আলোয় অন্ধকার

বাবা (জুন ২০১২)

রুহুল আমীন রাজু
  • ৩৯
(১)
হঠাৎ দেখলে মনে হবে কোন ম্যাজিক শো হচ্ছে। কিন্তু না। বৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে ঘরের বিভিন্ন স্থানে হাড়ি-পাতিল, বালতি, মগ, জগ,বাটি, বোল, বদনা রাখা হয়েছে। পড়ার টেবিলের চার পাশেও একই দৃশ্য। তবুও বৃষ্টি মোকাবেলা করা যাচ্ছে না। মধ্যরাতে এ অবস্থা দেখে সন্তানের মাথায় ছাতা ধরে দাঁড়িয়ে আছে পিতা। রাত পোহালেই এস.এস.সি পরীক্ষা। লেখা পড়ায় ব্যাঘাত যেনো না ঘটে সে জন্য এই ছাতা দিয়েই শেষ চেষ্টা চালাচ্ছে হত দরিদ্র পিতা সুরুজ আলী। পলিথিনের চালাটা নষ্ট হয়ে গেছে। ক'টা ঢেউটিন দিয়ে চালাটা করি করি করে আর করা হচ্ছে না। জেল-হাজত আর মামলার হাজিরা দিতে দিতে সর্বশান্ত সুরুজ আলী। কোর্টে শুধু তারিখ পড়ে। এ তারিখ কবে যে শেষ হবে......... জানে না সে। হাজিরা দিতে আর ভাল লাগেনা তার। দীর্ঘ বার বছর ধরে চলছে এই হাজিরা আর তারিখ। জমি সংক্রান্তসহ ছয়টি খুন, পাঁচটি ডাকাতি এবং আটটি ছিনতাই মামলায় অভিযুক্ত আসামী সুরুজ আলী। সুরুজ আলীর জানামতে খুনের মধ্যে একটি কুত্তা আর বাকী সব খুন মিথ্যা। ডাহা মিথ্যা। তবে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অধিকাংশই সঠিক আছে। লোহাজুরী গ্রামে তার নাম শুনলে আঁৎকে উঠে সবাই। কুত্তাসুরুজ আয়তাছে............ বললেই ভয়ে শিশুরা ঘুমিয়ে পড়ে। তার নাম বললে ব্যবসায়ীরা চাঁদা দিতে বাধ্য হয়। পুলিশের খাতায় হিট লিষ্টে অবস্থান করেছে সে। র্যাব পুলিশ বহুবার তাকে হানা দিয়েছে , ধরতে পারেনি। আজকের কুত্তাসুরুজ এক সময় পালা গানের দল করতো। নিজেই গান বাধতো। গ্রামের বিভিন্ন আসরে গান গায়তো সে। তার ফসলী জমির পাশে পুকুর কাটে স্থানীয় এমপি। বর্ষা আসলেই জমির পাড় ভেঙ্গে যায় তার। অপর দিকে নদী ভাঙ্গন'তো আছেই। নদী আর পুকুর ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়ে ছিল সুরুজ আলী। কতবার সে এমপিকে বলেছিল একটা কিছু করতে। কিন্তু বিন্দু মাত্র কর্ণপাত করলেন না তিনি। থানা পুলিশ এমপির বিরুদ্ধে মামলাও নিচ্ছিল না। অবশেষে নিরুপায় হয়ে সুরুজ আলী একদিন দা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এমপির উপর। হামলায় এমপি সাহেব রক্তাক্ত জখম হয়। তবে এমপির বাড়ীর কুকুরটি সুরুজ আলীর দায়ের কুপে যায় মারা। সেই থেকে সুরুজ আলীর নাম পাল্টে হয়ে যায় 'কুত্তাসুরুজ'। এই নাম ধারন করার পর এলাকার প্রভাবশালী আরেকটি মহল তাকে কাছে ডেকে নেয়। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ব্যবহার করে তাকে। আর তার প্রতিপক্ষ এমপি সাহেবতো আছেনই। গাছে পাতা নড়লেই ......... হারামজাদা কুত্তাসুরুজের কাম। এভাবেই ভয়ংকর এক মানুষের রূপান্তরিত হয় নিরীহ কৃষক সুরুজ আলী। এলাকায় ভয়ংকর হলেও পরিবারে সে আদর্শ একজন পিতা। এতোগুলো মামলা মাথায় নিয়ে ফেরারী জীবনেও স্ত্রী সন্তানদের খোঁজখবর রাখে সে। কখনো নিজে আবার কখনো দূত মারফত বাড়ীর দেখা শুনা করার চেষ্টা করে। সংসারে স্ত্রী সহ এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলেটার এস,এস.সি পরীক্ষা শুরু রাত পোহালে। মেয়েটা গুটি গুটি পায় হাঁটে। টুকটাক কথাও বলে। চৌকির এক কোণায় বসে সন্তানের মাথায় এখনো ছাতা হাতে সুরুজ আলী। বৃষ্টি থামছে না। সুরুজ আলীর স্ত্রী রাহেলা বেগম ও মেয়ে কমলা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বৃষ্টিতে ভিজে গেছে মা মেয়ে। তবুও তাদের ঘুম ভাঙছেনা। বিষয়টি লক্ষ্য করলো সে। তার খুব আনন্দ লাগলো এই ভেবে যে, বৃষ্টি জয় করেছে তার পরিবার। ছেলে রহমত আলী বইয়ের পাতা বন্ধ করে বাবার দিকে তাকায়। বিস্ময় কণ্ঠে বললো, বাজান তুমি এহনো ছাতি ধইরা রাখছো।
ঃ হরে বাজান! কি আর করবাম ......... ঘরের ভিতরে ছাতি ধইরা রাখছি। ভালো একটা ঘর তরারে বাইন্ধা দিতাম পারতাছিনা। এবার তার দু-চোখেও ঝরছে বৃষ্টি।
রহমত তার বাবাকে কিভাবে শান্তনা দেবে ভেবে পাচ্ছে না। হঠাৎ ভালো একটা আইডিয়া এলো তার মাথায়।
ঃ বাজান বৃষ্টি নিয়া একটা গান বানধো। অনেক দিন ধইরা তোমার গান হুনি না।
ঃ অরে কুত্তার ছাও রাইত পোয়াইলে তর পরীক্ষা, তুই কছ গান গাইতাম। থাক আর পড়ুন লাগতনা। ম্যালা রাইত অইছে। ঘুমাইয়া পড়। আমিও ভাগি ....... কোন সময় আবার লেব পুলিশ আইয়া পড়ে।
ঃ বাজান পরীক্ষা লইয়া তুমি কোন চিন্তা কইরোনা। দেইখখো আমি অনেক ভালা করবাম। আর অতো রাইতে এই বৃষ্টির মইধ্যে পুলিশ আইতোনা। তুমি একটা গান বানাও বাজান। সুরুজ আলী কিছুক্ষণ নিরব থেকে নিজের বানানো গান গায়তে শুরু করল -
বাইরে বৃষ্টি পড়ার আগে আমার ঘরে পড়ে (২) ঐ
একটু খানি বাতাস আয়লেই ঘরটা নৃত্য করে রে
বাইরে বৃষ্টি পড়ার আগে আমার ঘরে পড়ে
সময় শুরু হয় যখন নদীর ভাঙ্গন,
আমার ঘর ভাইঙ্গা নদী করে উদ্ভোধন
বিধি তোমার একি খেলা আমার সনে রে
বাইরে বৃষ্টি পড়ার আগে আমার ঘরে পড়ে---
গানের শব্দে মা মেয়ে জেগে উঠে। মেয়েটা চোখ কচলাতে কচলাতে বলতে লাগলো, মায়া মায়া কুত্তা সুলুজ আইছে।
মা রাহেলা বেগম মেয়ের গালে কষে লাগায় এক চর।
মেয়েটা এবার চিৎকার করে বলছে, কুত্তা সুলুজ কুত্তা সুলুজ ............. । রাহেলা মেয়েকে ধমক দিয়ে বললো, এই মাগী ক বাজান আইছে ......।
ঃ বাজান আয়ছে, এ্যা এ্যা এ্যা কুত্তা সুলুজ ..... এ্যা এ্যা এ্যা ..........।
মেয়ের গালে আবারও চর মারতে হাত উঠায় রাহেলা। সুরুজ আলী তার হাত ধরে বললো, বউগো অবুঝ মাইয়াডারে অন্নধন্না মারতাছো কেরে? গেরামের বেবাক মাইনষে আমারে কুত্তা সুরুজ ঘৃন্না নিয়া কইলেও মাইয়াডা কিন্তুক ঘৃন্না নিয়া কইতাছে না। অবুঝ মা আমার ভালা মনে কইরা কইতাছে কথাডা। সুরুজ তার মেয়েকে কোলে নিয়ে চুমু খেতে লাগলো। পকেট থেকে চকলেট বের করে দিলো তাকে। রাহেলাকে দিল কিছু টাকা। বউ বিলাইডা কই? এই নেও পলিথিনের ভিতরে মাছের কাডা আছে।
ঃ বিলাইডা মনে অয় বৃষ্টির লাইগ্গা কোন খানো আইটকা পড়ছে। ছিক্কাত থুইয়া রাহি-আইলে দিয়ামনে। আচানক মানুষ আপনে।
ঃ মিঞাও মিঞাও ........
ঃ রাহেলা বললো , আইয়া পড়ছে আপনার বিলাই। দেইন কাঁডাডি আপনের নিজের হাতে দেইন।
সুরুজ আলী বিড়ালটাকে মাছের কাঁটাগুলি খাওয়ায়। খাওয়ার পর রাহেলাকে বললো , বউ তোমার বোরকাডা দেও। ছেলের মাথায় হাত রেখে বললো , তুই ভালা পাশ দিলে যা চাইবে তা অই দিয়াম।
ঃ দিবাতো ?
ঃ হ কইলামতো দিয়াম।
ঃ আমারে একটা ল্যাপটপ কিন্না দিওন লাগবো।
ঃ এই গরমের মধ্যে লেপ দিয়া কি করবে? শীত আয়ওক বানাইয়া দিয়ামনে।
ছেলে রহমত হা হা করে হেসে উঠে বললো ,এইডা গায়ে দেওনের লেপ না। এইডা অইলো ল্যাপটপ। একটা যন্ত্র। কম্পিউটার দেহ নাই........টেলিভিশনের মতো যে।
ঃ হ দেখছি। এই ডা দিয়া তুই কি করবে?
ঃ এইডা দিয়া সারা দুনিয়ার খোঁজখবর নেওন যায়। এইডা আমার দরকার।
আইচ্ছা যা দিয়ামনে। যন্ত্রডার দাম কতরে?
ঃ হুনছি ত্রিশ চলি্লশ হাজার ট্যাহার মত।
ঃ আইচ্ছা ঠিক আছে। তুই মিট্রিক পাশ দিলে আমি পুলিশের হাতে ধরা দিয়াম। আর পিস্তলডা বেইচ্ছা তরে যন্ত্রডা কিন্না দিয়াম।
ঃ হ বাজান তুমি ভালা অইয়া পড়।
ঃ যা কইলামতো। কি গো মো তোমার লাইগ্গা কি আনতাম?
মেয়ে কমলা বললো, লাল জামা, লাল জুতা, লাল চুড়ি, লাল ফিতা, লাল ......... ।
ঃ বুজ্জি গো মা তোমার লাইগা সব লাল জিনিস আনুন লাইগবো। বউ তোমার লাইগা কি আনতাম?
রাহেলা বললো , আজগা রাইতটা থাইক্কা যাইন।
ঃ না গো বউ থাহুন যাইতোনা। লেব পুলিশ আমারে কুত্তার মতন খোঁজতাছে। আইচ্ছা তে যাইন। এই লইন বোরকা। আরেকবার আইলে একরাইত থাইক্কা যাইবাইন। কতদিন ধইরা আপনেরে হুটকি পিডা বানাইয়া খওয়াই না ....... বলেই কাঁদতে লাগলো সে।
(২)
রহমতের পরীক্ষা শেষ হয়। তার দৃঢ় বিশ্বাস, সে খুব ভাল রেজাল্ট করবে। আর ভাল রেজাল্ট করা মানেই ল্যাপটপ পাওয়া। সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে তার বাবা পূলিশের কাছে ধরা দিয়ে ভাল হয়ে যাবে।
মেয়েটা প্রতিদিন লাল জামা, লাল জুতা বলে বলে রাতে ঘুমায়। সকালে আবার লাল জামা .......।
রাহেলা মনের অজান্তেই তার স্বামী আজ রাতে আসতে পারে, এই ভেবে হুটকি পিঠা বানিয়ে রাখে। কিন্তু তার স্বামী আসে না। এভাবেই স্ত্রী সন্তান প্রতিদিন অপেক্ষার প্রহর গুনে, কিন্তু সুরুজ আলীর আসার নাম গন্ধ নেই।
এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। রহমত মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। তার ছবি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। খুশিতে আত্মহারা রহমত ও তার মা। এ খবর নিশ্চয়ই শুনেছে সুরুজ আলী। আজ অবশ্যই আসতে পারে সে। রহমতের মা রাহেলা বেগম জিলাপী কিনে গ্রামবাসীর ঘরে ঘরে বিলাতে যায়। এই জিলাপী কেউই গ্রহণ করতে রাজি নয়। কুত্তা সুরুজ বাড়ীর মিষ্টি খাওয়া ঠিক না। বুকে পাহাড় সমান কষ্ট নিয়ে ঘরে ফিরে আসে মা ছেলে।
কিছুদিন পর স্কুলের হেড মাস্টার আনোয়ার হোসেন (বিএড) সুরুজ আলীর বাড়ী এসে রহমতকে জানালেন, একটি সু-সংবাদ এবং অন্যটি দুঃসংবাদ আছে। মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর। সু-সংবাদটি হচ্ছে, আগামীকাল মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী রাজধানী বঙ্গবন্ধু চীনমৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে কৃতি শিক্ষার্থীদের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। আর দুঃসংবাদটি হচ্ছে, কিছুক্ষণ আগে তোমার বাবা সুুরুজ আলীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
খবর শুনে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করল রাহেলা বেগম। ও ছার গো অহন আমডার কি অইব গো.......। লেব ধরলে ক্রছ কইরা মাইরা লা গো। ও আল্লা আল্লা গো........... হুটকি পিডা বানাইয়া কারে খাওয়াইআম গো.........।
মায়ের কান্না দেখে ছোট মেয়ে কমলাও কাঁদতে লাগল। নির্বাক হতভম্ভ রহমত।
(৩)
বঙ্গবন্ধু চীনমৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সারা দেশ থেকে আগত কৃতি শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ এসে গেছেন। অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। মেধা তালিকায় সেরা দশে স্থান অর্জনকারী রহমতকে পুরষ্কার দিলেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক রহমতের প্রতিক্রিয়া জানতে চায়লো। এই সুযোগে রহমত বলতে শুরু করল-আমার কৃতিত্বের পেছনে আমার বাবার অবদান সবচেয়ে বেশী। আমার বাবার নাম শুনলে সবাই তাকে চিনবেন। উনার নাম কুত্তাসুরুজ। র্যাব তাকে ইতি মধ্যে গ্রেফতার করেছে। আমি জানি, র্যাব আমার বাবাকে নিয়ে শীঘ্রই অস্ত্র উদ্ধারে যাবে। তারপর পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করবে। এসময় কুত্তাসুরুজ পালাতে গিয়ে ক্রস ফায়ারে মারা যাবে।
রাষ্ট্রের কাছে আলোয় ভরা এই দিনে আজ আমার আকুল প্রার্থনা- আমার বাবাকে ক্রস ফায়ারে না দিয়ে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ফাঁসি দিন। আমি আমার বাবার ফাঁসি দাবী করছি। আর সেই সাথে আর একটি দাবী করছি, নিরীহ কৃষক সুরুজ আলীকে যারা কুত্তাসুরুজ বানিয়েছে তাদের বিচারটাও করুন। ক্রস ফায়ারে কুত্তা সুরুজের মৃতু্য হলে গডফাদাররা থেকে যাবে অন্তরালে। ফলে ঐ সব গডফাদাররা আরও বহু কুত্তাসুরুজের জন্ম দিবে।
রহমতের কথায় সবাই আবেগআপ্লুত হয়ে পড়ে। অনেকের চোখ ভিজে যায়। চীনমৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জোরালো দাবী ওঠে-বিচার বহির্ভুত এই হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে।
পরের দিন সকল পত্রিকার শিরোনাম-''ক্রসফায়ারে দুর্ধর্ষ সন্ত্রসী কুত্তা সুরুজ নিহত''।
রহমত গতকাল চীনমৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তার বাবার মৃতু্যর গল্পটি যেভাবে বলেছিল পত্রিকায় হুবহু তা ছাপা হয়েছে। শুধু অতিরিক্ত ছিল কুত্তা সুরুজের লাশের পাশে পড়ে ছিল একটি পিস্তল, একটি ল্যাপটপ, মেয়ে শিশুর লাল জামা, লাল জুতা, লাল চুড়ি আর কিছু মাছের কাঁটা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাদিম ইবনে নাছির খান চমৎকার লেখনী,,, প্রশংসা করে শেষ হবেনা,,,,
সোমা মজুমদার khub sundar bastab ekta galpo.......kichhu atyanta gurutwapurna bishay uthhe eseche lekhar madhya diye.........sesh tao khub sparsha katar..........
মদ. রফিকুল Haider খুব সন্দুর সমসাময়িক বাস্তব চিত্রের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু যারা কুত্তা সুরুজ বানায় তাদের বিবেক কি কখনও জাগ্রত হবে না?
সিয়াম সোহানূর অনন্য ও অসাধারণ গল্প। আঞ্চলিক ভাষার চমতকার ব্যবহার গল্পটাকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। আর বাবার চিরসুন্দর আদর্শ ও সমসাময়িক দেশচিত্র উঠে এসেছে নিপুন দক্ষতায়। অনেক শক্তিশালী কলম। এ কলমের জয় হোক।
Mohammad Alvi আবেগময়, সময়োপযুক্ত লেখা
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম বড় নিঠুর বাস্তবতা । যারা কুত্তাসুরুজ তৈরী করে যাচ্ছে তারা সুখের স্বর্গে থেকেই যাবে ? এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। রহমতরা জাগবে, একদিন এ জড় সমাজকে এরা প্রাণ দিতে সক্ষম হবে, এই কামণা করি । লেখককে অনেক ধন্যবাদ ।
মিলন বনিক গল্পের উপস্তাপনা এতই সুদর আর সাবলীল যে তন্ময় হয়ে পরছিলাম আর ভাবছিলাম অন্য রকম একটা বিষয় নিয়ে এত ভালো একটা লেখা আমাদের উপহার দিয়েছেন..আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ...
সূর্য [এ ঘন ঘোর বর্ষায় আমার এ ঘরটায় বৃষ্টির জল পড়ে ভিজে যায় অবিরাম, ফুটো চাল ঐ উপরে কোন উপায় নাইরে ফুটোর তলে ঠিক থাল পেতে রাখলাম।] গত বর্ষা সংখ্যায় লেখা একটা কবিতার অংশ তোমার গল্পের শুরুটা পড়ে মনে পড়ে গেল। চমৎকার ভাবে গল্পটা এগিয়েছে সাবলীলতা নিয়ে। আর একদা নিরীহ সুরজ এর কুত্তা সুরুজ হওয়ার প্রতিবাদ জানাতে তার ছেলে এবং তার খুব ভাল ফলাফল ছাড়া কেউ ছিল না, কেউ থাকেও না। অনেক অনেক ভাল লাগল গল্প।
ধন্যবাদ সূর্য ভাই ................
নিলাঞ্জনা নীল অনেক আবেগ দিয়ে লেখা অসাধারণ গল্প....
ধন্যবাদ নীলাঞ্জনা নীল........................

০৬ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪