতে। তবে দূর থেকে তাকে ঠিকই লক্ষ্য করছিলাম বলেই বুঝতে পারছিলাম, তিনি খুব অস্থির হয়ে আছেন। অনেকটা খাঁচায় পুরা বুনো পাখির মত। বারান্দার এক কোণায় বৃষ্টির ঝাট খেতে খেতে আমি দেখছিলাম, বাবা একটার পর একটা বিড়ি ফুঁকছেন। আবার কখনো দু’তারায় টুং-টাং শব্দ তুলছেন। এর মাঝে মাকেও একবার দেখলাম উঁকি দিয়ে গেলেন। বাবা এসবের কিছুই টের পেলেন না। তিনি তার মতই বসে আছেন, কখনো স্থবির তো পরক্ষণেই অস্থির।

বিকেলের দিকে একসময় মনে হলো বৃষ্টির তোড় কিছুটা কমে এসেছে। ব্যপারটা বাবাও খেয়াল করলেন। সহসা বেঞ্চ ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। হেঁটে এগিয়ে গেলেন বারান্দার ধারে। আকাশ পানে তাকিয়ে কি যেন খুঁজলেন। তারপর ঘাড় ফিরিয়ে তাঁকালেন আমার দিকে। সেই চোখের দিকে তাকিয়ে বাবাকে আমার খুব অচেনা মনে হলো। বাবা আমাকে ঠিক খেয়াল করলেন কিনা জানিনা তবে উনার মাথা নাড়ানোটা আমার কাছে কেমন অস্বাভাবিক মনে হলো। আমার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে তিনি আবার আকাশের দিকে তাঁকালেন। বৃষ্টির ছটা এসে তার মুখ ভিজিয়ে দিতে লাগলো। মনে হলো তার চোখ দুটোও ভেজা ভেজা। তবে তা বৃষ্টির ছটায় না তার কান্নার জলে আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না।

সে রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল মায়ের ফুঁপানীতে। মা আমায় জড়িয়ে আছেন টের পেলাম। ঘরের দরোজা খোলা। বাহির থেকে বাবার দরাজ কন্ঠের গান ভেসে আসছে।


আমি যখন একলা থাকি গো
তখন পরান আমার কয়।
এই ভুবনে আমি ছাড়া
আমার কেহ নয়।।

আগুন রঙা সূরুয জ্বলে
ঈষাণও কোণে।
সারা দুনিয়া ঝলমল করে
আন্ধার এ মনে।
আলোর দিশা খুঁইজা মরি
আমি নিরালায়।।

এই ভুবনে আমি ছাড়া
আমার কেহ নয়।

জীবন তরী বইয়া চলে
উজান গাঙ্গের ধার।
বৈঠা হাতে বইসা আছি
দিতে হইবো পাড়।
একে একে সবাই গেল
আমি রইলাম ঠাঁয়।।

এই ভুবনে আমি ছাড়া
আমার কেহ নয়।।

আমি যখন একলা থাকি গো
তখন পরান আমার কয়।
এই ভুবনে আমি ছাড়া
আমার কেহ নয়।।

জানিনা মা টের পেয়েছে কিনা। তবে আমার মনে হলো বাবার গানটা ধীরে ধীরে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে একসময় মিলিয়ে গেল। চারিদিকে সুনসান নিরবতা। টানা ক’দিনের বৃষ্টির পর প্রকৃতি কেমন থমকে আছে। সহসা টের পেলাম মা বিছানা ছাড়ছেন। আস্তে করে উঠে গিয়ে দরোজাটা বন্ধ করে এলেন। তারপর ফিরে এসে আবারো আমায় জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লেন। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে উঠে বাবাকে আর দেখতে পেলাম না।





বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেছে। বাবার কথা এখন আর আমার মনে পড়ে না। মা’ও বোধকরি ভুলে গেছেন। আমি আগের মতই স্কুলে যাচ্ছি আর বাড়ী ফিরে মার আদর নিচ্ছি। দারুণ হেসে খেলে কেটে যাচ্ছে আমার জীবন। এরমধ্যে একদিন বাড়ী ফিরে দেখি মা ঘরের দরোজা ধরে চোখ-মুখ কুঁচকে দাঁড়িয়ে আছেন। আর ওয়াক ওয়াক করে বমি করার চেষ্টা করছেন। আমি ভয় পেয়ে পাশের বাড়ীর বুড়ীমা’কে ডেকে আনতে ছুটে যাই। ফিরে এসে দেখি মা দিব্যি সুস্থ মানুষের মত বারান্দার বেঞ্চিতে বসে তেতুলের আচার খাচ্ছেন। বুড়ী মাকে দেখে মা কেমন মুখ টিপে হেসে ঘরে ঢুকে গেলেন। আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।

দেখতে দেখতে আরো ক’টা মাস পার হয়ে গেল। এর মাঝে মা’র শরীরে একটা অস্বাভাবিক পরিবর্তন চলে এসেছে খেয়াল করলাম। তিনি যেন কেমন মুটিয়ে গেছেন। পেট’টাও তার বেটপ রকম ফুলে গেছে। এসব কেন হচ্ছে অনেক ভেবেও আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে তার কোন সমাধান পেলাম না।

তার আরো বেশ কয়েক মাস পর একদিন স্কুল থেকে বাড়ী ফিরেই দেখি আমাদের ঘরে এবাড়ী-ওবাড়ীর মহিলারা ভীড় করে আছে। আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। দৌড়ে ঘরে ঢুকলাম। মেঝেতে মাদুরের বিছানায় মা জুবুথুবু হয়ে শুয়ে আছে। পাশেই ওবাড়ীর বুড়ি মা। তার কোলে ছোট্ট লাল টুকটুকে একটা বাচ্চা। আমি পাশে যেয়ে বসতেই মা বলে উঠলো, আইছো মা ? তারপর বাচ্চাটার গায়ে হাত দিয়ে বলল, এইডা কেডা জানো ? আমার বাপ। আইজ থাইকা আমার আর কোনো দুঃখ নাই। তুমি যেমন আমার মা, তেমনি এইডা আমার বাপ। আমি আবার আমার বাবা-মায়েরে ফিইরা পাইছি। বলেই মা আমার গালটা টিপে দিলেন।





আমার বাবা আর কোনদিন ফিরে আসেনি। বাবার কথা এখন আর ঠিক মনেও পড়ে না। তবে আমি খেয়াল করেছি আমার ছোট ভাইটা দেখতে হুঁ-বু-হুঁ আমার বাবার মতই হয়েছে। তারপরেও আমি তাকে দেখে সুখী হতে পারিনা। কারণ এখন আমি এটুকু অন্তঃত বুঝি, বাবা কেবল বাবাই। তার অভাব আর কাউকে দিয়ে পুরণ হবার নয়। হতে পারেনা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আবু ওয়াফা মোঃ মুফতি বাহির যারে আপন করে, সাধ্য কী কেউ আপন করে তারে!-- বেশ ভালো লাগলো|
Jontitu গল্পটি ভালো লেগেছে। গানের প্রসংসাও সবাই করছে। আমার কাছে গল্প গান দুটিই ভালো লেগেছে।
রোদের ছায়া গল্পের নামটা কিন্তু অসম্ভব ভালো হয়েছে ....কাহিনিও সুন্দর ...আর গানটা ও বেশ , ওটা কি আপনারই লেখা ? উকিল মুন্সির গানের মত লাগলো.... সব মিলিয়ে চমত্কার .
হা বোন, এই গানটি আমার নিজেরই লিখা ও সুর করা ।
আপনার লেখা ও সুর করা তার মানে সুরকার !! জেনে খুব ভালো লাগছে ... আর কোনো গানে কি সুর দিয়েছেন ??
সূর্য চমৎকার ঝরঝরে একটা গল্প। আচ্ছা গানটাওকি তোমার নিজেরই লেখা? ওটা কিন্তু অনেক ভাল হয়েছে।
হা দোস্ত, এই গানটি যেদিন আমার দাদী মারা যান(১৯৯৪ইং) সেদিন আমি নিজের অজান্তেই রাস্তার ধারে বসে সুর করে গেয়ে উঠি । গাইবার পর বুঝতে পারি আমার মনের কষ্টটাই গান হয়ে বেজে উঠেছে । আমার ফুপাত ভাই তখনি একটা সিগারেটের প্যাকেটের উল্টো পিঠে গানটি লিখে না ফেললে তা আমি পরে কোনদিন মনে করতে পারতাম না, আর তোমরাও এই গল্পটি পেতে না । বলতে পারো এই গানের জন্যই গল্পটির অবতারণা । ধন্যবাদ তোমায় ।
মামুন ম. আজিজ এমনই বাউন্ডুলে বাউল বাবার কথা আর কার যেন লেখায় পড়রাম। ..দুটো দুরকম ভাল। ...এটা লেখকের স্বকীয়তা। বেশ ঝরঝরে আপনার গল্প।
মোঃ আক্তারুজ্জামান একেবারে নিমগ্ন হয়ে পড়েছি- আমার পড়া আপনার সেরাদের একটা। ভাল থাকুন।
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ শিল্পীর চোখে বাউলের গান , গভীর রাতের তান , মেঘনার বান - কোন কিছুই এড়ায় না। উপলিব্ধির গভীরে নিয়ে যান পাঠককে । এমনি এক সুন্দর আয়োজনে হাজির হতে পেরে সত্যি অন্যরকম ভাল লাগছে।
নিলাঞ্জনা নীল বেশ ভালো হয়েছে ভাইয়া....
খোরশেদুল আলম সুমন ভাই সুন্দর লিখেছেন, ভালো লাগলো। গানটিও খুব ভালো। শুভ কামনা রইল।
আলেকজানডার Just fill in contaminated water does not quench. Like this. Polling -5

২৪ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৬৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী