প্রতিদিন সবুজের স্বপ্ন ডানায় ভর করে রঙ্গিন সুতোয় ভালোবাসার স্বপ্ন বুনি। অভাবের তাড়নায় প্রিয়তমার পাংশু মুখ দেখেও আমার কখনও মনে হয়নি, বনানী, ধানমন্ডি কিংবা গুলশানের সুরম্য এপার্টমেন্টের কথা, যেখানে নিয়ত স্বর্গ সুখের স্বপ্ন বিলাস। ভেবেছিলাম, সবুজ জমিনে গাঢ় লাল পাড়ের শাড়ীতে তোমায় বেশ মানাবে। লাল ফিতার সাথে যদি খোঁপায় গুঁজে দেয় দু'টো রক্ত জবা, তবে তো কথা-ই নেয়। নিদ্দিষ্ট কোন কাঁচের ফ্রেমে নয়, নদীর জলে খুঁজে নেব তোমার সুন্দরের সংজ্ঞা। বিএম ডব্লিউ কিংবা মার্সিডিজে নয়, তুমি আসবে আলতা পায়ে বর্ষার কাদা জল মাড়িয়ে নদীপারের সেই পুরানো বটগাছের নীচে বসে কাটাবো অখন্ড অবসর, অলস দুপুর, দীর্ঘ সময়। সযত্নে গুছিয়ে দেবো বর্ষার মাতাল হাওয়ায় উড়তে থাকা এলোমেলো চুলগুলো। তোমার ভালো লাগবে ভেবে, উচ্চাবিলাসী কোন স্বপ্ন দেখা হয়নি। পড়ন্ত বিকেলে গাছ পাকা আমের সাথে কাঁচা লংকা আর লেবু পাতা মিশিয়ে, মধুমাসের ফল খাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে স্যান্ডউইচ কিংবা ফ্রাইড চিকেন খাওয়া হয়নি। রাত জেগে লোডশেডিং-এর যন্ত্রনায় হাঁস ফাঁস করার কোন উৎকন্ঠাও ছিল না। সবুজের আঙ্গিনায় হাস্নাহেনা, শিউলী কিংবা কাঁঠালি চাঁপার গন্ধ মাখা সাদা জল জোৎস্নায় দাড়িয়ে মধ্যরাতে দেখতাম অনন্ত অম্বর। শ্বাপদ পৃথিবীর সুখী মানুষের তালিকায় আমরা উঠে আসতাম এক নম্বরে। অতঃপর নীল কষ্টগুলো বিসর্জন দিয়ে দু'চোখ ভরে দেখতাম রাতের আকাশ, এখনি হয়তো খসে পড়বে অসংখ্য ধ্রুবতারা। অবশেষে সবুজের গালিচায়, মেঘ পালকের বালিশে শুয়ে অনূভবে, উপলব্দিতে হতো আমাদের আত্মসমর্পন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খোন্দকার শাহিদুল হক
অনেকদিন এখানে আসি নি। আজ এসে বিজয়ীদের কবিতাগুলো পড়লাম। এই কবিতাটা পড়ে আমি অভিভূত। সুন্দর ও সবুজের চেতনা ছড়িয়ে যাক সকলের অন্তরে। কবির জন্য শুভকামনা সতত। এই কবিতা আমার কাছে অসাধারণ লাগল। এতটা মমতা আর গভীর চেতনায় স্বপ্ন ছড়ানো কবিতা খুব কমই পড়া হয়। ভালো থাকবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।